ভ্রমণ: ঝিনাইদহের গাছবাড়ি।

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -২ রা, চৈত্র | | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || শনিবার||বসন্তকাল ||



আমি রাজু আহমেদ।আমার ইউজার নাম @md-razu।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।

তাহলে চলুন শুরু করি

নিজ হাতে ক্যামেরা নিয়ে কিছু প্রিয় মুহূর্ত বন্দী করার মজাই অন্যরকম।প্রকৃতির রুপ কার না ভালো লাগে।প্রকৃতির রুপ দেখে মানুষের মনে এক অনাবিল সুখ বয়ে যায়।


1710567777698-01.jpeg


ফটো-এডিটর দিয়ে বানানো।



গাছ বাড়ি।
device:redmi note 10
What's 3 Word Location:
https://w3w.co/slangy.lovesick.paint


আজ আপনাদের মাঝে গাছবাড়ি ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করবো। আশা করি এই এই পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমিও ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। আমার কিছু বন্ধু আছে তারাও ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। বন্ধুদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে মিল থাকলে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যেখানে দুচোখ যায় সেখানেই যেতে মন চায় মন শুধু চায় ছুটাছুটি করতে বিভিন্ন জায়গায়। অচেনা দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে।


1710558970295-01.jpeg


বেশ কিছুদিন আগের কথা। আমরা সবাই প্রতিদিন বাজারে গিয়ে আড্ডা দিয়ে থাকি। ঐদিনও কোন ব্যতিক্রম নয়। সবাই মিলে কিছু খাবার ক্রয় করে বাজারে আমাদের একটা বসার জায়গা আছে সেখানে বসে খাবার খাচ্ছিলাম। হঠাৎ এক বড় ভাই বলল আজকে একটা নিউজ দেখলাম। তখন আমরা সবাই বললাম ভাই কি নিউজ। বড় ভাই বলা শুরু করল চলো একদিন সময় করে আমরা ঝিনাইদাহ গাছ বাড়ি দেখতে যাই। আমি ভাইকে বললাম গাছবাড়ী মানে বুঝতে পারলাম না। ভাই তখন সব বিস্তারিত বলল এবং আমাদের ভিডিও দেখালো। ভিডিও দেখে তখন খুবই ভালো লাগছিল। একটা বাড়ির চারিদিকে এত পরিমান গাছ হতে পারে এটা জানা ছিল না। মূল কথা গাছ দিয়ে বাড়িতে ঢাকা ছিল। ভিডিওটি দেখে বাস্তবে গাছবাড়ী দেখার প্রতি আরো আগ্রহ জাগলো। তখন ভাইকে বললাম চলেন একদিন সময় করে আমরা ঘুরে আসি ঝিনাইদহ থেকে। আমাদের বাসা থেকে গাছবাড়ির দূরত্ব ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার হবে। ভাইকে বলার পর ভাই ও রাজি হয়ে গেল। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ভাই বলল বেশি সময় নেওয়া যাবে না কালকের মধ্যে আমাদের যেতে হবে। আমরাও সবাই রাজি হয়ে গেলাম। বলল সবাই খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে থাকবা। তারপর একটা ইজি বাইকে করে আমরা ছয় জন গাছ বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমরা একটু শর্টকাট পথ ধরার জন্য ভিতর দিয়ে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করলাম। ভেতর দিয়ে যেতে হলে একটা নদী পার হতে হবে। আর যদি হাই ওয়ে দিয়ে যেতে চাই তাহলে পথও বেশি হবে আবার সময় অনেক লাগবে। এজন্য আমরা শটকাট পথ ধরি। প্রায় ১২ থেকে ১৩ কিলোমিটার যাওয়ার পর একটা নদী পাড় হতে হয়। অবশ্য আমরা গাড়ির মধ্যে অনেক মজা করছিলাম। যেহেতু তখন আমাদের সবার বাইক ছিল না এজন্য বাইক নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় নাই। ইজিবাইকের মধ্যে অনেক ধরনের কথা ও মাঝে মাঝে গান গাওয়া শুরু করে দিচ্ছিলাম। অনেক আড্ডা দিতে দিতে আমরা নদীর পাড়ে যেয়ে পৌঁছায়। নদীতে বড় নৌকায় মানুষ পারাপার হয়ে থাকে। আমরাও ইজিবাইকটিকে নৌকার উপর উঠিয়ে নৌকা পারাপার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এই নদীটি আসলে গড়াই নদী হিসেবে পরিচিত। তখন নদীতে অনেক স্রোত ছিল। কিন্তু আমাদের চিন্তা ধারা অন্যরকম আমরা সবাই সাঁতার জানি। আর আমাদের সবার বাড়ি নদী থেকে দুই তিন কিলোর মধ্যে। নদী দেখে আমরা তেমন একটা ভয় পাই না। নদী পার হওয়ার পর যে গ্রাম পেলাম দেখতে আসলে অনেক সুন্দর ছিল। গ্রামের মধ্যে আঁকাবাঁকা রাস্তা রাস্তার দুই ধার দিয়ে সবুজ শ্যামল প্রকৃতি দেখতে দেখতে আমরা প্রায় চলে এসেছি। যখন এই গাছ বাড়ি থেকে পাঁচ ছয় কিলোমিটার দূরে তখন পথ হারিয়ে অন্যদিকে চলে যাই। তারপরও ফোনের ম্যাপ দেখে সঠিক রাস্তা ধরে গাছ বাড়িতে পৌঁছায়। গাছ বাড়িতে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা সময় লেগে যায়।


1710569018889-01.jpeg

1710569009619-01.jpeg


ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার লক্ষণদিয়া গ্রামে এই গাছবাড়ীটি অবস্থিত। সবুজে শ্যামলে বেষ্টিত এই গাছবাড়ীটি। আমরা প্রথমে যখন গাছ বাড়ির সামনে যাই তখন থেকেই বাড়িতে গেইট লক করা। মনে মনে তখন ভাবি এত দূর থেকে যেহেতু আসলাম এখন যদি গাছ বাড়ি দেখতে না পাই তাহলে অনেক খারাপ লাগবে। তখন আশেপাশের কিছু মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করি যে গাছ বাড়ি ওপেন হবে কখন। তারাও কিছু সমাধান দিতে পারল না। বললেন এখানে যে কেয়ারটেকার থাকে সে হয়তো বাসায় খাইতে গেছে। আসলে হয়তো খুলে দিতে পারে। আমরা গেটের সামনে অনেক সময় অপেক্ষা করি। প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর কেয়ারটেকার আসলো। তাকে অনেক অনুরোধ করার পর গেইট খুলল। ভিতরে ঢুকতেই সবুজের মধ্যে হারিয়ে গেলাম।


1710569000373-01.jpeg


এই গাছ বাড়িতে প্রায় ৫০০০ ধরনের গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছ দেখতে অনেক সুন্দর। এখানে আসলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে।আর প্রকৃতির মধ্যে আসলে মন মানসিকতা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। কিছু স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে শোনা। এখানে নাকি আগে কাপড়ের গার্মেন্টস ছিল। করনার কারণে ব্যবসা লস হওয়ায় মালিক সিদ্ধান্ত নেয় বাড়িটি অন্যরকমভাবে সাজাবে। এই মালিকের অনেকগুলো গার্মেন্টস ছিল। আর সে দেশ-বিদেশ ঘুরতে অনেক পছন্দ করত। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন দেশ ঘোরাঘুরির কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের গাছ নিয়ে এসে এই বাড়িতে রোপণ করতো। রোপন করার কারণে এই গাছগুলো দেখতে অনেক সুন্দর হওয়ার পর সে চিন্তা ভাবনা করলো এই বাড়িটি গাছ দিয়ে ঢেকে দিবে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ প্রায় ৫০০০ গাছ নিয়ে সে বাড়িতে রোপন করে। দু তলা বিশিষ্ট এই বাড়িটি অনেক বড়ই। বাড়ির ছাদে কয়েকটি বড় গাছ ছিল। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। বাড়ির দেয়ালের চারপাশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হয়।


1710559234556-01.jpeg

1710559213451-01.jpeg

1710559191615-01.jpeg


আপনারা হয়তো লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন দেয়ালের পাশে গাছের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করবে। দেয়ালের চারপাশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। যা দেখতে আসলে অনেক সুন্দর। কিছু কিছু গাছের সাথে পরিচিত ছিলাম কিন্তু বেশিরভাগ গাছ অচেনা। এই কাজগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে বলে আমাদের অচেনা। সবুজ প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে দিতে আমার খুবই ভালো লাগে। কারণ সবুজ প্রকৃতির মাঝে গেলে বুক ভরে সতেজ নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। এই অক্সিজেন এ কোন ধরনের জীবাণু থাকে না। আমরা বাড়ির চারপাশ দিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করি। যেখানে যাই সেখানেই শুধু গাছ আর গাছ। এ বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগানো আছে যা দেখে আপনাকে মুগ্ধ করবে। বাড়িতে অনেক ধরনের গাছ লাগানোর ফলে এর সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।



1710559041869-01.jpeg

1710559118278-01.jpeg

1710559140659-01.jpeg

1710559166534-01.jpeg


বাগানের পাশে একটা সাইন বোর্ড টানানো আছে। এখানে লেখা আছে গাছের ভিতরে প্রবেশ নিষেধ। আমরা সব রুলস রেগুলেশন মেনেই গাছ দেখি। ফুল বাগানে যেতে ই অনেক ভালোলাগা শুরু করল। ফুল বাগানের টবে করে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগানো আছে। যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। এই ফুল গাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে বাড়ির ভিতরে জায়গায় রোপন করা হবে। বলতে পারেন এটা এই বাড়ির নার্সারি। প্রায় দুই ঘন্টা বাড়িটি ভালোভাবে উপভোগ করি।



1710559079799-01.jpeg

1710559019737-01.jpeg



গাছ বাড়ি চারদিকে ঘুরাঘুরি কর আমরা আবার গাছ বাড়ির সামনে আসি। তখন দেখি যমুনা টেলিভিশন থেকে সাংবাদিক আসছে একটা রিপোর্ট করার জন্য। সে রিপোর্ট করার জন্য এক বড় ভাই ও এক বন্ধুকে কিছু প্রশ্ন করবে গাছ বাড়ি সম্পর্কে। তারা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য রাজি হয়ে গেল। বলতে পারেন গাছবাড়ি সম্পর্কে ইন্টারভিউ। দুইজনার গাছবাড়ি সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করল তারাও পজেটিভ উত্তর দিল। তারপর আমরা কিছু নিজেদের ফটোগ্রাফি করি। আসলে গাছবাড়িতে ঘুরতে এসেছি যদি নিজেদের কিছু ফটোগ্রাফি না করি তাহলে স্মৃতি হিসেবে তো কিছু থাকবে না। তারপর পুকুর পাড়ে গিয়ে কিছু সময় গল্প করার পর আমরা গাছবাড়ি ত্যাগ করি। সবাই মিলে একটা রেস্টুরেন্ট থেকে কিছু খেয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই। আশা করি গাছ বাড়ি ভ্রমণের গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।




আমার পরিচয়

IMG-20240308-WA0014.jpg

আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।


ধন্যবাদ সবাইকে


standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 6 months ago 

গাছ বাড়ি নামটা যেমন সুন্দর দেখতেও তেমন সুন্দর জায়গাটা।আর বাড়ির মালিক কাপড়ের ব্যবসায় লস হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব সুন্দর একটা কাজ করেছে।গাছ যেমন পরিবেশ বান্ধব হয়ে কাজ করছে ঠিক তেমনি সুন্দর একটি বাড়ি হয়ে গেল।বন্ধুদের নিয়ে ভ্রমণ করতে আসলেই খুব মজা লাগে।আপনার পোস্ট টা দেখে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি করতে আমার বেশ ভালো লাগে। এই গাছ বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে যা দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এই পোস্টটি দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম। সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো যেন আমি নিজেই গাছবাড়ির সেই সবুজ শ্যামল পরিবেশে হারিয়ে গেছি। আপনার লেখনীতে প্রকৃতির প্রতি আপনার গভীর ভালোবাসা এবং ভ্রমণের প্রতি আপনার উৎসাহ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। ধন্যবাদ এমন একটি সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

প্রকৃতি আমাকে সব সময় ভালো কিছু দিয়ে আসছে। প্রকৃতি আমাকে কোন সময় নিরাশ করে নাই। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আসলে গাছবাড়ি সবুজ শ্যামলে পরিপূর্ণ। খুবই সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম এই গাছ বাড়িতে। সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 6 months ago 

বাড়িটির নাম গাছবাড়ি রাখা বেশ যুক্তিযুক্ত হয়েছে। আসলেই একটি বাড়ির চারপাশে এত গাছ থাকতে পারে এটা না দেখলে বিশ্বাস হতো না। বেশ কয়েক ধরনের গাছ রয়েছে দেখছি। আর সেগুলো খুব সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করে রাখা হয়েছে যার কারণে আরো বেশি ভালো লাগছে দেখতে। পুরো বাড়িটি সবুজে ঘেরা। চারপাশে সবকিছুতেই সবুজের ছোঁয়া রয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।

 6 months ago 

প্রায় 5000 গাছ দিয়ে বাড়িটি পরিপূর্ণভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে এর জন্য বাড়িটির নামকরণ করা হয়েছে গাছ বাড়ি। আপনি ঠিকই বলেছেন ডেকোরেশন খুবই সুন্দর ভাবে হয়েছে। এই গাছ বাড়িতে গেলে মন হবে সবুজের মাঝে আপনি রয়েছেন। সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে বড় ভাইয়ের সাথে ঝিনাইদহের গাছ বাড়ি দেখতে গিয়েছিলেন। মাঝে মাঝে আসলে এরকম ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে আমরা সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসি এবং পছন্দ করি। আর যেহেতু জায়গাটার নাম গাছবাড়ী তার মানে বোঝাই যাচ্ছে গাছ দিয়ে ভরপুর পুরো জায়গাটা। খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে গাছ বাড়ির বর্ণনা তুলে ধরেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আসলে গাছ বাড়িতে অনেকদিন আগে যাওয়া। তখন আপনি লেখাপড়ার জন্য শহরে থাকতেন। আসলেই বড় ভাই ব্রাদার দের সাথে ঘোরাঘুরির মধ্যে অন্যরকম একটা মজা পাওয়া যায়। সেটা আপনি অনেকবার পেয়েছেন। ঈদের ছুটিতে বাসায় গেলে বাইক নিয়ে গাছ বাড়ি ঘুরে আসবো আবার।

 6 months ago 

নিজের মানসিকতার বন্ধু পাওয়া খুব ভাগ‍্যের। যেমনটা আপনি পেয়েছেন। ঘোরাঘুরি করলে নিজের অনেক অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাই। ঝিনাইদহ এর শৈলকুপা আমি তো বেশ কয়েকবার গিয়েছি। কিন্তু এই গাছবাড়ির নাম কখনো শুনিনি। সত্যি বেশ চমৎকার ছিল। এককথায় অসাধারণ। কী সুন্দর সবুজ কী সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ। এই বাড়িতে ৫০০০ এর উপরে গাছ আছে এটা সত্যি বেশ অবাক করা কথা। বেশ দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই এখানে।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

বলতে পারেন আমাদের সার্কেল টাই অন্যরকম। সবার মন-মানসিকতা একই রকম। এরকম বন্ধু পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। শৈলকুপা উপজেলার লক্ষণদিয়া গ্রামে এই গাছ বাড়ি অবস্থিত। বাড়িটি দেখলে আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য করবে। বাড়িতে সবুজের কোন কমতি নেই। এক কথায় অসাধারণ। ধন্যবাদ সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 57983.67
ETH 2465.71
USDT 1.00
SBD 2.41