মৌসুমী সবজিগুলোর মধ্যে চাল কুমড়া অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু। এই সবজিটি আমরা ভাজি করে খেতে পারি আবার যেকোনো মাছ দিয়ে ঝোল করে খাওয়া যায়। চাল কুমড়া মাংস দিয়ে ঝোল করে খেতও আমি খুব পছন্দ করি। চাল কুমড়া ভাজি আমরা সবাই খুব পছন্দ করি এই ভাজি এমনি খেতেও অনেক ভালো লাগে। চাল কুমড়া দিয়ে আমার খুব পছন্দনীয় একটি রেসিপি আমি আজকে শেয়ার করতে এসেছি। চিংড়ি মাছ আমার অত্যন্ত প্রিয় তাই এই মাছ যে কোন সবজির সঙ্গে অল্প করে দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আমি এখানে চিংড়ি মাছ দিয়ে চাল কুমড়ার সুস্বাদু ভাজি রেসিপি করে। আমার বাড়ির প্রত্যেকেই এই রেসিপিটা খেতে খুব পছন্দ করে। এখন আর কথা না বাড়িয়ে আমার রেসিপির প্রস্তুত প্রণালি দেখে নেয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|
| চিংড়ি মাছ | ১০০ গ্রাম |
| চালকুমড়া | মাঝারি একটা |
| হলুদ গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
| সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
| লবন | স্বাদমতো |
| পেঁয়াজ | ২-৩ টা |
| কাচা মরিচ | ৪-৫ টা |
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
ধাপ -১
সবগুলো পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে আলাদা একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি।
ধাপ -২
কাঁচা মরিচ গুলো ফালি করে কেটে নিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি।
ধাপ -৩
চাল কুমড়া ভাজি করার জন্য কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি।
ধাপ -৪
একটি কড়াইতে তেল দিয়ে তেলু গুলো গরম হয়ে যাওয়ার পর সেখানে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ মরিচ ও চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি। এখন সামান্য পরিমাণ হলুদের গুড়া দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ -৫
এখন স্বাদমতো লবণ দিয়ে চিংড়ি মাছ গুলো ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ -৬
এখন কেটে প্রস্তুত করে রাখা চাল কুমড়া গুলো কড়াইতে ঢেলে দিয়েছি।
ধাপ -৭
চিংড়ি মাছের ভুনার সাথে চাল কুমড়া গুলো ভালো করে নেড়েচেড়ে দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ -৮
সবগুলো উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এরপর ১২ থেকে ১২ মিনিট সময় ধরে চাল কুমড়া গুলো ভাল করে ভেজে নিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত চিংড়ি মাছ দিয়ে চাল কুমড়া ভাজি রেসিপি:
চূলা থেকে নামিয়ে নেয়ার পর পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল চিংড়ি মাছ দিয়ে মজাদার চাল কুমড়া ভাজি রেসিপি। ঈদের দিন থেকে দাওয়াতের উপর দাওয়াত আর দুইদিন থেকে শেলিকার বাড়িতে ভ্রমণে এসে এত খাওয়া খেয়েছি যে খাবার প্রতি অরুচি চলে এসেছিল। তাই ইচ্ছা করছিলো একেবারেই হালকা কিছু খাওয়ার জন্য। চিন্তা করলাম ডাল আর ভাজি করে খেতে পারলে মন্দ হয় না। সেই চিন্তা থেকেই চিংড়ি মাছ দিয়ে চাল কুমড়া ভাজি রেসিপি করা। রেসিপিটা আমি খেয়ে দেখেছি অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছে। আপনারাও নিশ্চয়ই আমার সঙ্গে একমত হবেন। কারণ এই রেসিপিটি এত জনপ্রিয় আমার মনে হয় এমন কেউ নেই যাদের এই রেসিপি একবার হলেও করে খাওয়া হয়নি। আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কেমন লাগলো মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন আশা করছি।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
|---|
| ফটো | @mayedul |
| পোস্ট | রেসিপি |
চিংড়ি মাছ দিয়ে চালকুমড়া ভাজি রেসিপি | বাহ্ দারুন এভাবে কখনো খাইনি। তবে আমার আপনার রেসিপি দেখে ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
একবার খেয়ে দেখেন আমার মনে হয় আপনার কাছেও খুব ভালো লাগবে।
চাল কুমড়া দিয়ে এভাবে চিংড়ি মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে চাল কুমড়া দিয়ে চিংড়ি মাছ ভাজি করেছেন। যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমার তো খেতে খুব ইচ্ছা করছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
চিংড়ি মাছ দিয়ে চাল কুমড়া ভাজি আসলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
চাল কুমড়া আমি খুব একটা খাই না। তবে চাল কুমড়া ভাজি এর মধ্যে আপনাদের চিংড়ি মাছটা ব্যবহার করেছেন তাতে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। কারণ আপনার রান্নার কালারই বলে দিচ্ছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সহজ উপায়ে চাল কুমড়া ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছেন। চিংড়ি মাছ গুলো উপরে দিয়ে পরিবেশন করতে একটু বেশি সুন্দর লাগছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
চিংড়ি মাছ দিয়ে চাল কুমড়া ভাজি রেসিপি টা দারুন হয়েছে। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধাপগুলো আপনি খুবই সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমার পোস্টটি ভিজিট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
চিংড়ি দিয়ে আপনার চাল কুমড়া ভাজি রেসিপি টি খুবই চমৎকার হয়েছে। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। খেতে নিশ্চিত খুবই সুস্বাদু হয়েছে ।আমার কাছে তো দেখে বেশ ভালো লাগছে ।যদিও আমি চাল কুমড়ো খাই না ।তবুও আপনার রেসিপিটি দেখেই আমার খেতে ইচ্ছে করছে। আর আপনি ঠিকই বলেছেন চাল কুমড়ো বিভিন্নভাবেই খাওয়া যায় ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে এত সুন্দর একটি মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চিংড়ি মাছ দিয়ে চাল কুমড়া ভাজি সবসময় আমার কাছে খুব প্রিয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাই আপনি তো খুব সুন্দর করে চিংড়ি মাছ দিয়ে চাল কুমড়া রান্না করেছেন। আসলে চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনো কিছু রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনিতো খুব সুন্দর করে চাল কুমড়া চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজি করেছেন দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট ভিজিট করার জন্য
চিংড়ি মাছ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। যদিও চিংড়ি মাছ দিয়ে কখনও চাল কুমড়া ভাজি খাই নাই আমি। আমার কাছে এই রেসিপিটি অনেক ইউনিক লেগেছে। সেই সাথে খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন আপনি। প্রতিটি ধাপ এর বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাই।
চিংড়ি মাছ দিয়ে চাল কুমড়া ভাজি খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদু। একবার ট্রাই করে দেখেন আশা করছি ভাল লাগবে।
এই খাবার টা আমিও খেয়েছি । দারুন মজার হয়। চিংড়ি মাছের জন্য স্বাদ টা মনে হয় বেড়ে যায়। তবে অনেক দিন খাওয়া হয় না। কাল একবার বলবো বাড়িতে। খুব সুন্দর ছিল পুরো আয়োজনটা।
চাল কুমড়া ভাজি এমনিতেই অনেক সুস্বাদু কিন্তু চিংড়ি মাছ দেয়াতে এর টেস্ট আরও অনেক গুণে বেড়ে দেয়।
বড় বড় চিংড়ি মাছ গুলো যেমন খেতে মজা লাগে তেমনি ছোট ছোট চিংড়ি মাছ গুলো ভাজির ভিতর দিয়ে খেলে আসলে অনেক ভালো লাগে। চাল কুমড়া ভাজির ভিতর এভাবে আমিও মাঝে মাঝে চিংড়ি মাছ দিয়ে করে থাকি। আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার চাল কুমড়া ভাজি দেখেই মনে হচ্ছে খুবই মজাদার হয়েছে। খুব সুন্দর করে রেসিপি শেয়ার করেছেন।
বড় চিংড়ি মাছের চেয়ে ছোট চিংড়ি মাছ দিয়ে যে কোন সবজি ভাজি করলে বেশি ভালো লাগে খেতে।