রেসিপি ।। রসোগোল্লা তৈরি ।। ১০% বেনিফিসিয়ারী @shy-fox ।। ৫% @abb-school এর জন্য ।
আজ শনিবার ।। ১৭ই বৈশাখ ১৪২৯ ।। ৩০শে এপ্রিল ২০২২
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি ভাল আছেন ।
আজ বিকেলে এক পশলা বৃষ্টি শেষে চারিদিকে শীতল হাওয়া বইছে।
প্রতিদিনের তাপদাহ ভুলে আজ প্রকৃতি যেন আবার বসন্ত ফিরে পেয়েছে ।
এই নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়াতে একটু মিষ্টিমুখ করাতে আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসছি বাঙালীর প্রিয় মিষ্টান্ন "রসগোল্লা" রেসিপি।
আশা করি রেসিপিটা আপনাদের উপকারে আসবে ।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
তরল দুধ | ১.৫ লিটার |
চিনি | ২ কাপ |
ভিনেগার | .৫ কাপ |
এলাচ | ২টি |
সাদা আটা | ১.৫ টেবিল চামচ |
ধাপঃ ০১
আমি দুধ আগেই সংগ্রহ করে ফ্রিজে রেখেছিলাম ।
স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আনার জন্য পানিতে ভিজিয়ে রেখে ছিলাম প্রায় ২ ঘন্টা ।
স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার পর একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় মাঝারি আচে ফুটিয়ে নিলাম ।
ধাপঃ ০২
আধা কাপ ভিনেগারের সাথে আধা কাপ পানির মিশ্রণ তৈরি করে নিয়ে ছিলাম ।
এখন গরম দুধে অল্প অল্প করে ভিনেগার মিশ্রিত পানি দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকবো ।
কিছুক্ষণ পরেই দুধ থেকে ছানা কেটে যাবে ।
ধাপঃ ০৩
দুধের পানি এবং ছানা আলাদা হয়ে গেলে একটা সূতি কাপড়ের উপর ঢেলে ছানা থেকে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে ।
ছানার ভিতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় নেওয়ার জন্য ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে ।
ছানা সম্পুর্ণ পানি মুক্ত করার জন্য সূতি কাপড়ে বেধে কোথাও ঝুলিয়ে রাখতে হবে ১ ঘন্টার জন্য ।
ধাপঃ ০৪
ছানার পানি ঝরে গেলে একটা প্লেটে ১ টেবিল চামচ সাদা আটা এবং ১ টেবিল চিনি দিয়ে ভাল করে মথে নিতে হবে ।
হাতের তালু দিয়ে ভাল করে মথে নিতে হবে যেন চিনি এবং আটা পুরপুরি মিশে যায় এবং ছানার ভিতরে কোন প্রকার দলা না বেধে থাকে ।
ধাপঃ ০৫
চুলাতে একটা হাঁড়ি বসিয়ে নিয়েছি ।
এবার সিরা তৈরির জন্য ৪কাপ পানি এবং ২ কাপ চিনি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়েছি ।
পানি বুদ বুদ সহ ফুটে উঠলে একটু করে ছানা নিব । গোলাকার আকৃতি দিয়ে সিরার ভিতরে একটা একটা করে ছেড়ে দিব ।
ধাপঃ ০৬
তৈরিকৃত সব গোল্লা গুলি সিরায় ছাড়া হয়ে গেলে চুলার আঁচ বাড়িয়ে দেব যেন প্রতিটা গোল্লা ফেনার নিচে চলে যায় । তাহলে আমাদের মিষ্টি গুলো শক্ত হয়ে যাবে না ।
ধাপঃ ০৭
প্রায় ১ ঘন্টা যাবত রান্না করার পর আমাদের রসোগল্লা তৈরি সম্পন্ন হলো ।
এখন গরম গরম মিষ্টি খাওয়ার পালা ।
আমাদের অত্র অঞ্চলে মুসলিমদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের দিনে সকাল বেলায় নাশতা হিসেবে সেমাই, পরটা, দই, মিষ্টি ( রসোগোল্লা, চমচম, কালোজাম ) খাওয়ার প্রচলন আছে ।
আমি ও প্রতিবছর ঈদের দিন গুলোতে নিজ পরিবারের জন্য রসোগোল্লা বানিয়ে থাকি ।
ঈদের সময় দেখা যায় অনেক হোটেল মালিক বেশি লাভের আশায় মিষ্টিতে ভেজাল করে থাকে । এই কারণে ঈদের সময় গুলোতে বাড়িতে বানিয়ে নিলে নির্ভেজাল রসোগোল্লার স্বাদ আপনারাও পেতে পারেন ।
আশা করি আমার এই রেসিপি সে ক্ষেত্রে আপনাদের সহায়ক হবে ।
ভাল থাকবেন সবাই । ধন্যবাদ ।
নামঃ | @maruffhh |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ | mobile |
মোবাইল নেমঃ | redmi 6a |
ক্যামেরাঃ | 8mp |
আপনি রসোগোল্লা রেসিপিটা অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে আমার লোভ লেগে গেল। আপনি চমৎকার ভাবে এটা উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
রসগোল্লা আমার খুবই প্রিয়। আপনার রসগোল্লা রেসিপি উপস্থাপন এবং পরিবেশন থেকে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আসলে আপনি খুবই সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করলেন। আপনার ধাপে ধাপে উপস্থাপন দেখে আমিও শিখতে পারলাম। পরবর্তীতে তৈরি করব ইনশাল্লাহ।
রসগোল্লা দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। রসগোল্লা আমার খুবই প্রিয়। প্রায় সময় বাজার থেকে ক্রয় করে খেয়ে থাকে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার রসগোল্লা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। রেসিপি পড়ার আগেই মনে হচ্ছে রসগোল্লা খেয়ে নেই। আপনি খুব সুন্দর ভাবে দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। রসগোল্লা পছন্দ করে না এমন লোক খুবই কমই আছে। রসগোল্লা মানে রসে ভরপুর। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রসগোল্লা তৈরীর প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন সেইসাথে নিখুঁতভাবে বর্ণনা করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মিষ্টান্ন এর মধ্যে আসেই বাঙালীদের প্রিয় হলো রসগোল্লা, তেমন আমি একজন বাঙালী হিসেবে রসগোল্লা আমারো খুবই প্রিয়। 😋
আপনার বানানো রসগোল্লা গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজার হবে, আমারতো দেখেই ইচ্ছা করছে একটা একটা করে তুলে মুখে দিতে। 😍
আহা কি দেখালেন ভাইয়া। সত্যিই অসাধারণ হয়েছে আপনার রসগোল্লা তৈরির রেসিপিটি৷ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
রসগোল্লা আমার কাছে খুব ভালো লাগে ভাইয়া। আপনার রসগোল্লা রেসিপি টা দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হবে ভাইয়া। আমি অনেকবার খেয়েছি রসগোল্লা নিজের হাতে বানিয়ে বাসার সবাই পছন্দ করেছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া রসগোল্লার রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ভাইয়া আপনার রসগোল্লাগুলো দেখতে একদম বাজারের কেনা রসগোল্লার মত লাগছে। এভাবে ছানা দিয়ে আমি বেশ কয়েকবার রসগোল্লা বানানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। আপনার রসগোল্লার রেসিপি দেখে আবার একবার চেষ্টা করে দেখব। আপনার রসগোল্লাগুলো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।
আপনার রসগোল্লাগুলো দেখে প্রথমেই খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে।একদম কেনা রসগোল্লার মত হয়েছে ।দেখে বোঝা যাচ্ছে না যে এগুলো বাড়িতে তৈরি করা। এত চমৎকার ভাবে বানিয়েছেন যে দেখতে বেশ ভালো লাগছে। আমারতো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে ।সত্যিই চমৎকার বানিয়েছেন আপনি ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আমার খুব পছন্দের একটি খাবার তৈরি করেছেন আপনি। রস গুলা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে কিন্তু আমি নিজে কখনো তৈরি করে খেয়ে দেখি নি। আপনার এই পোস্টটি দেখে আমি নিজেই একদিন তৈরি করার চেষ্টা করব। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এর আগে আমিও রসগোল্লা রেসিপি তৈরি করেছিলাম। আপনার রসগোল্লার রেসিপি তৈরি অনেক সুন্দর হয়েছে ।রসগোল্লা রেসিপি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সুন্দর উপস্থাপন বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।