বন্যা কবলিত এলাকায় একদিন || ১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় shy-fox এর জন্য
হ্যালো আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
পশ্চিমদিক দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদের বাঁধটি বেশ প্রশস্ত এবং মজবুত তাই অন্যান্য বছর বন্যা কম হলেও এই বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার কারনে প্রায় সব বাড়িতে পানি উঠেছে। এখানে আমার গ্রামের বাড়িতে বন্যার পানি উঠার পরের কিছু চিত্র তুলে ধরলাম।
আমি বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার আগে সামনে একদম শুকনা ছিলো ৩০-৪০ মিনিট পূর্বে সামনের দোকানে গিয়েছিলাম কিছু কেনাকাটা করতে। বাঁধ ভাঙ্গার খবর শুনে তাড়াতাড়ি বাসায় আসলাম এসেই দেখি সামনে এত পানি। বাসায় ঢোকার সময় সামনে থেকে তোলা অনবদ্য ছবি।
আগেই বলেছিলাম কিছু কিছু কষ্টের বিষয় থাকে যার মধ্য থেকেও ভালোলাগা খুঁজে পাওয়া যায়। তাইতো মোবাইল ফোনটা হাতে নিয়ে কিছু স্মৃতিবন্দি করে রাখার প্রয়াস।
পানি এতটাই বেশি হয়েছিল যে আমাদের উঠান থেকে ঘর বেশ উচু নাহলে ঘরেই ঢুকে যেত। উঠানের পানি কম করে হলেও ৩ ফুট পর্যন্ত উঠেছিল সেটা মুরগি থাকার ঘরটা দেখে বুঝতে পারছেন। এমন দুর্যোগের সময় মানুষের সাথে সাথে গবাদি পশু এবং হাস মুরগিরও অনেক কষ্ট হয়।
ভিতরে গিয়েছি একটু ফ্রেশ হয়ে আসলাম এসেই দেখি মেয়ের বায়না পানিতে নামবে আর ফটগ্রাফি নেবে। কিন্তু বন্যার পানি মানে রোগজীবাণু ভর্তি এই নামলে অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা নাই। সুতরাং সতর্কতা অবলম্বন করেই শ্রেয় তাই পানির কাছে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি নেয়ার চেষ্টা।
কিন্তু এতটুুকুতে তার মন ভরলনা সে পানিতে নামবে কমকরে হলেও ছুঁয়ে দেখবে কি আর করা মেয়ের হাসি হাসি মুখটা দেখার জন্য আমাকে যাওয়ার অনুমতি দিতেই হলো। বন্যার পানি ধরতে পেরে সে তো মহাখুশি।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ১০ |
---|---|
লোকেশন | রৌমারী,কুড়িগ্রাম |
ছবি | মাইদুল ইসলাম |
বন্ধুরা আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি অন্য কোনদিন আরো কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসব। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।