বন্ধুত্ব কী(শেষ পর্ব)||১০% প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য||
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ২৫শে বৈশাখ| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ |রবিবার| গ্রীষ্মকাল|
আমি রাজু আহমেদ।আমার ইউজার নাম @md-razu।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তাহলে চলুন শুরু করি
- আজ আপনাদের মাঝে যে ঘটনাটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। সেই ঘটনাটি আমার জীবনের সাথে জড়িত ।আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি ঘটনাটি লিখেছি। সেই দিনের কথা মনে পড়লে এখনো আমার খুবই কষ্ট লাগে।।
আমার পড়ালেখা গ্রামের কাদার রাস্তায় চলা গরুর গাড়ির মতো একটু চলে আর একটু বাধে । আবার চলতে শুরু করে তো আবার বাধে । বলেই একটা ছোট্ট হাসি । প্রথম প্রশ্নটা আবার করলাম এত সকালে তুই আমার ঠিকানায় আসলি কি করে ? তোকে চমকে দেওয়ার জন্য তোর বাড়ি গিয়ে তোর ঠিকানা নিয়ে রাতের ট্রেন ধরে চলে এসেছি । এসেছি একটা কারনে , আমার আগের মোবাইলটা নষ্ট হয়ে গেছে । এখান থেকে তোর পছন্দ মতো একটা নতুন ভালো মোবাইল কিনে দিবি । বিনা দ্বিধায় রাজি হলাম ।
প্রিয় সঙ্গীদের রেখে রওনা হলাম মোবাইল মেলায় । পথে হাটতে হাটতে কত কথা । এরপর মোবাইলের দোকানে গেলাম । দুজনের পছন্দের মোবাইলও কিনা হলো । সকালের খাবার হোটেলেই খেলাম । এদিকে ট্রেনের সময় হয়ে যাচ্ছে । দোকানগুলো সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । আমরা প্রধান সড়ক ধরে হেটে যাচ্ছি । দেশে রাজনৈতিক উত্তাপ অবস্থা চলছে । আমরা রেলষ্টেশনের দিকে যাচ্ছি । এমন সময় দুই দিক থেকে আসা দুটি মিছিলের মাঝামাঝি পড়ে গেলাম ।
মিছিল এক পর্যায়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে রূপ নিলো । আমি কোন মতে অল্প কিছু আঘাতের বিনিময়ে চলে গেলাম কিছুটা দূরে । ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পরে এক পর্যায়ে রাকিবের হাতে থাকা মোবাইলসহ ব্যাগটা পড়ে গেল । ওটা তুলতে যেই উপুর হয়েছে সেই লাঠির আঘাত পড়লো ওর মাথায় । মাটিতে লুটিয়ে পড়লো রাকিব । কারা কাদের মারছে তা বোঝার কোন কায়দা নেই । পুলিশ এলো ঘটনা ঘটার অনেক পড়ে । পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে । দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলাম , নতুন মোবাইল হাতে আমার সেই চিরচেনা প্রাণের বন্ধুটি ততক্ষণে স্বর্গে চলে গেছে । মনে হলো সমস্ত পৃথিবীটা যেন চার দিক থেকে আমাকে চেপে ধরছে । পুলিশ ওর লাশসহ সকল আহতদের নিয়ে চলে গেল । লাশ সনাক্ত করে নিয়ে আসতে হবে । যার যাবার কথা সে চলে গেল । আমি ট্রেনে করে রওনা হলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে । আসার সময় গোপালের বাবা - মাকে বললাম , আমার বাড়িতে আসতে । খুবই জরুরি দরকার । বাড়ি পৌঁছে আমার ঘরের দরজা বন্ধ করে চিন্তা করছি , লোকটির কাছে কি জবাব দেব ? আমি তার ছেলেকে সংগে নিয়ে আসতে পারিনি এতক্ষনে কাকি আর কাকা এসে আমার ঘরের দরজায় কড়া নাড়লেন । ডাকলেন ও রাজু , রাজু , দরজা খোল বাবা । আমরা এসেছি । যতই ডাকছে আমি ততই অসহায় হয়ে পড়ছি । আমার শরীর আরো ঘামতে লাগলো ।
হঠাৎ শব্দটা কেমন যেন দুইরকম শুনতে পাচ্ছি । একবার শুনছি বাবা দরজাটা খোল , আরেকবার শুনছি মামা দরজা খোলেন । উঠে গিয়ে দেখলাম খালা সকালের নাস্তা হাতে দাড়িয়ে আছেন আর আমি আমার মেসের রুমে । আমার শরীর তখনও ঘামছে । তার মানে আমি এতক্ষনে স্বপ্ন দেখলাম । কিন্তু স্বপ্নকে তো চরম বাস্তবতা সমৃদ্ধ আমাদের এই জীবনটাও স্বপ্নেরই একটা অংশ । রাকিবকে মোবাইলে রিং করলাম । মোবাইল ধরে বললো “ দোস্ত কেমন আছিস ? নতুন জায়গায় কেমন লাগছে ? ভালো লাগছে তো সবকিছু ?
ধন্যবাদ সবাইকে
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
💞 আল্লাহ হাফেজ 💞
তাহলে চলুন শুরু করি
- আজ আপনাদের মাঝে যে ঘটনাটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। সেই ঘটনাটি আমার জীবনের সাথে জড়িত ।আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি ঘটনাটি লিখেছি। সেই দিনের কথা মনে পড়লে এখনো আমার খুবই কষ্ট লাগে।।
আমার পড়ালেখা গ্রামের কাদার রাস্তায় চলা গরুর গাড়ির মতো একটু চলে আর একটু বাধে । আবার চলতে শুরু করে তো আবার বাধে । বলেই একটা ছোট্ট হাসি । প্রথম প্রশ্নটা আবার করলাম এত সকালে তুই আমার ঠিকানায় আসলি কি করে ? তোকে চমকে দেওয়ার জন্য তোর বাড়ি গিয়ে তোর ঠিকানা নিয়ে রাতের ট্রেন ধরে চলে এসেছি । এসেছি একটা কারনে , আমার আগের মোবাইলটা নষ্ট হয়ে গেছে । এখান থেকে তোর পছন্দ মতো একটা নতুন ভালো মোবাইল কিনে দিবি । বিনা দ্বিধায় রাজি হলাম ।
প্রিয় সঙ্গীদের রেখে রওনা হলাম মোবাইল মেলায় । পথে হাটতে হাটতে কত কথা । এরপর মোবাইলের দোকানে গেলাম । দুজনের পছন্দের মোবাইলও কিনা হলো । সকালের খাবার হোটেলেই খেলাম । এদিকে ট্রেনের সময় হয়ে যাচ্ছে । দোকানগুলো সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । আমরা প্রধান সড়ক ধরে হেটে যাচ্ছি । দেশে রাজনৈতিক উত্তাপ অবস্থা চলছে । আমরা রেলষ্টেশনের দিকে যাচ্ছি । এমন সময় দুই দিক থেকে আসা দুটি মিছিলের মাঝামাঝি পড়ে গেলাম ।
মিছিল এক পর্যায়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে রূপ নিলো । আমি কোন মতে অল্প কিছু আঘাতের বিনিময়ে চলে গেলাম কিছুটা দূরে । ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পরে এক পর্যায়ে রাকিবের হাতে থাকা মোবাইলসহ ব্যাগটা পড়ে গেল । ওটা তুলতে যেই উপুর হয়েছে সেই লাঠির আঘাত পড়লো ওর মাথায় । মাটিতে লুটিয়ে পড়লো রাকিব । কারা কাদের মারছে তা বোঝার কোন কায়দা নেই । পুলিশ এলো ঘটনা ঘটার অনেক পড়ে । পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে । দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলাম , নতুন মোবাইল হাতে আমার সেই চিরচেনা প্রাণের বন্ধুটি ততক্ষণে স্বর্গে চলে গেছে । মনে হলো সমস্ত পৃথিবীটা যেন চার দিক থেকে আমাকে চেপে ধরছে । পুলিশ ওর লাশসহ সকল আহতদের নিয়ে চলে গেল । লাশ সনাক্ত করে নিয়ে আসতে হবে । যার যাবার কথা সে চলে গেল । আমি ট্রেনে করে রওনা হলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে । আসার সময় গোপালের বাবা - মাকে বললাম , আমার বাড়িতে আসতে । খুবই জরুরি দরকার । বাড়ি পৌঁছে আমার ঘরের দরজা বন্ধ করে চিন্তা করছি , লোকটির কাছে কি জবাব দেব ? আমি তার ছেলেকে সংগে নিয়ে আসতে পারিনি এতক্ষনে কাকি আর কাকা এসে আমার ঘরের দরজায় কড়া নাড়লেন । ডাকলেন ও রাজু , রাজু , দরজা খোল বাবা । আমরা এসেছি । যতই ডাকছে আমি ততই অসহায় হয়ে পড়ছি । আমার শরীর আরো ঘামতে লাগলো ।
হঠাৎ শব্দটা কেমন যেন দুইরকম শুনতে পাচ্ছি । একবার শুনছি বাবা দরজাটা খোল , আরেকবার শুনছি মামা দরজা খোলেন । উঠে গিয়ে দেখলাম খালা সকালের নাস্তা হাতে দাড়িয়ে আছেন আর আমি আমার মেসের রুমে । আমার শরীর তখনও ঘামছে । তার মানে আমি এতক্ষনে স্বপ্ন দেখলাম । কিন্তু স্বপ্নকে তো চরম বাস্তবতা সমৃদ্ধ আমাদের এই জীবনটাও স্বপ্নেরই একটা অংশ । রাকিবকে মোবাইলে রিং করলাম । মোবাইল ধরে বললো “ দোস্ত কেমন আছিস ? নতুন জায়গায় কেমন লাগছে ? ভালো লাগছে তো সবকিছু ?
স্বপ্নে সাপে সাপে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আশা করি আপনিও আমাদের পাশে থাকবেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল ধন্যবাদ।
বন্ধুত্ব গল্পটি দারুন ছিল পড়ে অনেক ভালো লাগলো ।আসলে গল্প বললে অনেক অভিজ্ঞতা লাভ করা যায় ।যেটা পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে সুন্দর লিখেছেন শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন গল্প করলে অনেক অভিজ্ঞতা লাভ করা যায় আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।।
হ্যাঁ অবশ্যই যতো গল্প পড়বেন ততই নিজের অভিজ্ঞতা লেখার পসারতা বেড়ে যাবে আপনি তো দারুণ গল্প লিখতে পারে ন।
আপনার এত সুন্দর গল্প খুবই ভালো লেগেছে আমার। অবশ্য প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে অনেক প্রকার ঘটনা ঘটে থাকে। জীবনে অনেক কিছু সম্মুখীন হতে হয়। লাস্টে লক্ষ্য করলাম যে স্বপ্নময় বিষয়টা, এমনটা অনেকেরই হয়ে থাকে। ধন্যবাদ জানাই এই জন্য যে খুবই ভালো লাগলো আপনার এই কাহিনী।
হ্যাঁ এই ঘটনাটি আমার জীবনেরই একটা অংশ ।আমি খুবই মর্মাহত হয়ে ছিলাম যখন স্বপ্ন দেখছিলাম ।যাইহোক আপনার মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।।
বন্ধুত্বের গল্পটি দারুন ছিল। আসলে বন্ধুর মতো বন্ধু পেলে আর কি চাই। আমার মনে হয় কলেজ লাইফের বন্ধুর থেকে স্কুল লাইফের বন্ধু বেস্ট। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি ঠিকই বলেছেন বন্ধুর মতো বন্ধু হলে আর কিছু দরকার নাই। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ এভাবেই সব সময় উৎসাহিত করবেন।।