recipe ।। মজাদার আলু পাকোড়া
প্রাণ প্রিয় বন্ধুগণ, আশাকরি মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমতে সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি । আজ আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি ।কিছুদিন যাবত একটা রেসিপির কথা ভাবছিলাম তবে অলসতায় আমাকে রান্নাঘর পর্যন্ত যেতেই যেন দিচ্ছিলো না । তারপরে দুপুরের ঘুমের সাথে এক রকম যুদ্ধ করেই উঠে চলে গেলাম রান্না ঘরে । যেয়ে তো মন খারাপ হয়ে গেল আমি যে রেসিপির কথা ভাবছিলাম তার মূল উপাদান আলু, যা একটা ও নেই কিছুদিন আগে কিনে রেখেছিলাম ।আম্মু তরকারী রান্না করে ফেলেছে ।যাই হোক তারপরেও মিস গেল না কারণ আজকে ছিল গ্রামের "হাটের দিন" সাইকেল নিয়ে ছুটে গেলাম এবং নিয়ে চলে এলাম ২কেজি আলু । তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক আমার আজকের রেসিপি "মজাদার আলু পাকোড়া " তৈরি।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
বেসন | ১কাপ |
আলু | ২৫০ গ্রাম |
লবণ | পরিমাণ মত |
পেঁয়াজ | ২টি |
তেল | পরিমাণ মত |
খাবার সোডা | আধা চা চামচ |
পাঁচফোড়ন | স্বাদ মতো |
কাঁচা মরিচ | ২টি |
প্রথমে আমি পেয়াজ চারটির উপরের খোসা ছাড়িয়ে নিলাম । এবং পরিষ্কার পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখেছিলাম । এবার সমতল একটি পাত্রে উঠিয়ে রাখলাম ।
এবার চুরি দিয়ে পেয়াজ গুলোকে কুচি করে কেটে নিলাম ।
২৫০ গ্রাম ওজনে তিনটা আলু হয়েছিল । এবার আমি পিলার দিয়ে আলুর খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিলাম । এবং স্লাইসার দিয়ে একটু বড় বড় করে কেটে নিলাম । বড় করেছি যেন একেবারে বেসনের সাথে মিশে না যায় ।
এখন আমি প্রয়োজন মত মরিচ নিলাম । মরিচ গুলো ভাল মতো ধুয়ে এনে । ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিলাম ।
এরপর আমি কেটে রাখা আলু, পেঁয়াজ এবং মরিচ একসাথে মিশিয়ে নেব । এরমাঝে দিয়ে দেব পরিমাণ মত লবণ, খাবার সোডা এবং পাঁচফোড়নের গুড়ো ।
মসল্লা মেশানো শেষ এখন আমি অল্প অল্প করে বেসন দিয়ে মাখিয়ে নিলাম । আলু এবং পেঁয়াজ থেকে যে পানি বের হবে আমি তা দিয়েই বেসন মেখে নেব । বাইরে থেকে কোন পানি যোগ করছি না খেয়াল রাখতে হবে বেসন মেশানোর পর দো যেন খুব শক্ত অথবা নরম না হয় ।
এবার হাতের সাহায্যে গোল গোল করে পাকোড়া বানিয়ে একটা প্লেটে রাখলাম ।
এখন একটা কড়াই চুলার উপরে বসিয়ে দিলাম । আমি এখানে ২৫০ গ্রাম তেল ঢেলে দিয়েছি ।
এখন তেল পর্যাপ্ত গরম হয়ে এলে একে একে ৮-১০ পিস পাকোড়া তেলে ছেড়ে দিলাম ।
আমি মাঝে একবার উল্টিয়ে দিয়েছি । হালকা খয়েরি রঙ হয়ে গেলে তুলে ছাকনী দিয়ে ছেকে তুলে নিতে হবে।
***এখন আমি তুলে একটা পাত্রে রেখেছি । এভাবে একে একে সব গুলো ভেজে নিতে হবে । ***
একটা প্লেটে সাজিয়ে পরিবেশন করলাম। এক্সট্রা কোন মসলা ছাড়া বাড়িতে থাকা উপকরণ দিয়ে ঝটপট বিকেলের নাস্তায় বানিয়ে ফেলা যায় এমন "মজাদার আলু পাকোড়া "
ধন্যবাদান্তে | @maruffhh |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ | mobile |
মোবাইল নেমঃ | redmi 6a |
ক্যামেরাঃ | 8mp |
আলুর পাকোড়া আমাদের এদিকে বাজারে অনেক পাওয়া যায়। আলুর পাকোড়া খেতে মোটামুটি ভালই লাগে আমার কিন্তু আমার একটু এসিডিটির সমস্যার কারণে তেমন একটা বেশি খাওয়া হয় না তবে এটি আমার অনেক পছন্দের একটা রেসিপি । খুবই সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার নিজেরও প্রচুর সমস্যা এসিডিটির কিন্তু লোভ সামলানো দায়। মাঝে মাঝে খাওয়া হয়েই যায়। আপনাকে ও ধন্যবাদ।
মজাদার আলুর পাকোড়া দেখে খেতে ইচ্ছে করছে অনেক। অনেক দিন আগে আলুর পাকোড়া খেয়েছি। আপনার আলু পাকোড়া দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য
আলু পাকোড়ার স্বাদের কারণে আমি মাঝে মাঝেই তৈরি করি। মিস করতে মন চাইনা এর স্বাদ।
এখনো আলু দিয়ে তৈরি এমন খাবার খাওয়া হয়নি। কিন্তু আলুর চপ খেয়েছি। মনে হচ্ছে কিছুটা আলুর চপের মত। আপনার রেসিপি বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এমন রেসিপি আমাদের সাথে সেয়ার করার জন্য
স্বাদ কিছুটা আলুর চপের মতই উপাদান যেহেতু একই। তবে এটা আরো ভালো লাগে খেতে।
আলু দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবারই আমার কাছে চমৎকার লাগে। বিশেষ করে ভাজা জাতীয় খাবার। আর এই আলু পাকোড়া আমার পছন্দের খাবার গুলোর মধ্যে একটি। আপনার রেসিপিটি অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
আলু দিয়ে করা ভাজাপোড়া রেসিপি আমার ও অনেক প্রিয়। একারণে একটু বেশিই খাওয়া পড়ে। আপনাকে ও ধন্যবাদ।
আলু পাকোড়া সত্যি অসাধারণ আমার খুবই প্রিয় খাবার। বিশেষ করে আলু দিয়ে তৈরি জিনিস আমার খুবই প্রিয়। আপনার রেসিপিটির কালার খুবই চমৎকার লাগলো আমার কাছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আলু দিয়ে তৈরি খাবার আমার নিজের কাছেও ভীষণ প্রিয়। এর জন্য মাঝে মাঝেই তৈরি করি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনি খুবই মজাদার এবং লোভনীয় একটি আলুর পাকোড়া তৈরি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই পাকোড়া তৈরির রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুব অল্প উপকরণের তৈরি হলেও এর স্বাদটা অসাধারণ। ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মতামত এর জন্য।
এভাবে আলু পাকোড়া কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এই পাকোড়া গরম গরম টমেটোর সস দিয়ে খেতে সেই মজা হবে। আপনার পাকোড়া দেখে মনে হচ্ছে এখান থেকে নিয়ে কাজ নেই। পাকোড়া তৈরির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
রেসিপিটি আসলেই অনেক সু-স্বাদু ছিল। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামত এর জন্য।