প্রতিদিন কাজ করতে সবার ভালো লাগেনা লাগার কথা না কারন আমরা মানুষ। যন্ত্র হলে আমাদের কোন ক্লান্তি থাকতো না সপ্তাহের সাতদিনের মধ্যে একটা দিন শুক্রবার যেন অলস হয়ে যাই। অন্যরা কিরকম বলতে পারবোনা আমি নিজেই শুক্রবারে কোথাও যেতে চাই না কেউ মন খারাপ করলেও না। আমার মন চায় আমি সারাদিন শুধু ঘুমাই কিন্তু আজ আর ঘুমাতে পারলামনা। আজ বিকালে আর কলিজার টুকরা দুইটা আমার কাছে বায়না ধরেছে তারা ঘুরতে যাবে। আমার ১৪ মাসের ছেলে সেও নাকি ঘুরতে যাবে। ভালো করে কথা বলতে পারে না কিন্তু ওর অঙ্গভঙ্গি স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয়। ওদের হাসিখুশি মুখটা আমার কি নষ্ট করে দেয়া উচিৎ তাই ইচ্ছা না করলেও যাওয়ার জন্য তৈরি হলাম।
বাড়ি থেকেতো বের হলাম কিন্তু যাব কোথায় বুঝতে পারছিনা। এমনিতেই যাব কি যাবনা করতে অনেক বিলম্ব হয়ে গেছে প্রায় সন্ধ্যা হয় হয় অবস্থা তার উপর আজকের আবহাওয়াটা কেমন যেনো মনমরা হয়ে আছে। আজকে নতুন করে একটু ঠাণ্ডা বেশি লাগছে তাই ভাবছি দূরে কোথাও যাবো না কাছাকাছি একটা ভালো জায়গা আছে গেলে মন্দ হয়না। খুব কাছেই জায়গাটা রেল স্টেশনের প্লাটফর্ম হয়ে গেলে পেয়ে হাটা পথ ঘুরে গেলে রিকশায় যেতে হয়। তাই চিন্তা করলাম হেঁটেই যাবো।
#
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ-১০ |
| লোকেশন | w3w location |
| ফটোগ্রাফার | মাইদুল ইসলাম |
যেমন চিন্তা তেমন কাজ সোজা প্লাটফর্ম এর দিকে হাটা শুরু করলাম। কাছেই কিছু লোক চারা রোপন করা জমিতে নিরানী দিচ্ছিল দেখে খুব ভালই লাগলো।
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ-১০ |
| লোকেশন | w3w location |
| ফটোগ্রাফার | মাইদুল ইসলাম |
প্লাটফর্ম এর ঠিক পাশেই কড়াই গাছটা দেখে খুব ভালো লাগলো আমি আগেও অনেকবার দেখেছি কিন্তু কখনো সেভাবে ফিল করি নাই।
বাইরে এসেই একটা ফুলের বাগান দেখত পেলাম কিন্তু বাগান এখনো পরিপূর্ণ না হওয়ায় ফুলের সমারোহ কম।
হাঁটতে হাঁটতে আমরা হাইওয়ে পার হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসার সামনের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। সংরক্ষিত এলাকা হলেও জায়গাটা ঘোরাঘুরি ও বিনোদনের জন্য সকলের জন্য উন্মুক্ত।
প্রশাসনিক চত্তরের ভিতরে ছোট্ট পরিসরে একটি বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য একটি পার্ক করা হয়েছে। এটা খুব ভালো একটা উদ্যোগ শহুরে কোলাহলের মধ্যে এমন ব্যবস্থা সত্যি প্রসংশা না করে উপায় নাই। ছোট বাবুগুলো এখানে এসে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মন খুলে আনন্দ করতে পারে দেখে খুব ভালো লাগে।
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ-১০ |
| লোকেশন | w3w location |
| ফটোগ্রাফার | মাইদুল ইসলাম |
পার্কটির পাশেই ছোট্ট করে বনায়নের চেষ্টা করা হয়েছে স্থানীয়ভাবে আমরা একে গাছবাড়ী বলি। মানে এখানে প্রচুর মেহগনি গাছের সমারোহ প্রকৃতিকে যেমন প্রাণবন্ত করেছে। তেমনি শহরের দূষিত বায়ুর মাঝে থেকেও প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছি ভাবতে খুব ভালো লাগছে।
পরিশেষে আমার রাজকন্যা এবং রাজপুত্র কিছুক্ষন মনখুলে খেলতে পেরেছে তাদের মুখে আমি হাসি এনে দিতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। দিনশেষে আমরা এত পরিশ্রম করি বাইরে কষ্ট করি সেটাতো এদের হাসি মুখখানি দেখার জন্য। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি আজকের জন্য এতটুকু করতে পেরেছি এটাই আমার প্রশান্তি।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বাবা-মা জীবনে যাই করেন সব তাদের সন্তানের ভালোর জন্য। আর তাদের হাসিমুখ ম্লান হবে এমন কাজ তো কখনোই করেন না বা করতে পারেন না, ঠিক যেমনটা আপনি করতে পারেননি। আপনার জীবনে এমন সুন্দর মূহুর্ত আরো হাজার বার আসুক। আপনার রাজকন্যা আর রাজপুত্রের জন্য অনেক শুভ কামনা আর ভালবাসা রইল।
আপু আপনি বাবা মাকে খুব ভালোবাসেন তাই না। আর সে কারণেই আমার পোস্ট/ আমার লেখাটা ফিল করতে পেরেছেন ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
জি ভাইয়া অনেক ভালবাসি। আর দূরে থাকি তাই আরো তাদের মিস করি।
বাবা-মা আসলে সবসময় চেষ্টা করে সন্তানের হাসি মুখ ধরে রাখতে। এজন্য দেখা যায় অনেক সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে অনেক কিছু করতে হয় ।বিকেলটা আপনার বাচ্চারা অনেক বেশি এনজয় করেছে বুঝা যাচ্ছে।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
শুধু আপনার ক্ষেএে না ভাই শুক্রবার দিনটা প্রায় সব চাকরিজীবিদের ক্ষেএেই এক। কেউই বের হতে চাই না। তবে আপনি যে ছেলে মেয়ের আবদার রেখে তাদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন বিষয়টি দারুণ লাগল। খুবই সুন্দর ছিল ছবিগুলো। এবং খুব ভালো লিখেছেন।
বাস্তবতা ভাই মেনে নিতে হবে দিনশেষে পরিবারকে নিয়েই আমাদের সবকিছু।ধন্যবাদ আমার পোস্টে আসার জন্য।