নদীর সৌন্দর্য্য কখনো ম্লান হয় না || ফটোগ্রাফি পর্ব-২||
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
যাইহোক মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে আজকে একদম ভালো নেই। তাই আজকে কোন কাজ করতে ইচ্ছা করছিল না আর করতেও পারিনি সারাদিন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে বসে পড়লাম। ফোন গ্যালারিতে নদীর পাড়ের কিছু ফটোগ্রাফি দেখে ধারাবাহিক এই পোস্টের কথা মনে পড়ে গেল। তাই আজকে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে বসলাম তো চলুন শুরু করা যাক।
এই নৌকার চড়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে এসে লোকজন কিছুটা হলেও নৌকা ভ্রমনের আনন্দ খুঁজে পায়। এই নৌকা গুলোর মধ্যে কিছুক্ষণ ঘুরে আসতে জনপ্রতি ৩০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। সবাই এক এক করে নৌকায় উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর আমি দূরে দাঁড়িয়ে থেকে দেখছি।
এটা শুধু একটা গাছ মনে হলেও আমার ঐদিন বিকেল বেলা অনেকগুলো সময় এখানে দাঁড়িয়ে পার করেছি। অসংখ্য পাখির কিচিরমিচির শব্দে আমার মন ভরে গিয়েছিল। আমি কিছুতেই সেখান থেকে সরে আসতে পারছিলাম না। চোখের সামনে এত কাছাকাছি অসংখ্য পাখি দেখে আমার চোখ জুড়িয়ে গিয়েছিল।
নদীর কিনারা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সেতুর কাছাকাছি চলে আসলাম। তাই আর উপরে না উঠে সেতুর নিচ দিয়ে অপর প্রান্তে চলে গিয়েছিলাম। আসলে আমরা সব সময় সেতুর উপর দিয়ে চলাফেরা করি কখনো নিচের অংশ দেখা হয় না। আজকে সেতুর নিচ দিয়ে হেঁটে আসতে আমার ভালোই লাগলো।
"দুষ্টু ছেলের দল ছন্ন ছাড়া দল" এটা দেখে এই গানটি মনে মনে অনেকক্ষণ বিরবির করছিলাম। এমন এক সময় ছিল আমরা বন্ধুরা মিলে নদীতে ঘুরতে এসে এমন করে গলা ছেড়ে গান গাইতাম। আর নৌকায় ঘোরাঘুরি করতাম। দল বেঁধে নদীতে ঘুরতে এসে অনেক সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। এইতো যেদিন আমি নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম তার দুদিন আগেই একজন নদীতে পড়ে গিয়েছিল। ৪-৫ ঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর অনেক ভাটিতে গিয়ে তার লাশ পাওয়া যায়।
নদীর পাড়ে বসে গোধূলি লগ্নে ফটোগ্রাফি করতে যেমন আমার ভালো লাগে দেখতে তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো লাগে। আসলে এখানে বসে এই মুহূর্তগুলো আমি অনেক উপভোগ করেছিলাম। এই দৃশ্যগুলো সব সময় আমার কাছে খুব ভালো লাগে। নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়ানোর সেরা মুহূর্ত আমার। আমি সাধারণত নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলে সন্ধ্যা পার না করে কখনো ফিরে আসি না। কারণ সন্ধ্যার আগে এবং সন্ধ্যার পরে নদীর ধারে বসে থাকতে খুব ভালো লাগে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে আমার সারাদিনের ক্লান্তি যেন নিমিষেই হারিয়ে যায়।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
---|---|
ফটো | @mayedul |
লোকেশন | w3w location |
Defending our natural habitat.🙏👍
নদীর দুর্দান্ত কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা। সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। সূর্যের আভা খুব সুন্দরভাবে পড়েছে নদীর উপর। দেখেই প্রাণ স্নিগ্ধ হল। ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
আসলেই নদীর সৌন্দর্য সবসময় মুগ্ধ করার মত।
সূর্যের লাল আভা যখন নদীর উপর প্রতিফলিত হয় তখন যেন অপরূপ সৌন্দর্য্যের সৃষ্টি করে।
এইরকম সৌন্দর্যের সত্যি তুলনা হয় না। একেবারে মন ভোলানো সৌন্দর্য। যেমন সুন্দর নদী তেমন সুন্দর ব্রীজ। বেশ দারুণ সময় কাটিয়েছেন। অনেক সুন্দর পোস্ট ছিল ভাই। দারুণ ছিল পরিবেশটা।।
হ্যাঁ ভাই সময়টা অনেক সুন্দর ছিল।।
গোধূলি লগ্নে নদীর সৌন্দর্যের কোন তুলনা হয় না।
ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ব্রিজের নিচের ফটোগ্রাফিটা দেখে প্রথেমে ভেবেছিলাম। নৌকা দিয়ে নিচে গেছেন, পড়ে দেখলাম হেটেই যাওয়া যায়।
আর জনপ্রতি ৩০ টা হলে ভালই ঘুরা যায়। ধন্যবাদ।
আসলে এই একটা জায়গায় ছুটির দিনে বিকালে সবাই সময় কাটানোর জন্য আসে।
ভালই লাগে ঘুরতে।
এইজন্য আপনাকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে ভাইয়া কেননা একটু সামান্য ভুল হয়ে গেলেই আপনাকে জবাবদিহিতার মধ্যে পড়ে যেতে হবে।
নদীর সৌন্দর্যের চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আছে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার মত আমারও নদীর মধ্যে নৌকাতে ভ্রমণ করতে খুবই ভালো লাগে।
ইচ্ছা থাকলেও নদীতে আর আগের মতো হুটহাট নামতে পারি না। তবে খুব লোভ হয়।
নদীর এরকম সৌন্দর্যের সত্যিই তুলনা হয় না। সূর্যের আলোয় নদীর জল গুলো আরো সুন্দর দেখায়। ব্রিজটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। নদী এবং নদীর পাড়ের অসাধারণ সৌন্দর্য পূর্ণ পরিবেশ সবাইকে মুগ্ধ করে। বেশ দারুণ মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কথা চিন্তা করলে প্রথমেই আমার নদী কেন্দ্রিক সৌন্দর্যকেই মনে পড়ে।
নদীর ঐশরগীক রূপ বর্বর মণ টানে।আর শেষ বিকেলে নদীর রূপ যেনো আর বৃদ্ধি পেয়েছে সূর্যের ওই নিভু আলোয়।যাইহোক ভালো ছিল লেখা গুলো।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
নদীর অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে নদীর সৌন্দর্যের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তাকে দূর হতে দেখার চেয়ে সামনাসামনি দেখার সুন্দর্য দর্শন করার মতো আকর্ষণীয় আর কিছু নেই বললেই চলে। অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর নদীর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন নদীর সৌন্দর্য সব সময় আমাকে মুগ্ধ করে। শেষ বিকালে নদীর সামনে বসে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে।
বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ একথা আমরা সকলেই জানি।এই নদীর সৌন্দর্য আমাদের বিমোহিত করে তোলে।সেই নদীর অপরুপ কিছু সৌন্দর্য আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম।খুবই মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর কিছু নদীর অপরুপ সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
নদীর সৌন্দর্য ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন রূপ ধারণ করে। তবে নদীর অপরূপ সৌন্দর্যমুগ্ধ করার মত।