recipe ।। 🐓দেশী মুরগীর মাংস রান্না।। সহজ পদ্ধতিতে।
আজ রবিবার ।। ২৬শে জুন ২০২২ ইং ।। ১২ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ ।।২৫শে জিলক্বদ ১৪৪৩ হিজরি ।
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় বন্ধুরা আশাকরছি মহান আল্লাহ্ তা'লার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও বেশ ভাল আছি ।
এক সময় প্রাকৃতিক জলাশয়ের মাছ । দেশি মুরগীর মাংস এবং ডিম । শুধু মাত্র চারণ ভুমি থেকে খাবার গ্রহন করা তৃণভোজী প্রাণীর মাংস ছিল আমাদের প্রাণীজ আমিষের প্রধান উৎস । তখন এটাই ছিল স্বাভাবিক এরপর পৃথিবীর জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে, সাথে বেড়েছে খাবারের চাহিদা আর একই হারে কমে গেছে প্রাকৃতিক জলাশয় এবং চারণ ভুমির সংখ্যা । অতঃপর দ্রুত বর্ধনশীল ফসল এবং প্রাণী নিয়ে গবেষণাও শুরু হয়ে গেছে পুরো দমে । তার ফসল আমাদের আজকের হাইব্রীড উদ্ভিদ এবং প্রাণী । তবে পরিমাণে বেশী হলেও প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওটা প্রাণীর সাথে যে জিনিসটাই পিছিয়ে আছে তা হলো স্বাদ । তাই বন্ধুরা আজ আমি আমার রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম "দেশী মুরগীর মাংস রান্না" নিয়ে ।
সাধারণ এই মুরগী গুলোর প্রতি বিশেষ চাহিদা থাকার কারণে এর বাজার দর ফার্মের মুরগীর থেকে অনেকটা বেশী । উৎপাদন কম এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় বাড়িতে পালাটাও খুব একটা লাভ জনক নয় । সেই সাথে বড় হতেও লাগে বেশী সময় । ভুমিকা আর বেশী বড় করছি না আমার কয়েকটি মুরগী আছে যা ডিম এবং মাংসের জন্য বাড়িতে চাষ করেছিলাম খাওয়ার উপযোগী হওয়াতে রান্না করেছি । আজ আমি সেই রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি তাহলে বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক আমার আজকের রেসিপিটি "দেশী মুরগীর মাংস রান্না" ।
প্রথমে আমি পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে ভাল ভাবে ধুয়ে নিলাম। এবার পেয়াজ গুলো ছোট ছোট কুচি করে কেটে নিলাম । রসুন গুলো আলাদা করে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি । এবার একটা কড়াই চুলার উপরে বসিয়ে দিলাম । চুলা অফ রেখেই মুরগীর মাংস গুলো কড়াইয়ে দিয়ে দেব । সমস্ত মশলা একসাথে দিয়ে মাখিয়ে নেব এরপর তেল দিয়ে দেব । আরো একবার ভাল ভাবে মাখিয়ে নিয়ে চুলা অন করে দেব । মিডিয়াম ভলিউমে রেখে রান্না করে করতে থাকবো। ২০ মিনিট এভাবে রান্না করে নেব । হাল্কা ভাবে একটু উল্টিয়ে দেব এরপর পরিমাণ মত পানি দিয়ে দেব। এ পর্যায়ে এসে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেব । আমি আরো ১৫ মিনিট রান্না করে নিলাম । স্বাদ কেমন হয়েছে অল্প একটু তুলে নিয়ে খেয়ে দেখলাম । লবণ ঠিক মত ছিল বিধায় অন্য একটি পাত্রে নামিয়ে রাখলাম । একটি প্লেটে উঠিয়ে নিলাম পরিবেশন করার জন্য । সাধারণত নিয়মিত ফার্মের মুরগী এবং ডিম খাওয়া হয় । একারণে দেশী মুরগীর স্বাদ ভুলতে বসেছিলাম । এখন স্বাদ দেখে শুধু খেতেই মন চাইছে । আজ আমার রেসিপি "দেশী মুরগীর মাংস রান্না" এখানেই সমাপ্ত করছি । যদিও এই মুরগী গুলোর মাংসের পরিমাণ ফার্মের মুরগির তুলনায় কম হয় কিন্তু এর স্বাদের তুলনা ঢের বেশি । সবাই ভাল থাকবেন আনন্দে থাকবেন এই কামনা করি
উপকরণের নাম পরিমাণ
মুরগীর মাংস আধা কেজি
লবণ পরিমাণ মত
হলুদ গুড়া ১ চা চামচ
পেঁয়াজ ২টি
রসুন ২ টা
তেল পরিমাণ মত
এলাচ ২টি
দারচিনি পরিমাণ মত
তেজপাতা ২টি
জিরা ১চামচ
মরিচ গুড়া পরিমাণ মত
কাঁচা মরিচ পরিমাণ মত
পাঁচ ফোঁড়ন আধা চা চামচ
নামঃ @maruffhh
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ mobile
মোবাইল নেমঃ redmi 6a
ক্যামেরাঃ 8mp
মুরগির মাংস আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এইতো গত সপ্তাহে খেয়েছিলাম মনে হয়। যেদিন বাসায় মুরগির মাংস রান্না করা হয় সেদিন আমি আমার ডায়েট ভুলে যাই। বেশ বেশি ভাত খেয়ে ফেলি।
তাহলে ত ভাইয়া গড় হিসেবে আপনার লস হয়ে গেল। একবেলা স্বাদ নিতে গিয়ে ১সপ্তাহের ক্ষতি।
দেশী মুরগী, এর যেন তুলনাই হয়না।তবে এর যেটা সমস্যা সেটা হচ্ছে,মাংস খুব কম🥺।একটা রান্না করলে অনেক সময় সবার পৌছাইনা।যদি একটু মাংস বেশি হতো কিযে সমস্যা হতো😕।
জিভে জল এনে দিলেন 😋।খাওয়াইলে ভাল্লাগতো।যাইহোক,খুব ভালো ছিল।শুভ কামনা জানাই।
একটু মাংস বাড়াইতে গেলে স্বাদ কম হয়ে যায়। এটাই সমস্যা। আপনার জন্যেও শুভ কামনা রইলো।
দেশি মুরগির মাংস খেতে খুবই মজা লাগে। অন্যান্য মুরগির মাংসের তুলনায় দেশি মুরগি আমার বেশি প্রিয়। আমি দেশি মুরগির মাংস খুবই পছন্দ করি।
ধন্যবাদ ভাইয়া। দেশি মুরগির মাংস আমিও বেশ পছন্দ করি।
ঠিকই বলেছেন হাইব্রিড জিনিসের স্বাদ আর প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠা প্রানির স্বাদ কোনদিনও এক হয় না ।আর দেশি মুরগি হলে তো কথাই নেই ।দেশি মুরগি খেতে অন্যরকম একটি টেস্টি লাগে ।আপনি দেশি মুরগির খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এভাবে করে বেশি করে ঝাল ঝাল করে রান্না করলে মুরগির মাংস আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে ।যদিও মুরগির মাংস আমার অনেক পছন্দ যেভাবে খাই খুব ভালোই লাগে।
দেশী মুরগী ও আবার খাঁচায় পুষে রেডিমেট খাবার খাওয়ালে তেমন একটা স্বাদ পাওয়া যায় না। সবচেয়ে সেরা স্বাদ সাধারণ খাবার খাওয়া মুরগী গুলোর হয়ে থাকে।
যাই বলেন না কেন ভাইয়া ফার্মের মুরগি থেকে দেশি মুরগি কিন্তু খুবই মজা । দেশি মুরগির চাহিদাও বেশি আবার রান্না করে খেতে খুব মজা লাগে । আপনি মজাদার একটি শেয়ার করেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে
এটা ঠিক বলেছেন। তুলনামূলক তিনগুণ দাম বেশি হওয়ার পরেও এটা বাজারে টিকে না। প্রচুর বিক্রি।
দেশি মুরগির মজাই আলাদা। গ্রামে গেলেই বেশির ভাগ সময় দেশি মুরগি দিয়েই ভাত খাওয়া হয়। আপনার রেসিপি দেখে খুবই খেতে মন চাচ্ছে। শুভকামনা আপনার জন্য ভাই।
সত্যি বলেছেন। এই স্বাদটা গ্রামে এলে বেশী পাওয়া যায়। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে দেশী মুরগী পালা হয়।
দেশী মুরগীর মাংস রান্না মজাটাই আলাদা। আমার তো মনে হয় সবারই প্রিয়। আমার খুব প্রিয় দেশি মুরগির মাংস। আমার কাছে বিশেষ করে মুরগির মাংস কালারটি অসাধারণ লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
দেখতে সুন্দর হলে স্বাদটা যেন একটু বেড়েই যায়। তাই একটু সেভাবে চেষ্টা করা।
মাংসের রেসিপির মধ্যে মুরগির মাংসের রেসিপি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি মজা লাগে আর সেটা যদি দেশি মুরগি হয় তাহলে তো আরো বেশি সুস্বাদু হয়। অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করে মজাদার দেশি মুরগির মাংসের রেসিপি শেয়ার করেছেন যেটা দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। এমন একটি লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া। দেশী মুরগীর মাংস আমারও অন্য সবের চেয়ে ভাল লাগে।
মাংস খেতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে তা যদি হয় দেশী মাংস তাহলে তো কোন কথাই নেই লোভনীয় হবে' রেসিপিটি প্রস্তুত করে উপস্থাপন করেছেন ইচ্ছে করছে আপনাদের সাথে খাবারে ভাগ বসিয়ে দিয়ে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন রন্ধনপ্রণালী শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
আপনার জন্যেও শুভকামনা রইলো। রান্নাটি সত্যিই অসাধারণ হয়েছিল।
দেশি মুরগির মাংস খেতে আমি খুবই পছন্দ করি।আজকে আপনি খুবই সুন্দরভাবে দেশি মুরগির মাংসের মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।এত সুন্দর ভাবে দেশি মুরগি রান্না করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এভাবে মুরগী রান্না করলে স্বাদ ভালো হয় এদিকে আবার সময় এবং শ্রম ও কম লাগে।