কয়েকদিন থেকে অনবরত বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণেই নদী তীরবর্তী কিছু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। নদীতে যখন বন্যার নতুন পানি প্রবেশ করে তখন ভেসে আসা কচুরিপানা গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। নদীর স্রোতের সঙ্গে যখন কচুরিপানা গুলো ভেসে যায় সেই দৃশ্যগুলো দেখতে আমি প্রায়ই সময় নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকি। বিশেষ করে যখন প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় আশেপাশের খাল-বিল গুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত একটু খারাপ লাগলেও এই সময়কার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য গুলো আমাকে বারবার টেনে নিয়ে যায়। আর প্রকৃতির এই টানে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে আমারও খুব ভালো লাগে। আমার আজকের ভালোলাগা কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিচ্ছি।
Location
এই জায়গাটা আমার অত্যন্ত প্রিয়। যখনই কোন কারণে নিজের মনটা একটু খারাপ থাকে আমি নদীর পাড়ে গিয়ে এই জায়গাটায় অনেকক্ষণ বসে থাকি। আজকেও আমি দীর্ঘ সময় ধরে এই জায়গায় বসে ছিলাম। কারণ ব্যক্তিগত এক সমস্যার কারণে আমার মনটা খুব বিক্ষিপ্ত। এখানে বসে থাকতে অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করে। মনে হয় আমি যেন নদীর মাঝখানে বসে আছি। আমি কি খুব ভুল বলে ? আপনারাই বলেন এইরকম একটা পরিবেশে বসে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগবে।
Location
এখানে বসে থাকতেই একটু দূরে লক্ষ্য করলাম এক চাচা দীর্ঘ সময় বসে বড়শিতে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। আমিও যতক্ষণ বসেছিলাম ওই দিকটায় তাকিয়ে ছিলাম দেখি কি মাছ বড়শিতে উঠে। আমি যতক্ষণ বসে ছিলাম ততক্ষণ কোন মাছ দেখতে না পেয়ে নিচে নেমে তার কাছে গিয়ে বসলাম। অনেকক্ষণ বসে গল্প করলাম উনার কাছ থেকে জানতে পারলাম এভাবে মাছ ধরতে অনেক ধৈর্য্য নিয়ে বসে থাকতে হয়। উনারা বেশিরভাগ সময় বোয়াল মাছ পায় বড়শিতে।
Location
সেই চাচার সঙ্গে বসে গল্প করতেছি ঠিক এমন সময় দ্রুতবেগে একটি স্পিড বোট আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে লক্ষ্য করলাম। আমাদের পার্শ্ববর্তী থানা উলিপুর সড়কপথে মাত্র ২২ কিলোমিটার। সেই থানার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নৌকা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে নদীপথে জেলা শহরে এসেছে।
Location
নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে আশেপাশের অঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করে। যদিও এই সময় গুলো তাদের জন্য খুবই কষ্টকর। এই সময় তারা এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যাওয়ার জন্য নৌকা ব্যবহার করে।
Location
কি মনে হচ্ছে সবুজ মাঠ দেখতে সবুজ মাঠের মতো হলেও এটা একটি জলাশয়ের ছবি। এই ফাঁকা জায়গাটিতে কিছুদিন আগেও বেশ কিছু কাঠের গাছ লাগানো ছিল। নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকাতেও বন্যার পানি প্রবেশ করে। আশেপাশের ছোট ছোট খাল-বিলের কচুরিপানা গুলো ধুয়ে নিয়ে এসেছে। মনে হচ্ছে এখানে নিয়ে এসে খুব সুন্দর করে বিছিয়ে দিয়েছে। এই দৃশ্যগুলো সচরাচর আমার চোখে পড়ে না। তাই আজকে এদিকটায় করতে এসে বেশ কিছু ভাললাগার ফটোগ্রাফি পড়ে গেছিলাম আমার সেই ভালো লাগার অ্যালবাম থেকে আপনাদের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। আশা করছি আমার ফটোগ্রাফী হলো আমাদের ভালো লাগবে। আমার ফটোগ্রাফী গুলো দেখে কেমন লাগলো মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন আশা করছি।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
ভাইয়া আপনার নদীর পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আমার নানীর বাড়িতে এরকম কিছু দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় তা দেখতে আমি প্রায়ই আমার বাড়িতে যাইতাম। এখন আর খুব বেশি যাওয়া হয়না। সেখানে অনেক লোককে আমি দেখেছি এভাবে বসে মাছ ধরতে। কিন্তু আমিও কখনো তাদের বর্শিতে মাছ দেখে পাই নি।আসলে মাছ ধরা অনেক ধৈর্যের ব্যাপার। অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
বড়শিতে মাছ ধরা যেমন ধৈর্যের ব্যাপার তেমনি মাছ ধরা দেখতে গেলেও অনেক ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া আর আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বর্ষা মৌসুমের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এমন সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বন্যা এখন আমাদের এখানে অগ্রিম শুরু হয়েছে।
আপনার ফটোগ্রাফী আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে চাচার অপলক চেয়ে থাকা আর নদীর ছবিগুলো ভীষণ ভালো ছিল।
চমৎকার অনুভূতি গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
অনেক শুভকামনা রইল ভাই।
নদীতে নতুন পানি আসলে সেই সময়কার দৃশ্যগুলো আমার খুব ভালো লাগে।
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
প্রকৃতির রূপ সৌন্দর্য বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম যেগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে । আপনার ধারণকৃত প্রকৃতির রূপের ফটোগ্রাফি সত্যি দেখে মুগ্ধ হলাম ।আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনি খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে বিশেষ করে নদীর পাড়ের ঘরটির ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শেষ বিকেলে নদীর পাড়ে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে। সেই ভাললাগা থেকেই ফটোগ্রাফি গুলো করা।
ঠিকই বলেছেন শেষ বিকেলের দিকে নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরির সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে।
আসলেই ভাই জায়গাটা বেশ সুন্দর কোথায় লোকেশনটা এটা।মন ভালো করা পরিবেশ।উপরের ছবি বেশি ভালো লেখেছেন।ধন্যবাদ
আমার নিজ শহরে ধরলা নদীর উপর যে ব্রিজ আছে তার পাশেই ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। এই গাছটার নিচে আমি অনেকক্ষণ বসে ছিলাম। ঠিক বলেছেন একেবারে মন ভালো করে দেওয়ার মত জায়গা।
আপনি সুন্দর সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। নদীর পাড়ের ছবি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া 💞
মেঘলা মনমরা দিনটিকে চনমনে করার জন্যই নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম ঘুরতে।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকর হলেও এবং সেটা আমাদের কাছে খারাপ লাগলেও বৃষ্টির পর প্রকৃতি দেখতে অনেক বেশী সুন্দর লাগে। ধুলোবালি ময়লা সব পরিষ্কার হয়ে যায়।ভাইয়া আপনি বৃষ্টির পর অনেক সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন। যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
একদম ঠিক বলেছেন বৃষ্টির পর প্রকৃতি যেন নতুন রূপে সজ্জিত হয়। এই সময়ে সবুজ প্রকৃতি আমার সবসময় ভালো লাগে।
জি ভাইয়া বড়শিতে মাছ ধরতে হলে অনেক ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয় মাছের জন্য। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে অঞ্চলে যে পানিগুলো ঢুকেছে এতে মানুষের কষ্ট বেড়ে গেছে। একটু খারাপ লাগছে। আর ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
চাচা অনেক দূরে বড়শি ফেলছিল আবার টেনে তুলে দেখছে মাছ পড়ছে কিনা। এই দৃশ্যগুলো অনেকক্ষণ বসে বসে দেখছিলাম। বেশ ভালো সময় পার করেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।