দিন শেষে বাড়ি ফেরার স্বস্তি // ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য।
হ্যালো আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
ভিডিও ফুটেজের বিষয়টা একটু বলে রাখা ভালো সেন্ট্রাল থেকে একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে প্রত্যেক এরিয়া থেকে একজন করে প্রতিযোগী ভিডিও ফুটেজ পাঠাতে হবে। তো স্বাভাবিক ভাবেই আমার এরিয়া থেকে একজন কে নির্ধারণ করে ছিলাম পাঠানোর জন্য। প্রতিযোগিতা হচ্ছে মার্কেটে ছেলেরা কিভাবে কাজ করে সেই কাজের ধরনের উপর একটা ভিডিও ফুটেজ করে পাঠাতে হবে ভিডিও ফুটেজ। হেড অফিস থেকে সেই ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করে পুরস্কৃত করা হবে। আমি পরিকল্পনা করেছিলাম আগামীকাল আমার কাজগুলো সেরে আমি হেডফিসে পাঠাবো কিন্তু সময়সীমা পরিবর্তন হওয়ার কারণে একদম শেষ বিকালে মার্কেটে বেরিয়ে পড়ি। আমি যে ছেলেকে প্রতিযোগিতার জন্য নির্ধারণ করেছিলাম সে আজকে কাজ করতে গিয়েছে বাড়ি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের একটি মার্কেটে এই মার্কেটে দিনের বেলা দিতে কোন সমস্যা হয় না কিন্তু গভীর হয়ে গেলে সেখান থেকে ফিরে আসার জন্য যানবাহন পাওয়া খুব মুশকিল হয়ে যায়। বেশি দূরের মার্কেটে গেলে আমি সাধারণত বাইক নিয়ে যাই না কারণ মার্কেটে গেলে ছেলেদের বাইকে আমি ঘুরতে পারি।
সব কাজকর্ম সেরে যখন বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। এশার আজান দেয়ার যেহেতু অনেকক্ষন আগেই দিয়েছিল তাই আমি নামাজ আদায় করে নেয়ার জন্য বাজারের মাঝপথ দিয়ে মসজিদে যাচ্ছিলাম। ঠিক সেই সময় লক্ষ্য করলাম বাজার প্রায় জনমানবশূন্য হয়ে গিয়েছিল। আমি নামাজ শেষ করে যখন এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি করছি যদি কোন যানবাহন পাই তাহলে তাড়াতাড়ি উঠে চলে যেতে পারবো।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-১০ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | মাইদুল ইসলাম |
লোকেশন | w3w location |
অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোন ব্যাবস্থা করতে না পেরে আমি অবশেষে দুই জন লোককে দেখতে পেরে জিজ্ঞাসা করলাম আশেপাশে কোনো অটো বা মিশুক চালায় এমন কেউ আছে কিনা। সেই লোকগুলো অনেক চেষ্টা করার পরেও যখন কোন গাড়ির ব্যবস্থা হলো না তখন আমি একপ্রকার হতাশ হয়ে পড়লাম। পরবর্তীতে আমার কলিগের বাইকে করে প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ এগিয়ে নিয়ে অবশেষে একটি অটো খুঁজে পেলাম। আমি মনে মনে একটু খুশিই হলাম অনেক আনন্দের সাথে অটকে জিজ্ঞাসা করলাম সে ভাড়ায় যাবে নাকি। তার উত্তর শুনে আমি আবার হতাশ হয়ে ফিরে আসলাম।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-১০ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | মাইদুল ইসলাম |
লোকেশন | w3w location |
এমনিতে রাতে অনেক গভীর হয়ে গিয়েছে আমার কলিগকেও বেশিক্ষণ আটকে রাখতে সংকোচবোধ কাজ করছে। তাই ওনাকে বললাম আপনি আর কষ্ট না করে চলে যান আমি একটা ব্যাবস্থা করে নিব। কিন্তু আমার কথাকে পাত্তা না দিয়ে উনি আমাকে বললেন স্যার আপনি বসেন আমি গাড়ির ব্যাবস্থা করছি। হ্যা আমার কলিগের কথা বলছি এরশাদ সাহেব অনেক কষ্ট করেও আমার জন্য একটা যানবাহনের অ্যারেঞ্জ করতে পারলো না । আমরা সেখানেই অপেক্ষা করছি যদি আল্লাহর রহমতে কোন যানবাহন পাই। এইরকম ভাবতে ভাবতে খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় কিছুটা সময় অতিবাহিত হল। হঠাৎ দূরে একটা মৃদু আলো লক্ষ্য করলাম কাছে আসতেই বুঝতে পারলাম একটা অটো রিক্সা আসছে আমার দিকে। অটো রিক্সা দেখতে পারে আমি বেজায় খুশি অবশেষে কিছুটা বিলম্ব হলেও বাড়ি ফেরার জন্য একটা উপায় পেয়ে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
যাক দিন শেষে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন এটাই অনেক হাজার শুকরিয়া।যাক অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর অটোরিকশাটি পেলেন। বেশ ভালো লাগলো। আপনি ঠিকমত পৌঁছাতে পেরেছেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইল
একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম তখনো হাইওয়ে থেকে কম করে হলেও ১৫ কিলোমিটার দূরে ছিলাম।