গরিবের সুইজারল্যান্ড ।(পর্ব- ১)
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১ লা,জ্যৈষ্ঠ | | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ||বুধবার ||গ্রীষ্মকাল||
আমি রাজু আহমেদ।আমার ইউজার নাম @md-razu।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তাহলে চলুন শুরু করি
নিজ হাতে ক্যামেরা নিয়ে কিছু প্রিয় মুহূর্ত বন্দী করার মজাই অন্যরকম।প্রকৃতির রুপ কার না ভালো লাগে।প্রকৃতির রুপ দেখে মানুষের মনে এক অনাবিল সুখ বয়ে যায়।
ফটো-এডিটর দিয়ে বানানো।
ফটোগ্রাফি।
device:redmi note 10
What's 3 Word Location:
https://w3w.co/uncorks.nevermore.retake
আজ আপনাদের মাঝে গরীবের সুইজারল্যান্ড খ্যাত জায়গায় ঘোরার অনুভূতি ও কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমিও ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। আমার কিছু বন্ধু ছিল তারাও ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। বন্ধুদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে মিল থাকলে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যেখানে দুচোখ যায় সেখানেই যেতে মন চায় মন শুধু চায় ছুটাছুটি করতে বিভিন্ন জায়গায়। অচেনা দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে।
আজ আমি নতুন আরো একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গরিবের সুইজারল্যান্ড খ্যাত একটি জায়গা নিয়ে। জায়গাটি এত সুন্দর সেটা সারাদিন লিখলেও শেষ হবে না। চারিপাশে সবুজের সমারহ। যেদিকেই তাকাবেন সবুজ দিগন্ত জুড়ে সবুজ ধান খেত। এইতো গতকাল একটা পরিকল্পনা করি আমরা সবাই সুন্দর একটি জায়গা ঘুরতে যাব। যদিও এই জায়গাটিতে আমার আগে যাওয়া হয়নি। ঢাকা থাকার কারণে তেমন একটা ঘোরাঘুরি করতে পারেনি কিছুদিন। তো আমার এক বড় ভাই বলল জায়গাটি অনেক সুন্দর গেলে মন ভাল হয়ে যাবে। আমার কিছু ফ্রেন্ড ও বড় ভাই মিলে সবাই বিকেলে চারটার দিকে রওনা হই। আমরা প্রথমে আমাদের কলেজ মোড়ে গিয়ে ওয়েট করি। কারণ সেখানে আরো কিছু ফ্রেন্ড ও ছোট ভাই আসার কথা ছিল। তারাও সবাই এসে পৌঁছে যায়। তারপর আমরা নতুন জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা হই। বাইক নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে আমাদের অনেক পছন্দের। সময় হলেই বাইক নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি। তো জায়গা টিতে যেতে আমাদের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। দুই পাশে সবুজ ধান ক্ষেত মাঝখান দিয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা অসাধারণ একটা পরিবেশ। তারপর আমরা সেই সবুজের সমারহ জায়গাটিতে পৌঁছে যায়। আমি আর আমার দুই বন্ধু ফটোগ্রাফি করতে শুরু করি।
ফটোগ্রাফি করার উদ্দেশ্যে একটু আগালেই একটা লোক অনেকগুলো ভেড়ার পাল নিয়ে ঘাস খাওয়াচ্ছে। যদিও তখন রোদের তীব্রতা অনেক ছিল। লোকটি ছাতা মাথা নিয়ে ভেড়ার পাল দেখাশোনা করছে। ভেড়াগুলো আপন মনে সবুজ কাঁচা ঘাস খেয়ে যাচ্ছে। দিগন্ত জুড়ে সবুজের সমারোহ দেখতে কার না ভালো লাগে। আমার মনে হয় কি ভেড়াগুলো এই সবুজ ঘাস গুলো খেয়ে অনেক আনন্দ পাচ্ছে। সূর্য ও পশ্চিম আকাশে অনেকটাই হেলে গিয়েছিল। পরিবেশটা দেখতে অন্যরকম একটা ভালো লাগছিল। আমি ভেড়ার পালের কিছু ফটোগ্রাফি করি। এবং অপলক দৃষ্টিতে তাদের ঘাস খাওয়ার দৃশ্য অনুধাবন করতে থাকি। আসলে এমন পরিবেশে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে যাবে আপনি টেরও পাবেন না। মূলত এটা পদ্মা নদীর চর। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নতুন সবুজ ঘাস জন্ম নিয়েছে। আর রাখালরা তাদের ভেড়া ও গরু ছাগল এনে ঘাস খাওয়াচ্ছে। আসলেই পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। কিছু বছর আগেও এই জায়গাটিতে পানিতে ভরপুর থাকতো। কিন্তু দেখেন এখন আর কোন পানি দেখা যাচ্ছে না।
তারপর একটু এগোতে চোখে পড়লো কয়েকটি ঘোড়া ঘাস খাওয়ার দৃশ্য। আমি আর বন্ধু অঙ্কন সেই জায়গাটিতে যাই। পরিবেশটা সুন্দর থাকলেও তেমন একটা বাতাস ছিল না। অনেক গরম পড়তে ছিল। আমিতো ঘেমে একদম শেষ। আমি আর আমার বন্ধু হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে সেই জায়গাটিতে যাই। ঘোড়াগুলো অনেক শান্ত প্রকৃতির। তাদের কাছে গিয়ে তাদের গায়ে হাত বুলিয়ে দিলেও তেমন একটা রিয়াক্ট করছে না। তাদের ধ্যান রয়েছে ঘাস খাওয়ার। আমি একবার ভাবলাম ঘোড়ার গায়ের উপর উঠবো নাকি। যদি ঘোড়া আমাকে ফেলে দেয় এই ভেবে আর উঠি নাই। ঘোড়ার ঘাস খাওয়ার দৃশ্য অনেক সুন্দর লাগছিল। ক্যামেরার ফ্রেমে সূর্য থাকায় ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এরকম ফটোগ্রাফিই তো আমরা সব সময় করতে চাই। ফ্রেমের মধ্যে সবুজ প্রকৃতি ঘোড়া ঘাস খাচ্ছে এবং সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে যাওয়ার দৃশ্য আসলেই অন্যরকম। পাশেই দেখা মিলল ঘোড়ার গাড়ির। সারাদিন ঘোড়া দিয়ে বিভিন্ন জিনিস আনা নেওয়া করে। তারপর বাড়ি যাওয়ার আগে ঘোড়া ঘাস খায়। সন্ধ্যা হলে গারোয়ান ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে। মূলত পদ্মার চড় থেকে ধান বা বিভিন্ন ধরনের শস্য ঘোরার গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
আমি যখন ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন মনে হল ঘোড়াও আমার দিকে লুক দিচ্ছে। আর বলছে আমার ফটোগ্রাফি করো ফটোগ্রাফি গুলো যেন ভাল হয়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেও ঘোড়াগুলো ঘাস খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছে না। কারণ ঘোড়ার মালিক যত সময় আসবে না তারা এভাবেই ঘাস খাওয়া চালিয়ে যাবে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো হয়। চেষ্টা করেছি ঘোরার সৌন্দর্য ক্যাপচার করে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
সন্ধ্যার আগ মূহুর্তের পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সূর্যাস্তের সময় জেলেরাও ব্যস্ত মাছ ধরতে। সন্ধ্যার দিকে নাকি নদীতে মাছ বেশি পাওয়া যায়। অবশ্যই এটা আমার শোনা কোথা। সূর্যাস্তের সময় পশ্চিম আকাশে মেঘটা লাল বর্ণের আকার ধারণ করে যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। এরকম পরিবেশে নদীর উপর নৌকা নিয়ে ভাসতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। প্রকৃতিকে ভালবাসলে প্রকৃত আপনাকে সন্তুষ্ট করবে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আপনি কখনো নিরাশ হবেন না আশা করি।
আমার পরিচয়
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
💞 আল্লাহ হাফেজ 💞
VOTE @bangla.witness as witness
OR
তাহলে চলুন শুরু করি
নিজ হাতে ক্যামেরা নিয়ে কিছু প্রিয় মুহূর্ত বন্দী করার মজাই অন্যরকম।প্রকৃতির রুপ কার না ভালো লাগে।প্রকৃতির রুপ দেখে মানুষের মনে এক অনাবিল সুখ বয়ে যায়।
ফটো-এডিটর দিয়ে বানানো।
device:redmi note 10
What's 3 Word Location:
https://w3w.co/uncorks.nevermore.retake
আজ আপনাদের মাঝে গরীবের সুইজারল্যান্ড খ্যাত জায়গায় ঘোরার অনুভূতি ও কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমিও ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। আমার কিছু বন্ধু ছিল তারাও ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। বন্ধুদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে মিল থাকলে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যেখানে দুচোখ যায় সেখানেই যেতে মন চায় মন শুধু চায় ছুটাছুটি করতে বিভিন্ন জায়গায়। অচেনা দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে।
আজ আমি নতুন আরো একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গরিবের সুইজারল্যান্ড খ্যাত একটি জায়গা নিয়ে। জায়গাটি এত সুন্দর সেটা সারাদিন লিখলেও শেষ হবে না। চারিপাশে সবুজের সমারহ। যেদিকেই তাকাবেন সবুজ দিগন্ত জুড়ে সবুজ ধান খেত। এইতো গতকাল একটা পরিকল্পনা করি আমরা সবাই সুন্দর একটি জায়গা ঘুরতে যাব। যদিও এই জায়গাটিতে আমার আগে যাওয়া হয়নি। ঢাকা থাকার কারণে তেমন একটা ঘোরাঘুরি করতে পারেনি কিছুদিন। তো আমার এক বড় ভাই বলল জায়গাটি অনেক সুন্দর গেলে মন ভাল হয়ে যাবে। আমার কিছু ফ্রেন্ড ও বড় ভাই মিলে সবাই বিকেলে চারটার দিকে রওনা হই। আমরা প্রথমে আমাদের কলেজ মোড়ে গিয়ে ওয়েট করি। কারণ সেখানে আরো কিছু ফ্রেন্ড ও ছোট ভাই আসার কথা ছিল। তারাও সবাই এসে পৌঁছে যায়। তারপর আমরা নতুন জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা হই। বাইক নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে আমাদের অনেক পছন্দের। সময় হলেই বাইক নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি। তো জায়গা টিতে যেতে আমাদের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। দুই পাশে সবুজ ধান ক্ষেত মাঝখান দিয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা অসাধারণ একটা পরিবেশ। তারপর আমরা সেই সবুজের সমারহ জায়গাটিতে পৌঁছে যায়। আমি আর আমার দুই বন্ধু ফটোগ্রাফি করতে শুরু করি।
ফটোগ্রাফি করার উদ্দেশ্যে একটু আগালেই একটা লোক অনেকগুলো ভেড়ার পাল নিয়ে ঘাস খাওয়াচ্ছে। যদিও তখন রোদের তীব্রতা অনেক ছিল। লোকটি ছাতা মাথা নিয়ে ভেড়ার পাল দেখাশোনা করছে। ভেড়াগুলো আপন মনে সবুজ কাঁচা ঘাস খেয়ে যাচ্ছে। দিগন্ত জুড়ে সবুজের সমারোহ দেখতে কার না ভালো লাগে। আমার মনে হয় কি ভেড়াগুলো এই সবুজ ঘাস গুলো খেয়ে অনেক আনন্দ পাচ্ছে। সূর্য ও পশ্চিম আকাশে অনেকটাই হেলে গিয়েছিল। পরিবেশটা দেখতে অন্যরকম একটা ভালো লাগছিল। আমি ভেড়ার পালের কিছু ফটোগ্রাফি করি। এবং অপলক দৃষ্টিতে তাদের ঘাস খাওয়ার দৃশ্য অনুধাবন করতে থাকি। আসলে এমন পরিবেশে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে যাবে আপনি টেরও পাবেন না। মূলত এটা পদ্মা নদীর চর। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নতুন সবুজ ঘাস জন্ম নিয়েছে। আর রাখালরা তাদের ভেড়া ও গরু ছাগল এনে ঘাস খাওয়াচ্ছে। আসলেই পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। কিছু বছর আগেও এই জায়গাটিতে পানিতে ভরপুর থাকতো। কিন্তু দেখেন এখন আর কোন পানি দেখা যাচ্ছে না।
তারপর একটু এগোতে চোখে পড়লো কয়েকটি ঘোড়া ঘাস খাওয়ার দৃশ্য। আমি আর বন্ধু অঙ্কন সেই জায়গাটিতে যাই। পরিবেশটা সুন্দর থাকলেও তেমন একটা বাতাস ছিল না। অনেক গরম পড়তে ছিল। আমিতো ঘেমে একদম শেষ। আমি আর আমার বন্ধু হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে সেই জায়গাটিতে যাই। ঘোড়াগুলো অনেক শান্ত প্রকৃতির। তাদের কাছে গিয়ে তাদের গায়ে হাত বুলিয়ে দিলেও তেমন একটা রিয়াক্ট করছে না। তাদের ধ্যান রয়েছে ঘাস খাওয়ার। আমি একবার ভাবলাম ঘোড়ার গায়ের উপর উঠবো নাকি। যদি ঘোড়া আমাকে ফেলে দেয় এই ভেবে আর উঠি নাই। ঘোড়ার ঘাস খাওয়ার দৃশ্য অনেক সুন্দর লাগছিল। ক্যামেরার ফ্রেমে সূর্য থাকায় ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এরকম ফটোগ্রাফিই তো আমরা সব সময় করতে চাই। ফ্রেমের মধ্যে সবুজ প্রকৃতি ঘোড়া ঘাস খাচ্ছে এবং সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে যাওয়ার দৃশ্য আসলেই অন্যরকম। পাশেই দেখা মিলল ঘোড়ার গাড়ির। সারাদিন ঘোড়া দিয়ে বিভিন্ন জিনিস আনা নেওয়া করে। তারপর বাড়ি যাওয়ার আগে ঘোড়া ঘাস খায়। সন্ধ্যা হলে গারোয়ান ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে। মূলত পদ্মার চড় থেকে ধান বা বিভিন্ন ধরনের শস্য ঘোরার গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
আমি যখন ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন মনে হল ঘোড়াও আমার দিকে লুক দিচ্ছে। আর বলছে আমার ফটোগ্রাফি করো ফটোগ্রাফি গুলো যেন ভাল হয়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেও ঘোড়াগুলো ঘাস খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছে না। কারণ ঘোড়ার মালিক যত সময় আসবে না তারা এভাবেই ঘাস খাওয়া চালিয়ে যাবে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো হয়। চেষ্টা করেছি ঘোরার সৌন্দর্য ক্যাপচার করে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
সন্ধ্যার আগ মূহুর্তের পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সূর্যাস্তের সময় জেলেরাও ব্যস্ত মাছ ধরতে। সন্ধ্যার দিকে নাকি নদীতে মাছ বেশি পাওয়া যায়। অবশ্যই এটা আমার শোনা কোথা। সূর্যাস্তের সময় পশ্চিম আকাশে মেঘটা লাল বর্ণের আকার ধারণ করে যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। এরকম পরিবেশে নদীর উপর নৌকা নিয়ে ভাসতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। প্রকৃতিকে ভালবাসলে প্রকৃত আপনাকে সন্তুষ্ট করবে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আপনি কখনো নিরাশ হবেন না আশা করি।
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
প্রথমত গরিবের সুইজারল্যান্ড বলেছেন কিন্তু জায়গার নাম বলেন নাই, এটা কেমন অনুভূতি শেয়ার করলেন। দ্বিতীয় বিষয় হলো ভূমিকার ক্ষেত্রে একই কথা বার বার বলাটা পোষ্টের সৌন্দর্য নষ্টের কারন এবং তৃতীয় বিষয় হলো লেখাগুলো কেন বোল্ড করলেন? এটা করবেন না।