অনেক দিন পর প্রিয় শহর কুষ্টিয়ায়।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১৫ ই,চৈত্র| | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ||শুক্রবার||বসন্তকাল ||
নিজ হাতে ক্যামেরা নিয়ে কিছু প্রিয় মুহূর্ত বন্দী করার মজাই অন্যরকম।প্রকৃতির রুপ কার না ভালো লাগে।প্রকৃতির রুপ দেখে মানুষের মনে এক অনাবিল সুখ বয়ে যায়।
ফটো-এডিটর দিয়ে বানানো।
device:redmi note 10
What's 3 Word Location:
https://w3w.co/blitzes.toolbox.standouts
আজ আপনাদের সাথে প্রিয় শহরে অনেকদিন পরে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করব। যদিও samsung কাস্টমার কেয়ারে একটু প্রবলেমের জন্য যাওয়া হয়েছিল। প্রিয় শহরে রিকশা নিয়ে ঘোরাঘুরি যে একটা মজা সেটা কখনো ভুলে থাকা যাবে না। আমি ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরে লেখাপড়ার জন্য থেকেছি। কুষ্টিয়া আমার অনেক পছন্দের একটি শহর। কুষ্টিয়া শহরে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কুষ্টিয়া শহরের আনাচে কানাচে অনেক ঘোরাঘুরি হয়েছে। বিশেষ করে রিক্সা বিলাস করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগতো।
আর বন্ধুরা বিকেল হলেই ক্যাম্পাসে এসে অনেক আড্ডা দিতাম। আর বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতাম। মেসে থাকা অবস্থায় খেলাধুলার মধ্যে ইনভল্ভ ছিলাম। সপ্তাহের তিন থেকে চার দিন ক্রিকেট অথবা ফুটবল খেলা হতো আমাদের। ব্যস্ততার কারণে এখন ঢাকা থাকতে হয়। প্রিয় শহরটাকে এখনো অনেক মিস করি। অবশ্যই প্রিয় শহরে যাওয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম ছিল। প্রায় তিন থেকে চার মাস পরে কুষ্টিয়া শহরে গিয়েছি। দারুন একটা সময় পার করেছি। আমি আর আমার এক বন্ধু বাইক নিয়ে যাওয়ার প্লান করি। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাইক নিয়ে বের হয়ে যায় কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে। প্রায় এগারো কিলোমিটার যাওয়ার পর তেল পাম্প থেকে বাইকে তেল নিয়ে আবার যাত্রা শুরু করি। কুষ্টিয়া শহরে যেতে একটা ব্রিজ পরে। ব্রিজটার নাম মীর মোশারফ হোসেন সেতু। এই সেতুতে বাইক দাঁড় করিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করি।
ফটোগ্রাফি করার পর আবার যাত্রা শুরু হয়। ব্রিজ পার হতেই একটা টোল প্লাজা পড়ে। অবশ্য বাইকের জন্য ১০ টাকা করে দিতে হয়। বিভিন্ন গাড়ির জন্য বিভিন্ন ফি দেওয়া লাগে। কুষ্টিয়া লেখাপড়ার জন্য আমার এক ফ্রেন্ড থাকে। ফ্রেন্ডের বাসায় গাড়িটা রেখে। একটা রিক্সা নিয়ে আমি আর আমার বন্ধু কাস্টমার কেয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা হই। রিকশায় ঘোরাঘুরি করার খুবই ইচ্ছা ছিল। এজন্য বাইকটা রেখে রিক্সা নেই। রিক্সায় যেতে বিভিন্ন জিনিস চোখে পড়ে। অনেক পরিবর্তন এসে গেছে কুষ্টিয়া শহরে। প্রিয় শহরটাকে এখনো অনেক মিস করি। অনেক গল্প করতে করতে কাস্টমার কেয়ারে পৌঁছে যায়।
আমার যে ফোনটা নিয়ে গিয়েছি সেই ফোনটা ডিসপ্লেতে একটু সমস্যা হয়েছিল। কাস্টমার কেয়ার গিয়ে ফোনটা দেখাই। ওখানকার লোক বলে কিছু সময় ওয়েট করতে হবে। যদিও কাস্টমার কেয়ারে অরজিনাল জিনিস পাওয়া যায় এজন্য অন্যান্য দোকানে না দেখিয়ে কাস্টমার কেয়ারে যাই। ডিসপ্লের দাম ৮৪০০ টাকা লাগবে। যদিও ফোনটা একটু দাম বেশি এজন্য অরজিনাল জিনিসই লাগানোর সিদ্ধান্ত নেই। পরে ফোনটা কাস্টমার কেয়ারে রেখে। আমি আর আমার বন্ধু আমাদের প্রিয় একটা জায়গায় চলে যায়। কুষ্টিয়া থাকা অবস্থায় এই জায়গাটাতে অনেক সময় অতিবাহিত করেছি। সেখানে গিয়ে প্রিয় জায়গাটা ঘুরে দেখি। অবশ্যই জায়গাটা আপনারা যারা কুষ্টিয়া গেছেন তারা চিনতে পারবেন। এই জায়গাটা হলো রেনউক বাঁধ। আমার খুবই পছন্দের একটি জায়গা। এই জায়গাটাতে বিকেল হলে বিভিন্ন মানুষ এসে সময় অতিবাহিত করে। যেহেতু আমরা দুপুরবেলা গিয়েছি তখন মানুষের সমাগম একটু কম ছিল। রোজা থাকায় অবস্থায় কিছু খেতে তো পারি নাই। তবে নদীর পাড়ে বসে খুবই সুন্দর একটি সময় পার করেছি। প্রায় দুই ঘন্টা সময় কাটানোর পর আবার কাস্টমার কেয়ারে আসি। এসে দেখি ফোনটা কমপ্লিট হয়েছে।
পরে ফোনটা নিয়ে একটা রিকশায় করে আবার বন্ধুর বাসায় আসি। বন্ধুর বাসায় এসে কিছু সময় রেস্ট করি। তারপর বিকেল হলে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে আসি। আজকে এই পর্যন্তই পরবর্তী দিনে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হব।
পরবর্তীতে আমরা ফেরার পথে আবার ব্রিজের উপর একটু নামি।গড়াই নদীর উপরে এই ব্রিজটি।অনেক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করি।
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম অনেকদিন পর আপনার প্রিয় শহর কুষ্টিয়ায় যাওয়ার অনুভূতিটাই ছিল অন্যরকম। আসলে অতীতে কাটানো কোন জায়গায় যদি আবার নতুন করে যাওয়া যায় তাহলে সেই অনুভূতিটাই যেন অন্য রকম হয়। যদিও বা আপনি গিয়েছিলেন স্যামসাংয়ের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস তার পরেও যতটুকু পেয়েছিলেন ততটুকুই ঘোরাঘুরি করে কাটিয়েছেন। আর হ্যাঁ সময়ের সাথে সাথে যেহেতু অনেক কিছুই পরিবর্তন হয় তাই হয়তো বা কুষ্টিয়ায় গিয়ে আপনি অনেক কিছুরই পরিবর্তন হতে দেখেছিলেন। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে অনেকদিন পর আবারো আপনার প্রিয় শহর কুষ্টিয়া শহরে যাওয়ার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ব্যস্ততার কারণে এখন ঢাকা শহরে থাকতে হয়। এজন্য প্রিয় শহর টাই তেমন একটা যাওয়া হয় না। তবে একটু কাজের জন্য যেয়ে অনেক ঘুরাঘুরি করেছিলাম। আপনার মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বন্ধু কুষ্টিয়াতে লেখাপড়া অবস্থায় ২০১৬ থেকে২০২০ সাল পর্যন্ত বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। অনেকদিন পরে প্রিয় শহর কুষ্টিয়া তে গিয়ে ঘোরাঘুরি করেছ জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
আসলে কুষ্টিয়া শহরের সাথে আমাদের যে স্মৃতি জড়িয়ে আছে সেগুলো কখনো ভুলবার নয়। অনেক মিস করি প্রিয় শহরটাকে। যতদিন ছিলাম অনেক আপন লাগতো। ধন্যবাদ বন্ধু তোমার সুন্দর মতামত প্রকাশের জন্য।
আসলে কুষ্টিয়া শহরে কাটানো মুহূর্তগুলো দামী মুহূর্ত ছিল। এখন অনেক বেশি মিস করি সেই সময়গুলোকে। বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন দেখছি। আমারও তাই মনে হয় যে দামি ফোনে অরিজিনাল জিনিস লাগানোই বেটার। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
আসলে একটু ব্যস্ততা নিয়ে এই শহরটাতে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রিয় শহরে গেলে কিসের ব্যস্ততা মন অটোমেটিক্যালি ভালো হয়ে যায়। অরজিনাল জিনিস লাগানোর চেষ্টা করেছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ফোনের ডিসপ্লেতে সমস্যা হওয়ার কারণে কাস্টমার সার্ভিসে গিয়েছিলেন। যেহেতু বেশ দামি ফোন সে ক্ষেত্রে অরিজিনাল প্রোডাক্ট লাগালে ভালো সার্ভিস পাওয়া যায়। আপনার কাটানো সময়টুকু আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ডিসিশনটা সেই জন্য নিয়েছি অরজিনাল ডিসপ্লে লাগানোর। আসো ইলেকট্রনিক জিনিস তো কখন কিভাবে যাবে সেটা তো বলা যায় না। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কুষ্টিয়া শহরটা আমারও বেশ প্রিয়। আমিও প্রায় মাঝেমধ্যে এই জায়গার পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি কারণ কারণে অকারনে সেখানে যেতে হয় আমার। আপনি দীর্ঘ চার বছর এখানে থেকেছেন জেনে ভালো লাগলো। এখন মোবাইল সার্ভিস এর জন্য এসেছেন। আর এই মিলে বেশ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যা থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। প্রিয় কুষ্টিয়া শহর সম্পর্কে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
লেখাপড়ার জন্য শহরটাতে থাকা হয়েছিল। তবে যতদিন শহরে ছিলাম অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি বন্ধুদের সাথে। বিভিন্ন কাজের জন্য আমাদেরও কুষ্টিয়া যেতে হয়। সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
কুষ্টিয়া শহর যেন আমাদের আবেগের যেন আমাদের হৃদয়ের স্পন্দনের শহর। সত্যি বলতে আমার তো এই শহর ছেড়ে যেতেই ইচ্ছা করে না কোথাও। কী সুন্দর সবকিছু। আর এরা কখনোই ব্রীজের টোল নেওয়া বন্ধ করবে না। এটা একটা সিন্ডিকেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফোনের অরিজিনাল ডিসপ্লের দাম এইরকম বেশিই হয়ে থাকে। আর সেটা কাস্টমার কেয়ার ছাড়া পাওয়ায় যায় না। দারুণ ছিল আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো ভাই।
তুমি ঠিকই বলেছ কুষ্টিয়া শহর আমাদের আবেগের একটি জায়গা। অনেক গোছালো ও পরিপাটি আমাদের এই শহরটা। এখানে যে কিছুদিন থাকবে সে এর মায়ায় পড়ে যাবে। তুমি ঠিকই বলেছ ব্রিজের টোল বন্ধ হওয়া হয়তো আমরা কোনদিন দেখে যেতে পারবো না। ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।
কুষ্টিয়া শহরে যারা কিছুদিন থেকেছে তারা এই শহরটাকে অনেকটাই বেশি মিস করে এই শহর থেকে যখন বের হয়ে যায়। কুষ্টিয়া শহরের নাম শুনলেই মনের মধ্যে এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে যদিও অনেকটা মাস কুষ্টিয়া শহরে যাওয়া হয়নি। যাইহোক আপনি ফোনের সমস্যার জন্য কাস্টমার কেয়ারে গিয়েছিলেন এবং ফোনটা অবশেষে ঠিক করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ অনেকদিন পরে প্রিয় শহর কুষ্টিয়ায় কাটানো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
তুমি ছুটি নিয়ে দ্রুত বাড়ি চলে আসো সবাই কালবৈশাখী শপিং নিয়ে যেতে হবে। প্রিয় শহরটাকে অনেক মিস করি আমিও। এবার যেয়ে পুরো শহরটাকে চষে খাব।