মজাদার নারিকেলের পুলি পিঠা তৈরির রেসিপি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
যাইহোক শীত যেহেতু দুয়ারে কড়া নাড়ছে তো এই সময় থেকে পিঠা খাওয়া শুরু করা যায়। অবশ্য আমার কাছে পিঠা খাওয়ার কোন সময় নেই। ইচ্ছা করলেই আমি পিঠা তৈরি করে খাই। গ্রামের বাড়িতে সকালে প্রবেশ করতেই গাছের দিকে চোখ পড়লো। দেখতে পেলাম নারিকেলের গাছে তিনটে নারিকেল ঝুলছে। মাথায় ভূত চাপলো পিঠা খাওয়ার, খোঁজ নিয়ে দেখলাম বাসায় আটা এবং নারিকেল কিছুই নেই। তৎক্ষণাৎ লোক ডেকে গাছ থেকে নারিকেল সংগ্রহ করা হলো। চাউল ভিজিয়ে রেখে লোক ডাকা হলো আটা করার জন্য। নারিকেল ও আটা তৈরি হয়ে গেল তাহলে আর দেরি কেন,
চলুন পিঠা তৈরি করে খাওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চাউলের আটা | ৫-৬ কাপ |
পাউডার দুধ | দুই টেবিল চামচ |
চিনি | স্বাদমতো |
নারিকেল | ২টা |
সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
প্রস্তুত প্রণালী:
ধাপ -১
পিঠা তৈরি শুরুতে প্রয়োজনীয় চাউল থেকে আটা প্রস্তুত করে নেয়া হয়েছিল। তারপর পিঠা তৈরির জন্য আমি যে দুটো নারিকেল নিয়েছিলাম সেগুলোকে ভালো করে কুড়ে নিয়েছি।
ধাপ -২
কুড়ে নেয়া নারিকেল গুলো পিঠা তৈরি করার পূর্বে হালকা ভেজে নিতে হবে। তাই একটি কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করে নেয়ার পর সেখানে কুড়ে নেয়া নারিকেল গুলো ঢেঁলে দিয়েছি।
ধাপ -৩
নারিকেল গুলো কিছুক্ষণ ভেজে নেয়ার পর প্রয়োজন মত চিনি দিয়েছি। এখানে চিনি একটু বেশি ব্যবহার করতে হবে। তা নাহলে মিষ্টি কম হয়ে গেলে পিঠা খেতে ভালো লাগবে না।
ধাপ -৪
এভাবে হালকা বাদামি কালার করে ভেজে নিয়ে আলাদা একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ -৫
এখন পিঠা তৈরি করার জন্য প্রথমে আটার মন্ড তৈরি করে নিতে হবে। সেজন্য কড়াইতে পানি নিয়ে আটা পানিতে গলিয়ে নিয়েছি। তারপর আস্তে আস্তে তাপ দিয়ে আটার মন্ড তৈরি করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন আটা নিচে লেগে না যায় তাহলে পিঠা গন্ধ করবে। সে কারণেই গরম পানিতে আটা না দিয়ে ঠান্ডা পানির মধ্যে আটা গলিয়ে নিয়েছিলাম।
ধাপ -৬
এখন আটার মণ্ড থেকে পরিমাণ মতো নিয়ে একটু ভারী করে রুটি করতে হবে। তারপর আমি একটি স্টিলের গ্লাস দিয়ে ছোট ছোট গোল করে কেটে নিয়েছি। আপনারা ইচ্ছা করলে যে কোন সাইজের তৈরি করতে পারেন। গ্লাস দিয়ে কেটে নেয়ার কারণে পিঠা মাঝারি সাইজের হয় তাই দেখতেও ভালো লাগে। এভাবেই সবগুলো গোল সাইজ করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ -৭
ছোট গোল করে কেটে নেওয়া রুটিগুলোর মধ্যে নারিকেলের পুড় দিয়ে এক সাইড মুড়ে দিয়েছি। একদিকে ভাঁজ করে আঙ্গুল দিয়ে চেপে মুখটা শক্ত করে আটকে দিতে হবে। তা না হলে তেলে ভাজার সময় খুলে গিয়ে নারিকেল গুলো তেলের সঙ্গে মিশে যাবে। এভাবে একে একে সবগুলো পিঠা তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৮
সবগুলো পিঠা তৈরি করে নেয়ার পর এখন তেলে ভাজবো। তাই একটি কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করে নেয়ার পর ডুবো তলে পিঠাগুলো ভেজে নেব। এভাবে একদম হালকা বাদামি কালার করে সবগুলো পিঠা ভেজে নিয়েছি।
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত:
ওয়াও !! অসাধারণ খেতে হয়েছে আজকে নারিকেলের পুলি পিঠা। নিজের ঢোল নিজেই পিটিয়ে ফেললাম হা হা হা। বরাবরই পিঠা আমার খুব প্রিয়, তাই এ বছর একটু আগেভাগেই শুরু করে ফেললাম। কিন্তু হঠাৎ পিঠার আয়োজন করতে গিয়ে আমার নিজের অনেক কষ্টই হয়েছে বলতে পারেন। আটা করার জন্য একটি ছেলেকে বাজারে পাঠিয়ে মেশিন থেকে আটা করে নিয়েছিলাম। কিন্তু নারিকেল কুড়ে নেয়ার জন্য কোন লোক পাওয়া যায়নি। কি আর করা আমাকেই কষ্ট করে এসব করতে হলো। তবে পিঠা খেয়ে বেশ মজা পেয়েছি। আশা করছি আমার এই পিঠা রেসিপি দেখে সকলের ভালো লেগেছে।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
যে কোন ধরনের পিঠা আমার খুব প্রিয়। আপনি খুব সুন্দর করে মজাদার নারিকেলের পুলি পিঠা তৈরি করেছেন। দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। কিছুদিন পরে আমাদের মাঝে শীতকাল আসবে শীতের সময় বাসায় নানা ধরনের পিঠ তৈরি হবে। আপনার পিঠা তৈরি খুব সুন্দর হয়েছে। এতো চমৎকার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
শীতের আগমনী বার্তা চলে এসেছে। শীতের দিনে মজার পিঠা খেতে ভালো লাগে। মাঝে মাঝে নিজের প্রশংসা করতে ভালোই লাগে। পুলি পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। গরম গরম পিঠা অনেক লোভনীয় লাগছে।
পিঠার মাধ্যমে পেলাম আগাম নবান্নের আনাগোনা সামনে আসছেন নবান্ন উৎসব খাওয়া হবে বিভিন্ন ধরনের পিঠা।।
নারিকেল দিয়ে প্রস্তুত করা পুলি পিঠা আমার বরাবরই অনেক ফেভারেট।।
নিজে কখনো প্রস্তুত করিনি তবে মায়ের হাতের প্রস্তুত করা এমন পিঠা অনেকবার খেয়েছি ছোটবেলা থেকে।। আপনার প্রস্তুত করা পিঠা রেসিপি দেখে খুবই লোভ হচ্ছে ইচ্ছে করছে তুলে খেতে শুরু করি।।
আপনি তো দেখছি খুবই পেটুক একজন মানুষ, গাছের দিকে তাকিয়ে নারকেল দেখতে চেয়ে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারেননি। পিঠা খাওয়ার ভূত চেপেছে মাথায়। ঠিক তখনই লোক ডেকে এটা নারকেল পেরে পিঠাপুলি তৈরি করে ফেলেছেন। সত্যি বলতে পিঠ া পুলি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে সেটা হোক গরম অথবা ঠান্ডার সময়। এ ধরনের রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।