মটকা চা খাওয়ার অনুভূতি।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১৮ ই,চৈত্র| | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ||সোমবার||বসন্তকাল ||
ফটো-এডিটর দিয়ে বানানো।
device:redmi note 10
What's 3 Word Location:
https://w3w.co/dirtier.depreciate.furnace
আজ আপনাদের মাঝে মটকা চা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি এই ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমিও ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। আমার কিছু বন্ধু ছিল তারাও ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। বন্ধুদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে মিল থাকলে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যেখানে দুচোখ যায় সেখানেই যেতে মন চায় মন শুধু চায় ছুটাছুটি করতে বিভিন্ন জায়গায়। অচেনা দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে।
মটকা চা আমাদের দিকে খুবই জনপ্রিয়। আমরা মাঝেমধ্যেই মটকা চা খেতে যাই। যদিও রমজান মাসে তেমন একটা যাওয়া হয় না। এইতো কিছুদিন আগে বন্ধু ও ছোট ভাইদের সাথে কুমারখালী পদ্মপুকুর পাড়ে গিয়ে মটকা চা খেয়ে আসলাম। যদিও রমজান মাস হুটহাট করে তো যাওয়া সম্ভব না। এর জন্যই ইফতার করে নামাজ আদায় করে দুইটা বাইক নিয়ে চারজন চলে গেলাম কুমারখালীতে। আমাদের বাসা থেকে কুমারখালী শহর ১০ কিলোমিটার দূরে। ইফতারের পর একটু ক্লান্তি ভাবছিল তবুও মটকা চা খাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়ি। আমাদের কুষ্টিয়া জেলাতেই এই মটকা চায়ের জনপ্রিয়তা অনেক। যখন কুষ্টিয়া থাকতাম সপ্তাহে এক দুই দিন হলেও লাহিনীতে এসে বিভিন্ন ধরনের আইটেমের চা খেতাম। এখন কুষ্টিয়াতে যাওয়া সম্ভব না। আমাদের বাসা থেকে কুষ্টিয়া শহরের প্রায় 28 কিলোমিটার। এজন্য বন্ধু ছোট ভাই ব্রাদারদের নিয়ে চলে আসলাম কুমারখালী শহরে। কুমারখালী বাস স্ট্যান্ড থেকে এক থেকে দেড় কিলোমিটার হবে পদ্মপুকুরপাড়। পদ্মপুকুর পাড়ে আমরা এর আগেও অনেকবার এসেছি মটকা চা খেতে। খুবই জনপ্রিয় এই চায়ের দোকান। অবশ্য এখানে বিমের ধরনের চা পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের পছন্দ মটকা চা।
মটকা চা তৈরি প্রসেস আমার কাছে বেশ দারুন লাগে। চায়ের কেতলিতে দুধ আর চা মিক্স করে জালানো হয়। মটকা চায়ের নামকরণ মূলত মাটির তৈরি ছোট কাপগুলো আগুনের হিটে লাল বানানো হয় পুড়িয়ে। তারপর পিতলের পাত্রে জ্বালানো চা রাখা হয় তারপর গরম চায়ের কাপ পিতলের পাত্রে দিয়ে চা ঢেলে দেওয়া হয়।
মটকা চা কে কিন্তু তন্দুরি চাও বলে অনেকে। তন্দুরী শব্দটি শুনেই নিশ্চয় চোখের সামনে ভেসে ওঠেছে, বিরাট একটা চুল্লি যেটাতে কাঠ কয়লার আগুন জ্বলছে সবসময়। সেই চুল্লির গায়ে লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে আটা বা ময়দার রুটি কিংবা চিকেনের কথা। নাহ কয়েক রকম চায়ের ভিড় ঢেলে বেশ শুরুর সারিতেই জায়গা করে নিয়েছে তন্দুরি চা।
ধোয়া ওটা মটকা চা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে আমার কাছে। আমরা প্রায়ই এখানে এসে চা খেয়ে থাকি। খুবই সুস্বাদু। আপনি না খেলে এর টেস্ট সম্বন্ধে ধারণা পাবেন না। গান মটকা চায় যখন আপনি চুমুক দিবেন তখন আপনার অন্যরকম একটা প্রশান্তি কাজ করবে। আর মটকা চায়ের কাপের মধ্যে দুধের সর সেটা খেতে অসাধারণ লাগে। বিভিন্ন দূর-দূরান্ত হতে মানুষ এখানে চা খেতে আসে। আসলে বাঙালি চায়ের মধ্যে অন্যরকম একটা ফিল পায়। আড্ডার সময় চা খাওয়ার মধ্যে খুব সুন্দর একটি অনুভূতি কাজ করে।
এক কাপ চা। যার সাথে জীবনের সকল সুখের স্মৃতিময় সময়গুলো জড়িয়ে থাকে। আবেগ অনুভূতি আর ভালোবাসার ভাগাভাগি চায়ের চুমুকেই হয়ে থাকে। তাইতো সকল অনুভূতির একমাত্র স্বাক্ষী এক কাপ চা। সকাল, বিকেল, সন্ধা থেকে মধ্যরাত অবর্ধি চা প্রেমি মানুষের কাছে চায়ের কাপের সাথে জমে ওঠে প্রানখুলে আড্ডা। বাঙ্গালীদের চায়ের সাথে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। চা ছাড়া যেন বাঙ্গালীদের চলে না। আমাদের দিকেও এই মটকা চা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আগে হঠাৎ একটা দুইটা দোকানে এই চা বানানো হতো। এখন প্রতিটা দোকানেই এরকম চাওয়া পাওয়া যায়। আজ এই পর্যন্তই আশা করি আমার মটকা চা খাওয়ার গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে শেয়ার করেছেন মটকা চা খাওয়ার অনুভূতি আসলে ভাইয়া এই চা খেতে খুবই স্বাদ লাগে। আমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করে সেখানে এই চা খেয়ে ছিলাম বেশ ভালোই লাগে চা খেতে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আজকে দেখে সে কথা মনে পড়ে গেল ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মটকা চা খেতে আমাদেরও অনেক ভালো লাগে। আমরা প্রায়ই সন্ধার পরে এই চা খাওয়ার জন্য চলে যায়। আমাদের দিকে মটকা চা অনেক ফেভারিট। আসলে ভাইয়া অনুভূতিটা খুবই সুন্দর ছিল।
কুমারখালীর পদ্মপুকুর পাড়ের মটকা চা আমারও ভীষণ প্রিয়। আমি নিজেও এখানে বেশ কয়েকবার গিয়ে মটকা চা খেয়েছি খুব ভালো লাগে আমার কাছে। বন্ধু আর ছোট ভাইদের কে নিয়ে মটকা চা খেয়ে এসেছো জেনে বেশ ভালো লাগলো বন্ধু। অনেক সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছ বন্ধু কুমারখালী পদ্মপুকুর পাড়ে মটকা চা আসলে অনেক ভালো। পোস্টটি পড়ে অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মটকা চা খাওয়া নিয়ে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। মটকা চা খেতে আসলেই মজার। এজন্য দশ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রায়ই মটকা চা খেতে কুমারখালিতে যান আপনারা! মটকা চা তৈরি কিভাবে হয়, তা সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। পোস্টের ছবি গুলোও ভালো হয়েছে। সবমিলে ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি। অনেক ধন্যবাদ, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু আমাদের সার্কেলে যে কয়টা পোলাপান থাকে সবাই ঘোরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করে। এজন্য সময় পেলে বাইক নিয়ে বের হয়ে যায় ঘুরতে। চেষ্টা করেছি মটকা চা কিভাবে তৈরি হয় সেটা আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
নামটা বেশ ভালো লেগেছে মটকা চা। চা এর কালার দেখে বুঝতে পেরেছি খেতে বেশ ভালোই লাগবে। আমিও চা প্রেমে একজন মানুষ চা দেখলে বেশ ভালই লাগে এবং খেতে ইচ্ছে করে। সবাইকে নিয়ে বেশ মজার করে চা খেতে চলে গেলেন। সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল এবং এক সাথে বসে খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া আপনার ব্লগটি পড়ে অনেক ধন্যবাদ।
জ্বি আপু মটকা চা খেতে অনেক ভালো লাগে আর আমাদের দিকে অনেক পপুলার এই চা টা। এই মটকা চা খেতে হলে আমাদের এলাকায় আসতে হবে আপু। চা খাওয়ার অনুভূতিটাও অনেক ভালো ছিল।
মটকা চা খাওয়ার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগে। আসলে ভাইয়া আপনারা অনেক সময় নিয়ে ইফতারির পরে মটকা চা খেয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
আসুন আপু ইফতারের পর একটু ক্লান্তি লাগে। যদি ফাঁকা কোন একটা জায়গায় বসে এভাবে আড্ডা দেয়ার সাথে সাথে চা খাওয়া যায় তাহলে মন মানসিকতা ভালো হয়ে যায়। আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম কুষ্টিয়া জেলায় মটকা চায়ের জনপ্রিয়তা অনেক ।ইফতার করার পর আপনি আপনার ছোট ভাই বন্ধুরা মিলে মটকা চা খেতে এগিয়েছেন ।আপনাদের বাসা থেকে কুমারখালী যেতে ১০ কিলোমিটারের পথ ।ধন্যবাদ ভাইয়া চা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
কুষ্টিয়া জেলায় মটকা চা অনেক জনপ্রিয়। আমরা প্রায়ই মটকা চা খাওয়ার জন্য কুমারখালী পদ্মপুকুর পাড়ে যাই। পোস্টটি পড়ে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে যারা চা প্রিয় মানুষ তাদের কাছে সকাল বিকেল দুপুর বলে কিছু নেই সব সময় যেন চায়ের কাপের সাথে তাদের সম্পর্কটা একই রকম থাকে। তবে মাটির কাপে চা খাওয়ার অনুভূতিটা ভিন্ন রকম। তাছাড়া সেখানকার চায়ের একটা স্পেশালিটি আছে এটা মানতেই হবে।।
তুমি ঠিকই বলেছ বন্ধু চা প্রিয় মানুষদের সব সময় চা খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে রমজান মাস হওয়ায় সন্ধ্যার পরে আমরা চা খেয়ে থাকি। তুমি তো কাজের ব্যস্ততার জন্য সবসময় থাকতে পারো না।
মটকা চা আমার ও বেশ ভালো লাগে অনেক দিন হল খাওয়া হয়ে ওঠেনা। সবাই মিলে একসাথে গিয়ে খেতে অনেক বেশি মজা। রমজান শেষ হলে আমরা গিয়ে আবার মজা করে খাব কি বলো?
মটকা চা আমাদের অনেক পছন্দের। চলো একদিন যেয়ে খেয়ে আসি। একদিন হলো একসাথে খাওয়া হয়না। ইফতারের পরে যাই?
বোঝাই যাচ্ছে বন্ধু এবং ছোট ভাইদের সঙ্গে মটকা চা খাওয়ার সময় দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। কুমারখালীর এই মটকা চা আসলেই অনেক বেশি সুস্বাদু, খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে আপনার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন আপনার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য।
তোমরা না থাকায় তেমন একটা মজা করতে পারি নাই। বাড়ি আসো সবাই একসাথে গিয়ে পদ্মপুকুর পাড়ে বসে হিমেল বাতাসে মটকা চায়ে চুমুক দিব আর গল্প করব।