ছেলের জন্য একটা খেলনা বাইক ক্রয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা।। ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য ।। 5% for abb-school
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ্ । আমিও অনেক ভাল আছি । বৈশাখের এই দিন গুলো কাঁচা আমের সাথে সাথে আমাদের অসহ্য গরমের যন্ত্রনাটাও দিয়ে যাচ্ছে । একটি দিনের চেয়ে আরেকটি দিন যেন প্রতিযোগীতা করে বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের তাপমাত্রা । মন এখন বৃষ্টির অপেক্ষায় ব্যাকুল । তারপরেও প্রতিদিনের কর্ম পরিকল্পনা তো আর থেমে থাকে না, কাল প্রতিদিনের কাজের সাথে আরো একটি বাড়তি কিছু যুক্ত হয়েছিল । গেছিলাম বাচ্চার জন্য খেলনা মোটর সাইকেল কিনতে । আমার সে অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করছি ।
আমার থানা শহর এবং নিকট তম বাজার "গাংনী" বাড়ি থেকে ১০ কি.মি. দূরে অবস্থিত ।
তাই মোটরসাইকেল যোগে গিয়েছিলাম সেখানে । ছিল শুধু ঐ একটি উদ্দেশ্য ।
একেবারে বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে এখানকার সাইকেল ষ্টোর গুলোর অবস্থান ।
তার একটিতে এর আগের দিন ও গিয়ে দেখে এসেছিলাম তাদের কালেকশন গুলো ।
অনেক গুলো ছিল তাদের শো-রুমের বাইরের দিকে ।
তবে আমাদের আকাঙ্ক্ষিত খেলনা বাইক গুলো গোডাউনের ভিতরে রাখা ছিল ।
একজন সহকারীকে সাথে নিয়ে সেখানে প্রবেশ করেছিলাম ।
এই দোকানটা মুলত সাইকেলের জন্য বিখ্যাত । ছোটদের বড়দের বিভিন্ন রকমের সাইকেল এরা বিক্রি করে থাকে ।
দোকানের একপাশে বড়দের সাইকেল গুলো রাখাছিল ।
অন্য পাশে ছিল বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন রকমের খেলনা বাইক ।
সবগুলো দেখে একটা আমি পছন্দ করলাম ।
সহকারীর কাছে এই রকমের অন্য রঙের আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি নতুন কার্টুন থেকে আমাদের জন্য লাল রঙের মার্ক করা একটা কার্টুন বের করে আনলেন ।
এটা পরবর্তীতে নেওয়ার জন্য বললাম ।
এর প্রতিটা পার্ট আলাদা থাকার কারণে আমাদেরকে মিস্ত্রীর সহায়তা নিয়ে প্রস্তুত করতে হলো ।
তিনি যত্ন সহকারে আমাদের খেলনা বাইকটির প্রতিটা বডি পার্ট সংযোগ করে দিলেন ।
প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগলো । সম্পুর্ণ সংযোগ করতে ।
সে যায় হোক আমাদের বাইক সেটিং সম্পুর্ণ হয়ে গেল ।
এখন বাড়ি যাওয়ার পালা ।
এখন বাড়িতে তার ছোট্ট মালিকের কাছে পৌছে দিতে পারলে আমার দায়িত্ব শেষ হবে ।
বাড়িতে আসার পরের দৃশ্য ।
আব্বুজি তো দারুণ খুশি ।
আমি কয়েকটা ছবি তুলে রাখছিলাম । সে সময় তার দাবী অনুযায়ী আরো কয়েকটি বেশি করে ফটো উঠানো লাগলো।
তবে পরবর্তী অপ্রিয় দৃশ্যটা ঘটলো ঘুমাতে যাওয়ার সময় ।
সে কিছুতেই তার বাইক রেখে ঘুমাবে না ।
কাল বাজারে ঘোরাঘুরি বেশি করার কারণে একটু বিপর্যস্ত ছিলাম । যেহেতু আমি রোজা রাখছিলাম ।
তারপরেও বাড়িতে এসে ছেলের খুশীর কাছে ওগুলো সব কম মনে হলো ।
আমরা যারা সন্তানের বাবা-মা । আমার মনে হয় তাদের যত্নে কোন ত্রুটি রাখিনা ।
তারপরেও স্মার্ট ফোন থেকে তাদের খানিকটা দূরে রাখার খানিকটা অসম্ভব হয়ে পড়ে ।
এর জন্য বিভিন্ন রকমের খেলনা তাদেরকে গেম খেলা বা কার্টুন দেখা থেকে অনেকটা দূরে রাখতে সাহায্য করে ।
তাই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ।
ভাল থাকবেন সবাই । সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের পর্যাপ্ত সময় দিবেন যত ব্যস্ততায় থাকুক না কেন এটুকু অনুরোধ ।
ধন্যবাদ সবাইকে ।
নামঃ | @maruffhh |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ | mobile |
মোবাইল নেমঃ | redmi 6a |
ক্যামেরাঃ | 8mp |
খুবই ভালো লাগলো আপনার ছেলের জন্য সাইকেল কেনার অভিজ্ঞতার লেখ পড়ে। আসলে আমি যখন ক্লাশ ৫ এ পড়ি তখন সাইকেল কিনেছিলাম। এতো ছোট থাকতে সাইকেল কেনা হয় নাই। অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন আপু।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, বিভিন্ন রকমের খেলনা ছোট সোনামণিদের গেম খেলা বা কার্টুন দেখা থেকে অনেকটা দূরে রাখতে সাহায্য করবে। আপনার ছেলের জন্য যে বাইকটি পছন্দ করেছেন তা দেখতে অনেক অনেক সুন্দর। ভাই আমার ছেলেও নতুন কিছু খেলনা বা জুতা কিনে আনলে আপনার ছেলের মতো তারও একই অবস্থা হয়। নতুন জুতা কিনে আনলে সে তো রীতিমতো বিছানার উপরে হাঁটাহাঁটি করে এবং ঘুমানোর সময় পাশে রেখে ঘুমায়। তবে ছোটদের এরকম কান্ড আমার কাছে বেশ মজাই লাগে। আপনার ছেলের জন্য খেলনা বাইক ক্রয় এর অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে বর্ণনা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সন্তানদের হাসিখুশি মুখ দেখার জন্য আমাদের কত কিনা করতে হয়। আমাদের প্রতিদিনের এত ঘাম ঝরা পরিশ্রম সবকিছু তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই। যাইহোক খেলনা বাইক ক্রয়ের অভিজ্ঞতা টুকু আপনি খুব চমৎকার করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আরে কথাটা যথার্থই বলেছেন এই ধরনের বিভিন্ন রকম খেলনা নিয়ে ব্যস্ত থাকলে ছোট বাবুরা স্মার্টফোন আসক্তি থেকে কিছুটা দূরে থাকতে পারবে। মজার অভিজ্ঞতা টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সন্তানকে খেলনা বাইক কিনে দেয়ার অভিজ্ঞতা সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন ভাই।আসলে সন্তানদের কোন কিছু কিনে দিতে পারলে বাবা হিসেবে নিজেকে সার্থক মনে হবে। বাইক টা অনেক সুন্দর ছিল ভাই। বাইক তাতে আপনার সন্তান নিশ্চয় অনেক খুশি হয়েছিল। স্মার্ট ফোন থেকে সন্তানদের দূরে রাখতে আবদারগুলো পূরণ করা উচিত।
ছেলের জন্য খেলনা গাড়ি কিনার অভিজ্ঞতার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার ছেলে অনেক খুশি হয়েছে বুঝি। খুব ভালো একটা কাজ করেছেন শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ছেলের জন্য একটা খেলনা বাইক কেনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার ছেলেটা দেখতে অনেক কিউট লাগছে। বাইকটার কালার ও আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে বাইক কেনার ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর কোয়ালিটি সম্পন্ন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি আপনার ছেলের জন্য খুবই সুন্দর একটি গাড়ি কিনে দিয়েছেন, গাড়িটি কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে এবং আপনার ছেলেও কিন্তু গাড়ীটা পেয়ে অনেক খুশি। সেটা কিন্তু ছবিতেই বোঝা যাচ্ছে। এই মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার ছেলের বাইক টা অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া। বাইক কেনা খুব ভালো একটা বিকট আপনার মাঝে মাঝে শেয়ার করেছেন। জি ভাই ঠিক বলেছেন স্মার্ট ফোন থেকে দূরে রাখে তাদেরকে বাহিরের বিনোদন দেওয়া দরকার। কিছু খেলনা কিনে দেওয়া বাহিরে বাচ্চাদের সাথে খেলতে দেওয়া তাহলে ভালো সময় কাটে। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনি খুব সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসিতেছে সামনের ঈদের দিন, অনেকেই অনেক কিছু ক্রয় করে থাকে। তবে বাচ্চাদের প্রিয় খেলনা জাতীয় জিনিস। আশা করি বাবুর ঈদ ভাল কাটবে।
খেলনা বাইক আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ভাই। আমিও কিছুদিন আগে আমার মেয়ের জন্য একটি নিয়েছিলাম। কিন্তু মেয়ে ছোট হওয়ার কারণে এটি ব্যবহার করতে পারে না। আপনার ছেলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি ও একটা ছোট সাইকেলের কথা ভাবছিলাম। কিন্তু সেইটা একটু বিপদজনক হতো। কারণ তার পুরোটা লোহার যন্ত্রাংশ এবং চেইন সিস্টেম। ভেবে দেখলাম এটাই ঠিক হবে।