প্রসঙ্গ:-রাস্তার পাশে ফুড রিভিউ||আমার বাংলা ব্লগ||১০% to @shy-fox
শুভেচ্ছা ও স্বাগতম
আমি মো : আশিকুজ্জামান আশিক। বাংলাদেশ থেকে আপনাদের মাঝে।সকলকে জানাই শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি সকল ভাই ও বোনেরা এবং এই কমিউনিটির সকল মডারেটর এবং ফাউন্ডার। আশা করি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে।
তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবার হাজির ফুড রিভিউ নিয়ে। রাস্তার পাশে চাইনিজ খাবারের একটি ফুড রিভিউ নিয়ে। দোকানের নাম মিকাডো চাইনিজ।
তিন বন্ধু মিলে বসেছিলাম ম্যাচে তো আজকে কিছু অন্য খেতে ইচ্ছা করছিল। এই বলে বের হয়ে গেলাম তিনজন কিছু খাওয়ার জন্য। অবশেষে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এই চাইনিজ দোকান টি চোখের সামনে পরল এবং সবাই বললাম যে চল এখানেই কিছু খাওয়া যায়। কারণ ম্যাচে রান্না হয়নি আর আমাদের বেশ ভালই খুদা লেগেছিল আমরা হালকা-পাতলা নাস্তা করার পরেও তাও কেন জানি না খিদা লেগে গেছিল এজন্যই আমরা বের হয়েছিলাম খাবারের উদ্দেশ্যে। তো ওখানে খেতে বসে ভাবলাম এই দোকানের ফুড রিভিউ করেই ফেলি। অনেকদিন ধরে লক্ষ্য করলেও এখানে কখনো খাওয়া হয়নি আর আমাদের মেসের পাশেই ছিল এই চাইনিজ ফুডের দোকানটি।
তো গিয়ে দেখলাম সব কিছু বেশ ভালোই গরম আছে। দোকান এবং খাবারের পরিবেশটা বেশ ভালই ছিল। তাই খেতে আর কোন দ্বিধামত না করে আমরা বসে পরলাম খেতে।
১. | ফ্রাইড রাইস অ্যান্ড চিকেন |
---|---|
২. | নুডুলস |
৩. | থাই সুপ |
৪. | ভেজিটেবল রোল |
৫. | ফ্রেন্স ফ্রাই |
তো আমরা চিকেন ফ্রাইড রাইস অর্ডার করছিলাম। চিকেন লেগ পিস সহ অর্ডার করলে দাম 50 টাকা ছিল। আর লেগ পিস না নিলে 35 টাকা। 50 টাকা করে চিকেন ফ্রাইড রাইস অর্ডার দিলাম। 2 মিনিট বসে থাকতেই গরম হয়ে চলে আসলো আমাদের সামনে এবং ক্ষুধায় চটপট করে খেয়ে নিলাম।
তবে ফ্রাইড রাইস তার স্বাদ একটু ভিন্ন ছিল এবং দারুন ভালো লেগেছে আমার কাছে। হালকা মিষ্টি ছিল এবং ঝাল ও ছিল। সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিল ফ্রাইড রাইস। ফ্রাইড রাইস নিয়েই খাওয়া শুরু এবং তিন বন্ধু মিলে আড্ডা দিলাম।
বেশ ভালই ছিল মুহূর্তটা খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি বেশ ভালই আড্ডা হলো। খাওয়া শেষে তিনজন 50 টাকা করে দিলাম দিয়ে বের করে দেড়শ টাকা মোট বিল টা দিয়ে দিলাম। তারপর কেমন জানি লাগলো আমার দোকানে এসে একটি কোকাকোলা কিনলাম। এবং তিন বন্ধু মিলে খেয়ে ম্যাচে চলে আসলাম।
তবে এই সব সময় বড় বড় রেস্টুরেন্টে খাওয়ার চেয়ে রাস্তার পাশের দোকানগুলোতেও অনেক সুন্দর খাবার পাওয়া যায়। বেশিরভাগ টাইম আমরা রাস্তার পাশেই খাবার খাই কিন্তু মুল্য দেয়না। তো সব শেষে এই ছিল আজকে।
ফুড রিভিউ ফ্রাইড রাইসের রেটিং আমার কাছে 10 এর মধ্যে 8 ½। |
---|
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের মত দেখা হবে আবারও পরবর্তী কোন ব্লগে ততদিন ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবার প্রতি দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মো: আশিকুজ্জামান আশিক।বাংলাদেশ থেকে। আমি একজন ছাত্র। দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করি।আমি সব সময় কথায় না কাজে বিশ্বাস করি।আর আমি স্বাধীন প্রিয় মানুষ।মনের বিরূদ্ধে কোনো কাজ করি না।নতুন নতুন বিষয় জানতে ও শিখতে খুব আগ্রহী আর নতুন কোন কিছু শিখতে পারলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।আমার সখ বই পড়া,গান শুনা এবং ঘোরাঘুরি যা আমার বেশ ভালো লাগে।
আপনার আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করা রাস্তার পাশে ফুড রিভিউ টি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর দেখে খুব ভালো লাগলো আমার। আর যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
এসব যায়গার স্ট্রিট ফুড গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমি আর আমার এক বন্ধু আছে আকাশ। ও আর আমি প্রায় ই বসুন্ধারায় গেলে এই টাইপ এর ফুড গুলা ট্রাই করি। অনেক মজা লাগে। বলতে গেলে আমি নুডলস এর ফ্যান। এরা কিভাবে যে এতো মজা করে বানায় কে জানে। যাক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ভাই,আপনাদের এই ফুড রিভিউ এর মূহুর্ত পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। এটা কিন্তু সত্যি,রাস্তার পাশে তৈরি করা কিছু খাবার খেতে খুবই ভালো লাগে। মাঝে মাঝে কিছু মূহুর্ত সেখানে খুব ভালোভাবেই কাটানো যায়।
আসলে উচ্চাভিলাষী রেস্টুরেন্টে যে প্রশান্তি মীলে না রাস্তার ধারে তার চেয়ে বহুগুণে আরাম পাওয়া যায়। যারা আপনাদের খাওয়া দাওয়া ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব দারুণ উপভোগ করেছেন বিষয়টি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।