চাল কুমড়া দিয়ে দেশী মুরগির মাংসের ঝোল
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চাল কুমড়া | মাঝারি ১টা |
দেশী মুরগী | মাঝারি দুইটা |
সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
লবন | স্বাদমতো |
পেঁয়াজ | ৩-৪ টা |
কাচা মরিচ | ৭-৮ টা |
জিরা গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
পাঁচফোড়ন গুঁড়া | ১ চা চামচ |
শুকনা মরিচের গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
গরম মশলা | পরিমাণমতো |
আদা বাটা | ১ টেবিল চামচ |
রসুন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
তেজপাতা | ৩-৪ টা পাতা |
হলুদ গুঁড়া | পরিমাণমতো |
রন্ধন প্রণালী:
শুরু করছি:
প্রথমেই মুরগির মাংসগুলো ভালোভাবে ভুনা করে পাত্রে তুলে রেখেছি। যেহেতু চাল কুমড়া রেসিপি শেয়ার করব তাই আর মাংসগুলো রান্না করার প্রতিটা স্টেপ তুলে ধরলাম না। এখন সরাসরি চাল কুমড়া রান্নার দিকে চলে যাই।
চাল কুমড়াটা পছন্দমত সাইজ করে কেটে নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে আলাদা একটি পাত্রে তুলে রেখেছি।
চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে নেয়ার পর সেখানে মরিচকুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়েছি।
এখন পেঁয়াজ ও মরিচকুচি গুলো হালকা করে ভেজে নিয়েছি।
এখন কেটে রাখা চাল কুমড়ার পিসগুলো কড়াইতে ঢেলে দিয়েছি। চাল কুমড়া আগেই ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখা ছিল।
চাল কুমড়া কড়াইতে ঢেলে দেয়ার পর স্বাদমতো কিছুটা লবণ দিয়েছি। লবণ অবশ্যই যে যার ইচ্ছামত কমবেশি করতে পারেন। তরকারিতে কেউ লবণ কম খায়, আবার কেউ একটু বেশি খায় তাই স্বাদ মতো দিতে হবে।
তারপর অল্প পরিমাণ হলুদ গুড়া দিয়েছি। যেহেতু মাংস পূর্বেই রান্না করা আছে। আর চাল কুমড়ার তরকারিতে হালকা হলুদ দিলেই কালার টা দেখতে খুব সুন্দর হয়।
এখন অল্প পরিমাণ আদাবাটা দিয়েছি। এক চা চামচ পরিমাণ দিব কারণ আগেই বলেছি মাংস রান্না করা আছে।
অল্প পরিমাণ রসুন বাটা দিয়েছি। এক চা চামচের কিছুটা কম করে দিয়েছিলাম। আমার যে কোন তরকারিতে রসুন বেশি ব্যবহার করলে কেমন যেন একটু গন্ধ আসে। তাছাড়া মাংস রান্না করাই ছিল আমার কাছে মনে হয়েছিল রসুন বেশি হলে খেতে খারাপ লাগবে।
এখন জিরা গুড়া, ধনিয়া গুড়া ও পাঁচফোড়ন গুড়া মিক্সার করে রাখা থেকে পরিমাণমতো দিয়ে দিয়েছি।
এক চা চামচ পরিমাণ গরম মসলার গুড়া দিয়েছি। পূর্বেই ব্লেন্ডার মেশিনে গরম মসলা গুড়া করে রেখেছিলাম।
সবগুলো উপকরণ চাল কুমড়ার সাথে ভালো করে মেখে কষিয়ে নিয়েছি। খেয়াল রাখতে হবে মসলাগুলো যেন ভালো করে মিশিয়ে নেয়া হয়।
কষিয়ে নেয়ার পর ঢাকনা দিয়ে কিছুখন ঢেকে রেখেছি। ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখার পর চালকুমড়া থেকে পানি ছেড়ে দেবে।
এখন রান্নাটা এগিয়ে নেয়ার জন্য অল্প পরিমাণ পানি দিয়েছি। যেন সবজিটা ভালো ভাবে সিদ্ধ হয়ে যায়।
ভালো করে সিদ্ধ হওয়ার জন্য ১০-১৫ মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
এখন ঢাকনা খুলে দিয়ে পূর্বেই রান্না করে রাখা মুরগির মাংস থেকে অর্ধেক পরিমাণ মাংস চালকুমড়ার তরকারিতে ঢেলে দিয়েছি।
মাংস ঢেলে দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করার পর ঝোল কিছুটা কমে আসবে। তারপর পরিবেশনের জন্য নামিয়ে নেব।
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত:
আজকে চাল কুমড়া দিয়ে দেশী মুরগির মাংসের ঝোল রেসিপিটি সম্পন্ন করলাম। কিছুক্ষণ আগে খেয়ে উঠলাম অসাধারণ হয়েছিল আজকের চাল কুমড়া দিয়ে দেশি মুরগির মাংসের ঝোল রেসিপি। এই রেসিপি আমার কাছে খুব প্রিয় তাই আমি মাঝেমধ্যেই করার চেষ্টা করি। চাল কুমড়া সবজি আমরা তো নিশ্চয়ই অনেকেই পছন্দ করেন। এখন থেকে আপনারাও অবশ্যই এভাবে ট্রাই করবেন। আশা করছি খেতে অনেক ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
আপনার তৈরি করা চাল কুমড়া দিয়ে দেশি মুরগির মাংস রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে আসলো। অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করা পাশাপাশি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
এই রেসিপিটা আমার কাছে খেতে খুব ভালো লাগে তাই প্রায়ই রেসিপিটা করা হয়।
আরে ভাই!! তিন নাম্বারে ওটা কি ছবি দিয়েছেন।দেখা মাত্র জিভে পানি চলে আসছে।মুরগির মাংসের লাল টকটকা ঝোল, আহা!সে যেন অন্যরকম এক ভালোবাসা।
চালকুমড়া দিয়ে এভাবে কখনো খাই নাই।তবে আপনার দেয়া ছবি এবং বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে বেশ ভালো লাগে খেতে।
ইনশাল্লাহ একদিন ট্রাই করবো।শুভ কামনা রইলো 🥰☺️
হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখবেন। খেতে কিন্তু অসাধারণ হয়েছিল।
চাল কুমড়ো দিয়ে মুরগীর মাংস কখনো খাওয়া হয় নাই। আপনার এই আন কমন রেসিপি দেখেই আমার খেতে ইচ্ছে করছে। আমি নিজে এই রেসিপি টি বাসায় তৈরির চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ অবশ্যই একবার ট্রাই করে এর টেস্ট গ্রহণ করবেন।
দেখেই তো মনে হচ্ছে অসাধারণ হয়েছে খেতে। খেতে তো পারবো না দেখে থাকা ছাড়া! অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে আপনি আমাদের মাঝে দেশী মুরগির সাথে চাল কুমড়া রান্না করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
খেতে না পারলেও স্বাদটা অনুভব করতে পেরেছেন এতেই আমার সার্থকতা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি অনেক সুন্দর করে চাল কুমড়া দিয়ে দেশী মুরগির মাংসের ঝোল বানিয়েছেন। রেসিপিটি দেখে আমার মুখে জল এসে গেলো। আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার কাছেও খেতে খুব ভালো লেগেছিলো
দেশি মুরগির মাংসের লোভনীয় সুস্বাদু এবং মজাদার রেসিপি প্রস্তুত করেছেন আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি দেখেই জিভে জল চলে আসলো খেতে খুব মজা হবে এতে কোন সন্দেহ নেই
খেতে আসলেই অনেক মজার হয়েছিল।
চাল কুমড়া দিয়ে দেশি মুরগির মাংস রান্না করলে খেতে অনেক বেশি মজা লাগে আমার কাছে। আমাদের বাসায় মাঝে মাঝে এই রেসিপি তৈরি করে থাকে। কারণ আমাদের বাসার সকলে কমবেশি এ রেসিপি খেতে অনেক ভালোবাসে। আপনার রেসিপিটি মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ তাহলেতো বুঝতেই পারছেন কি রকম সুস্বাদু হতে পারে। আমার কাছেও খুব ভালো লাগে।
চাল কুমড়া দিয়ে দেশি মুরগির মাংসের রেসিপি দারুন হয়েছে ভাইয়া। চাল কুমড়া আমার খুবই প্রিয় সবজি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মাংসের সাথে চালকুমড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা আমার কাছেও খুব প্রিয় একটি খাবার।
দেশি মুরগির মাংস খেতে আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে। চাল কুমড়ো দিয়ে এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে ।।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।।
চাল কুমড়া দিয়ে মুরগির মাংস অসাধারণ হয় খেতে একবার ট্রাই করে দেখবেন।