রেসিপি ।। আলুর চপ তৈরি ।। ১০% বেনিফিশিয়ারী @shy-fox ।। ৫% @abb-school এর জন্য ।
আজ মঙ্গলবার ।। ২৪শে মে ২০২২ ইং ।। ১০ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ ।। ২২শে শাওয়াল ১৪৪৩ হিজরি ।।
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় বন্ধুরা আশাকরছি পরম করূণাময় আল্লাহ তা'আলার অশেষ মেহেরবানীতে সবাই অনেক ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও বেশ ভাল আছি । বিকেলের নাস্তায় একটু ভাজাপোড়া না হলে যেন চলেই না । আমার মত অনেকেই আছেন যারা আমার মত তেলে ভাজা নাস্তা গুলো ভীষণ পছন্দ করে থাকেন । আজ আমি তেমনি একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি । আজ আমি আপনাদের সাথে "আলুর চপ" রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
আলু | ২টি |
বেসন | ১ কাপ |
ডিম | ১টি |
চাউলের আটা | ১ টেবিল চামচ |
পাঁচফোড়ন | আধা চা চামচ |
লবণ | পরিমাণ মত |
মরিচ গুড়া | ১চা চামচ |
হলুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
বেকিং পাউডার | আধা চা চামচ |
খাবার সোডা | আধা চা চামচ |
পেঁয়াজ | ১টি |
কাঁচা মরিচ | ৩টি |
রসুন | ১ টা |
তেল | পরিমাণ মত |
ধাপঃ০১
***প্রথমে প্রতিটা আলু চার ভাগে কেটে নিয়েছি । পরিমাণ মত পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিব । সিদ্ধ হয়ে গেলে একটি স্টেইনারে ঢেলে পানি ঝরিয়ে নিব । ***
ধাপঃ০২
***একটি পাত্রে সব টুকু বেসন ঢেলে নিব । বেসন হাত দিয়ে দেখতে হবে যদি মোটা দানা অথবা অন্য সমস্যা মনে হয় তাহলে চালনী দিয়ে চেলে নিতে হবে । ***
ধাপঃ০৩
এরপর সমস্ত মসলা ( মরিচ গুড়া, হলুদ গুড়া, লবণ, পাঁচফোড়ন, চাউলের আটা, খাবার সোডা, বেকিং পাউডার ) বেসনে দিয়ে দেব ।
ধাপঃ০৪
সমস্ত উপাদান ভাল ভাবে মিশিয়ে নেব। সবখানে সমান ভাবে মিশে গেলে তাতে ডিম ভেঙে দিয়ে দেব ।
ধাপঃ০৫
ডিম দেওয়ার পর বেসন সহ সমস্ত মসলা পানি দেওয়ার আগেই ভাল ভাবে মথে নিতে হবে । ভালভাবে না মথে নিলে পানি দেওয়ার পর বেসন গুটি গুটি হয়ে থাকবে সে ক্ষেত্রে আমাদের চপ মোটেও ভাল হবে না । এবার অল্প অল্প করে পানি দিয়ে বেসন পাতলা করে নিতে হবে । খেয়াল রাখবো যেন খুব বেশি পাতলা না হয়ে যায় তাহলে আলুর গায়ে বেসনের বেটার লাগতে চাইবে না ।
- বেটার/গোলা ভাল মত তৈরি হয়ে গেলে একপাশে ঢেকে রেখে দিব*
ধাপঃ০৬
পেঁয়াজ এবং রসুন খোসা ছাড়িয়ে নেব । এরপর কাচামরিচ, পেঁয়াজ, এবং রসুন কুঁচি কুঁচি করে কেটে নেব ।
ধাপঃ০৭
একটা কড়াই চুলার উপরে বসিয়ে গরম করে নেব । অল্প পরিমাণ তেল দিয়ে তাতে কেটে রাখা রসুন, কাচামরিচ ও পেঁয়াজ দিয়ে হাল্কা বাদামি করে ভেজে নেব।
ধাপঃ০৮
ইতিমধ্যে আমার সিদ্ধ করে রাখা আলু গুলো ঠান্ডা হয়ে এসেছে । এগুলো খোসা ছাড়িয়ে ভাল ভাবে মথে নেব। কোন শক্ত অংশ থাকলে তা বের করে নিব । ভেজে রাখা পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও রসুন দিয়ে ভাল ভাবে মেখে নিতে হবে।
ধাপঃ০৯
আলুর পুর গুলো সব একই মাপে গোলাকার করে নিয়েছি । একই সাইজে তৈরি করলে ভাজার পর দেখতে ভাল লাগবে।
ধাপঃ১০
এবার একটা লোহার কড়াই চুলার উপর বসিয়ে দিয়েছি । অল্প একটু গরম করে নিয়ে তাতে পরিমাণ মত তেল দিয়ে দিলাম ।
ধাপঃ১১
তেল পর্যাপ্ত গরম হয়েছে কিনা চেক করে নিতে হবে । গরম হয়ে গেলে তাতে একটা একটা করে আলু পুর বেসনে ডুবিয়ে ভাল ভাবে মাখিয়ে ছেরে দিতে হবে।
ধাপঃ১২
আলুর চপ ভাল মত ভাজার জন্য অবশ্যই ডুবো তেলে ভাজতে হবে তাহলে মচমচে হয়ে ভাজা হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ফুলেও উঠবে। আমি একবারে চারটি করে কড়াইয়ে দিয়ে ভেজে নিয়েছি।
ধাপঃ১৩
চুলার আঁচ ঠিক রেখে এপিঠ ওপিঠ উলটিয়ে ভাল মত ভেজে নিতে হবে । হাল্কা খয়েরী রঙ হয়ে আসলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে তুলে নিতে হবে।
এভাবে একে একে সব গুলো ভেঁজে নিতে হবে।
প্রিয় বন্ধুরা দেখতেই পারছেন কতটা সুন্দর করে ভেঁজে নিয়েছি । স্বাদটাও বেশ হয়েছে ।
আমার আজকের রেসিপি এখানেই সমাপ্ত হলো।
সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।
আল্লাহ্ হাফেজ ।
নামঃ | @maruffhh |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ | mobile |
মোবাইল নেমঃ | redmi 6a |
ক্যামেরাঃ | 8mp |
মজাদার আলুর চপ তৈরি করেছেন। দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে ভাই। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আলুর চপ খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। গরম গরম আলুর চপ খেতে বেশ ভালো লাগে আমার। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আলুর চপ রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। খুব মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আলুর চপ আমার নিজের ও খুব পছন্দের খাবার । আপনার জন্যেও শুভকামনা রইলো ।
আলুর চপ তৈরি দেখেইতো খুবই লোভ লাগছে। কেননা আমার কাছেও গরম গরম আলুর চপ খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার তৈরি মুখরোচক আলুর চপ দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক অনেক মজা হয়েছে। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রতিটি ধাপ দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাই এমন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন যেটা সবারই অনেক পছন্দের। গোছানো ধাপ গুলো দেখেই বোখা যাচ্ছে অনেক দারুন হবে খেতে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আলুর চপ খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ মনে হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে আমার কাছে ব্রেডক্রাম দিয়ে ভাজা আলুর চপ গুলো বেশি মজা লাগে। ওগুলো দেখতে ও সুন্দর হয়। আপনার রেসিপিটি সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
২০১২ সালের দিকে যখন কলেজে পড়তাম তখন মেহেরপুর আলিয়া মাদ্রাসা গেটে ১টাকার আলুর চপ পাওয়া যেত। সে আরেকটু মজা ছিল একবারে একটা চপ মুখে পুরে নেওয়া। সেই রেসিপিটা মিস করে ফেলেছি। এখন বাড়িতে তৈরি চপ একমাত্র ভরসা। আপানাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
আলুর চপ রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে ।আপনি খুব সুন্দর ভাবে আলুর চপ রেসিপি তৈরি করেছেন। আলুর চপ আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপির পুরো প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন ।এত সুন্দর একটি আলুর চপ রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি নিজেও ভীষণ ভাবে আলুর চপ পছন্দ করি। তাই মাঝে মাঝেই এটা তৈরি করি। আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
আলুর চপ আমার অনেক প্রিয়। আপনার আলুর চপের রেসিপি দেখে খুব লোভ লাগছে। আপনার চপ তৈরি রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য ্
ঠিকই বলেছেন বিকালের নাস্তায় ভাজাপোড়া না হলে যেন চলেই না ভাজা পোড়া হলে ভালো লাগে ।আমি তো বাইরে থেকে কিনে এনে খাই। আর রোজার ভিতর তো প্রায় প্রতিদিনই বানানো হয় এসব খাবার ।অনেকদিন হলো খাওয়া হয় না আপনার আলুর চপ দেখে লোভ লেগে গেল। চপ গুলো খুব সুন্দর করে বানিয়েছে প্রতিটি ধাপে ধাপে বানানোর পদ্ধতি দেখিয়েছেন।
সারা রমজান মাস জুড়ে চপ তো অতুলনীয়। এমনকি নামাজ শেষে মুড়ি ভোজে স্বাদ বাড়াতে চপ ভেঙে খাওয়া হতো।
আলুর চপ আমার কাছে খুবই ভালো লাগে কিন্তু বাইরে থেকে খাওয়া হয় বেশি বাসা থেকে অনেকটা তৈরি করা হয় না। আপনার এই পোস্টটি দেখে আমি নিজেই একদিন তৈরি করার চেষ্টা করব। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সব উপাদান সঠিক পরিমানে ব্যবহার করলেই দারুণ স্বাদ হবে। আর নিজ হাতে তৈরি খাবারের মজা একটু ভিন্ন রকম ই হয়।
সেই রমজানের সময় আলুর চপ খেয়েছিলাম। এরপর আর আলু চপ খাওয়া হয়নাই। আপনার আলুর চপের রেসিপি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। প্রতিটি ধাপের বর্ণনা শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।