আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম !
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ শুক্রবার, মার্চ মাসের ১৫/২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে সিমের ভর্তা শেয়ার করতে চায়। সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যা বেলায় যেন মাছ মাংস ডিম খেতে তেমন একটা ইচ্ছে করে না। মনে হয় সবজি দিয়ে একটু ভাত খেতে ।তাই সন্ধ্যা বেলায় আজকে ভাবলাম সিম ভর্তা করব, সিম ভর্তা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে ।যখন নতুন সিম ওঠে তখন মাঝেমধ্যে আমি রেসিপিটা তৈরি করে রুটি কিংবা ভাতের সাথে খেয়ে থাকি। অনেকদিন পর আজকে আবার ইচ্ছে হলো রেসিপিটা তৈরি করতে। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক সিমের ভর্তা।
••••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
১ | সিম | যেটুকু ভর্তা করতে চান |
২ | পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণমতো |
৩ | লবণ | স্বাদমতো |
৪ | সরিষার তেল | পরিমাণমতো |
৫ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণমতো |
প্রথমে আমি পরিমাণ মতো সিম নিয়ে নিয়েছি ।আপনারা যেটুকু সিমের ভর্তা করতে চান সেটুকু সিম নিতে পারেন।
এবার আমি সিমগুলো পানি দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে ধুয়ে নিব।
এবার আমি চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে সিম গুলো সিদ্ধ করতে দিব ।সিদ্ধ করার সময় সিমের দুই দিকের শক্ত অংশ কেটে দিবো না ।কেটে দিলে সম্ভবত সিদ্ধ হওয়ার সময় অনেক পানি গেলে সিম ভর্তা তেমন একটা ভালো হয় না।
দেখতে পাচ্ছেন অনেক সুন্দর ভাবে সিম গুলো সিদ্ধ করা হয়ে গিয়েছে। সিদ্ধ করার সময় পানির পরিমাণ একটু বেশি দিয়েছি যাতে সিমটা অনেক সুন্দরভাবে সিদ্ধ হয়।
এবার আমি কড়াইয়ে থেকে সিমটা তুলে একটা পাত্রে ঠান্ডা করতে রেখে দিয়েছি।
এবার আমি সিমের চারদিকের শক্ত অংশটি ফেলে দিয়েছি।
এবার আমি পরিমাণ মতো কাঁচা মরিচ এবং একটা পেঁয়াজ নিয়ে নিয়েছি।
এবার আমি পেঁয়াজটা অনেক সুন্দরভাবে ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি ।ঝালটাও অনেক সুন্দর ভাবে কেটে নিয়েছি ।পরিমাণ মতো সরিষার তেল এবং পরিমাণ মতো লবণ নিয়ে নিয়েছি।
এবার আমি কাঁচা মরিচ ,পেঁয়াজকুচি, লবণ, সরিষার তেল একসঙ্গে চটকিয়ে নিব।
কাঁচা মরিচ পেঁয়াজকুচি, সরিষার তেল, লবণের সঙ্গে চটকানো হয়ে গেলে এবার আমি সিম অনেক সুন্দর ভাবে একসঙ্গে চটকিয়ে নিব ।অবশেষে তৈরি হয়ে গেল সিম ভর্তা ।আসলেই সিম ভর্তাটা খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল। আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার ধাপগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই বাড়িতে বসে ভর্তা তৈরি করতে পারবেন।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আশা করি আমার সিম ভর্তা আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
সারাদিন রোজা থাকার পরে মাছ মাংস খাবার ভালো না লাগাটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। যাইহোক সারাদিন রোজা থাকার পরে আপনি সিমের ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে আপু। প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সিম ভর্তা রেসিপি এইগুলি আমি একদিন খেয়েছিলাম, আমার কাছে এতটাই দারুন লাগছিল। আবার খেতে মন বলছিল আর তারপর আপনার পোস্টটি দেখে আবারও সেই দিনটার কথা মনে পড়ে গেল এবং ভীষণ ভালোভাবে আপনি সম্পূর্ণ করেছেন। এই ভর্তা রেসিপিগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
সিম ভর্তা খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে ভাইয়া।
রমজান মাসে এই ধরনের ভর্তা গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। সিম ভর্তা এর আগে আমি কয়েকবার খেয়েছি খুবই ভালো লাগে এটা। আপনার তৈরি করা রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে।
সারাদিন রোজা রাখার পর মাছ-মাংস এবং ডিম তেমন একটা খেতে ভালো লাগে না ।সবজি দিয়ে ভাত খেতে একটু ইচ্ছে করে ।তাই রমজান মাসের জন্য সিম ভর্তা খুবই প্রয়োজনীয়।
আপু এমন মজাদার ভর্তা দেখে তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আমি আবার শিম ভর্তা খেতে খুব পছন্দ করি। রমজান শুরু হওয়ার পর আর ভর্তা খাওয়া হয়নি। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু রমজান মাস চলে আসার পর তেমন আর খাওয়া-দাওয়া হয় না।
গরম ভাতের সাথে সিম ভর্তা হলে এক নিমিষেই এক প্লেট ভাত খেয়ে ফেলা যায়। শিম ভর্তার রেসিপি দেখে খুব লোভ লাগছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে তো অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার তৈরি পদ্ধতি মাঝে মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
যে কোনো ধরনের ভর্তা আমার খুব পছন্দের। আসলে গরমের দিনে সকাল বেলা পান্তা ভাতের সাথে ভর্তা খাওয়ার অনুভূতি বেশ দারুণ হয়ে থাকে। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে শিম ভর্তা তৈরি করেছেন। শিম ভর্তা দেখে খুব ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে ভর্তা তৈরি প্রক্রিয়া সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সকাল বেলায় পান্তা ভাতের সাথে সব থেকে আলু ভর্তা এবং ডাউল ভর্তা খেতে বেশি ভালো লাগে ভাইয়া। আমিও মাঝেমধ্যে ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়ে থাকি।
গরম গরম ভাতের সাথে সিম ভর্তা রেসিপি খেতে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে। সিম ভর্তা রেসিপিটি আমার খুব প্রিয় একটি রেসিপি। তবে আপু আপনাকে দেখলাম সিম ভর্তা রেসিপিতে কাঁচামরিচ ও কাঁচা পেঁয়াজ ব্যবহার করেছেন। যা আমরা কখনো করিনা, বরং কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ তেলে ভেজে ভর্তা তৈরি করি। তবে আপনার তৈরি সিম ভর্তা রেসিপিও দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজার হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, সিম ভর্তা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
অনেকেই দেখি কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ তেলে ভেজে ভর্তা করে থাকে। কিন্তু আমাদের এদিকে বেশিরভাগই মানুষ কাঁচা পেঁয়াজ এবং কাঁচামরিচ দিয়ে ভর্তা করে থাকে ভাইয়া।