||বৃষ্টির দিনে কিছু ছেলেবেলা স্মৃতি ||১০%@shy-fox এর জন্য
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ০২/২০২২
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট বেলার বৃষ্টির দিনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব আশা করি আপনাদের দেখে অনেক ভালো লাগবে। আজকে প্রায় সারাদিন ধরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। আজকের বৃষ্টির দেখে আমার ছোটবেলার কিছু কথা মনে পড়ে গেল। তাই ভাবলাম আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার ছোটবেলার বৃষ্টির দিনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। তাই দেরি না করে খুব সহজেই আমার ছোটবেলার বৃষ্টির দিনের মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করা শুরু করে দিলাম।
বৃষ্টি মানে কখনো মুষলধারে বৃষ্টি আবার কখনো টিপটাপ বৃষ্টি ।বৃষ্টির কথা মনে হলে আমার অনেক ভালো লাগে ।কেননা ছোটবেলায় বৃষ্টির দিনে অনেক মজা করেছি বৃষ্টিতে ভেজার অনুভূতি আসলে একটু অন্যরকম ।যখন অতিরিক্ত বৃষ্টি হতো তখন আমাদের বাড়ির পাশের মাঠগুলো পানিতে ভরে যেত তখন কিছুদিন পর দেখা যেত অনেক শাপলা গাছ হয়েছে। তখন আমরা সেখানে গিয়ে শাপলা ফুল ও শাপলা ফুলের ঢ্যাপ তুলে আনতাম ।একদিন শাপলা ফুলের ঢ্যাপ তুলতে আমরা তিন বান্ধবী গিয়েছিলাম আমি আছমা আর রেমি। আমার তেমন একটা সাহস নেই পানিতে নামার কিন্তু আমার একটা বান্ধবী গেল পানিতে নেমে শাপলা গাছের ঢ্যাপ তুলতে ।গিয়ে দেখলো শাপলা গাছের সাথে কচ্ছপ তারপর আমার সেই বান্ধবীটি অনেক ভয় পেয়ে পানি থেকে উঠে এলো ।সেদিন থেকে তেমন আর পানিতে শাপলা ফুলের ঢ্যাপ তুলতে আমরা যাই না। যখন মাঠে চারিদিকে পানিতে ভরে যেত তখন আমাদের মহল্লার হাঁসগুলো সব পানিতে নেমে গোসল করতো তখন অনেক সুন্দর লাগতো।
বর্ষার সময় যখন চারদিকে পানি থৈই থৈই করত তখন অনেক মাছ বিল থেকে মাঠে চলে আসতো। বিশেষ করে ছোট ছোট চ্যাং চিংড়ি বিভিন্ন ধরনের মাছ। তখন আমরা মাঠে দল বেঁধে অনেকজন যেতাম যাওয়ার সময় একটা ওড়না ও একটা মাছ রাখার জন্য বালতি নিয়ে যেতাম। ওড়না দিয়ে আমরা দুই দিকে ধরে ওড়না টেনে পানির শেষ মাথায় নিয়ে যেতাম। যেয়ে দেখতাম অনেক পুটি, চিংড়ি মাছ উঠেছে ।তখন যে কি আনন্দ হতো তা বলে বোঝাতে পারবো না ।তখন আমরা মাছগুলো বাড়িতে এনে সবাই মিলে মাছগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে আমরা বান্ধবী মিলে বাড়ি থেকে মাছ রান্না করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো নিয়ে আনতাম ।এবং ছোট করে একটা পিকনিক করতাম ।যখন রান্না করা হয়ে গিয়েছে তখন কলা গাছ থেকে কলার পাতা কেটে এনে কলার পাতায় সবাই একসঙ্গে বসে খেতাম। আসলেই একসাথে খাওয়ার মজাই আলাদা
যখন আমাদের সবার খাওয়া দাওয়া করা হয়ে গেছে তো তখন আমরা সবাই দল বেঁধে পুকুরে গোসল করতে যেতাম ।পুকুরে গোসল করতে গিয়ে আমরা দুইটা দল ভাগ করে নিতাম। তারপর আমরা এটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতাম কোন দল আগে এপার থেকে ওপারে যেতে পারে ।যে দল এপার থেকে ওপারে আগে যেতে পারবে সেই দল ফাস্ট হবে এবং তারা প্রাইজ পাবে সে দলের পুরস্কার হিসেবে থাকবে একটা সাবান । আমাদের প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে যেত তারপর আমরা বাড়ি থেকে একটা ছোট বল এনে সেই বলটা মাঝখানে রেখে সবাই মিলে হাত দিয়ে পানি থাবাতাম। পানি থাবানো শেষ হলে যখন বলটা ভেসে যাবে তখন যে বলটা দেখতে পারবে সে বলটা নিয়ে ডুব মারবে ডুব মারার আগে যে মাথা ছুঁয়ে ফেলবে তাকে দশ মার্ক দেওয়া হবে ।আর মাথা ছুতে না পারলে সে যদি পানিতে ডুব মারে তাহলে তাকে দশ মার্ক দেওয়া হবে। আসলেই এই কথাগুলো মনে পড়লে অনেক হাসি পায়। আসলেই ছোট বেলার জীবন একটা অন্যরকম জীবন আমরা চাইলেও আর ছোটকালের জীবনে ফিরে যেতে পারবো না। এটাই সারাজীবন হয়ে আসছে ছোটকালের জীবন নিয়ে সবারই কোনো না কোনো স্মৃতি জড়িয়ে থাকে ।আমি আমার স্মৃতিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম, শেয়ার করে আসলে আমার নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছে
ধন্যবাদ সবাইকে এতখন আমার সাথে থাকার জন্য ।আশা করি আমার এই পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে আপনাদের সবার কাছে। আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
আমার কাছে কিন্তু আপু মুষলধারের থেকে রিমঝিম বৃষ্টি ভালো লাগে।। সারাদিন হবে বেশ দারুণ অনূভুতি হি হি। আপনার ছোটবেলার বৃষ্টি দিনের স্মৃতিগুলো শুনে ভালো লাগল। বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন শৈশবে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।