হাঁসের ডিমের জালি কাবাব || 10% beneficiary to @shy-fox.
হ্যালো আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
 |
|---|
আজকে আমি হাঁসের ডিম ও আলু দিয়ে মজাদার একটি রেসিপি হাঁসের ডিমের জালি কাবাব নিয়ে এসেছি। এই ধরনের রেসিপি গুলো অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু হয়। রমজান মাসে ইফতারের সময় প্রতিদিন আমরা ডাল ও সবজির পাকোড়া সচারচর বানিয়ে খাই। আজকে আমি এসবের বাইরে একটু ভিন্ন রকম রেসিপি নিয়ে এসেছি। হাঁসের ডিমের জালি কাবাব রেসিপিটি যেমন সুস্বাদু তেমন পুষ্টিকর। আমার এই রেসিপিটি একদম ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজে তৈরি করা যায়। ইফতারের সময় খুব অল্প মসলা ব্যবহার করে এরকম হাঁসের ডিমের জালি কাবাব বানিয়ে আমরা খুব মজা করে খেতে পারি। এই ধরনের রেসিপি গুলো বাড়ির ছোট বাচ্চারা বেশি পছন্দ করে। ইফতারের সময় এই ধরনের রেসিপি আপনারা ট্রাই করতে পারেন খেতে ভাল লাগবে। এখন আমি হাঁসের ডিমের জালি কাবাবের প্রস্তুত প্রণালি দেখে নেব।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
 |
|---|
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| আলু | মাঝারি ৪ টা |
| ডিম | ৪ টা |
| সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
| লবন | স্বাদমতো |
| পেঁয়াজ | ২-৩ টা |
| কাচা মরিচ | ৭-৮ টা |
| জিরা গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
| ধনিয়া গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
| পাঁচফোড়ন গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
প্রস্তুত প্রণালী:
ধাপ -১
 |
|---|
ডিমগুলোর মধ্যে ২ টি ডিম সিদ্ধ করে গ্রেট করে নিয়েছি।
ধাপ -২
 |
|---|
আলু গুলো সিদ্ধ করে নিয়ে গ্রেট করে নিয়েছি।
ধাপ -৩
 |
|---|
গ্রেট করা আলু ও ডিম গুলো একত্রে একটি পাত্রে নিয়েছি।
ধাপ -৪
 |
|---|
গ্রেট করা আলু ও ডিমের মিশ্রণের মধ্যে কুচি কুচি করে কেটে রাখা কাচা মরিচ দিয়েছি।
ধাপ -৫
 |
|---|
এখন এই মিশ্রণের সাথে কেটে রাখা পেঁয়াজ গুলো দিয়েছি।
ধাপ -৬
 |
|---|
প্রয়োজনীয় মশলা গুঁড়ো ও লবণ মিশিয়ে দিয়েছি।
ধাপ -৭
 |
|---|
এখন সবগুলো উপকরণ একত্রে ভাল করে মেখে নিয়েচি। যেন সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশে যায়।
ধাপ -৮
 |
|---|
মিশ্রণ করা উপকরণ থেকে এভাবে ছোট ছোট করে গোল করে নিয়েছি। গোল করে নেয়ার পর মাঝখানে চাপ দিয়ে চ্যাপ্টা করে নিয়েছি।
ধাপ -৯
 |
|---|
এখন ফ্রাই প্যানে ভাজার জন্য তেল দিয়ে তেল গরম করে নিয়েছি।
ধাপ -১০
 |
|---|
এখন আমার হাঁসের ডিমের জালি কাবাব তৈরি করার জন্য পূর্বে ডিম ভেঙ্গে রেখেছিলাম। এখন ডিমের মধ্যে চুবিয়ে তেলে ছেড়ে দেবো।
ধাপ -১১
 |
|---|
এভাবে পর্যায় পর্যায়ক্রমে সবগুলো বাদামি কালার করে ভেজে নিয়েছি।
হাঁসের ডিমের জালি কাবাব প্রস্তুত:
 |
|---|
এভাবে সবগুলোই ভেজে নেয়ার পর আমার হাঁসের ডিমের জালি কাবাব পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। আমি নিজে খেয়েছি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আজকের হাঁসের ডিমের জালি কাবাব স্বল্প সময়ে এবং সহজেই পুষ্টিসম্মতভাবে তৈরি করা যায়। মশলার পরিমাণ কম হওয়ার কারণে হাঁসের ডিমের জালি কাবাব স্বাস্থ্য সম্মত হয়েছে। আপনারা বাসায় ট্রাই করতে পারেন আশা করি ভালো লাগবে আমার হাসি ডিমের জালি কাবাব। রেসিপি টা আপনাদের কাছে কেমন লাগলো মূল্যবান মতামত জানাবেন আশা করছি।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
| পোস্ট | রেসিপি |
|---|---|
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
| ফটো | @mayedul |
ডিম দিয়ে যে কাবাব তৈরি হয় আজকে প্রথম দেখলাম। আপনি খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখেই তো আমার খেতে ইচ্ছে করতেছে আমি একদিন আপনার মত করে হাঁসের ডিম ও আলু দিয়ে জালি কাবাব তৈরি করে খেয়ে দেখব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই খেতে অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হাঁসের ডিমের জালি কাবাব খেতে কেমন লাগে আমার জানা নাই। কারন আমি কখনো খাই নাই। তবে আমার মনে হচ্ছে এই রেসিপিটিটা অনেক মজা হয়েছে। আপনার রেসিপি দেখে সতি অনেক খেতে মন চাচ্ছে। ভালোবাসা নিয়েন ভাই।
নিঃসন্দেহে খেতে অনেক সুস্বাদু একবার ট্রাই করে দেখুন।
এতদিন জানতাম কাবাব শুধুমাত্র মাংস দিয়েই তৈরি হয়। আজ ডিম দিয়ে কাবাব তৈরি দেখলাম। সত্যি বলতেকি তেলেভাজা যেকোনো মুচমুচে খাবারই আমার কাছে ভালো লাগে। জালি কাবাব তৈরীর পদ্ধতিটি বেশ সহজ লাগলো। আশা করি চেষ্টা করলে আমিও বানাতে পারবো। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য
অবশ্যই করতে পারবেন পদ্ধতিটি অত্যন্ত সহজ আর খেতেও অনেক সুস্বাদু।
ওয়াও ভাইয়া বিভিন্ন রকম কবর খেয়েছি কিন্তু ডিমের কাবাব খাওয়া হয়নি।আপনি হাসের ডিমের জালি কাবাব করেছেন জা আমার কাছে একেবারই নতুন।প্রথম শুনলাম দেখলাম।খুব খেতে ইচ্ছে করছে কিন্তু খেতে তো পারবোনা শিখে নিয়েছি নিজেই ট্রাই করবো।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনাদের জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা খেয়ে দেখবেন আশা করছি ভাল লাগবে।
ভাইয়া, হাঁসের ডিমের জালি কাবাব রেসিপিটি আমার কাছে একদম ইউনিক একটি রেসিপি লাগছে। কারণ ডিম দিয়ে কখনও জালি কাবাব তৈরি করে খায়নি।তবে আপনার তৈরি করা হাঁসের ডিমের জালি কাবাব গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।অনেক পুষ্টি রয়েছে হাঁসের ডিমে তাই এই রেসিপিটি স্বাস্থ্যকর হবে। ভাইয়া,হাঁসের ডিম দিয়ে জালি কাবাব তৈরি করা প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আপনি সম্পন্ন করেছেন এবং আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এতো সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
আসলেই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল আমার পোস্টে এসে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার রেসিপি টা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। দেখেই খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে ভাই। খুব ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এত অসাধারন ইউনিক একটি সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টটি ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনি হাঁসের ডিম দিয়ে জালি কাবাব তৈরি করার পদ্ধতি খুবই সুন্দর হয়েছে তবে একদম নতুন আমার মনে হয়।এ রকম তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি।যাইহোক সাথে উপস্থাপন খুবই সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এতো সুন্দর একটা লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
একবার খেয়ে দেখেন অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি রেসিপি। শুভকামনা রইল।
আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে অল্পকিছু মসলা দিয়ে খুবই চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ।আপনার হাঁসের ডিমের জালি কাবাব টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ।এ ধরনের একটি খাবার ইফতারিতে পেলে বেশ ভালই হয় ।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন যা দেখে আপনার কাছ থেকে আপনার রান্নার পদ্ধতি শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
ইফতারের উদ্দেশ্যে অল্প মসলা ব্যবহার করে রেসিপিটি করেছিলাম। আর খেতেও অনেক সুস্বাদু ছিল।
হাঁসের ডিমের জালি কাবাব রেসিপি দারুন হয়েছে। হাঁসের ডিম আমার অনেক পছন্দের তবে হাঁসের ডিম দিয়ে মজার রেসিপি কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আলু দিয়ে ও হাঁসের ডিম দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে এই মজার রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটি একবার ট্রাই করে দেখেন খেতে অনেক ভালো লাগবে। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার পোষ্টে আসার জন্য।
ওয়াও খুবিই মজাদার খাবার,আমার পছন্দের একটি খাবার।আপনি খুবিই ভালো করে আমাদের মাঝে নিয়ে হাজির হয়েছেন,প্রতিটা ধাপ খুবই সুন্দর করে আমাদের মাঝে প্রেজেন্ট করছেন।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।