জেনারেল রাইটিং:স্মৃতির পাতায়।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২২ শে,জ্যৈষ্ঠ | | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ||বুধবার ||গ্রীষ্মকাল||
আমি রাজু আহমেদ।আমার ইউজার নাম @md-razu।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তাহলে চলুন শুরু করি
পৃথিবীর ৫০০ কোটি মানুষের ৫০০ কোটি নিঃসঙ্গতা । জানালার ধারে একটি করুন মুখ আর মায়া ভরা দুটি চোখ উদাস মনে ছাদে বা মধ্যরাতে তারার সঙ্গে কথা বলা কিশোর - কিশোরী নতমুখী পথচারী কর্মজীবি মানুষ আরও অনেক দীর্ঘশ্বাস । এরই মাঝে ছাত্র - ছাত্রীর এবং বালক বালিকার ছোট্ট বেলার দিনের স্মৃতি , স্কুল , কলেজ Life টা এত ছোট্ট যে , পুরাপুরী সবকিছু বুঝে নাই উঠতে আগেই কেন সব হাসি , সব আনন্দ হৃদয়ের পাতায় সেনালী অক্ষরে ভালোবাসার কালী দিয়ে সবাই লিখে ফেলে স্মৃতি পাতায় । ক্লাসের এক মিনিট হয়ত সময়ের ফাঁকে কলেজের মাঠে গাছের ছায়ায় , কখনোও পুকুরটির পাড়ে , কখনো কখনো রুমে । কখনো লাইব্রেরিতে কখনো বা ফুল বাগানে বন্ধু - বান্ধবীদের সাথে হাসি - ঠাট্টা গল্প করতে করতে সময়গুলো যে কখন কোন নিমিষে পার হয়ে যায় বোঝাই যায় না । সবার আগে সব সময় স্কুল জীবনটার স্মৃতিগুলো প্রস্ফুটিত হয়ে থাকে ।
স্কুলে প্রতি সংস্কৃতির অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি আমি । সবার সাথেই আমার বন্ধুত্ব ছিল । কিন্তু চারজন নিয়ারেষ্ট বান্ধবী ছিল আমার । আমরা চারজন ক্লাসে এত পরিচিত এত মিল ছিল যে কেউ যদি একদিন না আসত আমাদের মন খারাপ হয়ে থাকত । খারাপ হয়ে থাকলে প্রায় সবাই একবার করে প্রশ্ন করত ব্যাপারটা কি ? এমন কি শিক্ষকগন পর্যন্ত জানতে চেত । সেই ১০ টা থেকে একটানা ক্লাসের পর টিফিনের সময়টুকু ছিল আমাদের কাছে খুবই আনন্দের , খুবই প্রিয় , ঘন্টা বাজতে না বাজতেই টিফিন নিয়ে চলে যেতাম ক্যান্টিনে বা পুকুর পাড়েও যেতম দু'একদিন ।
সেখানে সবাই মিলে কি আনন্দ হত । কিন্তু প্রায়ই আমরা চারজন বান্ধবী খাবার ক্যান্টিনে থাকতাম । দু'একদিন খেতে খেতে কেউ আমারে বলত , কবিতা বলতে , কেউ বলত গান বলতে , কেউ বলত ধাঁ - ধাঁ বলতে , কেউ বলত ইংরাজিতে এই গানটা বল I Love You , You Love Me . এভাবেই খাবার ক্যান্টিনটা আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠত । একদিন টিফিনে আমরা পিয়াজী আর বাদাম খাচ্ছি পুকুর পাড়ে । গল্প কবিতা গান ও কৌতুক নিয়ে হাসতে হাসতে হঠাৎ এক বান্ধবী পুকুর পাড় থেকে পানির মধ্যে পড়ে গেল । তাকে আমরা সবাই ধরতে গেলাম এবং ধরতে গিয়ে সেকি স্মৃতির দৃশ্য দেখা দিল ।
সেই দৃশ্যের কথা আমি কখনো ভুলবো না । এমনই হাজার স্মৃতি লুকিয়ে আমার স্মৃতির পাতায় যা এত অল্প পরিসরে বর্ণনা করা সম্ভব নয় । আজ স্কুল ত্যাগ করে কলেজ জীবন চারিদিকে নতুনের গানের সুর । আমাদের মত সবাই একদিন স্কুল প্রাক্তন হয়ে যাবে , কলেজ জীবন ও ভার্সিটি জীবনে গাইবে সবাই আমাদের সাথে সুর মিলিয়ে “ দিন গুলি মোর সোনার খাঁচার রইল না , সেই যে আমার নানা রঙ্গের দিনগুলি ”
আমার পরিচয়
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
💞 আল্লাহ হাফেজ 💞
VOTE @bangla.witness as witness
OR
তাহলে চলুন শুরু করি
পৃথিবীর ৫০০ কোটি মানুষের ৫০০ কোটি নিঃসঙ্গতা । জানালার ধারে একটি করুন মুখ আর মায়া ভরা দুটি চোখ উদাস মনে ছাদে বা মধ্যরাতে তারার সঙ্গে কথা বলা কিশোর - কিশোরী নতমুখী পথচারী কর্মজীবি মানুষ আরও অনেক দীর্ঘশ্বাস । এরই মাঝে ছাত্র - ছাত্রীর এবং বালক বালিকার ছোট্ট বেলার দিনের স্মৃতি , স্কুল , কলেজ Life টা এত ছোট্ট যে , পুরাপুরী সবকিছু বুঝে নাই উঠতে আগেই কেন সব হাসি , সব আনন্দ হৃদয়ের পাতায় সেনালী অক্ষরে ভালোবাসার কালী দিয়ে সবাই লিখে ফেলে স্মৃতি পাতায় । ক্লাসের এক মিনিট হয়ত সময়ের ফাঁকে কলেজের মাঠে গাছের ছায়ায় , কখনোও পুকুরটির পাড়ে , কখনো কখনো রুমে । কখনো লাইব্রেরিতে কখনো বা ফুল বাগানে বন্ধু - বান্ধবীদের সাথে হাসি - ঠাট্টা গল্প করতে করতে সময়গুলো যে কখন কোন নিমিষে পার হয়ে যায় বোঝাই যায় না । সবার আগে সব সময় স্কুল জীবনটার স্মৃতিগুলো প্রস্ফুটিত হয়ে থাকে ।
স্কুলে প্রতি সংস্কৃতির অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি আমি । সবার সাথেই আমার বন্ধুত্ব ছিল । কিন্তু চারজন নিয়ারেষ্ট বান্ধবী ছিল আমার । আমরা চারজন ক্লাসে এত পরিচিত এত মিল ছিল যে কেউ যদি একদিন না আসত আমাদের মন খারাপ হয়ে থাকত । খারাপ হয়ে থাকলে প্রায় সবাই একবার করে প্রশ্ন করত ব্যাপারটা কি ? এমন কি শিক্ষকগন পর্যন্ত জানতে চেত । সেই ১০ টা থেকে একটানা ক্লাসের পর টিফিনের সময়টুকু ছিল আমাদের কাছে খুবই আনন্দের , খুবই প্রিয় , ঘন্টা বাজতে না বাজতেই টিফিন নিয়ে চলে যেতাম ক্যান্টিনে বা পুকুর পাড়েও যেতম দু'একদিন ।
সেখানে সবাই মিলে কি আনন্দ হত । কিন্তু প্রায়ই আমরা চারজন বান্ধবী খাবার ক্যান্টিনে থাকতাম । দু'একদিন খেতে খেতে কেউ আমারে বলত , কবিতা বলতে , কেউ বলত গান বলতে , কেউ বলত ধাঁ - ধাঁ বলতে , কেউ বলত ইংরাজিতে এই গানটা বল I Love You , You Love Me . এভাবেই খাবার ক্যান্টিনটা আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠত । একদিন টিফিনে আমরা পিয়াজী আর বাদাম খাচ্ছি পুকুর পাড়ে । গল্প কবিতা গান ও কৌতুক নিয়ে হাসতে হাসতে হঠাৎ এক বান্ধবী পুকুর পাড় থেকে পানির মধ্যে পড়ে গেল । তাকে আমরা সবাই ধরতে গেলাম এবং ধরতে গিয়ে সেকি স্মৃতির দৃশ্য দেখা দিল ।
সেই দৃশ্যের কথা আমি কখনো ভুলবো না । এমনই হাজার স্মৃতি লুকিয়ে আমার স্মৃতির পাতায় যা এত অল্প পরিসরে বর্ণনা করা সম্ভব নয় । আজ স্কুল ত্যাগ করে কলেজ জীবন চারিদিকে নতুনের গানের সুর । আমাদের মত সবাই একদিন স্কুল প্রাক্তন হয়ে যাবে , কলেজ জীবন ও ভার্সিটি জীবনে গাইবে সবাই আমাদের সাথে সুর মিলিয়ে “ দিন গুলি মোর সোনার খাঁচার রইল না , সেই যে আমার নানা রঙ্গের দিনগুলি ”
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
পতিতা পোস্টে সুন্দরভাবে অল্প পরিমাণ পরিমান সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি নেক্সট দিনেও সাপোর্ট পেয়ে যাব।
বন্ধুদের এই সুন্দর মুহূর্তগুলো আমার জীবনেও এসেছিল তখন আপনাদের মত এমন অনেক সুন্দর ,সুন্দর মুহূর্ত গুলো উপভোগ করতাম যাই হোক। সেই স্মৃতিগুলো আজকে মনে পড়ে গেল আপনার পোস্ট টি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে ভাই । আপনার জন্য শুভকামনা এবং শ্রদ্ধা রইল।
স্কুল লাইফের কথা কখনো ভুলে যাবার নয়। এমন কোন দুষ্টামি করি নাই যা বন্ধুদের সাথে করা যায়। তবে দোয়া করি বন্ধুগুলো যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক।
চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন ভাই। স্কুল জীবনটার স্মৃতিগুলো এখন ও মনে পড়লে ভীষণ ভালো লাগে। বন্ধু বান্ধবীদের সাথে কত না দুষ্টামি। সময় গুলো খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়। আর সব কিছু আমাদের স্মৃতি হয়ে যায়। পুকুর পারে গল্প আড্ডা দিতে দিতে আপনার এক বান্ধবী পুকুরে পরে যায়। এধরনের ঘটনা গুলো হয়ে থাকে। আপনার লেখা গুলো পড়ে আমার জীবনের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। ভালো লাগলো ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
স্কুল লাইফে বন্ধুদের সাথে যে স্মৃতিগুলো আছে তা কখনো ভুলে যাবার নয়। যদি এখনো সেই বন্ধুগুলোর সাথে দুষ্টামি আনন্দ করতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ
আপনি জীবনের স্মৃতির পাতা থেকে খুব সুন্দর একটি স্মৃতি শেয়ার করলেন। স্কুল জীবনের বন্ধু-বান্ধবের কথা ভুল যায় না সহজে পড়ে তাদের কথা। অনেক সুন্দর সময় ছিলো আপনাদের। সবাই মিলে আড্ডা দিতেন গাইতেন খাওয়া দাওয়া করতেন।এত সুন্দর স্মৃতি আমাদের সাথে আপনি খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করলেন লিখে। আপনার শেয়ার করা স্মৃতি পড়তে পেরে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন ঈদের মধ্যে সব বন্ধুগুলো একসাথে হলে কত গল্প গুজব হয়ে থাকে। সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে এখন খুবই খারাপ লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য।