রেসিপি:টমেটো ও ক্যাপসিকাম দিয়ে মুরগির মাংস ভুনা।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
চলুন আজ একটা সহজ এবং মজাদার রান্নার রেসিপি আপনাদের দেখাই। । আশা করি, এই রান্নাটা প্রায় সকল দেশের মানুষই খেতে পারবে। হা হা হা। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, খাবার না পেলে একজন মানুষকে যে খাবার দেবেন সেই খাবারি সে খেতে বাধ্য।
ক্যানভা দিয়ে বানানো।
device:redmi note 10
প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ
– চিকেন,
– পেঁয়াজ কুঁচি,
– আদা বাটা,
– রসুন বাটা,
– জিরা বাটা,
– গরম মশলা,
– মরিচ গুড়া,
– হলুদ গুড়া,
– লবন, পরিমান মত,
– টমেটো,
–ক্যাপসিকাম,
– তেল পরিমান মত,
– পানি পরিমান মত,
রন্ধন প্রণালী
ধাপ:-মুরগীর গোস্ত পরিস্কার করে তাতে সামান্য হলুদ গুড়া এবং লবন মিশিয়ে রেখে দিতে হবে, এর পরে কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে গরম করে গোশ্ত গুলো ভাজতে থাকতে হবে।
ধাপ:-গোশ্ত থেকে পানি বের হয়ে এমন একটা অবস্থায় এসে যাবে, আগুন মাঝারি আচে রাখুন এবং মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিন।
ধাপ:-ফাকে কিছু ক্যাপ্সিকাম, টমেটো এবং পেয়াজ ফালি নিন। এটা আগেই করে রাখতে পারেন।
ধাপ:-এবার আদা বাটা, রসুন বাটা দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে ভাজুন।
ধাপ:-পরিমান বুঝে সামান্য মরিচ গুড়া দিন। নাড়িয়ে মিশিয়ে দিন, আগুন মাধ্যম আঁচে রাখুন।
ধাপ:-টমেটো এবং কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিন। কিছু সময় ঢাকনা দিয়ে রাখুন।
ধাপ:-ঠিক এই রকম একটা অবস্থায় এসে যাবে।
ধাপ:-এবার পেয়াজ ফালি গুলো দিয়ে দিন, এখানে পেয়াজ ফালি সব্জির মত ব্যবহার হয়েছে। মিশিয়ে হাল্কা আঁচে রাখুন।
ধাপ:-জিরা ও মরিচ গুড়া দিয়ে দিন। মিক্স ওয়েল!
ধাপ:-এর পরে ক্যাপ্সিকাম দিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে কয়েক মিনিট ঢেকে রাখুন।
ধাপ:-যারা ক্যাপ্সিকাম এমন পছন্দ করেন তারা লবন দেখে নামিয়ে ফেলুন, আর না চাইলে লবন সঠিক করে আরো কিছু সময় চুলায় রাখতে পারেন। ব্যস, হয়ে গেল। প্লাউ, রুটি বা পরোটার সাথে বেশ মজাদার হবে।আমি গরম ধোঁয়া উঠা ভাতের সাথে খেয়েছি। খেতে বসে বার বার মনে হয়েছিল।দুনিয়াতে উপরওয়ালা আমাদের জন্য কত কি খাবার রেখেছেন, তা বলে শেষ করা যায় না।আমরা বেঁচে থাকি খাবার খেয়ে এবং আশ্চর্য এই যে, প্রায় প্রতিদিন আমরা একই খাবার খাই না।কোথা থেকে কি আমাদের ভাগ্যে জুটে যায় তা চিন্তা করলে অবাক হতে হয়।আমরা জানি না, এর পরেই আমাদের কি খেতে হবে, কিন্তু কিছু না কিছু এসেই পড়ছে এবং আমরা তা খাচ্ছি! তবে প্রত্যেক মানুষের জন্য খাবারের একটা লিমিট বা পারমিশন আছে। মানুষ চাইলেও এর বেশি খাবার খেতে পারে না বা সম্ভব নয়।সেটাও উপরওয়ালার মেহেরবানী, বেশি খেলেও মরে, না খেলেও মানুষ মরে।
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
আপনি বরাবরই আমাদের মাঝে অনেকে মজাদার মজাদার রেসিপি শেয়ার করে থাকেন। আজ আপনি আমাদের মাঝে টমেটো ও ক্যাপসিকাম দিয়ে মুরগির মাংস ভুনা রেসিপি শেয়ার করেছেন। মুরগির মাংস ভুনা খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে, রেসিপিটি দেখেই জিভে জল এসে গেল। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম সঠিক কথা বলেছ মুরগির মাংস পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো কমই আছে। তবে একদিন পাঙ্গাস মাছের বিরিয়ানি করতে হবে। এর টেস্ট কেমন অবশ্যই সেটা আমাদের জানতে হবে।
ওয়াও ভাই এরকম লোভনীয় রেসিপি পোস্ট দেখে কি খাওয়ার লোভ সামলানো যায় বলেন তো? মুরগির মাংসের মধ্যে ক্যাপসিকাম এবং টমেটো দেওয়ার কারণে মনে হয় এটার টেস্ট আরো দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল তাই না ভাইয়া। তবে রেসিপিটা কিন্তু দেখেই খাওয়ার লোভ লেগে গেল আমার। আশা করছি আপনি আগামীতে আরও দারুণ রকমের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। শুভ কামনা করছি আপনার জন্য ভাইয়া।
আমার বাসায় একদিন চলে আসবেন এভাবে মুরগির মাংস রান্না করে খাওয়াবো ইনশাআল্লাহ। ভিন্নভাবে কিছু রান্না করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আর রেসিপিটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।
মুরগির মাংস সবার খুব প্রিয় একটি খাবার।আপনি আজকে চমৎকার ভাবে মুরগির মাংস ভুনা করেছেন। ভীষণ লোভনীয় লাগছে রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার ভাবে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
মুরগির মাংস খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। চেষ্টা করেছি রন্ধন প্রণালী সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য যাতে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয়। মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মুরগির মাংস সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে ভুনা রেসিপি তৈরি করলে খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। আপনি দেখছি খুবই সুন্দর করে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে মুরগির মাংস ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন।তবে, আপনি মাংস ভুনার মধ্যে টমেটো দিয়েছেন, এজন্য একটু বেশি মজাদার হয়েছে রেসিপি টি। আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখে আমার জিহ্বায় জল চলে এসেছে।
যেকোনো রেসিপির মধ্যে টমেটো দিলে খেতে আলাদা একটা টেস্ট লাগে। টমেটো ও ক্যাপসিকাম দিয়ে রান্না করায় খেতে অন্যরকম একটা টেস্ট হয়েছিল। পোস্টটি পড়ে সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মুরগির মাংস কমবেশি সবারই পছন্দ। আর মুরগির মাংস ভুনা করলে তো কথাই নেই। আপনার রেসিপিটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। এভাবে ক্যাপসিকাম এবং টমেটো দিয়ে কখনো মুরগির মাংস ভুনা করে খাওয়া হয়নি। রেসিপিটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আর দেখতেও খুবই লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু মুরগির মাংস কমবেশি সবারই অনেক পছন্দের একটি খাবার। অবশ্যই একদিন এভাবে টমেটো আর ক্যাপসিকাম দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করে খাবেন আশা করি খারাপ লাগবে না।
টমেটো দিয়ে মুরগির মাংস খাওয়া হয়েছে তবে কখনো ক্যাপসিকাম দিয়ে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। কালার দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মুরগির মাংসের মধ্যে ক্যাপসিকাম দিলে অন্যরকম একটা ফ্লেভার পাওয়া যায়। কমিউনিটিতে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি পোস্ট করা হয় সেগুলো দেখে আমার অনেক ইচ্ছা জাগে খেতে। কিন্তু কি আর করার সেটা তো সম্ভব না। এজন্য ভিন্নভাবে রেসিপিগুলো তৈরি করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করি। খাওয়া হলো আবার পোস্ট করাও হলো।
আপনি আজকে একটু ভিন্ন ভাবে মুরগির মাংস রান্না করার রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখছি। আশা করি মাংসটা খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। আর আপনার উপস্থাপনাটাও বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই ভিন্ন স্টাইলে মুরগির মাংস রান্না করার রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিকই ধরেছেন ভাইয়া মাংস ভুনা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আমি চেষ্টা করি সব সময় ভিন্নভাবে কিছু রান্না করার। আপনার মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
টমেটো ও ক্যাপসিকাম দিয়ে মুরগির মাংস দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। রিজিকের মালিক সৃষ্টিকর্তা আমাদের রিজিকে যা থাকবে তাই খেতে হবে। মুরগির মাংস খেতে আমি পছন্দ করি। তবে বেশিরভাগ সময় মুরগির মাংস ভেজে রান্না করে খাওয়া হয়। আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো।
কথাটা শুনে ভালো লাগলো ভাইয়া অরিজিৎ এর মালিক মহান আল্লাহ তাআলা সে আমাদের ভাগ্যে যেটা রেখেছে সেটাই আমাদের খেতে হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।
মানুষের যখন ক্ষুধা লাগে তখন সে খিদের জ্বালাটা বোঝে। সেই সময় সামনে যা পায় তাই খেয়ে বসে থাকে। যাইহোক আপনি আজকে টমেটো ক্যাপসিকাম দিয়ে মুরগির মাংসের ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনি খুব চমৎকার ভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন। রেসিপি তৈরি করার প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ক্ষুধার্ত মানুষের সামনে যে খাবার দিবেন সেটাই তাদের কাছে অমৃত মনে হবে। চমৎকার হয়েছে কিনা সেটা তো বলতে পারব না তবে চেষ্টা করেছি সুন্দর ভাবে রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।