বর্তমান সময়ে রুই মাছের সহজলভ্যতার কারণে আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে প্রায়ই রুই মাছ খাওয়া হয়। তাছাড়া রুই মাছের কাঁটা কম থাকার কারণে ছোট বাচ্চারা খেতে বেশি পছন্দ করে। এই মাছটা খেতেও অনেক সুস্বাদু। আমাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কম বেশি মাছ থাকে। আমি নিজেও রুই মাছ অনেক বেশি পছন্দ করি। তাই আমার বাড়ীতে বেশীরভাগ সময় রুই মাছ আনা হয়। আর আমার বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকার কারণে রুই মাছ সব সময় আনতে হয়। আজ আমি আপনাদের সামনে খুব সহজেই রুই মাছের ভুনা রেসিপি শেয়ার করবো। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|
| মাছ | ১ কেজি |
| ধনেপাতা | স্বাদমতো |
| সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
| লবন | স্বাদমতো |
| পেঁয়াজ | ৪-৫ টা |
| কাচা মরিচ | ৪-৫ টা |
| শুকনা মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
| ধনিয়া গুঁড়া | পরিমাণমতো |
| জিরা গুড়া | পরিমাণমতো |
| পাঁচফোড়ন গুঁড়া | পরিমাণমতো |
| হলুদ গুঁড়া | পরিমাণমতো |
প্রস্তুত প্রণালী:
ধাপ -১
প্রথমে মাছটা কেটে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে। মাছের পিস গুলো আলাদা একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি।
ধাপ -২
এখন কড়াইতে তেল দিয়েছি তেল গরম হয়ে যাওয়ার পর সেখানে পেঁয়াজ কুচি ও ফালি করা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিয়েছি।
ধাপ -৩
পেঁয়াজ মরিচ গুলো তেলে হালকা ভেজে নেয়ার পর পর্যায়ক্রমে সেখানে হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, পাঁচফোড়ন গুঁড়া, স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ -৪
এখন পেঁয়াজ ও মরিচের সাথে প্রয়োজনীয় সব মসলার উপকরণ একসাথে ভালো করে মিশাতে হবে। তারপর আধা কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিয়ে হবে।
ধাপ -৫
মশলা গুলো হালকা কষিয়ে নেয়ার পর সেখানে সবগুলো মাছের পিস ঢেলে দিয়েছি। এখন মশলার সাথে মাছগুলো ভালো করে মিশিয়ে নেওয়ার পর এককাপ পরিমাণ পানি দিয়ে মাছগুলো ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ -৬
মাছ গুলো কষানো হয়ে গেলে সেখানে ঝোলের জন্য পানি দিয়েছি। তারপর স্বাদমতো ধনিয়ার পাতা দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না হওয়ার জন্য ঢেকে দিব।
ধাপ -৭
ঢেকে দেয়ার পর রান্না হওয়ার জন্য ১৫-২০ মিনিট এর জন্য অপেক্ষা করবো। তারপর ঝিল কমে আসার পর রান্না হয়ে গেলে পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলো।
শেষ ধাপ:
ভালো করে রান্না করার জন্য ঝোলের পানি দেয়ার পর ঝোলগুলো কমে আসলে পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি।
আমার রুই মাছের ভুনা রেসিপি আমি খেয়ে দেখেছি আমার কাছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। বিশেষ করে যারা বেশি কাঁটাযুক্ত মাছ যারা খায় না তাদের জন্য রুই মার্চ খুব পছন্দনীয় খাবার। এই মাছের কাটা কম থাকার কারণে বাড়ির ছোট বাবুরা খুব পছন্দ করে। তাছাড়া স্বাদের দিক দিয়েও রুই মাছের অনেক খ্যাতি আছে।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
| পোস্ট | রেসিপি |
|---|
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
| ফটো | @mayedul |
রুই মাছ আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার খুবই পছন্দের একটি মাছ। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রুই মাছ ভুনা করেছেন দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেক মজাদার একটি রুই মাছ ভুনা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই রুই মাছ ভুনা রেসিপি টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি অনেক বেশি সু-স্বাদু, ব্যক্তিগতভাবে রুই মাছ আমার অনেক পছন্দের। এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
রুই মাছের ভুনা রেসিপিটি আসলেই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল
রুই মাছের ভুনা রেসিপি দারুন ছিল 😋
এই একটি মাছ আমার বাসায় সারা বছর চলে।
খুব ভালো উপস্থাপনা ছিল ❤️
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য 💌
একই রকম ভাই আমার বাসাতেও ছোট বাচ্চারা থাকার কারণে রুই মাছ সবসময় আনতে হয়।
আপনি খুব সুন্দর করে রুই মাছ ভুনা রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুবই চমৎকার দেখাচ্ছে রেসিপিটা। রুই মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া রুই মাছের ভুনা রেসিপি চাই আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার রেসিপি টা দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
রুই মাছের মজা তারাই জানে যারা রুই মাছে খেয়েছে। কথাটা কিন্তু চিরন্তন সত্য। না খেলে কেউ বুজবেই বা কিভাবে৷ তবে আশা করি সবাই রুই মাছে পছন্দ করে। আমি রুই মাছের তরকারি খুবই লাইক করি। আপনার রেসিপি অসাধারণ লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই।
একদম সত্যি কথা যারা খায় না তারা বুঝতেই পারবে না এই মাছের মজা কত।
আজকে সেহেরি তে রুই মাছের তরকারি দিয়েই ভাত খাব। আপনার রেসিপি টি ভাল ছিল । গুছিয়ে লিখেছেন ধাপগুলো । রান্না করা যাবে সহজেই। ধন্যবাদ আপনাকে
কাকতালীয়ভাবে আপনার সঙ্গে আমার আজকের রেসিপি একদম মিলে গেছে। আমার বাসাতেও আজ সেহরিতে রুই মাছের তরকারি।
রুই মাছ আমার অনেক প্রিয় একটি মাছ, আমার প্রিয় মাছটি আপনি অনেক সুন্দর করে রান্না করেছেন ভাইয়া, দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে, সত্যি আপনার রান্নার প্রশংসা করতে হয়, রান্নার ধাপ গুলো আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার মত আমারও রুই মাছ অনেক বেশি প্রিয়।
আপনার রুই মাছের ভুনা রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে। কালার দেখে বুঝা যাচ্ছে কতটা মজার হয়েছে। প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন । আপনার রান্না যেমন সুন্দর উপস্থাপনা ও চমৎকার। সেই সাথে প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। শুভ কামনা রইল।
আজকের রেসিপিটা খেতে আসলেই অনেক মজার হয়েছিল।
খুবই দারুন ভাবে আমদের মাঝে রুই মাছের রেসিপি প্রেজেন্ট করছেন।রুই খেতে অনেক ভালো লাগে এবং স্বাদ ও খুব ভালো হয়।প্রতিটা ধাপে আমাদের সুন্দর করে বুঝিয়েছেন। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আমি প্রায় সময় এভাবে রুই মাছ ভুনা করি। আমার কাছে রুই মাছ পছন্দের। আপনার রেসিপির কালার দেখতে অসাধারণ হয়েছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অত্যন্ত সহজলভ্যতার কারণে আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে রুই মাছের রেসিপি হয়।