দুইটা দিন কোম্পানির কনফারেন্সের কারণে অনেক ব্যস্ত ও শহরের বাইরে ছিলাম। তাই কমিউনিটির সবার কাছ থেকেও কিছুটা সময় দূরে থাকতে হয়েছে। আজ বাসায় ফিরে আবারো আপনাদের মাঝে আসলাম সেখানে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য। যাক সব মিলিয়ে মিটিং শেষে ভালোভাবেই বাসায় ফিরে এসেছি। গতকাল থেকে আজ এই দুই দিন অনেক পরিশ্রম ও মানসিক চাপ গিয়েছে। মিটিংয়ে বিগত দিনের পারফরমেন্স নিয়ে ভালো মন্দ অনেক কিছু শুনতে হয়। থাক আজকে আর সেদিকে না গিয়ে আমাদের মুহূর্তগুলোই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।
অনেকদিন হলো সকাল দেখা হয় না, স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন বাইরের কাজকর্ম সেরে বাসায় এসে লিখতে বসি। ঘুমাতে অনেক রাত হয়ে যায়, তাহলে বুঝতেই পারছেন উঠতে কতটা দেরি হতে পারে। সকাল বেলা উঠে কোন রকমে ফ্রেশ হয়ে দু'চারটা মুখে দিয়েই আবার বাইরে বের হয়ে যেতে হয় কাজের জন্য। যেহেতু মিটিংয়ে দিন রিপোর্টিং ছিল সাড়ে আটটার সময় তাই বাসা থেকে বের হতে হয়েছিল সাড়ে ৬ টায়। ভোরের আকাশ দেখতে বেশ ভালই লাগলো। কতদিন সূর্যোদয় দেখা হয় না ভুলে গিয়েছি। সকালের ঠান্ডা আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল সে চলে এসেছে। কিন্তু আমার কাছে খুব একটা খারাপ লাগেনি ভালই মনে হয়েছে।
সকাল সাতটায় প্রথম বাস ছেড়ে যায় রংপুরের উদ্দেশ্যে। কুড়িগ্রাম থেকে ফাস্ট ট্রিপে রওনা দিয়ে অনায়াসেই সাড়ে আটটায় রিপোর্টিং করা সম্ভব। তাই সাত টার গাড়িতেই রওনা দিয়েছিলাম। ঠিক টাইম মতো ৮ টা ১০ মিনিটে শহরের সাতমাথা বাসস্ট্যান্ডে নেমে যাই। সেখান থেকে রিক্সা নিয়ে ঠিক সাড়ে আটটা বাজার তিন মিনিট আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক মোরে আরডিআরএস এর গেস্ট হাউজে পৌঁছে গিয়ে।
ভেতরে ঢুকে আমার দুজন কলিগের সঙ্গে দেখা হলো। বাকি তিনজন কলিগ অলরেডি ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। আমাদের সারাদিনের এজেন্ডা অনুসারে সকালে নাস্তা দিয়ে শুরু। তারপর লাঞ্চের আগ পর্যন্ত ট্রেনিং সেশন, লাঞ্চ শেষ করে পরবর্তী বছরের জন্য বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে। বিকালে টপ পারফরমারদের পুরস্কার বিতরণী শেষে চা চক্র দিয়ে মিটিং শেষ।
প্রথমে একবার ঘূর্ণিঝড় এর কারণে মিটিং পরিবর্তিত সময়সূচিতে করা হয়। তাই গ্র্যান্ড প্যালেসে যে শিডিউল করা ছিল সেটা আর পাওয়া যায়নি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড়ে আরডিএস এর গেস্ট হাউসে যে কনফারেন্স হল রয়েছে সেখানেই আয়োজন করা হয়েছে।
প্রথমে স্যালস ম্যানেজার স্যারকে ফুলের তোড়া ও শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে মিটিং শুরু করা হয়। তারপর একে একে রিজিওনাল স্যালস ম্যানেজার ও পি এম ডি স্যারদের আলোচনা শুরু হয়।
মিটিং শুরু হওয়ার পর লাঞ্চের ঠিক আগ মুহূর্তে বাইরে এসেছিলাম। অল্প কিছুক্ষণ পরেই লাঞ্চের জন্য ডাইনিং-এ ডাকা হবে। এইহাকে আশেপাশের বেশ কয়েকটি ভালো লাগার মতো ফটোগ্রাফি করা হয়েছিল। এখানকার খোলামেলা পরিবেশ আমার খুব ভালো লেগেছে। আর বিল্ডিং গুলোর মধ্যে বেশ আধুনিকতার ছোঁয়া আছে।
লাঞ্চের শেষে দশ মিনিট সময় ছিল তাই একঘেয়েমি বসে থাকা থেকে কিছুটা স্বস্তির জন্য এদিক সেদিক পায়চারি করতে থাকলাম। পাশেই ছোট্ট একটি জলাশয় চারদিকে হেটে বেড়ানোর জন্য ঢালাই করার রাস্তা। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বেশ ভালই ঘষামাজা করা হয়েছে এখানে।
মিটিং শেষ হতে হতে বিকাল গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছিল। বাইরে বের হতে হতেই মাগরিবের আজান দিয়ে দিল। সোজা চলে গেলাম বাসস্ট্যান্ডে ভাগ্যিস লাস্ট বাস আমার জন্য দাঁড়িয়েছিল। বাসে চেপে চলে এলাম কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে। কিন্তু শেষের জার্নিটা আমার কাছে খুব বোরিং লাগলো। সুস্থ মস্তিষ্কে আর কখনো লাস্ট ট্রিপে জার্নি করার ঝুঁকি নেব না, এমনটাই মনে হয়েছিল।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
আমাদের উইটনেসকে সাপোর্ট করুন |
"Please support Bangla Witness"

https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness

OR
SET @rme as your proxy

আপনার মত সবারই একই অবস্থা ভাই, ব্যস্ত জীবন। তার মাঝেও সময় বের করে একটু কাজ করার চেষ্টা আর কি। তবে আপনি যে ব্যাংকে চাকরি করেন এটা আমি আজ জানলাম। পুরো লেখাটা আমি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছি। বেশ ভালো লাগলো এবং তার পাশাপাশি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন সেগুলোও খারাপ ছিল না। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত একটা পোস্ট ছিল।
কোম্পানির কাজের সুবাধে আপনারা সবাই বাহিরে বেশ সময় কাটিয়েছেন। যাইহোক কাজের জন্য হলেও অন্তত ভোরের আকাশ, ভোরের আবহাওয়া , ভোরের সৌন্দর্য দেখতে পেয়েছেন। কয়েকদিন পর কাজে ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
কিছু মানুষ প্রচুর পরিশ্রম করা সত্বেও ভাগ্যদেবী কেন যেন তাদের প্রতি প্রসন্ন হন না আবার কিছু মানুষ না চাইতেই সব কিছু পেয়ে যায় তারপরেও আমাদের জন্য পরিশ্রমের বিকল্প কিছু নেই। ভালোই লাগলো আপনার কর্মব্যস্ত দিনের অভিজ্ঞতা। ধন্যবাদ।
কোম্পানির কনফারেন্সে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে সহকর্মী সকলের সাথে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো ছিলো। বিশেষ করে ফুল এবং বাইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে খুব ভালো লাগলো। এত চমৎকার মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।