ভ্রমণ: মহেরা জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইল (পর্ব-৩)
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১২, জ্যৈষ্ঠ | | ১৪৩১বঙ্গাব্দ || রবিবার||গ্রীষ্মকাল ||
নিজ হাতে ক্যামেরা নিয়ে কিছু প্রিয় মুহূর্ত বন্দী করার মজাই অন্যরকম।প্রকৃতির রুপ কার না ভালো লাগে।প্রকৃতির রুপ দেখে মানুষের মনে এক অনাবিল সুখ বয়ে যায়।
ফটো-এডিটর দিয়ে বানানো।
device:redmi note 10
What's 3 Word Location:
https://w3w.co/retracted.velocities.selecting
আজ আপনাদের মাঝে মহেরা জমিদার বাড়ি ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি এই এই পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমিও ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। আমার কিছু বন্ধু আছে তারাও ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। বন্ধুদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে মিল থাকলে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যেখানে দুচোখ যায় সেখানেই যেতে মন চায় মন শুধু চায় ছুটাছুটি করতে বিভিন্ন জায়গায়। অচেনা দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে।
আমার পোস্ট হয়তো যারা ফলো করেছেন তারা বুঝবেন ঘোরাঘুরি করতে আমি অনেক পছন্দ করি। বিভিন্ন অচেনা জায়গায় ভ্রমণ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। প্রকৃতির অনিন্দ্য নিকেতন মহেরা জমিদার বাড়ির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। বহু বছর আগের নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে মহেরা জমিদার বাড়ি। নিভৃত পল্লীতে ছায়া-ঘেরা পাখি টাকা নির্মল নির্ঝর শান্ত পরিবেশ আকুল করে পর্যটকদের।একবার নয় বারবার এই সৌন্দর্য দেখার হাতছানি দিয়ে আমন্ত্রণ জানায় এখানকার রকমারি দেশী-বিদেশী ফুলের সমারোহ ও সুশোভন বাহারী পাতাবাহার দ্বারা পরিবেষ্টিত ফুলের বাগান। চারিদিকে নানা বৈচিত্রের ফুলের সমারোহ।
এই পুকুরটার নাম রানীপুকুর। জমিদাররা তখন এই পুকুর গুলোর নামকরণ করে রেখেছিল। অবশ্য রানি পুকুরের নামকরণ করার সার্থকতা আমার জানা নেই। তবে পুকুরের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য হবে। পুকুরের মাঝখানে একটি ছোট ঘর তৈরি করে রাখা। যা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। বিভিন্ন কারু কাজে ঘরের চালা তৈরি। দেখতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আমরা ঘরে যেয়ে অনেক ফটোগ্রাফি করি। আরেকটা মজার বিষয় পুকুরের পানিতে বিভিন্ন ধরনের বৈদেশিক মাছ চাষ করা হয়ে থাকে
এ মাছের কালার গুলো কোনটা সোনালী এবং কিছু মাছ বাদামি। যা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। মূলত পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুকুরে এ ধরনের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়ে থাকে। ঘরের মধ্যে একটা জমিদারি চেয়ার রাখা ছিল। আমার কাছে মনে হল এটা তখনকার আমলের চেয়ার। বিভিন্ন মানুষ সেখানে বসে নিজের ছবি তুলছে। পুকুরের মাঝে ঘরে গিয়ে কিছু রাশিয়ান মানুষদের সাথে দেখা হয়েছিল। অবশ্য তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ ভিন্ন ছিল। আমরা সেখানে বসে কিছু সময় কাটানোর পর আবার অন্যদিকে চলে যায় ঘোরার জন্য।
ফুলের সৌন্দর্য নিয়ে কথা বললে সারাদিন বলেও শেষ করা যাবে না। ফুল হলো ভালোবাসার প্রতীক। ফুলকে ভালোবাসে না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফুলের সৌন্দর্য দেখে সব সময় আমি মুগ্ধ হই। এইতো আমাদের বাড়ির পাশে একটা ফুলের বাগান থেকে এই ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম। যদিও এই ফুলটার নাম আমি রঙ্গন ফুল হিসাবে চিনে থাকি। তবে এর অন্য কোন নাম আমার জানা নেই।ফুলের দিকে তাকালে চোখ ফেরানো যায় না। এই ফুলের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য করবে। আসলে ফুল হলো সৌন্দর্যের প্রতীক।তেমনি ফুল আমাকে মুগ্ধ করেছে। চেষ্টা করেছি ফটোগ্রাফিটি সুন্দর করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আশা করি এই ফুলটির ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
এখন বসন্তকাল চলছে আর এই বসন্তকালে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফুটে থাকে চারিদিকে ফুলের ফটোগ্রাফি করতে আমার বেশ ভালো লাগে।এই ফুলটা অনেক আকর্ষণীয় একটি ফুল। ফুলটার কালার হলুদ হওয়ায় দেখতে অনেক সুন্দর দেখায়। বিভিন্ন ধরনের বাড়ির গেটে এই ফুল গাছ লাগানো হয়ে থাকে। ফুলের কালার টা আমাকে অনেক আকর্ষণীয় করেছে এজন্য ফটোগ্রাফি টা করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। ফুলটা অনেকটা গাঁদা ফুলের মত। তবে দুঃখের বিষয় একটা ফুলের নাম জানি অন্য একটি ফুলের নাম জানিনা। চন্দ্রমল্লিকা ফুল আমার অনেক পরিচিত। তবে আরেকটি ফুলের নাম আমার জানা নেই। এ ধরনের ফুল মহেরা জমিরদার বাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। বসন্তকাল হওয়ায় সব ধরনের ফুল ফুটে আছে।
আপনি একবার গেলে আপনাকে বারবার যেতে বাধ্য করবে এই মহেরা জমিদার বাড়ির সৌন্দর্য। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে এই মহেরা জমিদার বাড়ি অনেক জনপ্রিয়। বিশাল এলাকা জুড়ে বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্যে ভরা এই জমিদার বাড়ি। এই জমিদার বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে। যা আপনি উঠতে পারবেন। এবং একটি চিড়িয়াখানা রয়েছে চিড়িয়াখানাটিতে অনেকগুলো হরিণ এবং কয়েকটি প্রাণী আছে। চিড়িয়াখানার গল্প শেয়ার করব পরের পর্বে। এই জমিদার বাড়িতে পুলিশের বিভিন্ন নিদর্শন এর চিত্র ও সামগ্রী রাখা হয়েছে। যা দেখে মানুষ অনেক আকর্ষিত হয়।
প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য দেখতে হলে আপনাকে এখানে এসে ভিজিট করতে হবে। কারণ মহেরা জমিদার বাড়ি প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ভরপুর। আমাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছিল মহেরা জমিদার বাড়িটি। এই জমিদার বাড়ির অপরূপ সৌন্দর্য বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না। প্রত্যেকটাই রাজপ্রাসাদ মনে হবে একেকটা তাজমহল। কারণ এই রাজ প্রাসাদ গুলো তাজমহলের মতই দেখতে। আজ এই পর্যন্তই পরবর্তীতে নতুন একটা পর্ব নিয়ে হাজির হব।
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
এভাবে পাশে থেকে সব সময় সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন এটা ভেবে অনেক ভালো লাগে। শুভকামনা রইল
শুরুতেই ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটি ভীষণ সুন্দর । আমার তো যেতেও ইচ্ছা করছে। হ্যাঁ আজকাল কোথাও ঘুরতে গেলে রাশিয়ান বা বিদেশি পর্যটক দেখা যাচ্ছে। ভালই লাগে তাদের দেখতে ।আর কোন পার্কে বা কোন স্থানে গেলে জিনিসের কি পরিমাণ যে দাম নেই তারা। আমার তো বেশ ভালো লাগে এমন সুন্দর প্রকৃতি আর নির্জন জায়গা দেখতে।
আপনি ঠিকই বলেছেন জায়গাটি আসলে অনেক সুন্দর। আমাদের সাথেও রাশিয়ান কিছু লোকের দেখা হয়েছিল। জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
আগের একটা পর্ব তো দেখেছিলাম সম্ভবত। অনেক আগে শেয়ার করেছিলেন মনে হয়। ঝালমুড়ির কথাও সেদিন পোষ্টের মধ্যে বলেছিলেন। যাই হোক, আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও ভীষণ ভালো লাগলো। জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। বিশেষ করে জমিদার বাড়িটা অসাধারণ লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। যেখানে টাঙ্গাইলের জমিদার বাড়ি আমাদের মাঝে দারুন ভাবে ফটো ও বর্ণনার সাথে উপস্থাপন করেছেন। আর আপনার এ পোস্ট পড়ে কিন্তু বেশ ধারণা পেলাম এ জমিদার বাড়ি সম্পর্কে।
ঘোরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি। সেই থেকে টাঙ্গাইলে জমিদার বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম।
টাঙ্গাইলের এই জনপ্রিয় জমিদার বাড়ি দেখে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি জমিদার বাড়ি দেখেই তো ভ্রমণ করতে ইচ্ছে করছে। আর চারপাশের পরিবেশ খুবই সুন্দর মনে হচ্ছে। ফুলগুলো দেখেও ভালো লাগলো ভাইয়া।
টাঙ্গাইলের এই জমিদার বাড়ি অনেক সুন্দর। প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য ভরপুর। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য