আগেই এই বিষয়টা বলেছিলাম যে আমরা অনেক দেরি করে এখানে এসেছিলাম। আমার নদীর পারে ঘোরাঘুরি করে এখানে আসতে আটটা পেরিয়ে গিয়েছিল। মোটামুটি সব খাবার শেষ হয়ে গিয়েছে। ভাগ্যিস পরিচিত একজনের দেখা পেয়েছিলাম। এই ছেলেটির সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক হয়েছিল যখন সে অন্য রেস্টুরেন্টে কাজ করতো। আমাদেরকে দেখে এগিয়ে এসেছিল, পরবর্তীতে সামান্য কিছু অর্ডার নিয়ে অপেক্ষা করতে বলে চলে গেল।
সাধারণত অর্ডার করার পরে এরা যে সময়টা নেয় তার চেয়ে অনেক বেশি সময় চেয়ে নিল। কারণ ইতিমধ্যে সবকিছু প্রায় ক্লোজ করে দিয়েছিল। একদিন দিয়ে ভালোই হলো আমরা পুরো রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখার সুযোগ পেলাম। উপর থেকে শুরু করে নিচে নদীর পাড় পর্যন্ত অনেকটা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। নিচে বাচ্চাদের খেলাধুলা করার জন্য যথেষ্ট জায়গা ও সুযোগ সুবিধা আছে। খড়কুটো রেস্টুরেন্টের নদীতে দুইটা নৌকাও সাজানো ছিল। আমরা রাতের বেলা গিয়েছিলাম তাই আর নৌকা ভ্রমন করা সম্ভব হয়নি।
এটা নিচের অংশ এখানে খোলা আকাশের নিচে চারিদিকে ঘেরাও করে লাইটিং এর সুন্দর ব্যবস্থা করেছে। বিভিন্ন রঙের চোখ জুড়ানো আলোর ঝলকানিতে বসে থাকতে অনেক ভালো লাগে কিন্তু। কখন যে রাত এতো গভীর হয়েছিল বুঝতেই পারিনি।
যতক্ষণ এখানে ছিলাম তার অধিকাংশ সময় আমরা নিচেই কাটিয়েছি। নিচে খোলামেলা পরিবেশে বসে থাকতে অনেক ভালো লাগতো। এখানে বসেই আবছা আলোয় নদীর অন্যরকম সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বিশেষ করে বেশি ভালো লেগেছিল বাচ্চাদের মনোরঞ্জনের জন্য যথেষ্ট সুযোগ ছিল বলে। এখানে ছোটরা এতটাই আনন্দ পেয়েছিল যে আর ওপরে যেতে চাইছিল না। আমার ছেলে মেয়ে দুটো দোলনা পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। ছোটটা যতক্ষণ দোলনায় বসেছিল শুধু দোলে দোলে বলছে আর দুলছে। ভালোই লাগছিল কিন্তু দেখতে।
এখানে নদীর পাড়ে দুটো নৌকা বাঁধা আছে। এই নৌকা দুটোর মালিক খড়কুটো রেস্টুরেন্টে। এখানে বসে খাওয়া-দাওয়া ও সময় কাটানোর পাশাপাশি বিনোদনের অংশ হিসেবে নৌকা ভ্রমণের সুবিধা আছে। জনপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা ভাড়া দিয়ে এখানে নৌকা ভ্রমণ করা যায়।
অবশেষে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করার পর আমাদের খাবার চলে এসেছিল। খুব বেশি কিছু দিতে পারিনি শুধুমাত্র চিকেন চপ, রুটি আর সালাদ। তবুও এটা সম্ভব হয়েছে পরিচিত এই ছেলেটির কারণে। তা না হলে সবাই মিলে এমনি এমনি ঘুরে যেতে হতো। খাবারের মান খারাপ নয়, আবার খুব একটা যে ভালো বলবো সেটাও বলতে পারছি না। আলহামদুলিল্লাহ শেষ পর্যন্ত অর্ডার করা খাবারগুলো এসেছিল।
খাবার খাওয়ার পর আমরা বাকি জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে লাগলাম।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।

আমাদের উইটনেসকে সাপোর্ট করুন |
"Please support Bangla Witness"

https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness

OR
SET @rme as your proxy

খড়কুটো রেস্টুরেন্ট এর পরিবেশ টা দেখে বেশ ভালো লাগলো।চারপাশের আলোকসজ্জা পরিবেশন এবং খোলামেলা জায়গায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।যদিও খাবার অর্ডার করতে দেরি হয়ে গেছিল কিন্তু খাবারের মান তেমন খারাপ না দেখতে ভালো দেখাচ্ছে।সব কিছু মিলিয়ে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপনার প্রথম পর্ব দেখেছিলাম, ভালোই লেগেছিল।
আসলে সবজায়গাতেই পরিচিত লোকজন থাকলে সত্যিই খুব উপকার হয়। এই যে দেখুন সব ক্লোজ করার পরেও খাবার পেয়ে গেলেন।
বাচ্চাদের খুব খুশি দেখাচ্ছিল আর পুরো পরিবার নিয়ে ভালোই উপভোগ করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার জায়গাটির বর্ননাসহ আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ভাই আপনারা খুব সুন্দর একটা সময় উপভোগ করেছেন। আসলে পরিবার নিয়ে এভাবে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। ভাগ্যিস সেখানে আপনাদের পরিচিত লোক ছিল সেজন্য পরে খাবার অর্ডার করতে পেরেছেন। তবে সেখানে আপনারা নৌকা ভ্রমন করতে পারতেন তাহলে আরও বেশি ইনজয় করতে পারতেন।
আপনার প্রথম পর্ব টা দেখা হয়নি ভাইয়া তবে আজকের পর্বে রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। খুব শান্ত নিরিবিলি এবং নদীর পারে এরকম সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট সত্যি ভালো একটা সময় পার করেছেন। ভাগ্যিস আপনার পরিচিত লোকটা থাকার কারণে খাবার পেয়ে গেলেন না হলে খাবার না খেয়ে আসতে হতো। খড়কুটো রেস্টুরেন্টটা সত্যি খুব সুন্দর একে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
খড়কুটো রেস্টুরেন্ট নামটা অনেক সুন্দর। পরিবারের সাথে খুব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন।নদীর পাড়ে রেস্টুরেন্টের লাইট গুলো অসাধারণ লাগছে।আপনার ছেলে মেয়েরা ও দোলনায় খুব মজা করেছে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার প্রথম পর্বটি মিস হয়ে গিয়েছে। যাই হোক যেখানেই ঘুরতে গিয়েছেন খুব সুন্দর জায়গা। আমার কাছেও নিচের পরিবেশটি খুব ভালো লেগেছে । তাছাড়া বাচ্চাদের জন্য এরকম খেলার জায়গা থাকলে ভালো হয়। বাচ্চারা খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে এই ফাঁকে নিজেদের মধ্যে গল্প করা যায়। তাছাড়া পরিচিত লোক না পেলে তো না খেয়েই আসতে হতো। সময় বেশী লাগলেও অবশেষে খাবার খেতে পেরেছেন।
ভালোই হয়েছে রেস্টুরেন্টে একজন পরিচিত ওয়েটার পেয়ে গেলেন। তা না হলে একেবারে সবাইকে নিয়ে দূরে চলে যেতে হতো। ভালোই হয়েছে ছেলেটির মাধ্যমে অন্তত খাবার অর্ডার করতে পেরেছেন। আবার দেখলাম সেখানে খেলাধুলার অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে। আপনার ছেলে মেয়ে খুব সুন্দর ভাবে দোলনায় দুলছে। তাছাড়া খাবারের মান ভালো শুনে খুবই ভালো লাগলো।
আসলে মাঝেমধ্যে ফ্যামিলিসহ লোকালয় থেকে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়াটা অনেক দরকার প্রতিটি পরিবারের জন্য। এরকম আমি মাঝে মাঝে পরিবারসহ দুরে কোথাও যাওয়ার চেষ্টা করি।