উপজেলা পরিষদে কাটানো কিছু মুহূর্ত
হ্যালো আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
সকাল থেকেই আকাশটা অনেক মেঘলা ছিল। শেষ রাত থেকে সকাল দশটা অব্দি একটানা মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। তারপর আর বৃষ্টিপাত না থাকলেও আকাশ এতটাই মেঘলা ছিল যে দেখে মনে হচ্ছিল যে কোন মুহূর্তে বৃষ্টি হতে পারে। আমরা সেখানে বসে থাকতেই বেশ জোরেশোরে বৃষ্টি পড়তে শুরু করল। বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টি হওয়ার পর একদমই থেমে গেল। সবাইকে অবাক করে দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই রোদ্রের আলোকচ্ছটা গাছের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিতে লাগল। বৃষ্টির ছাড়তেই কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা উপজেলা পরিষদে পৌঁছে গেলাম।
আমরা অফিস ছুটির কিছুক্ষণ আগে সেখানে পৌঁছে গেলাম। অফিস চত্বরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা অফিস চত্বর ত্যাগ করলেন। আমাদের কাজ অবশ্য কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারের সঙ্গে। তাই অফিসের সামনে বাইকটা পার্কিং করে আমরা ভিতরে যাওয়ার জন্য এগিয়ে গেলাম।
অফিস চত্বরে ঢুকে সরাসরি আমাদের কাঙ্ক্ষিত কৃষি অফিসারের চেম্বারের দিকে চলে গেলাম। আমি আমার বন্ধুকে চেম্বারে দিকে পাঠিয়ে দিয়ে উপজেলা চত্বরে আশেপাশে ঘুরে দেখার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে আসলাম। আমারে ওই বন্ধুকে বলে আসলাম কাজ শেষে তুমি আমাকে কল দিও আমি উপজেলা চত্বর একটু ঘুরে দেখি। এই বলে আমি সময় কাটানোর উদ্দেশ্যে চারদিকে ঘোরাঘুরি করতে লাগলাম।
উপজেলা পরিষদের সামনে অনেক বড় একটি পুকুর এই পুকুরের পাড় উপচে পানি উপজেলা পরিষদের চত্বরে ঢুকে পড়েছে। কয়েকদিনের অনবরত বৃষ্টির কারণে আমাদের অঞ্চলে প্রত্যেকটা পুকুর ও খাল বিল একেবারে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। বৃষ্টির পরিমাণ এতটাই বেশি হয়ে যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার সামনে পর্যন্ত পাকা রাস্তার উপরে পানি জমে ছিল। বিশাল এই পুকুরটিতে প্রতিবছর প্রচুর মাছ চাষ করা হয়। পুকুর পানি ভর্তি হওয়ার কারণে চারিদিকে নেট দিয়ে মাছ গুলোকে আটকে রাখার প্রচেষ্টা চলছে।
বিশাল এই পুকুরের পাশে অনেক বড় একটি মেহগনি গাছের বাগান আছে। মেহগনি গাছের বাগান পার হয়ে আমি ওই দিকটায় পাকা রাস্তা দিয়ে হাঁটার জন্য এগিয়ে গেলাম। এই গাছ বাড়ির ভিতরে প্রচুর কাদা দেখে বুঝতে পারলাম বেশকিছুদিন পানি জমে ছিল। তার উপর দিয়ে হেঁটে পার হয়ে যাওয়ার পর সেই রাস্তায় লক্ষ্য করলাম অনেক পানি জমে আছে। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই পুকুরের পানি উপচে এসে চত্বরের প্রসব রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়।
আমার বন্ধুকে কৃষি অফিসারের চেম্বারে পাঠিয়ে দিয়ে আমি অনেকক্ষণ তার জন্য অপেক্ষা করলাম। এই গাছ বাড়িতে কিছুক্ষণ বসে সময় কাটাতে আমার বেশ ভালই লাগলো। বসে বসে অনেক্ষণ বাদাম চিবালাম আর প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করলাম। দেখতে দেখতে অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে গেল শেষ বিকেলে এসে সূর্যের আলোকচ্ছটা বেশ ভালোই উপভোগ করলাম। শেষ মুহূর্তে যখন শুনতে পেলাম ওর আরো কিছুক্ষণ বিলম্ব হবে। আর কৃষি অফিসার কে সঙ্গে নিয়ে তার খামার ভিজিট করবে। তাই আমি আর অপেক্ষা না করে সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
---|---|
ফটো | @mayedul |
লোকেশন | w3w location |
আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি উপজেলা পরিষধে ভালো কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন।বিশেষ আপনার পোস্টের ছবিগুলো অসম্ভব সুন্দর উয়েছে। আমার এই রকম দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। ভালোবাসা অবিরাম।
শেষ বিকালে সেখানে বসে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে আমারও খুব ভাল লেগেছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
উপজেলা পরিষদের ভিতরেও দেখছি পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক সুন্দর পরিবেশ ভিতরে। বিশেস করে পুকুরের মধ্যে বিশাল দুইটি বকের ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। অনেক ভাল লেগেছে এটি আমার কাছে। গাছবাড়িতে বসে বেশ ফিল নিয়েছেন জানতে পারলাম। ভাল ছিল আপনার লেখা। ধন্যবাদ
পুকুরের জন্য উপজেলা চত্বরের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে গিয়েছে। বকের পাশাপাশি এখানে একটি হাতিরও ভাস্কর্য আছে।
আপনার উপজেলা পরিষদের দেখি পানি ঢুকে পড়েছে ।আসলে দেশের এখন অবস্থা খুবই খারাপ ।পানি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় উঠে পড়েছে। তবে আপনি উপজেলা পরিষদের কাটানো মুহূর্তগুলো যে আমাদের মাঝখানে শেয়ার করে আমাদের একটি আপডেট দেয়ার চেষ্টা করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই ।
অন্যান্য এলাকার মতো আমার জেলাতেও বন্যা পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
উপজেলা পরিষদে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন ভালো লাগলো। পুকুর টি দেখতে তো অনেক বড়। গাছের ভিতর দিয়ে সূর্যের আলো বাহ্ দারুন হয়েছে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আসলেই পুকুরটি অনেক বড়। মাঝেমাঝে এই পুকুরে সাঁতার প্রতিযোগিতাও হয়।
বেশ চমৎকার দেখাচ্ছে উপজেলা চত্বরটি।
বিশেষ করে পুকুর এবং পুকুরের মধ্যে বকের যে ভাস্কর্য সত্যিই অসাধারণ সুন্দর। প্রচুর মাছ চাষ হয় বলছিলেন। আহারে জাল দিয়ে কি এতো মাছ আটকাতে পারবে? আর বৃষ্টিতে দেখছি উপজেলা চত্বরে পানি উঠে গেছে। যাক সবমিলিয়ে আপনিও ঘুরলেন আর আমাদেরও ঘুরিয়ে দেখিলেন।
ভালো লাগলো ভাই।
দোয়া রইল 🥀
হ্যা উপজেলা চত্বরটি বেশ সাজানো গোছানো সময় কাটানোর জন্য খুব ভালো জায়গা। আগের দিন নাকি আরো অনেক পানি ছিল রাস্তার উপর দিয়ে।
পুকুরের যেদিকে পাড় নিচু সেদিকে জাল দিয়ে মাছ আটকানোর চেষ্টা চলছে আর কি।
রাস্তায় দেখছি পানি মনে হয় অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে রাস্তায় পানি জমে গেছে। আপনি আপনার উপজেলা পরিষদের কাটানো মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগছে। সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কয়েকদিনের প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক উচু জায়গাতেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে কয়েক দিন কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারিনি। কেমন আছেন আপনি আর আপনাদের এলাকার বন্যা পরিস্থিতি কি খবর জানতে ইচ্ছে করছে। উপজেলা পরিষদের পুকুরটি তো আসলেই অনেক বড়। আর বন্ধুর সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্ত বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ভালো থাকবেন শুভকামনা আপনার জন্য।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লার রহমতে ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন ? আর আমাদের এই দিকে বন্যা পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। গতকাল বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়েছিলাম প্রত্যেকটা বাড়িতে পানি উঠে গেছে। সেখানকার লোকজন অনেক মানবেতর জীবনযাপন করছে। সবাই বাঁধের উপর এসে আশ্রয় নিয়েছে।
ভালো থাকবেন।
আপনার নিজ উপজেলা পরিষদে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন খুবই ভালো লাগলো
আসলে হঠাৎ করেই এরকম সবুজ প্রকৃতির মাঝে বসে থাকতে আমারও খুব ভাল লেগেছিল। বিশেষ করে বৃষ্টির পরবর্তী সময়ে বেশ ভালো লাগে।
নতুন একটি স্থান সম্পর্কে জানতে পারলাম এবং বর্তমান অতিরিক্ত বর্ষার কারণে কিছু কিছু জায়গায় পানি জমে গেছে। যেখানে পানি নিষ্কাশনের পথ নেই বাহ পুকুর রয়েছে,ঠিক সেখানেই এমন দৃশ্য বেশি হয়েছে। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই উপজেলা পরিষদের ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা পড়ে।
কিছুটা সময় প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে সময় কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বেশ ভালো কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে এই পরিস্থিতি।