নাটক রিভিউ-বউয়ের বাড়ি||
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী।আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে একজন নতুন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি।নাটক দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে কিন্তু সময় স্বল্পতার অভাবে নাটক সেভাবে দেখা হয় না। দুদিন আগে আমি নাটকটি দেখেছিলাম।আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল।তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আশা করি সকলের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
স্ক্রিনশট: youtube
নাম | বউয়ের বাড়ি |
---|---|
প্রযোজক | শেখ সাহেদ আলী (পাপ্পু) |
পরিচালক | সাজিন আহমেদ বাবু |
প্রধান সহকারী পরিচালক | তোয়াব আশরাফ সিদ্দিকী,সামির রহমান রাব্বি |
অভিনয়ে | ফারহান আহমেদ জোভান , কেয়া পায়েল,মনিরা মিঠু ও আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৫৩ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ১১ জানুয়ারি ২০২৪ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রে:
- ফারহান আহমেদ জোভান (শান্ত)
- কেয়া পায়েল(শায়লা)
স্ক্রিনশট: youtube
নাটকের শুরুতে দেখা যায় বিয়ের জন্য ব্যান্ড পার্টি ব্যান্ড বাজাচ্ছে। এরপর শান্ত এসে ব্যান্ড পার্টিকে থামতে বলে। এরপর তার দুইটা বন্ধু সেখানে চলে আসে। তারা দেরি করে আসার কারণে শান্ত ভীষণ ভাবে রাগ করে।অনেক বকা দেয় তাদের তারা কেন সবকিছুতেই দেরি করে আসে। অবশেষে সে তার মায়ের কাছ থেকে দোয়া নিয়ে বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় এরপর তারা বিয়ে বাড়িতে পৌঁছায়। এরপর শান্ত রুমাল মুখে দিয়ে বর সেজে দাঁড়িয়ে থাকে।আর গেটের সকল কার্যক্রম সেরে ফেলে।অবশেষে তাদের বিয়ে সম্পূর্ণ হয়। এরপর যখন শায়লা কে বিদায় জানানো হয়। তখন সে এমন কান্না করে কান্না করতে করতে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর শান্ত তার বউয়ের এমন ভাব দেখে হতভম্ব হয়ে যায়। শান্ত তার ভাই কে বলে ফেলে বউ না নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবে। শান্তর ভাই জিজ্ঞাস করে কেন সে বউ না নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবে। সে তখন বলে এমন অসুস্থ বউ আমি নিয়ে যেতে চাই না। আমাদের বাড়ি কোন হসপিটাল নয় আমি আমার বউকে সুস্থ ভাবে আমার বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় শান্ত। অবশেষে বাড়িতে ফিরে সে গ্রামের সকল লোক বউ দেখতে আসে। কিন্তু সে কিন্তু শান্ত বউ নিয়ে বাড়িতে না ফেরায় তার মা খুবই রেগে যায় এবং তাকে অনেক বকাঝকা করে কেন সে বউ নিয়ে আসেনি। গ্রামের লোককে কি জবাব দিবেন তিনি।
স্ক্রিনশট: youtube
বিয়ের রাতে বউকে রেখে এসেছে গ্রামের লোকজন শুনলে তাদের মান সম্মান থাকবে না। কিন্তু শান্ত তার মায়ের কোন কথা শোনে না। সে মাকে অনেকগুলো কথা শুনিয়ে নিজেই ফুল দিয়ে সাজানো বিছানায় বসে থাকে। আর গান গায়।এদিকে যখন সকাল হয়ে যায় তখন শায়লার জ্ঞান ফিরে। শায়লার বাবা মা এবং পরিবারের অন্যরা শাইলাকে অনেক ভাবে বকাঝকা করে। কেন সে বিয়েতে এই কাজ করলো তার এই ব্যবহারের কারণে তার বর তাকে রেখে চলে গিয়েছে। কিন্তু শায়লা কিছুই বুঝতে পারছিল না। সে এতটা আবেগময়ী হয়ে উঠেছিল পরিবারের জন্য কষ্ট পাচ্ছিল এই কারণেই কান্না করতে করতে সে অজ্ঞান হয়ে যায়।এমন সময় দেখা যায় শান্ত এসে পরে আর দেখে তার বউকে বকা দেওয়া হচ্ছে। সে তার শ্বশুর শাশুড়িকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়ে যায় তারা যেন তার বউকে আর কিছু না বলে। এটা দেখে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে এক প্রকার পাগল ভেবে বসে। এরপর সে একটি ছাতা নিয়ে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এরপর পথে তাকে অনেকে অনেক কথা বলে শান্ত কোন কথায় পাত্তা দেয় না।
স্ক্রিনশট: youtube
একদিন রাতে শায়লা তার বিয়ের জিনিসপত্র গুলো দেখছিলেন। এমন সময় শান্ত এসে জানালায় উঁকি দেয়।তার বাবাও সেই দৃশ্যটি দেখে ফেলে। কিন্তু বুঝতে পারছিল না জানালার কাছে এসে কে দাঁড়িয়েছিল। তাই তাকে লাইট নিয়ে তারা করে। অবশেষে তার বাবা-মায়ের কাছে অনেক বকা শুনতে হয়।শায়লা হাজার বার বুঝানোর পরেও তার বাবা-মা যখন বুঝতে চাচ্ছিল না তার কথা। জানালায় শান্ত ছিল। তখন শান্ত নিজে হাজির হয় এবং তাদের বুঝিয়ে দিয়ে যায় সে ছিল জানালায় । এরপর শান্ত কে বাড়িতে থাকতে বললে সে ভীষণ রাগ দেখিয়ে চলে যায়।এরপর তার বাবা বলে ওঠে এই ছেলের হাতে আমার মেয়েকে কিছুতেই তুলে দেওয়া যাবে না। এই ছেলে একটা পাগল।এরপর দেখা যায় শান্ত পুকুর পাড়ে আবারও শায়লার সাথে দেখা করতে যায়। কচুরিপানা মাথায় দিয়ে সে শায়লার সাথে দেখা করতে চলে যায় এবং সেখানে তাদের মধ্যে কিছু কথা হয়।সে বলে তাকে কেন বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে না। কিন্তু শান্ত তাকে বুঝিয়ে বলে এভাবে নয় যেদিন তুমি মন থেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে সেদিনই আমি তোমাকে নিয়ে যাব।এভাবে তাদের প্রেম চলতে থাকে। এভাবে তারা তাদের প্রেম চালিয়ে যায়।
স্ক্রিনশট: youtube
এভাবে তারা ফোনে কথা বলতে থাকে।বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটায় তাঁরা।হঠাৎ একদিন শায়লার বাবা বাসায় উকিল ডাকে এবং তাদের বিচ্ছেদের কথা তুলে। এই কথাটি শায়লা শুনতে পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে যায় শান্তর বাড়িতে। শান্ত তাকে বাড়িতে দেখে ভীষণভাবে চমকে উঠে এবং সে আবার শায়লা কে নিয়ে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে চায়। সে চায় না এভাবে তার বউকে নিয়ে আসতে। যখন সে ফিরিয়ে দিতে যায়।তখন শায়লার বাবা তাদের অনেক কথা শুনিয়ে দেয়। কিন্তু যখন শান্ত বোঝায় তাদের মেয়ে মানুষ বিয়ে হওয়ার পরে যে বাবার বাড়ি থেকে শশুর বাড়িতে যেতে হবে এটা কোন কথা না। দুই এক দিন পরে গেলে কিছু হবে না। কারণ একটা মেয়ের তার শ্বশুরবাড়ির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বেশ সময় লাগে। এজন্য একটা মেয়ের মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন। এই কথাগুলো সে সকলকে বুঝায় তখন সকলেই তাদের ভুলগুলো বুঝতে পারে। এরপর শায়লার বাবা নিজেই তার মেয়েকে তুলে দেয়।শান্ত হাসিমুখে শায়লা কে নিয়ে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এভাবেই শেষ হয়ে যায় নাটকটি।
স্ক্রিনশট: youtube
এই নাটকটির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে একটি মেয়ে তার বাবার বাড়ি ছেড়ে যখন তার শ্বশুরবাড়িতে যাবে তখন যেন সে কান্না করে না হাসিমুখে নিজের ইচ্ছায় শ্বশুরবাড়িতে যেতে পারে। শান্তর চরিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একজন স্বামীর এই কাজগুলোই করা উচিত। এই নাটকটি দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল। খুবই সুন্দর একটি নাটক ছিল।
এইখানে লিংক
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি নাটক শেয়ার করেছেন । জোভানের বেশ কয়েকটি নাটক আমি দেখেছি বেশ ভালোই লাগে। সেই সাথে কেয়া পায়েল থাকলে তো আরো মজার হয় নাটকটি। খুব সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন নাটকের কিছু অংশ দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নাটকটি খুবই মজার। নাটকটি দেখে আমাকে ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বউয়ের বাড়ি খুবই হাসি রসাত্মক একটি নাটক কয়েকটি ক্লিপ দেখেছিলাম মোটামুটি ভালো লেগেছিলো।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বর্ননা করেছেন ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
নাটকের ছোট্ট একটি ক্লিপ আপনি দেখেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপু। নাটকটা আমার অনেক আগেই দেখা হয়েছে। নাটক টা আসলেই খুব সুন্দর আর মজার একটা নাটক। তবে শেষের দিকে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন পুরো নাটকের গল্পটা। ধন্যবাদ আপনাকে।
নাটকটি আপনি অনেক আগেই দেখেছেন শুনে ভালো লাগলো। নাটকটি আমার কাছেও ভীষণ ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খুব সুন্দর ভাবে নাটকটি রিভিউ করেছেন। বউয়ের বাড়ি নাটকটি অনেক হাসির এবং মজার। আমি নাটকটি দেখেছিলাম বেশ ভালো লেগেছে। জোভান ও কেয়া পায়েল খুব সুন্দর ভাবে তারা তাদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আমার সবচেয়ে হাসি পায় শান্ত যখন নিজে বিছানা ফুল দিয়ে সাজায় এবং নিজেই মুখে রুমাল দিয়ে বসে থাকে। নাটকটি বেশ সুন্দর এবং আপনি খুব সুন্দর ভাবে কথাগুলো উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এত সুন্দর দক্ষতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু বউয়ের বাড়ি নাটকটি অনেক হাসির এবং মজার। জোভান ও পায়েল খুব সুন্দর ভাবে তাদের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বউয়ের বাড়ি এই নাটকটার পুরো কাহিনীটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। আসলে প্রত্যেকটা মেয়ে যদি নিজের ইচ্ছায় এবং হাসিমুখে শ্বশুর বাড়িতে যায় তাহলেই ভালো। জোভানের চরিত্রটা আমার কাছে এখানে বেশি ভালো লেগেছে। সে নিজের স্ত্রীকে ফুল সাপোর্টে রেখেছে। তার মতো করেই তাকে থাকতে দিয়েছে। আর তার স্ত্রীর যখন ইচ্ছে হয়েছে তখন সে নিজের থেকে নিজের শ্বশুর বাড়িতে এসেছে। আসলে প্রত্যেকটা হাজবেন্ডেরই এই কাজগুলো করা উচিত বলে আমিও মনে করি। খুব ভালো ছিল নাটকের কাহিনী।
আজ আপনি যে নাটকটার রিভিউ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এই নাটকটা আমি দেখেছিলাম। সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো দেখতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। কেয়া পায়েল এবং জোভান এর জুটিটা আমার খুব পছন্দের। দুইজনেই অনেক সুন্দর অভিনয় করে। এই নাটকের মধ্যেও তারা খুব সুন্দর অভিনয় করেছে। নায়িকা শেষ পর্যন্ত নিজের ইচ্ছায় এবং হাসিখুশিতে নিজের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছে এটা দেখে খুব ভালো লেগেছে।
অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে দেখিয়েছেন আপু। নাটকটা তো বেশি দারুন দেখছি। খুবই সমস্যার ভাবে নাটকের বর্ণনা তুলে ধরেছেন। অসাধারণ ছিল আপনার এই রিভিউ পোস্ট।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। একইসাথে এখানে ফারহান আহমেদ জোভান এবং কেয়া পায়েলের জুটির নাটক তা অসাধারণ হবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়৷ একইসাথে আপনি যেভাবে এই নাটক রিভিউ খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলছেন তাও বেশ অসাধারণ হয়েছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷