গল্প-একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প(পর্ব ১১)||
আসসালামু আলাইকুম
আমি একজন বাংলাদেশী। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47 আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি একটি ক্রাফট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা সবাই কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি একটি গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি।গল্প লিখতে বা পড়তে ভীষণ লাগে আমার।কিন্তু সময়ের অভাবে হয়তো সেটা হয়ে উঠে না।আজ আমি একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প (পর্ব ১১) লিখতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প(পর্ব ১১):
Source
ছাবিনারা রাত নয়টায় পৌঁছায় তার ভাইয়ের বাসায়।ভাইদের প্রতি যে ঘৃণা টা ছিল সেটাও এখন নেই।কারণ তার ভাইরা শুধু মাত্র বোনকে হারানোর ভয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।তার বোনের থেকে কোনো কিছুই বেশি নয়। ছাবিনা ভাইদের সাথে বেশ হাসি খুশি ভাবে কথা বলছিল।মন খুলে তাদের সাথে গল্প করতে ছিল।ছাবিনার শ্বশুর বাড়ি থেকে বেশি কেউ আসেনি। অয়ন,অনি ও আরো দুইজন বোন ভাই এসেছিল।
তারা ভীষণ খুশি কারণ তাদের পরিবারের এই প্রথম বিয়ে তাও বংশের প্রথম সন্তানের। এই জন্য সবাই খুবই খুশি।সব ভাই বোনরা মিলে খুবই আনন্দ করেছে।আর সকলে ভাইয়ের শ্বশুর বাড়িতেও এসেছে আর আনন্দ করছে।কিন্তু ছাবিনা ও তার পরিবারের লোক জন একটু সংকোচবোধ করছিল। কারণ তাদের অবস্থা ভালো না।যেমন টা অয়নদের রয়েছে।তারা যে খুবই দরিদ্র।
ওদের মতো দামি বাড়ি নেই,গাড়ি নেই,দামি আসবাবপত্র ও নেই।এই জন্য খুবই লজ্জিত ছিল তারা।কিন্তু অয়ন ও বাকি ভাইবোনেরা বেশ আনন্দ করছিল।তারা নিজেদের মতো করে মজা করছিল।এরপর তাদের খাওয়ার জন্য একটি ঘর প্রস্তুত করা হয়।নিজের সাধ্য মতো আয়োজন করার চেষ্টা করেছিল তারা।কিন্তু তাদের দামি টেবিল ছিল না যেইখানে বসতে দিবে।তাই খাওয়ার জন্য বিছানায় বসার জায়গা করে দেওয়া হয়।কিন্তু সেইখানে জায়গা না হওয়ার কারণ সকলে নিচে বসে।
বেশ তৃপ্তি করে সকলে খাওয়া দাওয়া করে।আর রান্নার অনেক প্রশংসাও করে।কারণ এমন মজার খাবার আগে কখনও খায় নি।কারণ ওদের বাসায় সবসময় কাজের লোকেরা রান্না করে কিন্তু সেই খাবার খেয়ে তাদের পেট ভরে কিন্তু মন ভরে না।ছাবিনার মা ও ভাবীরা মিলে সব গুলো রান্না করেছিল।প্রতিটা খাবারের স্বাদ ছিল অতুলনীয়।
কিন্তু ছাবিনা মনে মনে লজ্জা পায়।ওদের বাসায় যে আপ্যায়ন করেছিল তার তুলনায় কিছুই করতে পারছে না।তখন অয়ন ও ছাবিনাকে বলে কি ম্যাডাম শুধু ভেবেই যাবেন না এইবার একটু খাবেন।এরপর ছাবিনা বলে মজা করছেন আমরা গরীব বলে।তখন অয়ন ভীষণ ক্ষেপে যায়।যাওয়ার আগে বলে যায় আমি কেমন শান্তি করে খেলাম তো হয়তো তোমার বুঝার ক্ষমতা হয় নি।এরপর সে ঘরে চলে যায়।এরপর অনি বলে ভাবি ভাইয়া কিন্তু খুবই রাগ করেছে আপনি যান ভাইয়ার কাছে। সবাই জোর করায় ছাবিনা ও যায়।সেইখানে গিয়ে কি হচ্ছে জানতে হলে অবশ্যই পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।আজ এই পর্যন্ত থাকলো।ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডি নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।
আপু খুব সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন। গল্প পড়তে ও লিখতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। আপনার আজকের গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো। যদিও আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি তবে এই পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। এতটুকু বুঝতে পারছি সাবিনার শ্বশুর বাড়ি থেকে যারা এসেছে তারা এমন আতিথেয়তা দেখে খুব খুশি। সাবিনার কথায় রাগ করে অয়ন ঘরে চলে যায়। এরপর অয়নের রাগ ভাঙাতে সাবিনাকে পাঠানো হয়। তারপর কি হলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।