আমি আজ আপনাদের মাঝে ঝাল ঝাল একটি মুরগির মাংসের ভুনা রেসিপি নিয়ে এসেছি। মাংস আমরা সবাই পছন্দ করি কিন্তু তার মধ্যে থেকেও মুরগির মাংস টা আমরা সব সময় বেশি খাই। কারণ বাড়ির ছোট বাচ্চারা মুরগির মাংস টা বেশি পছন্দ করে। সেকরনে আমাদের প্রত্যেক বাড়িতে মুরগির মাংস একটু বেশি রান্না হয়। মুরগির মাংস আমরা শুধু ভুনা করে খেতে পারি আবার যেকোনো প্রকার সবজি দিয়েও ভালো করে রান্না করে খাওয়া যায়। কিন্তু আমি আজ আমার মুরগির মাংস রেসিপির মধ্যে কোন সবজি ব্যবহার করিনি। আমি আজ আপনাদের মাঝে শুধু ঝাল ঝাল মুরগির মাংসের ভুনা রেসিপি শেয়ার করব। চলুন দেখে নেয়া যাক আমার মুরগির মাংসের ভুনা রেসিপি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
| মাংস | এক কেজি পরিমান |
|---|
| পেঁয়াজ | বড় সাইজের ৪-৫ টা |
| কাচা মরিচ | ৫-৬ টা |
| আদা বাটা | ১ টেবিল চামচ |
| রসুন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
| লবন | স্বাদমতো |
| সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
| জিরা গুঁড়া | পরিমাণমতো |
| ধনিয়া গুঁড়া | পরিমাণমতো |
| পাঁচফোড়ন গুঁড়া | পরিমাণমতো |
| গরম মসলা | পরিমাণমতো |
| শুকনা মরিচ গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
| হলুদ গুঁড়া | পরিমাণমতো |
রান্না শুরু হচ্ছে:
প্রথম ধাপ:
প্রথমে আমি রান্না করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরন গুলো আলাদা আলাদা করে পাত্রে প্রস্তুত করে নিয়েছি। রান্না করার সময় যেন কোন প্রকার ভুল না হয়। প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো আমি রান্নার সময় যেন হাতের কাছে পেয়ে যাই তাই এই প্রস্তুতি।
দ্বিতীয় ধাপ:
মাংসগুলোকে পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে একটি পাত্রে আলাদা করে রেখে দিয়েছি। মাংসগুলো ধুয়ে নেয়ার পর এখন আমি পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করব।
তৃতীয় ধাপঃ:
এখন কড়াইতে প্রয়োজন মত তেল দিয়ে তেলটা গরম করে নেয়ার পর সেখানে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ কুচি ও মরিচ কুচি দিয়েছি। তারপর হালকা বাদামি কালার করে ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ:
পেঁয়াজ-মরিচ গুলো ভেজে নেয়ার পর আমি সব গুলো মাংস ঢেলে দিয়েছি। মাংস গুলো আমি আলাদা করে ৪-৫ মিনিট ভেজে নিয়েছি। মাংস গুলো একটু ভেজে নেয়ার ফলে মাংস নরম হবেনা তাই খেতে ভালো লাগবে।
পঞ্চম ধাপ:
মাংসগুলো একটু ভেজে নেয়ার পরে আমি একে একে আদা বাটা, রসুন বাটা, লবণ, ধনিয়া গুড়া, জিরা গুড়া, পাঁচফোড়ন গুঁড়া, শুকনা মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া সহ প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ দিয়ে ভাল করে মেখে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ:
প্রয়োজনীয় মসলা দিয়ে ভালো করে কষানোর পড়ে এক কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে আরো কিছুক্ষন কষিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ:
ভালো করে কষানো হয়ে গেলে আমি ঝোলের জন্য পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। এভাবে ২০ মিনিট রান্না করে নেয়ার পর আমার ঝাল ঝাল মুরগির মাংসের রেসিপি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
ভালো করে রান্না করে নেয়ার পর প্রস্তুত হয়ে গেল আমার ঝাল ঝাল মুরগির মাংসের রেসিপি। আমি নিজে রেসিপিটি খেয়ে দেখেছি অনেক সুস্বাদু হয়েছে। একটু ঝাল ঝাল করে রেসিপি করার ফলে খাবারটা বেশ মুখরোচক হয়েছে। আমার রেসিপিটি আপনারা ট্রাই করে দেখতে পারেন ভাল লাগবে আশা করছি। আমার পোস্ট টি পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে শেয়ার করবেন।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
| পোস্ট | রেসিপি |
|---|
| ফটোগ্রাফার | @mayedul |
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A 10 |
ঝাল ঝাল মুরগির মাংস ভুনা অনেক মজাদার রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মুরগির মাংস ভুনা খেতে পছন্দ করেনা এরকম মানুষ হয়তো খুব কমই আছে তবে আমার কাছে মুরগির মাংস ভুনা অনেক ফেভারিট। আপনি খুবই চমৎকার ভাবে মুরগির মাংস ভুনা রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঝাল ঝাল মুরগির মাংস ভুনা খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক।
মুরগির মাংসে একটু ঝাল বেশি দিয়ে ভুনা করলে অনেক বেশি মজা লাগে। আপনি বিশেষ করে মুরগির মাংস রান্না করার পদ্ধতি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন তাছাড়া রেসিপির ছবি দেখেও বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে।
খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে ট্রাই করে দেখতে পারেন ভাই।
মুরগির মাংস আমার খুবই পছন্দের আপনি আজকে ঝাল ঝাল মুরগির মাংস ভুনা করেছেন। আপনারা রেসেপি খুবই ভালো লেগেছে। আর খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।
ঝাল মুরগির দারুন রেসিপি উপহার দিয়েছেন। মুরগির মাংস সব সময় আমার কাছে অনেক প্রিয়। তবে ঝাল করে মুরগির মাংস খাওয়া বেশী মজাদার হয়ে থাকে। রেসিপির প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।
পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালবাসা রইলো শ্রদ্ধেয়।
ভাইয়া আপনার ঝাল ঝাল মুরগির মাংস রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে। মুরগির মাংস খেতে সবারই অনেক ভালো লাগে। এভাবে তৈরি করলে তো আরো বেশি ভাল লাগে। আপনার রেসিপির কালার দেখতে দারুন হয়েছে। মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল খুব সুন্দর হয়েছে। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ঠিক বলেছেন আমার কাছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঝাল ঝাল মুরগির মাংস ভুনা রেসিপি করার খুবই সুন্দর একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার শেয়ার করা এই রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চারা তো মুরগির মাংস ছাড়া খেতে চাইনা। আমার বাচ্চাটার প্রায় প্রতিদিনই মুরগির মাংস খেতে চায়। আপনার মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই মজাদার হয়েছে। কালারটিও অনেক লোভনীয় হয়েছে দেখতে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার মুরগির মাংস রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এগুলো গরুর মাংস এত সুন্দর কালার হয়েছে মাংসটির । এই মাংস সকালবেলা পরোটা দিয়ে খেতে আসলে অনেক ভালো লাগে আমারতো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। খুবই লোভনীয় হয়েছে খাবারটি। মুরগির মাংস আমার অনেক পছন্দ আমার বাচ্চাও খুব পছন্দ করে এই জন্য আমিও অনেক বেশি মুরগির মাংস খাই। সুন্দর করে রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন মুরগির মাংস দিয়ে রুটি বা পরোটা আমরা খুব পছন্দের। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
মুরগির মাংস ঝাল ঝাল করে রান্না করলে খেতে বেশ সুস্বাদু ও মজাদার হয়।আপনার রান্না করা মুরগির মাংসের ছবিগুলো অনেক সুন্দর ছিল।খেতেও বেশ ভালই লাগবে।রেসিপি রান্না করার পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
এত রাতে ঝাল ঝাল মুরগির মাংসের তরকারি দেখে খুব খিদে পেয়ে গেল ভাইয়া।তরকারির কালারটা এত সুন্দর হয়েছে যে খুব খাইতে ইচ্ছা করতাছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটি তৈরি করে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।