শৈশবে আম খাওয়ার স্মৃতিময় গল্প।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -৩১ শে,বৈশাখ| ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |মঙ্গলবার|গ্রীষ্মকাল|
আমি রাজু আহমেদ।আমার ইউজার নাম @md-razu।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তাহলে চলুন শুরু করি
শৈশবে সবার জীবনে কিছু স্মৃতি থাকে। তা কখনো ভুলবার নয়। অনেক সময় স্মৃতিগুলো আমাদের অনেক মনে পড়ে। তবে স্মৃতিগুলো মনে পড়লে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। এমন শত শত স্মৃতি শৈশবে ঘটে যায় সবার সাথে। শৈশবের দিনগুলো অনেক সুন্দর ছিল। কোন টেনশন নাই শুধু খাওয়া দাওয়া খেলাধুলা আর পড়াশোনা করা। শৈশবের স্মৃতিগুলো এখনো মনে পড়লে চোখের কোনে জল চলে আসে। সারা জীবন যদি ছোট থাকতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। বড় হয়ে সব শখ মাটির সাথে মিশে গেছে। এখন ইচ্ছা করলেই সব কাজ সম্ভব না। ছোট সময় বাড়ির পাশে মেলা অথবা ঈদ আসলে অনেক মজা করতাম। এখনো মেলা হয় ঈদ আসে কিন্তু ছোট সময়ের মতো আনন্দ উপভোগ করতে পারি না। আজ আমি আপনাদের মাঝে শৈশবে আম খাওয়ার একটি গল্প শেয়ার করব।
![children-7782100_1280.webp](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWy5LYDY5YKxi8FQeCd2Kxi5o614i7JU6S1KepqwnJM13/children-7782100_1280.webp)
ছোট সময় আমার খুব কাছের দুইটা বন্ধু ছিল। যদিও তখন বন্ধু নামটা কেমন জানা ছিল না তবে তাদের সাথে চলাফেরা করতে অনেক ভালো লাগতো। যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি তখন তাদের সাথে স্কুলে যাওয়া একসাথে পুকুরে ঝাঁপাঝাপি করে গোসল করা। একসাথে খেলাধুলা করা সব হতো। কিন্তু এখন বড় হয়ে যাওয়ার কারণে এক একজন এক এক শহরে কর্ম ব্যস্ততায় নিযুক্ত। ইচ্ছা হলেও আর তাদের সাথে দেখা করার কোন সুযোগ নেই। ঈদ আসলে দেখা হয় তাও অনেক অল্প। ফ্যামিলি নিয়ে সবাই ব্যস্ত থাকে তখন। আজ আমি আম খাওয়ার সুন্দর একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমি আমার বন্ধু সুমন ও নাজমুল স্কুলে গিয়ে একটা পরিকল্পনা করি। মূলত ঐ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। আর বৃহস্পতিবারে হাফ ক্লাস হত। আমরা সব সময় একই বেঞ্চে বসতাম। তখন আমি সুমন ও নাজমুলকে বললাম আজ বাড়ি গিয়ে আমরা আম খাব।
![mango-4487220_1280.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmU3TZLqdyLR5RRSLTnYeHPpKQYdRch7K3d3nSjpKyttyR/mango-4487220_1280.jpg)
সুমন বলল এখনই খাই চল আমি তখন বললাম না আমরা ধনিয়া ও মরিচার গুঁড়া দিয়ে আম্ম মাখিয়ে খাব। তখন নাজমুল বলল আমি একটা আম খাওয়ার সিস্টেম জানি। আমি তখন তাকে বললাম কিভাবে ও বলল বাড়ি গিয়ে যখন খাই তখন দেখবি। আমি বড় কথাই সহমত পোষণ করে ক্লাস শুরু করলাম। ক্লাস শেষে সবাই একসাথে বাড়ি এসে ব্যাগ রেখে আমের বাগানে চলে আসলাম। আমি বাড়ি থেকে একটা চাকু মরিচের গুড়া লবণ ও ধনিয়ার গুঁড়া নিয়ে আসলাম। ওরাও আমাদের আম বাগানে চলে আসলো। তারপর আমরা বড় দেখে কিছু আম গাছ থেকে পারলাম। তখন সুমন বলল পানি আর একটা গামলা লাগবে। আমি তখন বললাম আমি এগুলো আনতে পারবো না আমি অনেক কিছু নিয়ে এসেছি। সুমন দৌড়ে বাড়ি গিয়ে পানি ও গামলা আনলো। আমরা আম গাছের নিচে বসে আমের খোসা ছাড়াতে লাগলাম। যদিও তখন ছোট ছিলাম সেজন্য আমের খোসা ছাড়াতে অনেক সময় লাগছিল। অনেক সময় পর আমগুলো টুকরা টুকরা করে কেটে লবণ ধনিয়ার গোড়া ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে নিলাম।
![mango-5110837_1280.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR4aNDxvnVntkScePYQKG2wNTRhUnpGqXVknFAwUdc1ta/mango-5110837_1280.jpg)
তখন বন্ধু নাজমুল বলল একটা কলার পাতা কেটে আনতে। আমি তাকে ধমক দিয়ে বললাম কলার পাতা কি হবে সেগুলো তোকে যা করতে বলছি তুই সেটা কর আমি চাকরি নিয়ে কলার পাতা কেটে নিয়ে আসলাম তারপর কলার পাতা সুন্দরভাবে ধুয়ে নিলাম। তখন মাখানো আম কলার পাতায় সুন্দরভাবে মুড়িয়ে নিলাম। তারপর নাজমুল বাড়ি থেকে একটা পলি নিয়ে এসেছিল কলার পাতার উপরে পলি দিয়ে সুন্দরভাবে পেঁচিয়ে নিয়ে। বলল এবার চল তিলের মাঠে যাই। আমাদের আম বাগানের পাশেই তিল চাষ করা হচ্ছিল। অবশ্য তখন তিল অনেক ছোট ছিল। ও চাকরিতে কিছুটা গর্ত করে কলার পাতা ও পলিথিন দিয়ে মুড়ানো আম মাখানো গর্তের মধ্যে দিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে দিল। আর বলল এটা এখনো উঠানো যাবে এটা ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর এটা উঠাবো। আমরাও কখন আসে পাশে অনেক ঘুরাঘুরি করি। টাইম আর শেষ হতে চাচ্ছে না তখন। অবশেষে সময় হয়ে গেল। তখন মাটি খুঁড়ে বের করে সুন্দরভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিল। তারপর পলিথিন খুলে কলার পাতা খোলার পর আম মাখানো একটা গামলায় রাখা হলো। তখন আম অনেকটা নরম হয়ে গিয়েছিল। খেতে অনেক সুস্বাদু লাগলো। আসলে এরকম আম মাখানো কখনো খাওয়া হয়নি। আমার কাছে বেস্ট ছিল এই আম মাখানো। তখন আমি বন্ধু নাজমুলকে বললাম তোর সিস্টেমটা অনেক ভালো। পরবর্তীতে আম খেলে আমরা এভাবেই খাব। ও বলল বাজার থেকে কাসুন্দি কিনে আনব তারপর এভাবে মাখিয়ে খেতে হবে তাহলে আরো সুস্বাদু হবে।
![mango-sticky-rice-3604851_1280.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdrR4sC8NMqHhv9qsBjf6q5ZGxppxY6RdwsGsDWbATnHv/mango-sticky-rice-3604851_1280.jpg)
কিন্তু এখনো অনেক সময় আম খাওয়া হয় কিন্তু এভাবে গর্ত খুরে মাটি চাপা দিয়ে রেখে কখনো খাওয়া হয়নি। ছোটবেলার স্মৃতিটা আজ মনে পড়ে গেল। বড় হয়ে যাওয়ার কারণে এখন আর ওভাবে রেখে খাওয়া সম্ভব না। তবে কিছুদিনের মধ্যে এভাবে একদিন ট্রাই করবো। দেখব আগের মত সুস্বাদু লাগে কিনা। আজ এই পর্যন্তই আশা করি আমার শৈশবের আম খাওয়ার গল্প আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
আমার পরিচয়
![IMG-20240308-WA0014.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTw2oKpfWHCQ3PkB47362rKDrBUoFCb77TjNwNRknkxii/IMG-20240308-WA0014.jpg)
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfRETShxA5EQdPmpF6ChkQd5MkXJPifATT3TZdvk5sEC1/standard_Discord_Zip.gif)
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
![gPCasciUWmEwHnsXKML7xF4NE4zxEVyvENsPKp9LmDaFuzVwHnY92rponrLLcEknitVG5yvYaPTExVtjfc6Bi4cvC9ppuyLmaATGbhg8UF4suiCxVfuw2YuSWJftJo9C74dQUN2WE1yNJmdtXp.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTUoBdbXMUrPP7giixvsX7399Jye58G8LYgq3JgJq1DTR/gPCasciUWmEwHnsXKML7xF4NE4zxEVyvENsPKp9LmDaFuzVwHnY92rponrLLcEknitVG5yvYaPTExVtjfc6Bi4cvC9ppuyLmaATGbhg8UF4suiCxVfuw2YuSWJftJo9C74dQUN2WE1yNJmdtXp.png)
💞 আল্লাহ হাফেজ 💞
![k75bsZMwYNtze9xHvT6xWCdz7q3QGD35ZKdaPpVrFksWkDGMy52wVotParwf9eYo99FhcDG9yRVNaQxotVf91vSjAbxytemWEpH4UCMBVKo32iMz6Mc3c23ZDcBfZ1ESGR5dcG9hmK3xvsmcahC4GSPabbvtjdepn.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQme3ehQsUs7xw25pkznFEMPWUmLbrzHA5vUQt6eMeXJ4YK/k75bsZMwYNtze9xHvT6xWCdz7q3QGD35ZKdaPpVrFksWkDGMy52wVotParwf9eYo99FhcDG9yRVNaQxotVf91vSjAbxytemWEpH4UCMBVKo32iMz6Mc3c23ZDcBfZ1ESGR5dcG9hmK3xvsmcahC4GSPabbvtjdepn.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
তাহলে চলুন শুরু করি
শৈশবে সবার জীবনে কিছু স্মৃতি থাকে। তা কখনো ভুলবার নয়। অনেক সময় স্মৃতিগুলো আমাদের অনেক মনে পড়ে। তবে স্মৃতিগুলো মনে পড়লে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। এমন শত শত স্মৃতি শৈশবে ঘটে যায় সবার সাথে। শৈশবের দিনগুলো অনেক সুন্দর ছিল। কোন টেনশন নাই শুধু খাওয়া দাওয়া খেলাধুলা আর পড়াশোনা করা। শৈশবের স্মৃতিগুলো এখনো মনে পড়লে চোখের কোনে জল চলে আসে। সারা জীবন যদি ছোট থাকতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। বড় হয়ে সব শখ মাটির সাথে মিশে গেছে। এখন ইচ্ছা করলেই সব কাজ সম্ভব না। ছোট সময় বাড়ির পাশে মেলা অথবা ঈদ আসলে অনেক মজা করতাম। এখনো মেলা হয় ঈদ আসে কিন্তু ছোট সময়ের মতো আনন্দ উপভোগ করতে পারি না। আজ আমি আপনাদের মাঝে শৈশবে আম খাওয়ার একটি গল্প শেয়ার করব।
ছোট সময় আমার খুব কাছের দুইটা বন্ধু ছিল। যদিও তখন বন্ধু নামটা কেমন জানা ছিল না তবে তাদের সাথে চলাফেরা করতে অনেক ভালো লাগতো। যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি তখন তাদের সাথে স্কুলে যাওয়া একসাথে পুকুরে ঝাঁপাঝাপি করে গোসল করা। একসাথে খেলাধুলা করা সব হতো। কিন্তু এখন বড় হয়ে যাওয়ার কারণে এক একজন এক এক শহরে কর্ম ব্যস্ততায় নিযুক্ত। ইচ্ছা হলেও আর তাদের সাথে দেখা করার কোন সুযোগ নেই। ঈদ আসলে দেখা হয় তাও অনেক অল্প। ফ্যামিলি নিয়ে সবাই ব্যস্ত থাকে তখন। আজ আমি আম খাওয়ার সুন্দর একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমি আমার বন্ধু সুমন ও নাজমুল স্কুলে গিয়ে একটা পরিকল্পনা করি। মূলত ঐ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। আর বৃহস্পতিবারে হাফ ক্লাস হত। আমরা সব সময় একই বেঞ্চে বসতাম। তখন আমি সুমন ও নাজমুলকে বললাম আজ বাড়ি গিয়ে আমরা আম খাব।
সুমন বলল এখনই খাই চল আমি তখন বললাম না আমরা ধনিয়া ও মরিচার গুঁড়া দিয়ে আম্ম মাখিয়ে খাব। তখন নাজমুল বলল আমি একটা আম খাওয়ার সিস্টেম জানি। আমি তখন তাকে বললাম কিভাবে ও বলল বাড়ি গিয়ে যখন খাই তখন দেখবি। আমি বড় কথাই সহমত পোষণ করে ক্লাস শুরু করলাম। ক্লাস শেষে সবাই একসাথে বাড়ি এসে ব্যাগ রেখে আমের বাগানে চলে আসলাম। আমি বাড়ি থেকে একটা চাকু মরিচের গুড়া লবণ ও ধনিয়ার গুঁড়া নিয়ে আসলাম। ওরাও আমাদের আম বাগানে চলে আসলো। তারপর আমরা বড় দেখে কিছু আম গাছ থেকে পারলাম। তখন সুমন বলল পানি আর একটা গামলা লাগবে। আমি তখন বললাম আমি এগুলো আনতে পারবো না আমি অনেক কিছু নিয়ে এসেছি। সুমন দৌড়ে বাড়ি গিয়ে পানি ও গামলা আনলো। আমরা আম গাছের নিচে বসে আমের খোসা ছাড়াতে লাগলাম। যদিও তখন ছোট ছিলাম সেজন্য আমের খোসা ছাড়াতে অনেক সময় লাগছিল। অনেক সময় পর আমগুলো টুকরা টুকরা করে কেটে লবণ ধনিয়ার গোড়া ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে নিলাম।
তখন বন্ধু নাজমুল বলল একটা কলার পাতা কেটে আনতে। আমি তাকে ধমক দিয়ে বললাম কলার পাতা কি হবে সেগুলো তোকে যা করতে বলছি তুই সেটা কর আমি চাকরি নিয়ে কলার পাতা কেটে নিয়ে আসলাম তারপর কলার পাতা সুন্দরভাবে ধুয়ে নিলাম। তখন মাখানো আম কলার পাতায় সুন্দরভাবে মুড়িয়ে নিলাম। তারপর নাজমুল বাড়ি থেকে একটা পলি নিয়ে এসেছিল কলার পাতার উপরে পলি দিয়ে সুন্দরভাবে পেঁচিয়ে নিয়ে। বলল এবার চল তিলের মাঠে যাই। আমাদের আম বাগানের পাশেই তিল চাষ করা হচ্ছিল। অবশ্য তখন তিল অনেক ছোট ছিল। ও চাকরিতে কিছুটা গর্ত করে কলার পাতা ও পলিথিন দিয়ে মুড়ানো আম মাখানো গর্তের মধ্যে দিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে দিল। আর বলল এটা এখনো উঠানো যাবে এটা ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর এটা উঠাবো। আমরাও কখন আসে পাশে অনেক ঘুরাঘুরি করি। টাইম আর শেষ হতে চাচ্ছে না তখন। অবশেষে সময় হয়ে গেল। তখন মাটি খুঁড়ে বের করে সুন্দরভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিল। তারপর পলিথিন খুলে কলার পাতা খোলার পর আম মাখানো একটা গামলায় রাখা হলো। তখন আম অনেকটা নরম হয়ে গিয়েছিল। খেতে অনেক সুস্বাদু লাগলো। আসলে এরকম আম মাখানো কখনো খাওয়া হয়নি। আমার কাছে বেস্ট ছিল এই আম মাখানো। তখন আমি বন্ধু নাজমুলকে বললাম তোর সিস্টেমটা অনেক ভালো। পরবর্তীতে আম খেলে আমরা এভাবেই খাব। ও বলল বাজার থেকে কাসুন্দি কিনে আনব তারপর এভাবে মাখিয়ে খেতে হবে তাহলে আরো সুস্বাদু হবে।
কিন্তু এখনো অনেক সময় আম খাওয়া হয় কিন্তু এভাবে গর্ত খুরে মাটি চাপা দিয়ে রেখে কখনো খাওয়া হয়নি। ছোটবেলার স্মৃতিটা আজ মনে পড়ে গেল। বড় হয়ে যাওয়ার কারণে এখন আর ওভাবে রেখে খাওয়া সম্ভব না। তবে কিছুদিনের মধ্যে এভাবে একদিন ট্রাই করবো। দেখব আগের মত সুস্বাদু লাগে কিনা। আজ এই পর্যন্তই আশা করি আমার শৈশবের আম খাওয়ার গল্প আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
ওয়াও বন্ধু ছোটবেলায় তুমি বন্ধুদের সাথে আম আমার স্মৃতিময় গল্প শেয়ার করেছ উপরে অনেক ভালো লাগলো। কলার পাতাতে করে অবশ্য এর আগে কখনো এভাবে আম খায়নি তোমরা দেখছি ছোটবেলায় বেশ অ্যাডভান্স ছিলে। ধনিয়া গুড়া আর ঝালের গুড়া একসাথে করে লবণ দিয়ে আম মাখালে সত্যি দারুন টেস্ট লাগে। অনেক সুন্দর একটি স্মৃতিময় গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছোটবেলায় অনেক দুষ্টু ছিলাম। ছোটবেলার কথাগুলো মনে পড়লে এখনো গা শিউরে ওঠে। কতইনা মজা করতাম ছোটাছুটি হইহুল্লোড়। ধন্যবাদ বন্ধু সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আপনার বন্ধুরা মিলে আম খাওয়ার মুহূর্তটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে আমের দিনে এইরকমভাবে আম না খেলে ভালোই লাগে না। আপনার বন্ধু সুমন ও নাজমুলসহ স্কুল থেকে এসে আম বাগানে গিয়ে দেখছি আমপেড়ে তারপর আবার সেগুলোকে মেখে খেয়েছেন। আপনাদের আম খাওয়ার কথা শুনে আমার নিজেরই খেতে ইচ্ছে করতেছে।
শৈশবে এভাবে প্রায় প্রতিদিনই আম মাখিয়ে খাওয়া হত। বড় হয়ে যাওয়ার কারণে সবাই ব্যস্ততায় থাকায় এভাবে আর হয় না। পোস্টটি পড়ে সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শৈশবের স্মৃতি পড়তে আমি খুবই পছন্দ করি। আজকে আপনি আমাদের মাঝে অসাধারণ এক আম খাওয়ার স্মৃতি প্রকাশ করেছেন। আর আপনার এর স্মৃতি পড়ার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো আমার। খুবই ভালো লাগলো আমার সুন্দর স্মৃতিচারণ করতে দেখে।
শৈশবের স্মৃতি মনে পড়লে অনেক কষ্ট হয়। ছোট থাকতে কতই না সুখে শান্তিতে দিন কাটাতাম। এখন ব্যস্ততার কারণে এভাবে বন্ধুদের সাথে আর কোন একটা জিনিস করা হয় না। সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুমন নাজমুল এবং আপনি মিলে আম খাওয়ার অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ছোটবেলায় বন্ধুরা মিলে আমরা এভাবে অনেক গাছে আম খেতাম, আপনার পোস্টটা পড়ার সময় ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি শৈশবের মুহূর্তের ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোট থাকতে সুমন আর নাজমুলের সাথেই পুরোটা সময় অতিবাহিত হতো। একসাথে স্কুলে যাওয়া প্রাইভেট গোসল খেলাধুলা। ছোট বেলার এরকম অনেক স্মৃতি আমাদের সাথে জড়িয়ে আছে। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ে মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আম খাওয়া নিয়ে শৈশবের খুব সুন্দর স্মৃতি শেয়ার করলেন আপনি। আমারও অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি রয়েছে এগুলো মনে পড়লে অনেক ভালো লাগে। ইচ্ছে করে সেই শৈশবে ফিরে যাই আবারো। তবে আপনার শেয়ার করা মুহূর্তটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে স্মৃতিচারণ করলেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু ছোটবেলার পুরানো স্মৃতি মনে পড়লে অনেক ভালো লাগে। আপনার পুরাতন স্মৃতিগুলো দেখতে চাই। ইচ্ছে করলেই আর সম্ভব না শৈশবে ফিরে যাওয়া। মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
শৈশবে আম খাওয়ার স্মৃতিময় গল্প পড়ে নতুন একটি অভিঙ্গতা হলো। আম মাখা অনেক খাওয়া হয়েছে। তবে আপনাদের মতো করে কখনো খাইনি। আম মাখিয়ে আবার মাটিতে গর্ত খুঁড়ে রেখে দিয়েছেন। এর পরে ২০ মিনিট পরে বের করে খেয়েছেন এজন্য আম গুলো নরম হয়ে গিয়েছিলো বাহ্ দারুন ভাই। ভালো লাগলো আপনার গল্প পরে। এমন মধুর স্মৃতি মনে পড়ে পড়লে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে।
এভাবে আম মাখিয়ে খেলে অনেক সুস্বাদু লাগে। তবে অনেক বছর হল আমিও এভাবে আর খাইনি। তবে দুই-একদিনের মধ্যে খাওয়ার ইচ্ছা আছে। মূল্যবান মতামত প্রকাশ করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
দারুন ছিল ভাইয়া আপনার শৈশবে বন্ধুদের কে নিয়ে আম মাখা খাওয়ার পদ্ধতি। আম কেটে মেখে মাটির নিচে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো রেখে তারপর বের করে খেয়েছেন এবং তা নরম ও সুস্বাদু হয়েছিল জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি শৈশবের স্মৃতিচারণমূলক পোস্ট আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমাদের। সময় পেলে অন্য একটা কাহিনী নিয়ে আবার হাজির হব। পোস্টটি পড়ে সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ছোটবেলার দিনগুলো আসলেই খুব ভালো ছিলো। তাইতো বারবার ছোটবেলায় ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। যাইহোক আম মাখা তো অনেক খেয়েছি,কিন্তু আম মাখা কলাপাতা এবং পলিথিনে পেঁচিয়ে মাটির মধ্যে কয়েক মিনিট রেখে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার বন্ধু নাজমুল চমৎকার একটি সিস্টেমের কথা বলেছে তো। ভাবছি এভাবে একবার ট্রাই করে দেখতে হবে। যাইহোক এতো সুন্দর স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোটবেলায় আমারও অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। মনে হয় আবার তুমি ছোটবেলায় ফিরে যেতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। পোস্টটি পড়ে সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।