মধ্যরাতে কিছু মেডিসিন ও চায়ের সন্ধানে
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
এতরাত্রে চা যদিও বাসায় করে নেয়া সম্ভব কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মেডিসিনের বক্স খুলে দেখি আমার প্রয়োজনীয় মেডিসিন নেই। মাথায় এত যন্ত্রণা নিয়ে মেডিসিন ছাড়া রাত্রে ঘুমাতে পারবো না নিশ্চিত। তাই বেরিয়ে পড়লাম প্রয়োজনীয় মেডিসিন ও চায়ের সন্ধানে অজানার উদ্দেশ্যে। অজানার উদ্দেশ্যে হলেও কিছুটা আশা আছে। কিছুটা বললে ভুল হবে অনেকটাই আশা আছে চা ও মেডিসিন পাওয়ার। আমি যতটুকু জানি আমার পার্শ্ববর্তী খলিলগঞ্জ বাজারে একটি নাইট হোটেল আছে। এবং একটি মেডিসিনের দোকানে রাত্রে ছেলে থাকে সার্ভিস দেয়ার জন্য। সেখানে অভিনব কায়দা রাত্রে মেডিসিন বিক্রি করা হয়। মেডিসিনের লিস্ট ও টাকা সাটারের নিচ দিয়ে ভিতরে দিলে কাঙ্খিত ঔষধ পাওয়া যায়। এই আশায় বাজারের দিকে রওনা দিলাম।
চারিদিকে নিকষ কালো অন্ধকার তাতে কি আমি সাধারণত রাতে চলাফেরা করতে খুব একটা ভয় পাই না। শুধু একটু সমস্যা আমার বাসা থেকে কিছু দূরে ঈদগাহ মাঠের পাশে একটি কবরস্থান আছে। রেল ক্রসিং এর আগে কবরস্থানের সামনে দিয়েই আমাকে হেঁটে যেতে হবে। ভয়কে জয় করে আমি সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম।
রেল ক্রসিং পার হয়ে এটা ধনীর মোড়। সামনের ওই দোকানদার ভাইয়ের নাম শওকত ধনী। শওকত ভাইয়ের নাম অনুসারে নতুন করে এই মোড়ের নামকরণ ধনীর মোড় করা হয়েছে। এখানেও আমি চা পেতে পারি কিন্তু প্রয়োজনীয় মেডিসিন এখানে পাওয়া যাবে না। তাই এখানে অপেক্ষা না করে বাজারের দিকে চলে গেলাম।
দ্রুত গতিতে বাজারে চলে আসলাম আর কে রোডের দুই দিকে প্রায় ফাঁকা। মাঝে মাঝে দুই একটা গাড়ি আসা যাওয়া করছিল। এত রাতে যে দু একজন লোককে দেখা যাচ্ছে তারাও হয়তো আমার মতো কোনো প্রয়োজনে বাইরে এসেছে। অত চিন্তা না করে আমি আমার প্রয়োজনীয়তা সেরে নেয়ার চেষ্টা করলাম।
অবশেষে চলে এসেছি নাইট হোটেলে। আমি সব সময় এই দিক দিয়ে যাই কিন্তু কখনো এখানে নামার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি। এতদিন দেখতাম রাতে এখানে শুধু বিস্কিট, চা, রুটি আর কেক এসব বিক্রি হত। আজকে এখানে এসে এদের ব্যবসায় অনেক উন্নতি দেখে খুব ভালো লাগলো। এখন এখানে উন্নতমানের চাল দিয়ে খিচুড়ি, গরু ও খাসির মাংস এবং মুরগির রোস্ট পাওয়া যায়। প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলা দোকান খোলা হয় আর পরের দিন সকাল সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত খোলা থাকে। এরকম নাইট হোটেল গুলোর জন্য অবশ্য অনেক লোক উপকৃত হয়। যেমনটা আমি আজকে খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পারলাম।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
---|---|
ফটো | @mayedul |
লোকেশন | w3w location |
আসলে আমি মনে করি এখন কাজেই সিচুয়েশন এর মধ্যে প্রায় সবাই যার যার জীবনযুদ্ধের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সময়টা যেন খারাপ পথেই যাচ্ছে। এভাবে টিকে থাকাটাও বেশ কঠিন। কিন্তু মাঝ রাতে এরকম চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা বেশি ভালোই লাগে। ধনীর মোড় নামটা শুনে কিরকম একটা লাগলো। সামনের দোকানদার এর নাম অনুসারে এই মোড়ের নামকরণ করা হয়েছে এটা আরেকটু অবাক লাগলো। কিন্তু এখানকার চায়ে ভালো মেডিসিন না থাকাতে আপনি বাজারের দিকে চলে গেলেন। মুহূর্তটা বেশ ভালই ছিল।
মধ্যরাতে চা খাওয়ার মজাটাই কিন্তু আলাদা। আর সেটা যদি বাইরে একা একা হেঁটে গিয়ে খাওয়া হয় তাহলে তো আরো বেশি মজা। আমার অবশ্য চা খেতে খুব ভালো লাগে। আমার যখন মন চায় তখন আমি নিজে রাত্রে একা বের হয়ে যায় চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে।আপনি যে এত রাতে কবর স্থানের পাশ দিয়ে একা হেঁটে গিয়েছেন বিষয়টা আমার খুবই ভালো লাগলো। কারণ অত রাতে কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়াটা কিন্তু অনেক সাহসের একটা বিষয়।তারপর আপনি ভয় কে জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন। আপনার পোস্টটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
যারা সোনার চামচ মুখে না নিয়ে জন্মায় তাদের জন্য জীবন মানেই সংগ্রাম। প্রতিনিয়ত কষ্ট আর পাওয়া না পাওয়ার হিসাব নিয়েই আমাদের এই জীবন। মধ্যরাতে এমন অভিজ্ঞতা আমারো আছে। তবে যাই বলেন রাতের আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে।
রাত্রে বেলা আপনি একা একা কবরস্থানের পাশ দিয়ে হেঁটে গিয়েছেন শুনে ভয় লাগলো। যদিও কবরে কিছু থাকে না তার পরেও রাত্রে শুনে একটু ভয় লাগলো। ঠিক বলেছেন আপনার মত আমার যখন মাথাব্যথা থাকে তখন কিন্তু খুব সহজে ঘুম আসে না ওষুধ খাওয়াই লাগে। আপনার পোষ্টটি পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চা এবং মেডিসিনের জন্য মধ্যরাতে আপনি বের হলেন। আর মধ্যরাতে চা খাওয়ার মজাই আলাদা। মেডিসিন আপনার খুব প্রয়োজন রাত্রে আপনার ঘুম আসবে না।পার্শ্ববর্তী খলিলগঞ্জ বাজারে একটি নাইট হোটেল আছে। কিন্তু আপনার বাসা থেকে বের হয়ে রেলওয়ে অফার ট্যাগ করে একটি কবরস্থান উপর দিয়ে গেলেন। আপনার অনেক সাহস বলতে হয় আমি কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতাম আমার খুব ভয় লাগে। রাতে হোটেলটি খোলা থাকার কারণে মানুষ অনেকেই উপকার আসে। এবং সকাল সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত খোলা থাকে। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মধ্যবিত্ত নামক শব্দটা ঘিরে রয়েছে ভীষণ কষ্ট আর যুদ্ধের প্রতিচ্ছবি। মধ্যরাতে আমি একবার আমার ছেলের জন্য ইনহেলার মেশিন খুঁজতে গিয়ে ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম। যাক আপনার সমস্যার সমাধান হয়েছে এটাই বড় বিষয়। দোয়া করি আপনার সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে সুন্দর জীবন যাপন করুন 🤲