আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রখর রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া দেখে মনের মধ্যে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা জেগে উঠলো। মনে মনে ভেবেছিলাম আজকে ছুটির দিনে একটু বিশ্রাম নিয়ে সারা দিন কাটাবো। কিন্তু আমরা সবসময় যা ভাবি তা আর হয়ে ওঠে না। আজকে সারাদিন প্রচন্ড গরমের সাথে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরছিলো। সঙ্গে আবার বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। তাই আমার সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়ে বাসায় বসে বসে সারাটা দিন ঘাম ঝরালাম।
আজকে সারাদিন গরমের কারণে এত ক্লান্ত লাগছিল কোন কিছু করতে ভালো লাগছিল না। তাই বিকাল বেলায় মোবাইল ফোনটা হাতে নিয়ে পুরনো কিছু ফটোগ্রাফি দেখতেছিলাম। সেই সময়ে আমার ভাল লাগা কিছু ফটোগ্রাফি সিলেক্ট করে রেখেছিলাম আজকে শেয়ার করার জন্য। এখন আমার সেই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সামনে নিয়ে আসছি।
আমার বাসা থেকে বের হয়ে প্রায় সময়ই রেললাইন পার হয়ে হাইওয়েতে গিয়ে আমি রিক্সা নেই। আজকেও ঠিক তেমনি এই দিক দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের হুইসেল শুনে দাড়ালাম। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রেন চলে গেলো। ট্রেন যাওয়ার দৃশ্য আমার ফটোগ্রাফি নেয়ার ইচ্ছা হল। এই দিক দিয়ে হাঁটতে আমার মোটামুটি ভালই লাগে সারিবদ্ধ ভাবে অনেক গাছ থাকার কারণে জায়গাটা বেশ ভালো।
এই পুকুরটা আমার শহরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশেই। এখন এর নামকরণ করা হয়েছে কুড়িগ্রাম নিউ টাউন পার্ক। কয়েক বছর আগেও পুকুরটা এত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিলনা মানে বসে থাকার মত অবস্থা ছিল না। সময়ের ব্যবধানে
পুকুরটা এখনো অনেক সাজানো-গোছানো। সকালে বিকালে এখানে অনেক লোকের আনাগোনা থাকে। ক্লান্ত পথচারীর বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বসার ব্যবস্থা আছে সব মিলিয়ে পুকুরটা এখন দেখার মত।
পুকুরের পাশে সারিবদ্ধ ভাবে অনেক প্রকার ফুলের গাছ লাগানো আছে। সবগুলো ফুল গাছ দেখতে অনেক ভালো বিশেষ করে গন্ধরাজ ফুলের গাছ গুলো আমার বেশি ভালো লেগেছে। সারিবদ্ধ ভাবে অনেকগুলো গন্ধরাজ ফুলের গাছ একত্রে আমি কখনো দেখিনি। আর গন্ধরাজ ফুলের গাছ এত ছোট হতে পারে এটা আমার আইডিয়া ছিলো না। আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো।
বেশ কয়েকদিন আগে আমি নদী তীরবর্তী অঞ্চলে কাজে গিয়েছিলাম এই ফটোগ্রফি গুলো সেখানেই নেয়া। রমজানের শুরু থেকে প্রায় প্রতিদিনই আমাদের এদিকে কিছু কিছু করে বৃষ্টি হচ্ছে। সেইসঙ্গে নদীতে কিছুটা জোয়ার আসার কারণে জেগে ওঠা চর গুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। নদীর চরগুলোতে নতুন পানি ঢুকতে শুরু করলে চরাঞ্চলে ছোট থেকে বড় সকলেই যেন আনন্দে মেতে ওঠে। পরবর্তীতে অবশ্য এই পানি তাদের সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নতুন পানি আসার কারণে ছোট বাচ্চারাও নৌকা নিয়ে বের হয়েছে।
পড়ন্ত বিকালবেলায় ইফতারের আগ মুহূর্তে বারান্দায় বসে ছিলাম। ডুবন্ত সূর্য টি যেন বাঁশ বাগানের উপর দিয়ে আমার সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল। সেদিনটাতে অনেক বাতাস ছিল তাই বাতাসের মধ্যে বাঁশবাগানে প্রচন্ড দোল খেলছিলো। বাশের উপর দিয়ে ডুবে যাওয়া সূর্যি মামা কে আমি ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করেছিলাম।
শুক্রবার ছুটির দিনে বিকালে একটু ঘুরতে বেরিয়ে নিছক ভালোলাগা থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সারাটা দিন রৌদ্রের অত্যধিক তাপদাহের কারণে জনজীবন প্রায় অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল। বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে বাড়িতে বসে থাকতে ভাল লাগছিল না। তাই বিকাল বেলায় খোলা আকাশের নিচে কিছুটা ভালো রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে বের হয়েছিলাম। ঘুরতে ঘুরতেই এই ফটোগ্রফি গুলো তোলা হয়েছিল। অনেক ভুল ত্রুটি থাকতে পারে ক্ষমা করে দিয়ে মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন আশা করছি।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
![Logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbZYNxy7yACEKsx9y5jEoHEvabbVJuaPaTqiEciHLh398/Logo.png)
![3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeNW8WGqB2SscxBbm243ErNeLe1aTY8yLYdZGXGZgGfeS/3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif)
আহা! ভাই প্রথমেই আপনার জন্য এক বালতি সমবেদনা আপনার ছুটির দিনটা ঘরেই কাটাতে হলো। তবে ফাকে থেকে আমরা দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি দেখে নিলাম 😜।
চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এতো কষ্ট নিয়েও আমাদের মাঝে দারুণ সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমাকে সমবেদনা জানানোর জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।
আপনার ভাললাগা ফটোগ্রাফি গুলা আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে কোনটা রেখে কোনটা কে ভালো বলব বুঝতে পারছি না তবে বাচ্চাদের নৌকা চালানোর দৃশ্য দেখে আমারও শৈশবের কথা মনে হয়ে গেল আমিও একসময় নদীতে এভাবেই নৌকা বাইতে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য
ফটোগ্রাফি গুলো আসলেই ভাই খুবই সুন্দর। আসলে এরকম ফটোগ্রাফি দেখতেও ভালো লাগে,আর করতেও ভালো লাগে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল ধন্যবাদ জানাই আপনাকে
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
সুন্দর ছিলো আপনার ছবি গুলো। খুব সুন্দর করে সব গুলো ছবি তুলেছেন আপনি। আমার কাছে নদীর ধারের ছবি গুলো বেশি ভালো লেগেছে। খুব ভালো ছবি তুলেন আপনি ভাই। দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও অনেক আনন্দিত। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেন। প্রতি পর্বের মতো এই পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে বিশেষ করে নৌকার উপর বসে থাকা ছোট্ট বাচ্চা দুইটির ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা রইলো।
আপনার ভালো লাগা ফটোগ্রাফি গুলো আমারও অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া, আপনি অসাধারণ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এবং সুন্দর করে বর্ণনাও দিয়েছেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
আমার পোস্টে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।
আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার খুবই ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। বিশেষ করে ট্রেনে ভ্রমণের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জাস্ট আমার যাওয়ার মুহুর্তেই ট্রেনটা এসেছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যি ভীষণ গরম পড়ছে। আপনি ক্যারেন্ট না থাকায় ঘাম ঝরিয়েছেন আর আমাদের এদিকে ফ্যানের নিচে বসেও ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। আজকেও খুব গরম দিচ্ছে সহ্যহীন। যাইহোক আপনার ট্রেন লাইনের ফোটোগ্রাফিগুলো বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
দাদা রোজা রেখে গরমটা আরো বেশি অসহ্য লাগছিলো আজকেও সেরকমই। আমার পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
আমার পোস্টে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা।