পটল দিয়ে সুস্বাদু পায়েস রেসিপি ||"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ২১ ||
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
তাছাড়া আমি নিজেও মিষ্টি জাতীয় খাবার একটু বেশি পছন্দ করি। তাই আর দেরি না করে পটল দিয়ে পায়েস করার সিদ্ধান্ত নেই। প্রথমে একটু সন্দেহ ছিল পটল দিয়ে পায়েস কেমন হতে পারে। পরে যখন শুরু করলাম আস্তে আস্তে সব সন্দেহ অনেক দূরে চলে গেল। আশা করছি আমার আজকের পটলের পায়েস রেসিপিটি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। খুব বেশি কথা না বাড়িয়ে রেসিপির দিকে চলে যাই।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পটল | মাঝারি সাইজের ৮ টা |
দুধ | ১ লিটার |
পাউডার দুধ | ৩ টেবিল চামচ |
চিনি | এক কাপ অথবা স্বাদমতো |
তেজপাতা | ২-৩ টা |
বড় এলাচ | ১-২ টা |
ছোট এলাচ | ৩-৪ টা |
দারুচিনি | ৩ টুকরা |
কিসমিস | পরিমাণমতো |
কাজু বাদাম | পরিমাণমতো |
কাঠ বাদাম | পরিমাণমতো |
প্রস্তুত প্রণালী:
শুরু করছি:
প্রথমে পটল গুলোর খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।
এখন পটলগুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি।
কড়াইতে পানি ফুটিয়ে নিয়ে সেখানে কেতে নেওয়া পটলগুলো ঢেলে দিয়ে দশ মিনিট সময় নিয়ে সিদ্ধ করেছি।
সিদ্ধ করা পটলের টুকরোগুলো একটি জালি গামলার মধ্যে ঢেলে নিয়ে পানি গুলি ঝরিয়ে নিয়েছি।
পূর্বে গরম করে রাখা দুধগুলো একটি পাতিলে বসিয়ে সেখানে অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে গরম করে নিয়েছি। তারপর সেখানে তেজ পাতা দিয়েছি।
এখন দুধের মিশ্রণে স্বাদমত চিনি দিয়েছি। চিনির পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে, যে যেরকম মিষ্টি পছন্দ করে।
পূর্বেই ধুয়ে প্রস্তুত করে রাখা কিসমিস গুলো পাতিলের মধ্যে ঢেলে দিয়েছি।
যেকোনো পায়েস রান্নার সময় আমি কাঠবাদাম দিতে ভুল করি না। আমার কাছে খেতে বেশ ভালোই লাগে এখানেও কিছুটা কাঠবাদাম দিয়েছি।
আর কাজু বাদাম না দিলে তো চলবেই না। তাই স্বাদ বৃদ্ধির জন্য কিছুটা কাজু বাদাম দিয়েছি।
দুধের মধ্যে সবগুলো মিশ্রণ ভালো করে ফুটিয়ে নেয়ার পর সিদ্ধ করে রাখা পটলের টুকরোগুলো আস্তে আস্তে সেখানে ঢেলে দিয়েছি।
এখন চুলার তাপ কমিয়ে দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় নিয়ে রান্না করবো। তারপর আমার পটলের পায়েস ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে পরিবেশনের জন্য নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত:
এভাবেই তৈরি করে ফেললাম পটল দিয়ে ইউনিক পায়েস রেসিপি। এর আগে আমার খাওয়া তো দূরের কথা কখনো কল্পনাই করিনি। আবারো @hafizullah ভাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য। সত্যি বলতে পটল নিয়ে এই প্রতিযোগিতা যদি আয়োজন করে না হত তাহলে হয়তো এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমরা দেখতে পেতাম না। পটলের ভিন্নধর্মী এ ধরনের রেসিপি আমরা কখনো বাসায় ট্রাই করিনি। যাইহোক পায়েস তৈরি করার পর খেয়ে দেখলাম অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছিল। খাওয়ার পর বুঝতেই পারিনি এই পায়েস পটলের তৈরি। আমার কথার সত্যতা প্রমাণের জন্য আপনার অবশ্যই বাসায় একবার ট্রাই করে দেখবেন। হাফিজ ভাইয়ের কথায় তাল মিলিয়ে বলতে হয় বাজারে আতপ চাউলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এখন থেকে পটল দিয়েই পায়েস তৈরি করে খেতে হবে হা হা হা।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
ভাইয়া আপনি তো বেশ চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ৷ পটল দিয়ে পায়েশ রান্না করা যায় এর আগে জানাও ছিলো না আমার ৷ সত্যিই আপনি অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ৷ আমার কাছে এই রেসিপি অনেক ভালো লাগলো ৷আপনার রেসিপি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে ৷ আশা করি খেতেও দারুণ স্বাদের হয়েছে ৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ৷ আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ৷
এতটাই স্বাদের হয়েছিল যে খেয়ে আমি নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না আসলেই কি এটা পটলের পায়েস।
পটল দিয়ে সুস্বাদু পায়েস রেসিপি টা একদম ইউনিক হয়েছে।এই ধরনের রেসিপি আমি এই প্রথম দেখলাম।পটল দিয়ে পায়েস রান্না করা যায় আজকে আমি প্রথম দেখলাম। সম্পন্ন ভিন্ন একটি রেসিপি। রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা এবং দোয়া রইলো আপনার জন্য।
আমারও জীবনে প্রথম কিন্তু খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল।
ভাইয়া আপনার পটলের পায়েস দারুণ ছিল। প্রতিযোগিতা না হলো বুঝতেই পারতাম না যে পটল দিয়ে পায়েস রান্না করা যায়।দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
প্রতিযোগিতা না হলে আমি নিজেও কোনদিন হয়তো ট্রাই করতাম না।
রেসিপিটা আসলেই অনেক ইউনিক ভাই। অসাধারন ভাবেই তৈরি করেছেন। আমি তো পটল দিয়ে কেনো এমনিতেই কিছু রান্না করতে পারিনা তেমন। তাই এইবার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করাও হয়না। আপনার রেসিপিটি এক কথায় অসাধারন। আশা করি আপনি কোনো একটি স্থান দখল করতে পারবেন।
হঠাৎ করেই মাথায় এসেছিল ভাই।
তাই তৈরি করে ফেললাম।
খেতে কিন্তু বেশ হয়েছিল।
আমি রীতিমত অবাক রেসিপি টা দেখে। এটাও সম্ভব! পটল দিয়ে পায়েস 😅। দারুন একটা আয়োজনের সাক্ষী হলাম ভাই। অসম্ভব ভালো লেগেছে। একটু টেস্ট নেওয়ার খুব ইচ্ছে করছিল দেখে কিন্তু সুযোগ নেই। তবে আশা করি দারুন লেগেছে খেতেও 👌
সম্ভব হলে আমিও সেই সুযোগটা হাতছাড়া করতাম না অবশ্যই আপনাকে টেস্ট করাতাম। খেতে কিন্তু বেশ হয়েছিল।
বাহ! ইউনিক বলতে একবারে ইউনিক! দেখতে মনে হচ্ছে খুবই স্বাদের হয়েছে? হাফিজুল্লাহ ভাইয়া যদি পটল দিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন না দিতেন আজ এত ইউনিক ইউনিক রেসিপি দেখতে পেতাম না। ভাইয়াকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
একদম ঠিক বলেছেন হাফিজ ভাইয়ের জন্যই এতো কিছু সম্ভব হয়েছে।
পটলের পায়েস ভাই সত্যি কল্পনার বাইরে। আপনি একদম নতুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন, খুবই ভালো লাগলো।
আমি নিজে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। পটলের পায়ের কখনো খাওয়া হয়নি।
ভালো হবে তো !! পরে খেয়ে দেখলাম অসাধারণ।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে পটল দিয়ে সুস্বাদু পায়েস রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেলো মন চাইতেছে এখন সবগুলো খেয়ে ফেলি। আমি এভাবে কখনো পটল দিয়ে পায়েস তৈরি করে খাইনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি নিজেও কি কখনো খেয়েছিলাম
প্রথমবার করে দেখলাম
কিন্তু অসাধারণ হয়েছিল খেতে।
ওয়াও ভাইয়া,আপনার তৈরি পটল দিয়ে মিস্টি পায়েস রেসিপিটি দেখতে এতটাই সুন্দর ও সুস্বাদু লাগছে যেন এখন খেয়ে ফেলি।মিস্টি আমার খুব পছন্দের একটি খাবার।তাছাড়া ইউনিক ও নতুন একটি রেসিপি দেখে যেকারোই খেতে মন চাইবে।এত সুন্দর ও ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলেই ভাই তৈরি করার আগে আমিও বেশ চিন্তায় ছিলাম কেমন যে হয় খেতে। খাওয়ার পর দেখলাম অসাধারণ হয়েছিল রেসিপিটি।