ট্রেন ভ্রমন:(ঢাকা টু চট্টগ্রাম)
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১২ ই মাঘ|১৪৩০ বঙ্গাব্দ|শুক্রবার|শীতকাল|
আমি রাজু আহমেদ।আমার ইউজার নাম @md-razu।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।
তাহলে চলুন শুরু করি
ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমিও ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। আমার কিছু বন্ধু ছিল তারাও ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। বন্ধুদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে মিল থাকলে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যেখানে দুচোখ যায় সেখানেই যেতে মন চায় মন শুধু চায় ছুটাছুটি করতে বিভিন্ন জায়গায়। অচেনা দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে।
Location:https://w3w.co/marathon.pizzas.flattery
ট্রেন ভ্রমন ঢাকা টু চট্টগ্রাম
আজ আপনাদের সাথে ট্রেন ভ্রমনের গল্প শেয়ার করবো।আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে।যদিও আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো কক্সবাজার। দুঃখের বিষয় কক্সবাজার যাওয়ার জন্য পর্যটক এক্সপ্রেস এর টিকিট পাওয়া যাই নাই।যদিও টিকিট কাটার জন্য ৮ দিন আগে থেকেই চেষ্টা করেছিলাম।তখনও টিকিট বুক হয়ে গেছিলো। অনেকদিন ধরে প্লান করা হয়েছে আমরা সবাই একসাথে ট্যুরে যাব। কক্সবাজার নতুন স্টেশন হয়েছে সেখানে দুটো ট্রেন ঢাকা থেকে প্রতিদিন যাতায়াত করে। অনলাইনে টিকিট কাটার প্লান আগে থেকেই ঠিক করা ছিল তবে অনলাইনে টিকিট ছাড়ে আট দিন আগে থেকে আমরা একসাথে তিন চারটা ডিভাইস নিয়ে টিকিট কাটার জন্য ওয়েট করতে থাকি। যখন টিকিট ছাড়ে তখন দেখি সব বুক হয়ে গেছে। আমাদের ট্যুরে যাওয়ার জন্য নয়জন সদস্য হই। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট না পাওয়ায় তখন চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য টুর্না এক্সপ্রেস এর টিকিট অনলাইনে বুক করি। আজ আপনাদের সাথে ঢাকা টু চট্টগ্রাম টুর্না এক্সপ্রেস ট্রেনের যাওয়ার গল্প শেয়ার করব। আমরা একসাথে ঢাকা মোহাম্মদপুর থেকে চারজন ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনে যাওয়ার জন্য একটা বাসে উঠি। আমাদের ট্রেনের সময় ছিল ১১:১৫ মিনিটে। আমরা মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে মিডলাইন বাসে আটটার সময় উঠে পড়ি। বাকি চারজন স্টেশনে উপস্থিত ছিল আগে থেকে। যদিও ঢাকার জ্যাম অনেক খারাপ জিনিস। এজন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয় আমাদের। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম এক থেকে দুই ঘণ্টা হয়তো লাগবে স্টেশনে যেতে। কিন্তু ঢাকার জ্যামের কারণে আমাদের যেতে যেতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় লাগে। স্টেশনে যখন যাই তখন প্রায় এগারোটা বেজে গিয়েছিল।
Location:https://w3w.co/marathon.pizzas.flattery
প্ল্যাটফর্মে আগে থেকেই বড় ভাই ব্রাদার ও বন্ধু উপস্থিত ছিল। আমরা স্টেশনে গিয়ে তাদের সাথে দেখা করি। যদিও ট্রেন ১১:১৫ রাইট টাইম কিন্তু সেটা লেট করে প্রায় ১১:৫০ এর দিকে যাত্রা শুরু করে। আমাদের সবার টিকিট পাশাপাশি ছিল। ট্রেনে যাতায়াত আমার অনেক আগে থেকে খুবই পছন্দ। ট্রেনে যাতায়াতের মাধ্যমে একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। সবাই একসাথে গল্প ও আড্ডার মধ্য দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। আমাদের সাথে আমার দুই ফ্রেন্ড ছিল খুবই রসিক ও গান গাইতে পারে।
Location:https://w3w.co/marathon.pizzas.flattery
ট্রেনে যাওয়ার আগে কিছু খাবার কিনে রাখি। কারণ মধ্যরাতে ক্ষুধা লাগলে সেগুলো আমরা খেতে পারি। প্রায় ২ টা পর্যন্ত আমরা অনেক গান-বাজনা করি আড্ডা দেওয়ার মাধ্যমে সবাই ক্লান্ত হয়ে যায়। তখন নাস্তা করে সবাই একটু ঘুমানোর প্রিপারেশন নিই। কারন আমাদের প্ল্যান চেঞ্জ হয়ে আমরা তখন বান্দরবান কিছু জায়গা ঘোরার পরিকল্পনা করি। আমি অনেক ঘুমিয়েছিলাম ট্রেনের মধ্যে যখন চট্টগ্রাম পাওয়ার আগের স্টেশনে এক বড় ভাই ডেকে বলল এই সবাই ওঠো আমরা নেক্সট স্টেশনে নামতে হবে। তখন আমরা ঘুম থেকে উঠে ব্যাগ পত্র সব রেডি করে চট্টগ্রাম স্টেশনে নামার জন্য। স্টেশনে নামতেই দেখি চট্টগ্রামে প্রচুর শীত।
Location:https://w3w.co/tricks.steroids.plump
হয়তো এরকম শীত এ বছরে আর পাওয়া হয় নাই। কি করার শীতের কাপড়টা তো বেশি করে করতে হবে এখন দেখছি। চট্টগ্রাম স্টেশনে নেমে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে তখন ওখানে কিছু সময় গল্প করি ও গান বাজনা শুরু করে দেই। চট্টগ্রাম স্টেশনের পরিবেশ টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। চট্টগ্রাম স্টেশনে নেমে কিছু ফটোগ্রাফি করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
💞 আল্লাহ হাফেজ 💞
VOTE @bangla.witness as witness
OR
তাহলে চলুন শুরু করি
ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমিও ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। আমার কিছু বন্ধু ছিল তারাও ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। বন্ধুদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে মিল থাকলে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যেখানে দুচোখ যায় সেখানেই যেতে মন চায় মন শুধু চায় ছুটাছুটি করতে বিভিন্ন জায়গায়। অচেনা দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে।
Location:https://w3w.co/marathon.pizzas.flattery
ট্রেন ভ্রমন ঢাকা টু চট্টগ্রাম
আজ আপনাদের সাথে ট্রেন ভ্রমনের গল্প শেয়ার করবো।আমাদের ভ্রমন শুরু হয় ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে।যদিও আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো কক্সবাজার। দুঃখের বিষয় কক্সবাজার যাওয়ার জন্য পর্যটক এক্সপ্রেস এর টিকিট পাওয়া যাই নাই।যদিও টিকিট কাটার জন্য ৮ দিন আগে থেকেই চেষ্টা করেছিলাম।তখনও টিকিট বুক হয়ে গেছিলো। অনেকদিন ধরে প্লান করা হয়েছে আমরা সবাই একসাথে ট্যুরে যাব। কক্সবাজার নতুন স্টেশন হয়েছে সেখানে দুটো ট্রেন ঢাকা থেকে প্রতিদিন যাতায়াত করে। অনলাইনে টিকিট কাটার প্লান আগে থেকেই ঠিক করা ছিল তবে অনলাইনে টিকিট ছাড়ে আট দিন আগে থেকে আমরা একসাথে তিন চারটা ডিভাইস নিয়ে টিকিট কাটার জন্য ওয়েট করতে থাকি। যখন টিকিট ছাড়ে তখন দেখি সব বুক হয়ে গেছে। আমাদের ট্যুরে যাওয়ার জন্য নয়জন সদস্য হই। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট না পাওয়ায় তখন চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য টুর্না এক্সপ্রেস এর টিকিট অনলাইনে বুক করি। আজ আপনাদের সাথে ঢাকা টু চট্টগ্রাম টুর্না এক্সপ্রেস ট্রেনের যাওয়ার গল্প শেয়ার করব। আমরা একসাথে ঢাকা মোহাম্মদপুর থেকে চারজন ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনে যাওয়ার জন্য একটা বাসে উঠি। আমাদের ট্রেনের সময় ছিল ১১:১৫ মিনিটে। আমরা মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে মিডলাইন বাসে আটটার সময় উঠে পড়ি। বাকি চারজন স্টেশনে উপস্থিত ছিল আগে থেকে। যদিও ঢাকার জ্যাম অনেক খারাপ জিনিস। এজন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয় আমাদের। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম এক থেকে দুই ঘণ্টা হয়তো লাগবে স্টেশনে যেতে। কিন্তু ঢাকার জ্যামের কারণে আমাদের যেতে যেতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় লাগে। স্টেশনে যখন যাই তখন প্রায় এগারোটা বেজে গিয়েছিল।
Location:https://w3w.co/marathon.pizzas.flattery
প্ল্যাটফর্মে আগে থেকেই বড় ভাই ব্রাদার ও বন্ধু উপস্থিত ছিল। আমরা স্টেশনে গিয়ে তাদের সাথে দেখা করি। যদিও ট্রেন ১১:১৫ রাইট টাইম কিন্তু সেটা লেট করে প্রায় ১১:৫০ এর দিকে যাত্রা শুরু করে। আমাদের সবার টিকিট পাশাপাশি ছিল। ট্রেনে যাতায়াত আমার অনেক আগে থেকে খুবই পছন্দ। ট্রেনে যাতায়াতের মাধ্যমে একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। সবাই একসাথে গল্প ও আড্ডার মধ্য দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। আমাদের সাথে আমার দুই ফ্রেন্ড ছিল খুবই রসিক ও গান গাইতে পারে।
Location:https://w3w.co/marathon.pizzas.flattery
ট্রেনে যাওয়ার আগে কিছু খাবার কিনে রাখি। কারণ মধ্যরাতে ক্ষুধা লাগলে সেগুলো আমরা খেতে পারি। প্রায় ২ টা পর্যন্ত আমরা অনেক গান-বাজনা করি আড্ডা দেওয়ার মাধ্যমে সবাই ক্লান্ত হয়ে যায়। তখন নাস্তা করে সবাই একটু ঘুমানোর প্রিপারেশন নিই। কারন আমাদের প্ল্যান চেঞ্জ হয়ে আমরা তখন বান্দরবান কিছু জায়গা ঘোরার পরিকল্পনা করি। আমি অনেক ঘুমিয়েছিলাম ট্রেনের মধ্যে যখন চট্টগ্রাম পাওয়ার আগের স্টেশনে এক বড় ভাই ডেকে বলল এই সবাই ওঠো আমরা নেক্সট স্টেশনে নামতে হবে। তখন আমরা ঘুম থেকে উঠে ব্যাগ পত্র সব রেডি করে চট্টগ্রাম স্টেশনে নামার জন্য। স্টেশনে নামতেই দেখি চট্টগ্রামে প্রচুর শীত।
Location:https://w3w.co/tricks.steroids.plump
হয়তো এরকম শীত এ বছরে আর পাওয়া হয় নাই। কি করার শীতের কাপড়টা তো বেশি করে করতে হবে এখন দেখছি। চট্টগ্রাম স্টেশনে নেমে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে তখন ওখানে কিছু সময় গল্প করি ও গান বাজনা শুরু করে দেই। চট্টগ্রাম স্টেশনের পরিবেশ টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। চট্টগ্রাম স্টেশনে নেমে কিছু ফটোগ্রাফি করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
দুঃখের বিষয় আমি এখনো পর্যন্ত কখনো ট্রেনে যাতায়াত করিনি। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম শীতের সময় যাতায়াত করতে কষ্ট করতে হয়েছে। যদিও এখন সব জায়গাতে প্রযুক্তির কারণে অনেক উন্নত হয়ে গেল। আগে এক সময় লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ টিকেট কাটার জন্য অপেক্ষা করতো। এখন অনলাইনের কারণে এই সুবিধাটা অনেকে গ্রহণ করে। আপনি অনলাইনে টিকেট কাটার চেষ্টা করেছেন তবে আগে বুকিং হয়ে যাওয়ার কারণে পারেন নাই। তবে এটি ঠিক আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে চট্টগ্রাম স্টেশনে পরিবেশ দেখতে ভালোই লাগতেছে। খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।