ভ্রমণ: মহেরা জমিদার বাড়ি, টাঙ্গাইল। (পর্ব-১)।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -৬, চৈত্র | | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || বুধবার||বসন্তকাল ||
নিজ হাতে ক্যামেরা নিয়ে কিছু প্রিয় মুহূর্ত বন্দী করার মজাই অন্যরকম।প্রকৃতির রুপ কার না ভালো লাগে।প্রকৃতির রুপ দেখে মানুষের মনে এক অনাবিল সুখ বয়ে যায়।
ফটো-এডিটর দিয়ে বানানো।
device:redmi note 10
What's 3 Word Location:
https://w3w.co/retracted.velocities.selecting
আজ আপনাদের মাঝে মহেরা জমিদার বাড়ি ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করবো। আশা করি এই এই পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমিও ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। আমার কিছু বন্ধু আছে তারাও ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। বন্ধুদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে মিল থাকলে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যেখানে দুচোখ যায় সেখানেই যেতে মন চায় মন শুধু চায় ছুটাছুটি করতে বিভিন্ন জায়গায়। অচেনা দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে।
এইতো কিছুদিন আগে ঘুরে এলাম টাঙ্গাইলের মহেরা জমিদার বাড়ি থেকে। জমিদার বাড়িটি অনেক জায়গা ধরে বিস্তৃত। মনোরম পরিবেশ ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যে ঘেরা এই জমিদার বাড়িটি। আজ আপনাদের সাথে টাঙ্গাইল জমিদার বাড়ি নিয়ে আলোচনা করব। মার্চ মাসের নয় তারিখে আমার কয়েকজন কলিক নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম মহেরা জমিদার বাড়ি। আমরা আগে থেকেই প্লান করে রেখেছিলাম। সকাল সাতটায় বের হওয়ার কথা থাকলেও বের হতে হতে আমাদের প্রায় নয়টা বেজে যায়। আমি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করে বেরিয়ে পড়ি। আমার সাথে যাদের যাওয়ার কথা ছিল তারাও রেডি হয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করে। আমি আমার বাসা থেকে বের হয়ে বাইপাইল স্থানে যাই। যেয়ে দেখি তারা ওখানে দাঁড়িয়ে আছে। তারপর আমরা বাসে করে যাত্রা শুরু করি। আমাদের যেতে প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগবে। আমরা বাসের মধ্যে অনেক গল্প করি। তারপর আমাদের মির্জাপুর নামক স্থানে বাস নামিয়ে দেয়। তারপর আমরা সেখান থেকে একটা সিএনজি করে মহেরা জমিদার বাড়িতে যাই।
যেতে যেতে অপরূপ সৌন্দর্যের দেখা পাই। যদিও এখন এই জমিদার বাড়ি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা টিকিট কাউন্টারে গিয়ে একশ টাকা করে টিকিট ক্রয় করে ভিতরে ঢুকি। সুবিশাল মহল তিনটি এবং অনেকগুলো কাচারি ঘর। মহলে ঢোকার পথেই অসাধারণ গেট যা চোখ ধাঁধানো। গেটের দুই ধার দিয়ে ফুল গাছের সমারোহ। যদিও এই জায়গাটি পর্যটকদের জন্য খুবই সুন্দর একটি জায়গা। অনেক স্কুল-কলেজ থেকে এখানে শিক্ষা সফরে নিয়ে আসা হয়েছে স্টুডেন্টদের। আমরা এক এক করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেখার চেষ্টা করি। মনোরম পরিবেশে ঘোরাঘুরির মজাই অন্যরকম ছিল। আমার পোস্ট হয়তো যারা ফলো করেছেন তারা বুঝবেন ঘোরাঘুরি করতে আমি অনেক পছন্দ করি। বিভিন্ন অচেনা জায়গায় ভ্রমণ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
প্রকৃতির অনিন্দ্য নিকেতন মহেরা জমিদার বাড়ির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। বহু বছর আগের নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে মহেরা জমিদার বাড়ি। নিভৃত পল্লীতে ছায়া-ঘেরা পাখি টাকা নির্মল নির্ঝর শান্ত পরিবেশ আকুল করে পর্যটকদের।একবার নয় বারবার এই সৌন্দর্য দেখার হাতছানি দিয়ে আমন্ত্রণ জানায় এখানকার রকমারি দেশী-বিদেশী ফুলের সমারোহ ও সুশোভন বাহারী পাতাবাহার দ্বারা পরিবেষ্টিত ফুলের বাগান। চারিদিকে নানা বৈচিত্রের ফুলের সমারোহ।
আপনি একবার গেলে আপনাকে বারবার যেতে বাধ্য করবে এই মহেরা জমিদার বাড়ির সৌন্দর্য। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে এই মহেরা জমিদার বাড়ি অনেক জনপ্রিয়। বিশাল এলাকা জুড়ে বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্যে ভরা এই জমিদার বাড়ি। এই জমিদার বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে। যা আপনি উঠতে পারবেন। এবং একটি চিড়িয়াখানা রয়েছে চিড়িয়াখানাটিতে অনেকগুলো হরিণ এবং কয়েকটি প্রাণী আছে। চিড়িয়াখানার গল্প শেয়ার করব পরের পর্বে। এই জমিদার বাড়িতে পুলিশের বিভিন্ন নিদর্শন এর চিত্র ও সামগ্রী রাখা হয়েছে।
যা দেখে পর্যটকরা অনেক আকর্ষিত হবে। আজ এই পর্যন্তই পরের পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি ভ্রমণের পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
টাঙ্গাইলের মহেরা জমিদার বাড়ি ভ্রমণের দারুন দারুন দৃশ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছ দেখে বেশ ভালো লাগলো বন্ধু। আমারও ইচ্ছা এই জায়গাটিতে ভ্রমণ করার যদি কখনো তেমন সময় হয় অবশ্যই এই জায়গাতে ভ্রমণ করব। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
চেষ্টা করেছি সুন্দর দৃশ্য তোমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য বন্ধু। চলো একদিন সবাই বাইক নিয়ে টুর দিয়ে আসি এই জমিদার বাড়ি থেকে। অনেক ভালো লাগবে আমাদের। কারণ তোমাদের সাথে গেলে তো ইনজয় টা বেশি হয়ে যায়।
স্বল্প পরিমান সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি এইভাবেই সবসময় পাশে থাকবেন
টাঙ্গাইলের মহেরা জমিদার বাড়িতে আমি ভ্রমণ করেছি। জায়গাটি অসাধারণ সুন্দর্যময়। আর এই জমিদার বাড়ির বিশাল জায়গা নিয়ে গঠিত। আপনি আপনার বন্ধুর সাথে ভ্রমণ করেছেন। আসলে বন্ধুদের সাথে কোন জায়গায় ভ্রমন করলে সেই মুহূর্তগুলো অনেক বেশি আনন্দদায়ক হয়। এই মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আশা করছি আগামী পর্বের ফটোগ্রাফি গুলা আকর্ষণীয় হবে।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া জায়গাটি খুবই সুন্দর। জমিদার বাড়ি অনেক জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। যা দেখলে যে কারোর মন ভালো হয়ে যাবে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো জেনে খুশি হলাম। মোটামুটি জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মহেরা জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইল ভ্রমণ পর্ব। আপনার শেয়ার করা পোস্টি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। জমিদার বাড়িটি দেখতে আমার কাছে তাজমহলের মত লাগছে ভাই। দেখে মনে হচ্ছে আপনি বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন সেখানে। ধন্যবাদ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই পোস্টটি দেখে আপনার কাছে ভাল লেগেছে যেন অনেক খুশি হলাম। আপনি ঠিকই বলেছেন জমিদার বাড়িটি তাজমহলের মত দেখতে। হ্যাঁ আমরা খুবই সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছি। মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
টাঙ্গাইলের মহেরা জমিদার বাড়ির কথা শুনেছিলাম তবে আমার কখনো যাওয়া হয়নি। আপনি সেখানে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। এই জমিদার বাড়িটি আসলেই খুব সুন্দর। চারপাশের পরিবেশটা মনমুগ্ধকর। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন জমিদার বাড়িটি অনেক সুন্দর
চারপাশের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে। সময় হলে একদিন দিন ঘুরে আসবেন আশা করি খারাপ লাগবে না। পোস্টটি ভিজিট করে সুন্দর মতাম ত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
মহেরা জমিদার বাড়ি অসাধারণ কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে জমিদার বাড়ি গেলে পুরনো ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারা যায়। আর বাড়িটির বিশাল। অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আসলে পুরাতন কোন কিছু দেখলে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
বাহ দেখতে তো অসম্ভব সুন্দর। এমন বড় বাড়ি দেখে তো আমার নিজেরই জমিদার হতে ইচ্ছে করছে। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম
জায়গাটি আসলে অনেক সুন্দর। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখা যায় এই জায়গাটিতে। একদিন সময় করে চলো ঘুরে আসি। ভালো লাগবে সবার। ধন্যবাদ মামা সুন্দর মতামতের জন্য।
টাঙ্গাইলের সুন্দর এক জমিদার বাড়ি ভ্রমণ করেছেন ভাইজান। আর সে ভ্রমণ বিষয়ের বেশ কিছু তথ্য আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। পাশাপাশি ভালো লাগলো আপনার ভ্রমণ স্থান দেখতে পেরে। খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আজকের এই ব্লগে। সব মিলে অনেক ধারণা পেয়েছি ভাই।
মহেরা বাড়ি বহু বছর আগে তৈরি এ ধরনের প্রত্যতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে ।চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ।সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
টাঙ্গাইলে এমন সুন্দর জায়গা আছে জানতাম ই না। আপনি পোস্ট না দিলে হয়ত জানাও হত না। অনেক ভাল লাগল আপনার ভ্রমণ বৃতান্তের পোস্ট টি। জায়গাটির সৌন্দর্য দারুন ভাবে বর্ণনা করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া নতুন একটি জায়গা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আসলে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের লুকিয়ে আছে সেগুলো আমরা জানি না। তবে এ ধরনের জায়গা ভ্রমণ করতে বেশ ভালো লাগে। অনেক আগের নিদর্শন গুলোর বেশ চমৎকার হয়ে থাকে। আমাদের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমাদের এখান থেকে টাঙ্গাইলের দূরত্ব এক ঘণ্টার মতো, টাঙ্গাইলে যে এত সুন্দর একটা জায়গা রয়েছে আমি সত্যি জানতাম না যাই হোক। আমিও চাই এই জায়গাটিতে ভ্রমণ করতে। আমার এখানে একটা টাঙ্গাইলের বন্ধু রয়েছে ওকে আজকে জিজ্ঞেস করবো মহেরা জমিদার বাড়ি সম্পর্কে। অনেক কোয়ালিটি ফুল পোস্ট ছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাইয়া যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসে কোন জেলাতে কি আছে তাদের সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানে। আসলে আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে থাকি বলতে পারেন এক কথায় ভ্রমন পিপাসও মানুষ। প্রতিটা জেলাতেই কি ধরনের মনোমুগ্ধকর জিনিস আছে সেগুলো সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করার চেষ্টা করি। অবশ্য একদিন এই বাড়ি থেকে ঘুরে আসবেন আশা করি খারাপ লাগবে না।