একটি ভুল সিদ্ধান্তই জীবনে অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে || পর্ব -১||

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।

confused-880735_1920.jpg

source

যদিও আমি ছোটবেলার প্রেমকে ততটা বিশ্বাস করতে চাই না। কিন্তু মাঝে মাঝে চোখের সামনে কিছু ঘটনা দেখলে বিশ্বাস না করে আর উপায় থাকে না। যদিও এই ঘটনাগুলো খুব কমই ঘটে, কম বললেও কিছুটা কম বলা হবে। যাই হোক আমি নিজেও এই ঘটনার সাক্ষী ছিলাম। খুব কমবয়সী একটি মেয়ের প্রেমের করুন পরিণতি দেখেছিলাম। সবেমাত্র মেয়েটি হাই স্কুলে পা রেখেছে সম্ভবত অষ্টম শ্রেণীতে পরে হয়তো। সে প্রেমের ঘটনাটি তার বড় ভাই ও বাবা মা জানতে পেরে একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে সে মেয়েটি অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। আজকেও তার এলোমেলো জীবন যাপন দেখে এই ঘটনাটি লিখতে বসলাম।

অনেকদিন আগের ঘটনা সম্ভবত আমিও কলেজ জীবন শুরু করেছি। আমি আজকে যে ঘটনাটি বলবো সেটার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটা লাইন আমার চোখের সামনে ঘটেছে। ছোটবেলার প্রেম নিয়ে রিল লাইফ ছাড়া রিয়েল লাইফেও যে এত মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে পারে সেটা আমি জানতাম না। ঘটনার আকস্মিকতা মনে পড়লে এখনো আমার মনে দাগ কেটে যায়। মনে না পড়ে কোন উপায় নেই কারণ সেই মেয়েটির বাড়ি আমার মহল্লা থেকে খুব বেশি দূরে নয়। তাই প্রত্যেকদিন বাড়ি থেকে বের হয়ে যখন আমি রাস্তায় উঠি তখন মাঝেমধ্যে সেই মেয়েটির সঙ্গে আমার দেখা হয়। আজকেও অপ্রত্যাশিতভাবে হয়েছিল।
প্রকৃত ঘটনায় চলে যাই।

প্রেম কখনো বয়স মানে না। মেয়েটির বয়স যখন ১৪ কি ১৫ আর ছেলেটির বয়স তখন ২৪ কি ২৫ হবে হয়তো। ছেলেটি গ্রামে থাকে বাবা মার একমাত্র সন্তান নাম রাসেল। আর মেয়েটি তার পরিবারের সবচেয়ে ছোট আর বড় দুইজন ভাই আছে। ছোট মেয়ে হওয়ার সুবাদে সে সবার কাছে অনেক আদরের ছিল। ও হ্যা মেয়েটির নাম বিপাশা। বিপাশাও তার ভাইদের অনেক ভালোবাসতো। ভাইয়েরা পালাক্রমে ওকে স্কুলে নিয়ে যায় আবার ছুটির সময় বাসায় নিয়ে আসে। একমাত্র ছোট বোনকে কোনভাবেই চোখের আড়াল হতে দিতে চায়না। বিশেষ করে সুন্দরী হওয়ার সুবাদে যেন কোন ছেলের নজরে না লাগে।

ছোটবেলা থেকেই রাসেল শহরে তার খালার বাড়িতে মাঝেমধ্যেই বেড়াতে আসতো। খালার বাড়িতে আসার পর অনেকবার বিপাশার সাথে দেখা হয়েছিল। কিন্তু এর আগে কখনো মনের মধ্যে সেরকম অনুভূতি কাজ করেনি। সেবার প্রথম রাসেলের মনে বিপাশা কে নিয়ে ভালোলাগার একটা অনুভূতি কাজ করলো। ভালোলাগা থেকেই আস্তে আস্তে ভালবাসার তৈরি হয়ে গেল। বিপাশাও সদ্য তরুণী নবযৌবন তার অঙ্গে অঙ্গে ঢেউ খেলছে। আর টিনএজ বয়সটা মারাত্মক এই বয়সের ছেলেমেয়েরা খুব দ্রুতই ভুল করে বসে। খুব সহজেই বিপাশা বুঝে গেল রাসেল ওকে পছন্দ করে। যদিও বয়সের পার্থক্যটা অনেক বেশি কিন্তু সেগুলো কি আর কোন বাধা হতে পারে।

বিপাশা ও রাসেল খুব দ্রুতই একে অপরের কাছাকাছি চলে এলো। এখন তারা দুজন দুজনকে মনে প্রাণে ভালোবাসে। রাসেলের খালার বাড়ি আর বিপাশাদের বাড়ি একদম পাশাপাশি। তাই তারা যে কোন সময় লুকিয়ে দেখা করতে পারতো। কাছাকাছি বাড়ি হওয়াতে তারা সন্ধ্যার পরেই বেশি দেখা করত। দিনের বেলাতেও বিপাশা বিভিন্ন অজুহাতে রাসেলের খালার বাড়িতে চলে আসতো। এভাবেই বেশ জমিয়ে চলতে থাকলো তাদের প্রেম কাহিনী। রাসেল কিছু দিনের মধ্যে গ্রামে নিজের বাড়িতে চলে গেল। গ্রাম গিয়ে রাসেল কোন কাজেই মন বসাতে পারল না। এমনকি লেখাপড়া ঠিকমত করতে পারছে না। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার সে শহরে খালার বাড়িতে চলে আসলো।

এদিকে বিপাশার বাড়ির লোকজন তার গতিবিধি কিছুটা পরিবর্তন দেখে মনে মনে অন্য রকম কিছু আঁচ করতে পেরেছে। আর রাসেলের খালার বাড়িতে ঘন ঘন আসতে দেখে তাদের মনে কিছুটা সন্দেহের উদ্রেক হয়েছিল। দ্বিতীয়বার শহরে খালার বাড়িতে আসার পর একদিন সন্ধ্যায় দেখা করার সময় পাশের বাড়ির এক ছোট ছেলে দেখে ফেলে। সেখানেই বিপত্তির শুরু।

বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।

চলমান---

Logo-1.png

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

Sort:  
 2 years ago 

মনে হচ্ছে আপনার এই ঘটনাটা বেশ হৃদয়বিদারক। যাইহোক অপেক্ষায় থাকলাম বিপাশা এবং রাসেলের পরবর্তীতে কী হয়েছিল সেটা জানার জন্য। আসলেই প্রেম ভালোবাসা জাতি ধর্ম বয়স এগুলো মানে না।।

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাই ঘটনাটা আসলেই অনেক হৃদয়বিদারক।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 67333.38
ETH 3247.21
USDT 1.00
SBD 2.65