আমার বাসার সবজি ও ফল গাছ এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে|| 10% Beneficiaries @shy-fox

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

☆আসসালামুয়ালাইকুম☆


আমার বাংলা ব্লগ 🌷এর মেম্বাররা, আপনারা সকলে কেমন আছেন আশা করি ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি.🌷



আজ আবার নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আজ আমাদের বাসার কিছু ফল ও সবজির ফটোগ্রাফি এবং উপকারিতা, শেয়ার করবো। আশা করি ভালো লাগবে।


↘️
চলুন তাহলে শুরু করা যাক↙️



1630223390081.jpg

1630223383233.jpg

pngfind.com-white-lines-png-2081.png

  • পেঁপে গাছ ও পেঁপে
    এগুলো আমাদের বাসার গাছের পেঁপে। এই গাছে অনেক পেঁপে ধরেছে। পেঁপে একটি সুস্বাদু ফল।
    পেঁপে পাবেন হাতের কাছে। সবজি ও সালাদ হিসেবে কাঁচা পেঁপের বেশ কদর রয়েছে। সুমিষ্ট পাকা পেঁপে রং, সুবাস আর স্বাদে অতুলনীয়। পেঁপে খেলে ওজন কমে, ত্বক পরিষ্কার হয়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর নানা উপকারী উপাদানে ভরপুর পেঁপে খেলে একদিকে স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকে, তেমনি চুল আর ত্বকের জন্যও উপকারী। খাবারে তাই পেঁপে রাখাটা জরুরি।


1630223379331.jpg

1630223375494.jpg

pngfind.com-white-lines-png-2081.png

  • ঝিঙ্গে গাছ ও ঝিঙ্গে

এটির নাম ঝিঙ্গে। এটি নতুন গাছ।
গাছটি দেওয়াল বেয়ে উপরের দিকে উঠছে এবং কয়েকটি ঝিঙ্গে ধরেছে..

ঝিঙেতে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি এর উপস্থিতি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সহায়তা করে। ঝিঙেতে থাকা ফোলেন হার্ট অ্যাটাক রোধেও সাহায্য করে। এটি শ্বাসকষ্ট অর্থাত্‍ হাঁপানি, জ্বর, কাশি ও কৃমিরোগ উপশম করে। প্রায়ই বমি বমি হলে ঝিঙের পাকা বীজ তিন চারটে নিয়ে বেঁটে এক কাপ জল দিয়ে গুলে খেলে উপকার পাবেন।



1630223371883.jpg

1630223368193.jpg

pngfind.com-white-lines-png-2081.png

  • বেগুন গাছ ও বেগুন

এটি আমাদের বেগুন গাছের বেগুন..এই গাছ গুলোতে সব সময় বেগুন ধরে...
বেগুনের বেগুন ভাজি অনেক মজা।।

বেগুনের যে গুণের শেষ নেই

খাদ্যগুণে ভরপুর বেগুন বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে। যেমন –

১. বেগুনে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। যেকোনো ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতেও বেগুন সাহায্য করে।

২. এতে চিনি এবং চর্বির পরিমাণ খুবই কম। তাই ডায়াবেটিকস, হৃদরোগ ও অধিক ওজন রয়েছে যাঁদের, তাঁরা নিশ্চিন্তে বেগুন খেতে পারেন।

৩. বেগুনে উপস্থিত রিবোফ্লেভিন মুখ, ঠোঁট ও জিহ্বার ঘা দূর করে, জ্বর জ্বর ভাব কমায়। এর ভিটামিন এ চোখের রোগ প্রতিরোধ করে, ভিটামিন সি ত্বক, নখ ও চুলে পুষ্টি জোগায় এবং ভিটামিন ই ও কে রক্তজমাট বাঁধার বিরুদ্ধে কাজ করে।

৪. বেগুনে রয়েছে খাদ্যআঁশ যা খাদ্য হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

৫. বেগুনে রয়েছে নাসুনিন নামে একটি উপাদান, যা মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমা হতে বাধা দেয়। ফলে ব্রেইন স্ট্রোক ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগের ঝুঁকি কমে যায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে কর্মোদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়।

৬. বেগুন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

৭. বেগুনের ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড় ও নখ মজবুত করে।

৮. মৌসুমি সর্দি, কাশি, কফ দূর করতে বেগুন সাহায্য করে।

খাদ্যগুণের পাশাপাশি বেগুনের রয়েছে কিছু ভেষজগুণও। যেমন –

১. আগের দিন সন্ধ্যাবেলা বেগুন সেদ্ধ করে পরদিন এর শাঁস মধু মিশিয়ে খেলে অনিদ্রা দূর হয়।

২. বেগুন পোড়ানো ছাই গায়ে মাখলে চুলকানি ও চর্মরোগ সেরে যায়।

৩. বেগুন সেদ্ধ করে এর পুলটিস দিলে বিষফোঁড়া তাড়াতাড়ি পেকে যায়।

৪. কাঁচা বেগুনের রস খেলে ধুতুরার রস নেমে যায়।

৫. রোজ সকালে খালি পেটে বেগুন পুড়িয়ে এর সাথে গুড় মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়ার কারণে লিভার বড় হয়ে যাবার ঝুঁকি কমে।



1630223357191.jpg

pngfind.com-white-lines-png-2081.png

  • মরিচ গাছ ও মরিচ
    এটি মরিচ গাছের মরিচ। মরিচ তো আমারা সকলে চিনি।
    এটি ছাড়া তরকারিতে স্বাদ আসে না...😁😁

কাঁচা মরিচের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা:

১। গরম কালে কাঁচা মরিচ খেলে ঘামের মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা থাকে।

২। প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়।

৩। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।

৪। কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।

৫। কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।

৬। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৭। কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।

৮। কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।

৯। কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে।

১০। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা কমে।

তবে কাঁচা মরিচ কাচা খাওয়া ভালো। কারণ ৩৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রার বেশি তাপমাত্রায় কাঁচামরিচ সেদ্ধ করলে কিংবা ভেজে খাওয়ার ফলে এর বিদ্যমান ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এর আসল উপকারিতা পেতে প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ কাঁচা খেতে অভ্যাস করুণ।



1630223364989.jpg

pngfind.com-white-lines-png-2081.png

  • কমলা গাছ ও কমলা

এটি কমলা গাছ । এই গাছে অনেক কমলা 🍊 ধরে , কিন্তু কমলা গুলো খুব টক হয়ে থাকে।

কমলার অনেকগুলি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।তার মধ্যে কয়েকটি তুলে ধরলাম।

  • কোলেস্টেরল কমাতে: – কমলাতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। যাকে বলা হয় পেকটিন। এটি রক্ত ​​স্রোতে শোষিত হওয়ার আগে শরীর থেকে কোলেস্টেরল দূর করে। । এটি খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • চোখের জন্য: – কমলা ক্যারোটিনয়েডের সমৃদ্ধ উৎস। এগুলির মধ্যে থাকা ভিটামিন এ চোখের শ্লেষ্মা ঝিল্লি স্বাস্থ্যকর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন এ বয়স সম্পর্কিত ভাস্কুলার প্যাথলজি প্রতিরোধের জন্যও দায়ী, যা চরম ক্ষেত্রে ব্যক্তি কে অন্ধ করে দিতে পারে এটি চোখকে আলো শোষণে সহায়তা করে।
  • ডায়াবেটিস: – ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কমলা খাওয়া উপকারী। এতে উপস্থিত পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এটি ইনসুলিন উৎপাদনে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে।
  • ওজন হ্রাসে: – কমলায় কম পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকে। যা মেদ কমাতে সহায়তা করে। মেদ বাড়তে দেয়না। যা শরীরের ওজন বাড়ায় না। শরীর ভারসাম্যতা বজায় থাকে।
  • ত্বকের জন্য: – কমলা লেবু তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলির জন্য পরিচিত। ত্বককে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এটি ত্বক সুন্দর করতে সহায়তা করে।
    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: – কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা স্বাস্থ্যকর ইমিউন সিস্টেমের যথাযথ কার্যকারিতার জন্য ভাল, যেমন সর্দি রোধ এবং বার বার কানের সংক্রমণ রোধে ভাল।



আমার বাংলা ব্লগ (কমিউনিটি)

আজ এখানে শেষ করছি । আপনারা সকলে ভালো থাকবেন।

"আল্লাহ হাফেজ"

IMG_20210825_005336.png

IMG_20210825_005021.png

"আমি মোঃ মাশরাফি ইসলাম। আমার বাসস্থান নিলফামারী শহরে। আমি একজন ছাত্র ।আমি নিলফামারী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এ পড়ি,এবার SSC দিবো। আপনারা সকলে আমরা জন্য দোয়া করবেন । আমার নেটওয়ার্ক ও ইলেকট্রনিক জিনিস তৈরিতে আগ্ৰহ বেশি। এসব বিষয়ে ঘাটা ঘাটি করতে আমার খুব ভালো লাগে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল অসহায় ও নিরীহ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে আমার খুব ভালো লাগে । আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে নিরীহ অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর তৌফিক দান করে।"

IMG_20210825_005418.png

20210616_120145.png

Sort:  
 3 years ago 

পেঁপে আমার অনেক পছন্দ। আমি একসময়ে অনেক খেতাম। অনেক সুন্দর পোস্ট ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀

 3 years ago 

পোস্টটি দেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া...❤️❤️🥰🥰

 3 years ago 

♥অসাধারণ হয়েছে আপনার পোস্টটি আপনার বাড়ির সবজি বাগানের ফল ও সবজির যে বিবরণ দিয়েছেন সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো ছিল অসাধারণ সব মিলিয়ে এক কথায় চমৎকার হয়েছে♥

 3 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে...এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য.. শুভেচ্ছা রইল..🥰🥰❤️❤️

 3 years ago 

ধন্যবাদ

 3 years ago 

ছোট ভাই তুমি এই বয়সে অনেক ভালো কাজ শিখেছো। তোমার পোস্টটা সুন্দর হয়েছে। অনেক তথ্য তুমি দিয়েছো। নিজের বাগানের সবজি খাওয়ার একটা অন্যরকম মজা আছে। অন্তত বিশ যুক্ত সবজি খাওয়ার টেনশন টা নিতে হয় না। ধন্যবাদ তোমাকে।

 3 years ago 

হুম ভাইয়া আপনি একদম সঠিক কথা বলেছে,,,এখন তো বাজারের সব কিছুতেই ফরমালিন....❤️ ধন্যবাদ ভাইয়া

 3 years ago 

বাহ সত্যি অসাধারণ হয়েছে, প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি করার পরে সেগুলো সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন যা অনেকটাই ব্যতিক্রম লেগেছে। আপনার জন্য দোয়া করি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া ... সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য... তোমার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা...❤️❤️

 3 years ago 

সবজি গাছের ফটোগ্রাফির সাথে উপকারিতা। বেশ সুন্দর ভাবে আপনে আপনার পোষ্টটাকে সাজিয়েছেন। শুভ কামনা রইল।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া ,,, কমেন্ট করার জন্য...
শুভ কামনা রইলো....❤️❤️

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57298.55
ETH 3059.61
USDT 1.00
SBD 2.29