রাতের বেলায় লালন শাহ ফকিরের মাজারে ঘোরাঘুরি|১০% লাজুক খ্যাকের জন্য|
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ --২৮মাঘ| ১৪২৮ বঙ্গাব্দ |রবিবার| শীতকাল|
আমি রাজু আহমেদ।আমার ইউজার নাম @md-razu।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তাহলে চলুন শুরু করি
ভ্রমণ আপনার হৃদয়কে উদার করে তুলবে। আপনার বোধগম্যতা প্রসারিত করবে এবং আপনি যে গল্পগুলি বলতে পারেন তার মাধ্যমে আপনার জীবন পূর্ণ করবে। আপনি যখন ভ্রমণ করেন, মনে রাখবেন যে কোনও জায়গা আপনাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করার জন্য ডিজাইন করা হয়নি। এটি এর লোকদের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে
লালন শাহের মাজার দর্শন
device:redmi note 10
What's 3 Word Location:
https://w3w.co/undivided.disbelief.objectively
লালনের জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তাঁর রচিত ২৭টি গান তাঁর সবচেয়ে যৌক্তিক উল্লেখ। কিন্তু তিনি কোনো গানে নিজের জীবনের কোনো তথ্য রাখেননি, বরং কয়েকটি গানে নিজেকে 'লালন ফকির' বলে অভিহিত করেছেন। তার মৃত্যুর পনেরো দিন পর কুষ্টিয়া থেকে হিতকরী পত্রিকার একজন সম্পাদক বললেন, "তাঁর জীবনী লেখার কোনো উপাদান পাওয়া কঠিন। তিনি নিজে কিছু বলেননি। শিষ্যরা তাঁর নিষেধ বা অজ্ঞতার কারণে কিছু বলতে পারেননি।
কয়েকদিন যাবৎ বাড়ি থেকে অসস্থি মনে হচ্ছিলো।কয়েকদিন বাড়ি থেকে বের হওয়া হয়নি।তাই ভাবলাম কোথাও থেকে ঘুরে আসতে হবে।তারপর আমার কয়েকটা বন্ধুকে ফোন দিলাম।ফোন দিয়ে আমাদের আড্ডা দেওয়ার স্থানে আসতে বললাম।ওরা সবাই আসার পর বললাম যে চলো ঘুরে আসি।এক বন্ধু বললো চলো লালন শাহের মাজারে যাই।আমি বললাম চলো।অনেকদিন যাওয়া হয় না।আরো একটা সিদ্ধান্ত নিলাম যে মাজার ঘোরাঘুরির পর কুষ্টিয়া বন্ধুর বাসায় থেকে আসবো।সবাই সম্মতি দিলো সমস্যা নাই।তারপর বেড়িয়ে পড়লাম লালন শাহের মাজারের উদ্দেশ্যে।আমাদের বাসা থেকে লালন শাহের মাজার প্রায় ২০ কি.মি।আমরা দুইটা বাইক নিয়ে চলা শুরু করলাম।প্রায় ১০ কি.মি যাওয়ার পর ফুয়েল পাম্প থেকে ফুয়েল নিয়ে আবার চলা শুরু হলো।
লালন শাহের মাজারে যেতে আমাদের প্রায় ৩০ মিনিট সময় লেগেছিল।আমরা প্রথমে গ্যারেজে বাইক রেখে মাজারে প্রবেশ করি।লালন শাহের সমাধির পাশে অনেক ফকিরের সমাধি দেখতে পেলাম।কিন্তু লালন শাহের সমাধির স্থলে আমাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নাই।মাজারের পাশেই সাইজির ম্যুরাল রয়েছে।ম্যুরালটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।আর মনে মনে ভাবছিলাম সাইজি মনে হয় এইরকমই ছিলো।
মাজারের পাশেই একতারার একটা স্ট্যাচু চোখে পড়লো।একতারার ম্যুরালটি অসাধারণ ছিলো।আগের সময় গান বাজনার সময় তো এতো বাদ্যযন্ত্র ছিলো না।মনে হয় এই একতারার মাধ্যমে গান বলতো।
তারপর মাজার থেকে বের হয়ে মেলার দিকে আসলাম।বিভিন্ন দোকানে ভিন্ন রকমের জিনিস পত্র বিক্রি হচ্ছে।এখন রাত হয়ে গেছে সেই জন্য মানুষের সমাগম কম।অবশ্য এখন ঘোরার মজাই অন্যরকম।তেমন কোলাহল নেই।আমি আর আমার এক বন্ধু মাটির জিনিস পত্রের দোকানে গিয়ে কিছু জিনিস ক্রয় করি তারপর কিছু খাওয়ার জন্য একটা ফুসকার দোকানে যাই।বলতে পারেন ফুসকা তো মেয়ে মানুষ খায়।কিন্তু ফুসকা খেতে আমার খুব ভালো লাগে।
আর একটা জিনিস দেখে আমার খুব ভালো লাগছিলো।একটা দোকানে কামরাঙ্গা বিক্রি হচ্ছে।কিন্তু সেই দোকানদার একটা পাত্রে আগুন জ্বালিয়ে গা গরম করছেন।এই বিষয়টা আমার খুব ভালো লেগেছে।তারপর আমরা আরো কিছু সময় ঘোরাঘুরির পর বন্ধুর বাসার দিকে রওনা হই।আজকের ঘোরাঘুরিটা ছিলো ঠিক অন্যরকম।খুব মজা লেগেছে ঘুরতে।রাতের সময় ঘুরতে আলাদা একটা মজা।আপনিও রাতের সময় ঘুরে দেখবেন আলাদা একটা মজা পাবেন।অবশেষে ঘোরাঘুরির পর মনটা চাঙ্গা হলো।
ধন্যবাদ সবাইকে
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

আল্লাহ হাফেজ
তাহলে চলুন শুরু করি
ভ্রমণ আপনার হৃদয়কে উদার করে তুলবে। আপনার বোধগম্যতা প্রসারিত করবে এবং আপনি যে গল্পগুলি বলতে পারেন তার মাধ্যমে আপনার জীবন পূর্ণ করবে। আপনি যখন ভ্রমণ করেন, মনে রাখবেন যে কোনও জায়গা আপনাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করার জন্য ডিজাইন করা হয়নি। এটি এর লোকদের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে
device:redmi note 10
What's 3 Word Location:
https://w3w.co/undivided.disbelief.objectively
লালনের জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তাঁর রচিত ২৭টি গান তাঁর সবচেয়ে যৌক্তিক উল্লেখ। কিন্তু তিনি কোনো গানে নিজের জীবনের কোনো তথ্য রাখেননি, বরং কয়েকটি গানে নিজেকে 'লালন ফকির' বলে অভিহিত করেছেন। তার মৃত্যুর পনেরো দিন পর কুষ্টিয়া থেকে হিতকরী পত্রিকার একজন সম্পাদক বললেন, "তাঁর জীবনী লেখার কোনো উপাদান পাওয়া কঠিন। তিনি নিজে কিছু বলেননি। শিষ্যরা তাঁর নিষেধ বা অজ্ঞতার কারণে কিছু বলতে পারেননি।
কয়েকদিন যাবৎ বাড়ি থেকে অসস্থি মনে হচ্ছিলো।কয়েকদিন বাড়ি থেকে বের হওয়া হয়নি।তাই ভাবলাম কোথাও থেকে ঘুরে আসতে হবে।তারপর আমার কয়েকটা বন্ধুকে ফোন দিলাম।ফোন দিয়ে আমাদের আড্ডা দেওয়ার স্থানে আসতে বললাম।ওরা সবাই আসার পর বললাম যে চলো ঘুরে আসি।এক বন্ধু বললো চলো লালন শাহের মাজারে যাই।আমি বললাম চলো।অনেকদিন যাওয়া হয় না।আরো একটা সিদ্ধান্ত নিলাম যে মাজার ঘোরাঘুরির পর কুষ্টিয়া বন্ধুর বাসায় থেকে আসবো।সবাই সম্মতি দিলো সমস্যা নাই।তারপর বেড়িয়ে পড়লাম লালন শাহের মাজারের উদ্দেশ্যে।আমাদের বাসা থেকে লালন শাহের মাজার প্রায় ২০ কি.মি।আমরা দুইটা বাইক নিয়ে চলা শুরু করলাম।প্রায় ১০ কি.মি যাওয়ার পর ফুয়েল পাম্প থেকে ফুয়েল নিয়ে আবার চলা শুরু হলো।
লালন শাহের মাজারে যেতে আমাদের প্রায় ৩০ মিনিট সময় লেগেছিল।আমরা প্রথমে গ্যারেজে বাইক রেখে মাজারে প্রবেশ করি।লালন শাহের সমাধির পাশে অনেক ফকিরের সমাধি দেখতে পেলাম।কিন্তু লালন শাহের সমাধির স্থলে আমাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নাই।মাজারের পাশেই সাইজির ম্যুরাল রয়েছে।ম্যুরালটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।আর মনে মনে ভাবছিলাম সাইজি মনে হয় এইরকমই ছিলো।
মাজারের পাশেই একতারার একটা স্ট্যাচু চোখে পড়লো।একতারার ম্যুরালটি অসাধারণ ছিলো।আগের সময় গান বাজনার সময় তো এতো বাদ্যযন্ত্র ছিলো না।মনে হয় এই একতারার মাধ্যমে গান বলতো।
তারপর মাজার থেকে বের হয়ে মেলার দিকে আসলাম।বিভিন্ন দোকানে ভিন্ন রকমের জিনিস পত্র বিক্রি হচ্ছে।এখন রাত হয়ে গেছে সেই জন্য মানুষের সমাগম কম।অবশ্য এখন ঘোরার মজাই অন্যরকম।তেমন কোলাহল নেই।আমি আর আমার এক বন্ধু মাটির জিনিস পত্রের দোকানে গিয়ে কিছু জিনিস ক্রয় করি তারপর কিছু খাওয়ার জন্য একটা ফুসকার দোকানে যাই।বলতে পারেন ফুসকা তো মেয়ে মানুষ খায়।কিন্তু ফুসকা খেতে আমার খুব ভালো লাগে।
আর একটা জিনিস দেখে আমার খুব ভালো লাগছিলো।একটা দোকানে কামরাঙ্গা বিক্রি হচ্ছে।কিন্তু সেই দোকানদার একটা পাত্রে আগুন জ্বালিয়ে গা গরম করছেন।এই বিষয়টা আমার খুব ভালো লেগেছে।তারপর আমরা আরো কিছু সময় ঘোরাঘুরির পর বন্ধুর বাসার দিকে রওনা হই।আজকের ঘোরাঘুরিটা ছিলো ঠিক অন্যরকম।খুব মজা লেগেছে ঘুরতে।রাতের সময় ঘুরতে আলাদা একটা মজা।আপনিও রাতের সময় ঘুরে দেখবেন আলাদা একটা মজা পাবেন।অবশেষে ঘোরাঘুরির পর মনটা চাঙ্গা হলো।
ধন্যবাদ সবাইকে
বাহ ভালো তো আসলে আমার খুব শখ ছিল সেখানে গিয়ে ঘুরে আসার। কিন্তু জাওয়া এখনো হলো না। তবে ইনশাল্লাহ সেখানে যাওয়ার ইচ্ছে এখনো আছে। আর যেকোন সময় চলে আসতে পারি। আর যদি আসি অবশ্যই আপনাকে ডেকে নেব, রাত্রিবেলায় আমাদেরকে ঘুরিয়ে দেখাবেন সবকিছু।
আপনি ঘুরতে আসলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন ।আর আমি অবশ্যই আপনাকে পুরো লালন শাহের মাজার ঘুরিয়ে দেখাবো ।সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার যাত্রা, শুভ ছিল। যা আপনি লেখায় তুলে এনেছেন। ছবি ও পৃথক পৃথক উপাস্থাপনে তা প্রতীয়মান।সুন্দর।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আসবেন।
রাতের বেলায় শহরে ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা আর সেটা যদি হয় কোন ঐতিহাসিক জায়গা তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। কুষ্টিয়ায় লালন শাহের মাজার অনেক নামকরা। ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া রাতের বেলা ঘুরাঘুরি করতে মজাই অন্যরকম। সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে স্বাগতম ভাইজান 💚
অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার ভ্রমণ কাহিনীটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমরা জন্য শুভকামনা রইল
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমি লালন শাহকে অনেক ভালোবাসি ইচ্ছা রয়েছে যদি কখনো কুষ্টিয়ায় যাই তাহলে লালন শার মাজার ঘুরে আসবো। আপনি লালন শার মাজার এ গিয়ে খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাই। বিশেষ করে মাজার থেকে ফেরার পথে মেলায় দেখলাম অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস ছিল যেগুলো সত্যি খুবই চমৎকার দেখাচ্ছিল ।সব মিলিয়ে পোস্টটি আপনি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে এমন চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুগঠিত মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকের পোষ্টটি খুব দুর্দান্ত হয়েছে। খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। লালন শাহ মাজারের সবকিছু খুবই চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছেন।আপনার ভ্রমণ কাহিনীটি খুবই অসাধারণ। আসলে আমিও অনেকদিন যাবত ইচ্ছে করতেছি যাওয়ার জন্য কিন্তু সময়ের অভাবে যেতে পারছিনা। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে অবস্থান করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, ভালো থাকবেন।
সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ রাতের লালন শাহের মাজার দেখতে তো অনেক সুন্দর। আপনি খুব সুন্দরভাবে রাতে লালন শাহের মাজার টা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। রাতের লালন শাহ মাজার সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে বিশেষ করে দোকানপাট গুলো অনেক ভালো লাগছে। ভ্রমণ কাহিনী পড়ে অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার সুগঠিত মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মামা।