বন্ধুত্ব কী? (পর্ব-১)
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১২ অগ্রহায়ন| ১৪৩০বঙ্গাব্দ।সোমবার| হেমন্তকাল|
আমি রাজু আহমেদ।আমার ইউজার নাম @md-razu।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তাহলে চলুন শুরু করি
- আজ আপনাদের মাঝে যে ঘটনাটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। সেই ঘটনাটি আমার জীবনের সাথে জড়িত ।আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি ঘটনাটি লিখেছি। সেই দিনের কথা মনে পড়লে এখনো আমার খুবই কষ্ট লাগে।। আমার বন্ধুটা আমার থেকে হারিয়ে গেল ।।আশা করি গল্পটা আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
শীতকাল , সকালে মাঝেমধ্যে ঘন কুয়াশা পড়ে । শীতের তীব্রতাও বেশি । সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও এরই মধ্যে রেকর্ড করা হয়েছে । হারপিক কিনলে যেমন মগ ফ্রি , তেমনি শীতের সাথে থাকছে কুয়াশা ফ্রি । ছাত্রজীবনে আছি । ডিপ্লোমা শেষ করে বি এস সির ছাত্র । জীবনের সূচনা মাত্র । অনেকটাই এখনো বাকী আছে । বি,এস,সি পড়তে বাড়ির বাইরে থাকতে হয় । কারন ইউনিভার্সিটি বাড়ি থেকে অনেক দূরে । আত্মীয় - স্বজনদের বাসা এখানে না থাকায় , থাকতে হয় মেসে তথা ব্যাচেলর ছাত্রাবাসে । মেসে এসে দেখলাম এখানে সকাল হয় ১০ টায় , দুপুর হয় ৩ টায় , রাত হয় ১২ টায় ।
আর নতুন বলে , গভীর রাত কখন হয় তা জানা নেই । বাড়ির মত সকাল সাড়ে ছয়টা বা সাতটার সময় কিছুতেই মন চায় না লেপ , কাঁথা , বিছানার মায়া ছেড়ে উঠি । তাই উঠি উঠি করেও মনে হয় আমি যেন বিছানার সাথে বাঁধা আছি । বাইরে কিছুর একটা শব্দ শুনেই ঘুমটা ভেঙ্গে গেল । ঘড়ের দরজা খুলে দেখলাম খালা রান্না করতে এসেছে আর যেই তার তাজমহলের দরজা খুলেছে সেই টুং - টাং করে শব্দ হয়েছে । বাইরে প্রচুর কুয়াশা , মনে হচ্ছে রাস্তায় গেলে সামনের হেডলাইট জ্বালানো মটরসাইকেলটাকেও দেখতে পাবো না ।
কুয়াশা থেকেই শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে গেল । গায়ে কাপুনি আর মনে ভয় নিয়ে ফিরে গেলাম অতি পরিচিত , অতি আপন , অতি প্রিয় বিছানায় । আশ্রয় নিলাম তখনকার বেস্ট ফ্রেন্ড লেপ , কাঁথার নিচে এবং অন্য জগতে নিজেকে আবিষ্কারের চেষ্টা করতে লাগলাম । অংকন এসেছে । এই সকালে এত দুর থেকে কত কষ্ট করে এসেছে । ট্রেনে এসেছে শীতে ও রীতিমতো কাঁপছে । এখান থেকে ওর বাড়ি প্রায় শত কিলোমিটার দূরে । ও আমার বন্ধু । আর শুধু বন্ধুই নয় , আমার অন্তরের দোস্তও বটে । আমার সকল সহপাঠীদের মধ্যে ওর আর আমার সম্পর্কটা ছিল সবচেয়ে ঘনিষ্ট , এখনও তাই । অংকন আর আমি একসাথে ষষ্ট থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিলাম । আমাদের দোস্ত সম্পর্কটা হয়েছিল কাগজে টিপসই করে । তারপর থেকে ওর সাথে আমার মোবাইলে যোগাযোগ । দু'দিন পরপর যখন ওকে মোবাইলে কল করতাম , তখন মোবাইল রিসিভ করে ওর বাবা খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলতেন , আমি বিজয় । তারপর ওকে ডেকে দিতেন।আর কথা বলতাম । ওরা জাতিতে হিন্দু , কিন্তু ওদের সাথে আমার খুব ভাল সম্পর্ক । আমার বাড়ি থেকে ওর বাড়ি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে । দূরে হলেও যোগাযোগ হয় ঠিকই | গোপাল আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম । নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছি না । বোকার মত ওকে প্রশ্ন করলাম , কিরে দোস্ত এত সকালে তুই আসলি কি করে ? আমার প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়েই বললো “ এত বেলা পর্যন্ত কেউ ঘুমায় , ওঠ । ” কেমন আছিস ? নতুন জায়গায় কেমন লাগছে । এত বেলা পর্যন্ত ঘুমালে পড়িস কখন ? আমি বললাম , ভালো আছি । নতুন জায়গায় ভালই লাগছে । এখন সকাল ৮:৪৬ ।
এখানে সকাল হয় ১০ টায় । তাই ঘুমাই সকাল না হওয়া পর্যন্ত । তুই কেমন আছিস ? বাড়ির সবাই কেমন আছে ? কাকুর মাছের ব্যবসা আর তোর পড়ালেখার অবস্থাই বা কি ? উত্তরে ও বললো , আমার আর থাকা ! থাকবি তো তোরা , বড় জায়গায় আছিস । বাড়ির সবাই ভালো আছে । বাবার মাছের ব্যবসা চলছে আগের মতই । আমার পড়ালেখা গ্রামের কাদার রাস্তায় চলা গরুর গাড়ির মতো একটু চলে আর একটু বাধে । আবার চলতে শুরু করে তো আবার বাধে । বলেই একটা ছোট্ট হাসি । প্রথম প্রশ্নটা আবার করলাম এত সকালে তুই আমার ঠিকানায় আসলি কি করে ? তোকে চমকে দেওয়ার জন্য তোর বাড়ি গিয়ে তোর ঠিকানা নিয়ে রাতের ট্রেন ধরে চলে এসেছি । এসেছি একটা কারনে , আমার আগের মোবাইলটা নষ্ট হয়ে গেছে । এখান থেকে তোর পছন্দ মতো একটা নতুন ভালো মোবাইল কিনে দিবি । বিনা দ্বিধায় রাজি হলাম । প্রিয় সঙ্গীদের রেখে রওনা হলাম মোবাইল মেলায় । পথে হাটতে হাটতে কত কথা ।
![children-887393__480.webp](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmNTGNCHfESLYLUhL4N66CNaTEbQ4JVfqfenk7Y6LZzAFo/children-887393__480.webp)
ধন্যবাদ সবাইকে
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfRETShxA5EQdPmpF6ChkQd5MkXJPifATT3TZdvk5sEC1/standard_Discord_Zip.gif)
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
![gPCasciUWmEwHnsXKML7xF4NE4zxEVyvENsPKp9LmDaFuzVwHnY92rponrLLcEknitVG5yvYaPTExVtjfc6Bi4cvC9ppuyLmaATGbhg8UF4suiCxVfuw2YuSWJftJo9C74dQUN2WE1yNJmdtXp.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTUoBdbXMUrPP7giixvsX7399Jye58G8LYgq3JgJq1DTR/gPCasciUWmEwHnsXKML7xF4NE4zxEVyvENsPKp9LmDaFuzVwHnY92rponrLLcEknitVG5yvYaPTExVtjfc6Bi4cvC9ppuyLmaATGbhg8UF4suiCxVfuw2YuSWJftJo9C74dQUN2WE1yNJmdtXp.png)
💞 আল্লাহ হাফেজ 💞
![k75bsZMwYNtze9xHvT6xWCdz7q3QGD35ZKdaPpVrFksWkDGMy52wVotParwf9eYo99FhcDG9yRVNaQxotVf91vSjAbxytemWEpH4UCMBVKo32iMz6Mc3c23ZDcBfZ1ESGR5dcG9hmK3xvsmcahC4GSPabbvtjdepn.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQme3ehQsUs7xw25pkznFEMPWUmLbrzHA5vUQt6eMeXJ4YK/k75bsZMwYNtze9xHvT6xWCdz7q3QGD35ZKdaPpVrFksWkDGMy52wVotParwf9eYo99FhcDG9yRVNaQxotVf91vSjAbxytemWEpH4UCMBVKo32iMz6Mc3c23ZDcBfZ1ESGR5dcG9hmK3xvsmcahC4GSPabbvtjdepn.png)
Posted using SteemPro Mobile
তাহলে চলুন শুরু করি
- আজ আপনাদের মাঝে যে ঘটনাটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। সেই ঘটনাটি আমার জীবনের সাথে জড়িত ।আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি ঘটনাটি লিখেছি। সেই দিনের কথা মনে পড়লে এখনো আমার খুবই কষ্ট লাগে।। আমার বন্ধুটা আমার থেকে হারিয়ে গেল ।।আশা করি গল্পটা আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
শীতকাল , সকালে মাঝেমধ্যে ঘন কুয়াশা পড়ে । শীতের তীব্রতাও বেশি । সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও এরই মধ্যে রেকর্ড করা হয়েছে । হারপিক কিনলে যেমন মগ ফ্রি , তেমনি শীতের সাথে থাকছে কুয়াশা ফ্রি । ছাত্রজীবনে আছি । ডিপ্লোমা শেষ করে বি এস সির ছাত্র । জীবনের সূচনা মাত্র । অনেকটাই এখনো বাকী আছে । বি,এস,সি পড়তে বাড়ির বাইরে থাকতে হয় । কারন ইউনিভার্সিটি বাড়ি থেকে অনেক দূরে । আত্মীয় - স্বজনদের বাসা এখানে না থাকায় , থাকতে হয় মেসে তথা ব্যাচেলর ছাত্রাবাসে । মেসে এসে দেখলাম এখানে সকাল হয় ১০ টায় , দুপুর হয় ৩ টায় , রাত হয় ১২ টায় ।
আর নতুন বলে , গভীর রাত কখন হয় তা জানা নেই । বাড়ির মত সকাল সাড়ে ছয়টা বা সাতটার সময় কিছুতেই মন চায় না লেপ , কাঁথা , বিছানার মায়া ছেড়ে উঠি । তাই উঠি উঠি করেও মনে হয় আমি যেন বিছানার সাথে বাঁধা আছি । বাইরে কিছুর একটা শব্দ শুনেই ঘুমটা ভেঙ্গে গেল । ঘড়ের দরজা খুলে দেখলাম খালা রান্না করতে এসেছে আর যেই তার তাজমহলের দরজা খুলেছে সেই টুং - টাং করে শব্দ হয়েছে । বাইরে প্রচুর কুয়াশা , মনে হচ্ছে রাস্তায় গেলে সামনের হেডলাইট জ্বালানো মটরসাইকেলটাকেও দেখতে পাবো না ।
কুয়াশা থেকেই শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে গেল । গায়ে কাপুনি আর মনে ভয় নিয়ে ফিরে গেলাম অতি পরিচিত , অতি আপন , অতি প্রিয় বিছানায় । আশ্রয় নিলাম তখনকার বেস্ট ফ্রেন্ড লেপ , কাঁথার নিচে এবং অন্য জগতে নিজেকে আবিষ্কারের চেষ্টা করতে লাগলাম । অংকন এসেছে । এই সকালে এত দুর থেকে কত কষ্ট করে এসেছে । ট্রেনে এসেছে শীতে ও রীতিমতো কাঁপছে । এখান থেকে ওর বাড়ি প্রায় শত কিলোমিটার দূরে । ও আমার বন্ধু । আর শুধু বন্ধুই নয় , আমার অন্তরের দোস্তও বটে । আমার সকল সহপাঠীদের মধ্যে ওর আর আমার সম্পর্কটা ছিল সবচেয়ে ঘনিষ্ট , এখনও তাই । অংকন আর আমি একসাথে ষষ্ট থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিলাম । আমাদের দোস্ত সম্পর্কটা হয়েছিল কাগজে টিপসই করে । তারপর থেকে ওর সাথে আমার মোবাইলে যোগাযোগ । দু'দিন পরপর যখন ওকে মোবাইলে কল করতাম , তখন মোবাইল রিসিভ করে ওর বাবা খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলতেন , আমি বিজয় । তারপর ওকে ডেকে দিতেন।আর কথা বলতাম । ওরা জাতিতে হিন্দু , কিন্তু ওদের সাথে আমার খুব ভাল সম্পর্ক । আমার বাড়ি থেকে ওর বাড়ি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে । দূরে হলেও যোগাযোগ হয় ঠিকই | গোপাল আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম । নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছি না । বোকার মত ওকে প্রশ্ন করলাম , কিরে দোস্ত এত সকালে তুই আসলি কি করে ? আমার প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়েই বললো “ এত বেলা পর্যন্ত কেউ ঘুমায় , ওঠ । ” কেমন আছিস ? নতুন জায়গায় কেমন লাগছে । এত বেলা পর্যন্ত ঘুমালে পড়িস কখন ? আমি বললাম , ভালো আছি । নতুন জায়গায় ভালই লাগছে । এখন সকাল ৮:৪৬ ।
এখানে সকাল হয় ১০ টায় । তাই ঘুমাই সকাল না হওয়া পর্যন্ত । তুই কেমন আছিস ? বাড়ির সবাই কেমন আছে ? কাকুর মাছের ব্যবসা আর তোর পড়ালেখার অবস্থাই বা কি ? উত্তরে ও বললো , আমার আর থাকা ! থাকবি তো তোরা , বড় জায়গায় আছিস । বাড়ির সবাই ভালো আছে । বাবার মাছের ব্যবসা চলছে আগের মতই । আমার পড়ালেখা গ্রামের কাদার রাস্তায় চলা গরুর গাড়ির মতো একটু চলে আর একটু বাধে । আবার চলতে শুরু করে তো আবার বাধে । বলেই একটা ছোট্ট হাসি । প্রথম প্রশ্নটা আবার করলাম এত সকালে তুই আমার ঠিকানায় আসলি কি করে ? তোকে চমকে দেওয়ার জন্য তোর বাড়ি গিয়ে তোর ঠিকানা নিয়ে রাতের ট্রেন ধরে চলে এসেছি । এসেছি একটা কারনে , আমার আগের মোবাইলটা নষ্ট হয়ে গেছে । এখান থেকে তোর পছন্দ মতো একটা নতুন ভালো মোবাইল কিনে দিবি । বিনা দ্বিধায় রাজি হলাম । প্রিয় সঙ্গীদের রেখে রওনা হলাম মোবাইল মেলায় । পথে হাটতে হাটতে কত কথা ।
আপনি এই সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন ভাইয়া যেমন হারপিক কিনলে মগ ফ্রি, তেমনি শীতের সাথে কুয়াশা ফ্রি।শীতকালে সকালে বরং হাঁটতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার আর অংকন ভাইয়ের বন্ধুত্ব দেখে, আমি মুগ্ধ হলাম। ঢাকা শহরে থাকলে ভাইয়া, কেমন একটা চেঞ্জ হয়ে যায় নিজের ভেতর। আমরা বাড়িতে যেমন সকাল-সকাল ঘুমিয়ে পড়ি, ওখানে যে কখন সময় চলে যায়।প্রতিটা মানুষ প্রিয় মানুষের কাছে আনন্দ, সুখ ও প্রশান্তি খুঁজে পায়। তেমনি আপনার বন্ধু আপনার কাছে এসেছে, নতুন মোবাইল কেনার জন্য। আপনি প্রিয় সঙ্গী কে নিয়ে চলে গেলেন মোবাইলমেলায়। আপনাদের বন্ধুত্ব টিকে থাকুক আজীবন
আমাদের বন্ধুত্ব অনেক ছোট থেকে। তার সাথে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। ঢাকা শহরে থাকলে টাইম টেবিল অন্যরকম হয়ে যায়। সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
শহর আর গ্রামের মধ্যে অনেক ফারাক ভাইয়া গ্রামে যখন যাই আমি বাবার বাসায় তখন সন্ধ্যার পরে ঘুম লেগে যায় চোখে আর যখন শহরের বাসায় থাকি তখন বারোটা বাজলেও চোখে ঘুম আসে না। আপনি খুবই সুন্দর উদাহরণ দিয়ে আজকের ব্লগটি লিখেছেন। বন্ধুত্বের টান অন্যরকম।যেমন আপনার বন্ধু আপনাকে ভালোবাসে তাই অতদূর থেকে আপনার কাছে এসেছে। খুবই ভালো ভাইয়া পোস্টটি পড়ে।
আমাদের বন্ধুত্ব অনেক অটুট। তার সাথে আমার সব ধরনের বিষয়ে অনেক মিল আছে। দুইজনের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনেক ভালো।
খুবই সামান্য একটি বিষয় আপনি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। পড়তেই ভালো লাগছিল। বন্ধু শত কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে আপনার কাছে এসেছে ভালো একটি মোবাইল কেনার জন্য আপনি পছন্দ করে না কিনে দিলে কি হয়। আসলে ছাত্র জীবনে শহরের লোকজনের এরকম অবস্থাই থাকে। সকাল হয় দশটায় আর রাত হয় বারোটায়। যাইহোক কিছু কিছু বন্ধুত্ব থাকে এমন যে যার উপরে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। ভালো লাগলো আপনাদের বন্ধুত্ব দেখে।
আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন অনেক ঘনিষ্ঠ। আমার কথা সে মেনে চলে এবং তার কথা আমিও অনেক রেসপেক্ট করি। আর একটা কথা ঠিকই বলেছেন গ্রাম আর শহরের অনেক পার্থক্য।
বন্ধুত্ব মানে একটা অনাবিল প্রশান্তির জায়গা। আমারও এমন অনেক বন্ধু ছিল তবে সব হারিয়ে গেছে সময়ের পরিক্রমায়। মেস কিংবা হোস্টেল লাইফটা আমার সেরা সময়, সেই গভীর রাতে ঘুম আর দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা। এখনো সব মনে পরে যায় ক্ষনে ক্ষনে। যাইহোক আপনার বন্ধু তাহলে ঠিকানা নিয়ে চলেই এলো। মোবাইল নেয়া কি হয়েছিল, সামনের পর্বে জানা যাবে।
যে বন্ধু সুখ-দুঃখে পাশে থাকে সেই তো প্রকৃত বন্ধু। আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। মূল কাহিনী তো এখনো পড়ে রয়েছে শেষ পর্বে জানতে পারবেন।
আপনি দারুণ একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। তবে পড়া লেখার জন্য নতুন কোন জায়গায় গেলে একটু উলট পালট হয়ে।গ্রামের মধ্যে থাকলে সকাল সকাল উঠা যায়।তবে আপনাদের বন্ধুত্বের কাহিনি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। পরের পর্ব গুলো আশা করি খুবই সুন্দর হবে।পরের পাঠ দেখার জন্য এবং পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খুব শীঘ্রই পরের যে পাঠ দেখতে পারবেন আশা করি। বন্ধুত্ব এমনই হওয়া উচিত। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখেছেন। যেটা সম্পূর্ণভাবে পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। পুরো পোস্টটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আপনি বন্ধুত্ব কি এই বিষয়টা নিয়ে লিখেছেন পুরোটা দেখে ভালো লেগেছে। এটা কিন্তু একেবারে সত্য কথা বললেন, শীতের সাথে কুয়াশা ফ্রি। আপনার বন্ধু আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। এবং কি আপনাকে চমকে দেওয়ার জন্য তিনি অনেক দূর থেকে এসেছেন, এ বিষয়টা ভালো লেগেছে।
আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক খুবই গভীর। তার সাথে আমার অনেক মিল। দুইজন দুইজনকে ছাড়া কল্পনাও করা যায় না। সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আসলে ভাইয়া বন্ধুত্ব সবচেয়ে আপন জিনিস। এটা একদম সত্যি ভাইয়া শীতের সাথে কুয়াশা ফ্রি। আর বর্তমান সবারই একই অবস্থা রাতে জেগে থাকা আর সকালে ঘুম। আর বন্ধুত্বের সম্পর্ক সম্পূর্ণ আলাদা।যাইহোক অবশেষে আপনার বন্ধু ঠিকানা নিয়ে আপনাদের বাড়িতে এসেছে জেনে ভালো লাগলো। দেখা যাবে পরবর্তী পর্বে কি হলো।
পরবর্তী পর্বে কি মোবাইল কিনেছে
হোস্টেল লাইফ এরকমই হয়ে থাকে। কিভাবে রাত পার হয়ে যায় টের পাওয়া যায় না। তবে হোস্টেল লাইফে ঘুমানোর অনেক মজা। বিরক্ত করার মানুষ থাকে না। সেটা পরবর্তী পোস্ট দেখলেই বুঝতে পারবেন।
ও রাজু ভাই, দারুণ লিখার হাত কিন্তু আপনার। লিখেছেন দারুণ, তবে লেখার ফন্ট এত ছোট দিয়েছেন কেন?বেশ কষ্ট করে পড়তে হয়েছে কিন্তু! আর কাগজে টিপসই দিয়ে বন্ধুত্ব শুরুর ব্যাপারটা কি সেটা জানতে ভীষণ ইচ্ছে করছে.... জানাবেন?
এরকম অনেক প্রথা গ্রাম অঞ্চলে চালু রয়েছে। জাস্ট মজার ছলে এরকম বন্ধুত্ব শুরু করা। তার আর আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক গভীর। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
বাহ্ সুন্দর লিখছো।