রেসিপি:ডিম ও মাংসের যুগলবন্দী।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
চলুন আজ একটা সহজ এবং মজাদার রান্নার রেসিপি আপনাদের দেখাই। । আশা করি, এই রান্নাটা প্রায় সকল দেশের মানুষই খেতে পারবে। হা হা হা। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, খাবার না পেলে একজন মানুষকে যে খাবার দেবেন সেই খাবারি সে খেতে বাধ্য।
ক্যানভা দিয়ে বানানো।
device:redmi note 10
প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ
–মুরগীর মাংস
–ডিম
–কাচামরিচ ফালি
– পেঁয়াজ বাটা
– আদা বাটা
– রসুন বাটা
– লাল মরিচ গুড়া
– হলুদ গুড়া
–তেজপাতা
–দারুচিনি
–মসলা
– লবন পরিমান মত
– তেল পরিমান মত
রন্ধন প্রণালী
ধাপ:-১:ডিম ও পানি ছাড়া উপরে উল্লেখিত সব কিছু দিয়ে দিলাম যে পাত্রে রান্না করবো সেই পাত্রেই। মুরগীর মাংস ছোট করে কেটে ভাল করে ধুয়ে নিয়েছি।সময় বাঁচানোর জন্য আমি এমনি রান্না করে থাকি।
ধাপ:-২:ভাল করে মাখিয়ে মিনিট ২০ রেখে দিয়েছিলাম।
ধাপ:-৩:ডিম সামান্য লবন পানিতে সিদ্ধ করে করে নিলাম। পানি এক বার ফুটে উঠাতেই নামিয়ে ফেলেছি।
ধাপ:-৪:এবার ডিম গুলো ছিলে এভাবে রেখে দিয়েছিলাম।
ধাপ:-৫:মাঝারি আঁচে ঢাকনা দিয়ে রান্না শুরু করলাম।
ধাপ:-৬:চুলার ধার ছেড়ে যাই নি। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নাড়িয়ে দিয়েছি।
ধাপ:-৭:মিনিট ২০ পরে এই অবস্থায় এসেছিল।
ধাপ:-৮:ঝোল কম এবং মাংস আর একটু মজলে ভাল হবে মনে করে এক কাপ গরম পানি দিয়ে ছিলাম।
ধাপ:-৯:কিছু পরেই এই অবস্থায় এসে গিয়েছিল।
ধাপ:-১০:এবার ডিম গুলোতে আঁচ কেটে নিয়ে দিয়ে দিলাম।
ধাপ:-১১:ভাল করে মিশিয়ে নিলাম। আরো মিনিট ৩/৪ ফুল আগুনের আঁচে ঢেকে গরম করলাম এবং ফাইন্যাল লবন দেখে নিয়ে। সামান্য লবন লেগেছিল। চুলা বন্ধ করে কিছুক্ষন ঢেকে রাখলাম।
ধাপ:-১২:পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।এখন একটা বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
ধাপ:-১৩:সত্যি এর স্বাদ অনেক দিন ভুলা যাবে না।হোটেলের চেয়ে আরো বেশী স্বাদের মনে হয়েছিল। আমি গরম ধোঁয়া উঠা ভাতের সাথে খেয়েছি। খেতে বসে বার বার মনে হয়েছিল।দুনিয়াতে উপরওয়ালা আমাদের জন্য কত কি খাবার রেখেছেন, তা বলে শেষ করা যায় না।আমরা বেঁচে থাকি খাবার খেয়ে এবং আশ্চর্য এই যে, প্রায় প্রতিদিন আমরা একই খাবার খাই না।কোথা থেকে কি আমাদের ভাগ্যে জুটে যায় তা চিন্তা করলে অবাক হতে হয়।আমরা জানি না, এর পরেই আমাদের কি খেতে হবে, কিন্তু কিছু না কিছু এসেই পড়ছে এবং আমরা তা খাচ্ছি! তবে প্রত্যেক মানুষের জন্য খাবারের একটা লিমিট বা পারমিশন আছে। মানুষ চাইলেও এর বেশি খাবার খেতে পারে না বা সম্ভব নয়।সেটাও উপরওয়ালার মেহেরবানী, বেশি খেলেও মরে, না খেলেও মানুষ মরে।
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
অনেকগুলো উপকরণ দিয়ে ডিম ও মাংসের চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ডিম ও মাংস একত্রিত করে রান্না করলে খেতে বেশ মজাদার লাগে। আপনার এই রেসিপি কালারটা খুবই চমৎকার হয়েছে। অত্যন্ত লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন ডিম ও মাংস একত্রিত করে রান্না করলে খেতে অনেক মজা হয়। রেসিপি তৈরি করতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে।
খুবই মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল তবে রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে, ডিম ও মাংসের যুগলবন্দি এই রেসিপিটি একদমই নতুন লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুস্বাদু কিছু তৈরি করতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। চেষ্টা করি লোভনীয় রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ডিম দিয়ে মাংসের যুগল বন্দী এটা ব্যাচেলরদের দাঁড়ায় রেসিপি করা সম্ভব হাহাহা মজা করলাম একটু।আমার পিসাত দাদা ডিম,মাংস, মাছ এক সাথে রান্না করতো বিয়ের আগে😃।যাই হোক ভাইয়া বুদ্ধি টা কিন্তুু খুব ভালো।অনেক লোভনীয় হয়েছে রান্না টি এবং সময়ও বেঁচে গেছে ডিম আলাদা করে রান্না করতে হয়নি।ধাপে ধাপে ডিম মাংসের যুগল বন্দীর রন্ধন প্রনালী চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে ধরনের রেসিপি ম্যাচে থাকতে অনেক তৈরি করেছি। অনেকদিন পর তৈরি করলাম খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিম ও মাংসের যুগলবন্দী দেখেই মজাদার মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে রেসিপিটা পরিবেশন করলেন। এই রেসিপি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
রেসিপি তৈরি দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে অনেক খুশি হলাম। সব সময় চেষ্টা করি সুস্বাদু রান্না করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ডিম এবং মাংস যদিও একসাথে কখনো রান্না করা হয়নি। তবে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই লাগবে। ভাইয়া আপনি এত সুন্দর করে এই মজার রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। দারুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম।
ডিম আর মাংস একসাথে রান্না করলে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। অন্যরকম একটা ফ্লেভার পাওয়া যায়। সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মাংস আলাদা রান্না করা হয়েছে। তবে এভাবে ডিম দিয়ে কখনো রান্না করিনি। কারণ ডিমের মধ্যে মশলা জাতীয় কোন কিছুই আসলে যায় না। তবুও মাঝে মাঝে ডিমের কোর্মা করা হয়। যাইহোক ভাইয়া দারুন একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আর এটা ঠিক বলেছেন উপরওয়ালা আমাদের জন্য কত কি রেখেছেন তা আমরা নিজেরাও জানিনা। কিন্তু শুকরিয়া আদায় করা দরকার।
এভাবে ডিম আর মাংস একসাথে রান্না করে খেতে আশা করি খারাপ লাগবে না। এই রেসিপিটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। সুগঠিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ ভাইয়া আপনি আজকে একটি ইউনিক রেসিপি তৈরি করেছেন। মাংসের সাথে ডিম এভাবে কোনদিন খাওয়া হয়নি, তবে আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখে বুঝলাম রেসিপি অনেক মজাদার হয়েছে। আপনি খুবই সুন্দর করে ডিম ও মাংসের যুগলবন্দী রেসিপি তৈরি করেছেন। আমি বাসায় এরকম সুন্দর রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করবো।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে বিভিন্ন ধরনের ইউনিক ইউনিক রেসিপি দেখতে পাই। যা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আমিও চেষ্টা করেছি নতুন একটা রেসিপি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার তৈরি রেসিপির নাম এই প্রথমবারের মতো শুনলাম ভাই। এভাবে আমি কখনো খাইনি। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপির সাথে পরিচিত হয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। সময় করে একদিন বাসায় তৈরি করে খাবো। আপনার রেসিপি পরিবেশন অনেক সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে।
এভাবে মাংসের সাথে ডিম রান্না করেছে দেখবেন আশা করি খারাপ লাগবে না। এ ধরনের খাবার আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।
ভাই সত্যি বলতে আপনার রেসিপি টা দেখে আমি রীতিমতো অবাক হয়েছি। এভাবে মুরগির মাংস এবং ডিমের রেসিপি আগে দেখিনি। তবে আপনার কথাগুলো শুনেই বুঝছি এটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। বেশ চমৎকার ছিল রেসিপি টা। রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন ভাই। দেখে অবশ্য লোভনীয় লাগছে। পাশাপাশি রেসিপি টার প্রতিটা ধাপ খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি।
ডিম এমন একটি খাবার যে কোন তরকারি সাথে খেতে বেশ ভালো লাগে। ডিমের সাথে মাংস এর আগে রান্না করেছিলাম। বেশ মজা হয়েছিল। সেজন্য আবার এভাবে রান্না করে খেলাম। মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।