কিছু পাওয়ার আশা।(পর্ব-২)||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য||
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২২ শে চৈত্র| ১৪২৮ বঙ্গাব্দ |মঙ্গলবার| বসন্তকাল|
আমি রাজু আহমেদ।আমার ইউজার নাম @md-razu।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তাহলে চলুন শুরু করি
আজ আপনাদের মাঝে একটা বাস্তব কাহিনী শেয়ার করতে যাচ্ছি। ।আশাকরি আমার লেখা কাহিনীটা আপনাদের ভালো লাগবে।
সকালে উঠে সে বাসা থেকে বের হলো । সে প্রথম একা বাসা থেকে বের হলো । ওদের বাসার কাছেই এক হাতুড়ে ডাক্তার ছিল । ওমর ডাক্তারকে অনেক অনুরোধ করলো ঔষুধ দেওয়ার জন্য ।
ডাক্তার ওমরের কথা শুনে দয়া করে তাকে ঔষুধ দিলো । ওমরের বাসার কাছেই ওই ডাক্তার থাকতো । শুধু রাস্তার এই পার আর ওই পার । ওমর ঔষুধ পেয়ে খুশিতে দৌড়ে দিয়ে রাস্তা পার হতে গেল । কিন্তু সে কোনদিন রাস্তা পার হয়নি । এজন্য তার রাস্তা পার হওয়া সম্পর্কে কোন জ্ঞান ছিল না ।
সে কিছু বুঝার আগেই একটা ট্রাক তাকে ধাক্কা দিল । আর ট্রাক ড্রাইভার বুঝতে পেরেই দ্রুত ট্রাক টান দিল । যার ফলে ওমর ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে গেল ।
আর ওমরের হাত থেকে ঔষুধ পড়ে গিয়ে ঔষুধের বোতল ভেঙ্গে গেল । এই দিকে ওমরের মা অপেক্ষা করছে , যে তার ছেলে কখন ফিরে আসবে । হঠাৎ সে মানুষের চিল্লাচিল্লি শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখে ওমরের লাশ মাটিতে পড়ে আছে । আর পাশে ভাঙ্গা ঔষুধের বোতল পড়ে আছে । ওমরের মা দৌড়ে এসে ওমরকে জড়িয়ে ধরলো আর বলল তুই আমাকে ছেড়ে কোথায় গেলি । আমি এখন কাকে নিয়ে বাঁচবো । তুই না আমাকে ঔষুধ খাওয়াবি । আমি এসেছি দেখ ওমর আমাকে ঔষুধ খাওয়াবি না । তারপর মানুষ ওমরের লাশটাকে রাস্তার ধারে নিয়ে গেল । ওমরের মা চিৎকার করে কাঁদতে লাগল । তারপর সে অনেকক্ষণ পর ছেলের লাশটাকে রেখে কাঁদতে কাঁদতে ওই ম্যাডামের বাসায় গেল । বললো ম্যাডাম আমার ছেলেটা মারা গেছে । আমাকে কিছু টাকা দিবেন । আমি ছেলেটাকে দাফন করবো । বাড়ির ম্যাডাম তাকে বলল তুই আমার বাসা থেকে বের হয়ে যা । এতদিন চোর ছিলি , এখন তো দেখছি তুই মিথ্যাবাদীও হয়ে গেছিস । ওমরের মা আবার ছেলের লাশের পাশে এসে বসলো । রাতে সে দুই রাস্তার মাঝে যে জায়গা থাকে সেখানে ছেলেকে কবর দিল আর কেউ যাতে বুঝতে না পারে এজন্য সে অনেকগুলো ইট ছেলের কবরের উপর বিছিয়ে দিল । বলল ওমর বাবা তুই ভয় পাস না । আমি তোর সাথেই থাকবো । তোকে ছেড়ে কোথাও যাব না । এভাবে আস্তে আস্তে ওমরের শোকে তার মা পাগল হয়ে যায় । কিন্তু সে সব সময়ই ওই জায়গাতেই বসে থাকতো ।
এখনও কুষ্টিয়ার ওই রাস্তার ওই জায়গায় তাকে বসে থাকতে দেখা যায় । সে প্রায় সময়ই বলে আমার ওমর আসবে , আসবে আমার ওমর । ঔষুধ নিয়ে আসবে ।
তাহলে চলুন শুরু করি
আজ আপনাদের মাঝে একটা বাস্তব কাহিনী শেয়ার করতে যাচ্ছি। ।আশাকরি আমার লেখা কাহিনীটা আপনাদের ভালো লাগবে।
সকালে উঠে সে বাসা থেকে বের হলো । সে প্রথম একা বাসা থেকে বের হলো । ওদের বাসার কাছেই এক হাতুড়ে ডাক্তার ছিল । ওমর ডাক্তারকে অনেক অনুরোধ করলো ঔষুধ দেওয়ার জন্য ।
ডাক্তার ওমরের কথা শুনে দয়া করে তাকে ঔষুধ দিলো । ওমরের বাসার কাছেই ওই ডাক্তার থাকতো । শুধু রাস্তার এই পার আর ওই পার । ওমর ঔষুধ পেয়ে খুশিতে দৌড়ে দিয়ে রাস্তা পার হতে গেল । কিন্তু সে কোনদিন রাস্তা পার হয়নি । এজন্য তার রাস্তা পার হওয়া সম্পর্কে কোন জ্ঞান ছিল না ।
সে কিছু বুঝার আগেই একটা ট্রাক তাকে ধাক্কা দিল । আর ট্রাক ড্রাইভার বুঝতে পেরেই দ্রুত ট্রাক টান দিল । যার ফলে ওমর ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে গেল ।
আর ওমরের হাত থেকে ঔষুধ পড়ে গিয়ে ঔষুধের বোতল ভেঙ্গে গেল । এই দিকে ওমরের মা অপেক্ষা করছে , যে তার ছেলে কখন ফিরে আসবে । হঠাৎ সে মানুষের চিল্লাচিল্লি শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখে ওমরের লাশ মাটিতে পড়ে আছে । আর পাশে ভাঙ্গা ঔষুধের বোতল পড়ে আছে । ওমরের মা দৌড়ে এসে ওমরকে জড়িয়ে ধরলো আর বলল তুই আমাকে ছেড়ে কোথায় গেলি । আমি এখন কাকে নিয়ে বাঁচবো । তুই না আমাকে ঔষুধ খাওয়াবি । আমি এসেছি দেখ ওমর আমাকে ঔষুধ খাওয়াবি না । তারপর মানুষ ওমরের লাশটাকে রাস্তার ধারে নিয়ে গেল । ওমরের মা চিৎকার করে কাঁদতে লাগল । তারপর সে অনেকক্ষণ পর ছেলের লাশটাকে রেখে কাঁদতে কাঁদতে ওই ম্যাডামের বাসায় গেল । বললো ম্যাডাম আমার ছেলেটা মারা গেছে । আমাকে কিছু টাকা দিবেন । আমি ছেলেটাকে দাফন করবো । বাড়ির ম্যাডাম তাকে বলল তুই আমার বাসা থেকে বের হয়ে যা । এতদিন চোর ছিলি , এখন তো দেখছি তুই মিথ্যাবাদীও হয়ে গেছিস । ওমরের মা আবার ছেলের লাশের পাশে এসে বসলো । রাতে সে দুই রাস্তার মাঝে যে জায়গা থাকে সেখানে ছেলেকে কবর দিল আর কেউ যাতে বুঝতে না পারে এজন্য সে অনেকগুলো ইট ছেলের কবরের উপর বিছিয়ে দিল । বলল ওমর বাবা তুই ভয় পাস না । আমি তোর সাথেই থাকবো । তোকে ছেড়ে কোথাও যাব না । এভাবে আস্তে আস্তে ওমরের শোকে তার মা পাগল হয়ে যায় । কিন্তু সে সব সময়ই ওই জায়গাতেই বসে থাকতো ।
এখনও কুষ্টিয়ার ওই রাস্তার ওই জায়গায় তাকে বসে থাকতে দেখা যায় । সে প্রায় সময়ই বলে আমার ওমর আসবে , আসবে আমার ওমর । ঔষুধ নিয়ে আসবে ।
টুইটার লিংক
❤️❤️❤️❤️🌹🌹🌹🌹🌹🥀🥀🥀
আপনার লেখার ধরণ অনেক ভালো। আপনি খুব সুন্দর গুছিয়ে লিকছেন। আসলে লেখা লেখি করলে সাজিয়ে গুছিয়েই লেখা উচিত। আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।
আপনার উৎসাহ মূলক মন্তব্য পেয়ে অনেক খুশি হলাম ভাইয়া ।।আশা করি এভাবে সব সময় পাশে থাকবেন।। সুন্দর মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।।
আসলেই গল্পের শেষটা অনেক কষ্টের ছিল। খুব কষ্ট পেলাম আমিও গল্পের সাথে মিশে গিয়ে ছিলাম ।আমাদের মাঝে এত সুন্দর গল্প লিখে উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার এই প্রতিভা কাজে লাগালে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন।
আমি যখন গল্পটা লিখছিলাম তখন আমার চোখের কোনায় পানি চলে এসেছিল ।।কারণ এভাবে ওমরের অকাল মৃত্যু হবে। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।।
আপনি খুব ভালো ব্লগ লিখেন ভাইয়া । লেখালিখির অভ্যাস হয়তোবা আপনার আগে থেকেই ছিল । লেখার ধরন অনেক ইউনিক এবং গোছানো। সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া । এভাবেই চালিয়ে যেতে থাকেন । আর আমাদের কমিউনিটিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন
আমি কমিউনিটিতে ইউনিক ইউনিক পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করি।। আর লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।। আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক উৎসাহিত হলাম ।।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।।