আমরা নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশে বসবাস করি। আমাদের দেশের অধিকাংশ এলাকাতেই নদী আছে তাই স্বাভাবিকভাবে প্রত্যেক এলাকাতেই টাটকা মাছ পাওয়া যায়। মাছ খেতে আমরা সবাই অনেক ভালোবাসি ভাতে মাছে বাঙ্গালী বলে কথা। বর্তমান সময়ে অনেক নতুন নতুন সিজোনাল সবজি বাজারে এসেছে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকার সবজির সাথে মাছের রেসিপি করে থাকি। সবজি খেতে অনেক ভালোই লাগে আমি আজকে আমার প্রিয় একটি সবজি দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রেসিপি নিয়ে এসেছি। ছোট মাছ গুলোর মধ্যে বাটা মাছ আমার কাছে খুবই প্রিয় কারণ এই মাছটা খেতে অনেক সুস্বাদু। আর প্রতিবছর এই সবজিটি আমার প্রচুর পরিমাণে খাওয়া হয়। কারন ধুন্দল আমার নিজ হাতে লাগানো গাছের সবজি। আর এই সবজি দিয়ে যে কোন মাছের রেসিপি খেতে ভালো লাগে। তাই আমি ধুন্দুল দিয়ে সুস্বাদু বাটা মাছের ঝোল রেসিপি করেছি। এখন আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই রেসিপির দিকে চলে যাব।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|
| মাছ | ৫০০ গ্রাম |
| ধুন্দল | ১ কেজি |
| আলু | মাঝারি ৫-৭ টা |
| সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
| লবন | স্বাদমতো |
| পেঁয়াজ | ২-৩ টা |
| কাচা মরিচ | ৫-৭ টা |
| জিরা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
| ধনিয়া গুঁড়া | ১ চা চামচ |
| পাঁচফোড়ন গুঁড়া | ১ চা চামচ |
| হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ -১
রান্না করার জন্য প্রয়োজনীয় মাছগুলো ভালোভাবে কেটে ধুয়ে নেয়ার পর একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি।
ধাপ -২
আমি এই রেসিপিতে সামান্য কিছু আলু ব্যবহার করেছি। তাই প্রয়োজনীয় আলু গুলো ভালো করে ধুয়ে কেটে আলাদা একটি পাত্রে নিয়েছি।
ধাপ -৩
আমার রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় ধুন্দল গুলো ভালো করে ধুয়ে কেটে নিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি।
ধাপ -৪
প্রথমে ফ্রাইপ্যানে তেল দেয়ার তেল গরম হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি সহ সবগুলো মসলা একসঙ্গে দিয়েছি।
ধাপ -৫
এখন সবগুলো মাছ এই মিশ্রণের মধ্যে ঢেলে দিয়েছি।
ধাপ -৬
সবগুলো মসলার সঙ্গে মাছগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে একটু কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ -৭
মাছগুলো কষিয়ে নেওয়ার পর সেখানে কেটে নেওয়া আলুগুলো দিয়েছি।
ধাপ -৮
আলু গুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে আর একটু পানি দিয়ে দিয়ে কষিয়ে নিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
ধাপ -৯
এখন ঢাকনা খুলে দিয়ে পূর্বেই প্রস্তুত করে রাখা ধুন্দল গুলো করে দিয়েছি তারপর ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ -১০
সবজিগুলো মাছের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেবো। সবজিগুলো হালকা সিদ্ধ হলে পানি ছেড়ে দিবে তাই প্রথমে পানি ব্যবহার করিনি।
ধাপ -১১
কিছুটা সিদ্ধ হয়ে আসলে ঢাকনা খুলে এখন ঝোলের জন্য পানি দিয়েছি।
ধাপ -১২
ঝোলের পানি দেয়ার পর আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেবো। এভাবে প্রায় ১০ মিনিট ঢেকে রাখার পর রান্না সম্পন্ন করেছি।
রেসিপি প্রস্তুত:
রান্না সম্পন্ন হয়ে গেলে কড়াই থেকে নামিয়ে একটি বাটিতে পরিবেশের জন্য প্রস্তুত করে নিয়েছি। নিজের গাছের ধুন্দুল সবজি দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রেসিপিটি আমি খেয়ে দেখেছি অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছে। আমার সাথে বাড়ির সকলেই একমত পোষণ করেছেন। আসলে টাটকা সবজি দিয়ে টাটকা মাছের রেসিপি গুলো খেতে সুস্বাদু হয়। আপনারা বাসায় এভাবে ট্রাই করে দেখতে পারেন আশা করি ভালো লাগবে। সিজনাল এই সবজিগুলো অত্যন্ত পুষ্টিগুণসম্পন্ন। তাই এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আর এই গরমে এইসব সবজি খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কেমন লাগলো মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন আশা করছি।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
|---|
| ফটো | @mayedul |
| পোস্ট | রেসিপি |
আমার কাছে ধুন্দল দিয়ে ডিম ভাজি করে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে মাছ দিয়ে ধুন্দল খেতে খুব একটা খারাপ লাগে না আমার কাছে। এটা বেশ সুস্বাদু একটি রেসিপি। মামা আপনার আজকের উপস্থাপন করা ধুন্দুল দিয়ে বাটা মাছের রেসিপিটি দেখতে অনেক সুস্বাদু লাগছে। আপনার উপস্থাপনাও বেশ গোছালো হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের উপহার দেয়ার জন্য।
ডিম তো আমার সব সময় খুব প্রিয় সেটা যেভাবেই করা হোক না কেন। ডিম দিয়ে ট্রাই করে দেখতে হবে।
ধুন্দল আমার খুব প্রিয়। চিংড়ি মাছ দিয়ে ধুন্দল ভাঁজ করলে খেতে খুব ভালো লাগে আমার। আপনি খুব সুন্দর করে ধুন্দুল দিয়ে বাটা মাছ রান্না করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। এত অসাধারন পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
একদম ঠিক বলেছেন চিংড়ি মাছ দিয়ে আমি অনেকবার খেয়েছি খেতে খুব ভালো লাগে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী। মাছ ছাড়া একদিনও চলে না আমাদের। অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো দেখে তবে খাইনি কখনও।ট্রাই করবো।দেখা যাক।যদিও রান্না আমি খুব কম পারি।
অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন আশা করছি খেতে অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ।
ধুন্দুল দিয়ে বাটা মাছের রেপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন। আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগছে সেই সাথে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য এবং নিখুঁত ভাবে বর্ণনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমারও খুব প্রিয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ধুন্দুল আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার প্রিয় সবজিগুলো ভিতরে এটি একটি। আপনি খুব সুন্দর করে বাটা মাছ দিয়ে রান্না করেছেন। মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হবে। কালার টা বেশ ভালো লাগছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ধুন্দুল এর রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
হ্যাঁ রেসিপিটা আসল অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টে আসার জন্য।
সত্যিই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আমার পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই রোজার মধ্যে বাটা মাছের রেসিপি অনেকবার খেয়েছি ভাই। তবে ধুন্দল দিয়ে বাটা মাছের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ,এদেশে মাছের কোন অভাব নেই।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপির প্রস্তুত প্রণালি তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ রেসিপিটা আসল অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টে আসার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এটা তো অবশ্যই মানতে হবে আমরা মাছে ভাতে বাঙালি, এটাপ ঠিক ভাইয়া ধুন্দল দিয়ে মাছ রান্না আমার খুবই ভালো লাগে, আপনি দেখতেছি অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার করে ধুন্দল রান্না করেছেনভাইয়া, খুব ভালো লাগলো রেসিপি দিয়ে, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আমার পোস্টটি ভিজিট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বাঙালিরা আসলেই মাছ প্রিয়। আর সে জন্যই আমাদেরকে মাছে-ভাতে বাঙালি বলে।
ধুন্দল ও বাটা মাছ দুটিই অনেক সুস্বাদু। ধুন্দল দিয়ে বাটা মাছ এর রান্নাও নিশ্চয় সুস্বাদু হয়েছে। রান্নাটি দেখেই লোভনীয় লাগছে। এই সুস্বাদু রান্নার রেসিপি আপনি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এতে করে যারা এই রান্নাটি পারেনা তারাও শিখে গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনি বেশ লোভনীয় একটি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি আপনার রান্নার পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আসলে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ট্রাই করে দেখতে পারেন।