||ঝাল ভাঙ্গা দিয়ে মচমচে চালের ধাপড়া রেসিপি ||১০%@shy-fox এর জন্য
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ
রবিবার, জুলাই ৩১/২০২২
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি ।আশাকরি আপনাদের দেখে অনেক ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের সাথে ঝাল ভাঙ্গা দিয়ে মচমচে চালের ধাপড়া রেসিপি শেয়ার করব ।এই রেসিপিটা গ্রাম অঞ্চলে জনপ্রিয় একটি রেসিপি। গ্রাম অঞ্চলে যখন ক্ষেতের ধান বাড়িতে আনা হয় তখন সেই ধানের চালের আটা করে মচমচে চালের ধাপরা রেসিপি বানানো ধুম পড়ে । শুধু যে গ্রাম অঞ্চলে জনপ্রিয় তা কিন্তু নয় বিভিন্ন জায়গায় এই রেসিপিটা তৈরি করা হয় বিশেষ করে রেলস্টেশনে সকালবেলায় চালের ধাপড়া তৈরি করা হয় ।যা টাকা দিয়ে কিনে খেতে হয় । এই রেসিপিটা আমি অনেক পছন্দ করি। বিশেষ করে রেসিপিটা শীতকালে বেশি তৈরি করা হয়। শীতকালে যখন অনেক ঠান্ডা পড়ে তখন সকাল সকাল এই রেসিপিটা খেতে ভালো লাগে। চালের ধাপড়া কেউ কেউ আবার চিনি দিয়ে ভিজিয়ে খাই ।কেউ কেউ আবার বিভিন্ন ধরনের তরকার রান্নার সাথে খেয়ে থাকে। যার যার যেরকম ভালো লাগে সে সেরকম খাই। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে আসা যাক রেসিপিটা কিভাবে তৈরি করা হয়।
••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো••••
| ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
|---|---|---|
| ১ | শুকনা মরিচ | পরিমাণমতো |
| ২ | পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণমতো |
| ৩ | সরিষার তেল | পরিমাণমতো |
| ৪ | লবন | স্বাদঅনুযায়ী |
| ৫ | রসুন | অল্প পরিমাণ |
| ৬ | চাউলের ময়দা | পরিমাণমতো |
প্রথমে আমি বাড়িতে থাকা চাউলের ময়দা সংগ্রহ করে নিয়েছি।
এবার আমি অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে পানির ভেতর পরিমাণমতো লবণ দিয়ে চাউলের ময়দাগুলো দিয়ে ভালোভাবে ছেনে নিব।
এবার আমি ছেনে নেওয়া চাউলের ময়দা পরিমাণমতো নিয়ে পাটার পরে রেখে দিয়ে হাতের তালুর সাহায্যে চাপ দিতে দিতে ধাপড়াটা তৈরি করে নিব।
এবার আমি তৈরি করা ধাপড়াটা চুলাইয়ে রাখা মাটির তাওয়ার ওপর দিয়ে দিব। দিয়ে কিছুক্ষণ তাপ দিয়ে নিব।
এবার চাউলের ধাপড়ার একপিঠ তাপ দেওয়া হয়ে গেছে এবার উল্টিয়ে আরেকপিঠ তাপ দিয়ে নিতে হবে।
এবার আমি শুকনা মরিচ ও রসুন চুলায় রাখা মাটির তাওয়ায় ভেজে নিব ।আপনারা চাইলে করাইয়ে ভেজে নিতে পারেন।
এবার কিছুক্ষন আগুনের তাপ দেওয়ার পর রসুন ও শুকনা মরিচ গুলো ভাজা হয়ে গিয়েছে।
এবার আমি ভাজা শুকনা মরিচ ,রসুন , পরিমাণমতো লবণ ,পেঁয়াজকুচি দিয়ে পাটার সাহায্যে ভালোভাবে বেটে নিব।
ভাজা শুকনা মরিচ ,রসুন, পেঁয়াজকুচি ভালোভাবে বেটে নেওয়ার পরে সরিষার তেল দিয়ে দিব। দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিব তাহলে জালভাঙ্গা দিয়ে মচমচে চালের ধাপড়া রেসিপি তৈরি করা হয়ে যাবে।
- ধন্যবাদ সবাইকে এতখন আমার সাথে থাকার জন্য ।আশা করি আমার এই ঝাল ভাঙ্গা দিয়ে মচমচে চালের থাপড়া রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
চালের ধাপড়া খেয়েছি বলে আমার মনে হয় না । কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। শুরু থেকে খুব চমৎকারভাবে আপনি রেসিপিটা তৈরি করেছেন। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের গ্রাম অঞ্চলের রেসিপিটা অনেক প্রচলিত রেসিপিটা খেতে অনেক ভালো লাগে ধন্যবাদ ভাইয়া।
এরকম চালের থাপড়া রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নাই। আমি দেখেছি তবে কখনও খাই নাই। আপনার এসিপি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন আপনি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া রেসিপিটা একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আসলেই রেসিপিটা খেতে অনেক ভালো লাগে।
আমাদের এলাকার কৃষকের প্রধান খাদ্য ঝাল ভাঙ্গা দিয়ে মচমচে চালের ধাপড়রা রেসিপি। কৃষক প্রতিদিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ঝাল ভাঙ্গা দিয়ে চালের ধাপড়া খেয়ে তাদের জমিতে কাজ করতে চাই। সেজন্যই আমি বললাম কৃষকের প্রধান খাদ্য ঝাল ভাঙ্গা দিয়ে চালের মচমচে ধাপড়ার রেসিপি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমাদের এদিকে কিষকের প্রধান খাদ্য ঝাল ভাঙ্গা দিয়ে চালের ধাপড়া। আসলেই রেসিপিটা সকালে খেতে অনেক ভালো লাগে ।
মচমচে চালের ধাপড়া রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে আপু। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে ঝাল ঝাল মরিচ দিয়ে এই রেসিপি খেতে দারুণ লেগেছে। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। লোভনীয় এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলেই রেসিপিটা অনেক লভনীয় বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া।
চালের ধাপড়া এই প্রথম নাম শুনলাম আপু । মনে হচ্ছে না এর আগে কখনো খেয়েছি। তবে চালের গুড়ার এরকম অনেক পিঠা খেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু ইউনিক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
আপনার ঝাল ভাঙ্গা দিয়ে মচমচে চালের ধাপড়া রেসিপি আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি বেশ লোভনীয় ছিলো।
এভাবে ঝাল ভাঙ্গা দিয়ে মচমচে চালের পাঁপড় খাওয়া হয়নি। তবে আপনার যে রেসিপিতে দেখলাম মনে হচ্ছে খেতে মজাই হবে। আর অনেক সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঝাল ভাঙ্গা দিয়ে মচমচে চালের ধাপড়া রেসিপি করেছেন। সত্যি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে সামনে বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করব। খুব চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।