রেসিপি-ঢেঁড়স ভাঁজা||
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী।আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে একজন নতুন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ঢেঁড়স ভাঁজার রেসিপিটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
ঢেঁড়স ভাঁজা
![IMG_20240418_191703.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmU1Att9zM4cjycU4ADGuXahYuC4D3jVXazpyZQBUfG9yx/IMG_20240418_191703.png)
ঢেঁড়স ভাঁজা খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।এমন কেউ নেই যে ঢেঁড়স ভাঁজা খেতে পছন্দ করে না।কম বেশি সকলেই ঢেঁড়স ভাঁজা খেতে ভালোবাসে। ঢেঁড়স ভাঁজা পরোটার কিংবা গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে।ঢেঁড়স তরকারি কিংবা ভর্তা খেতেও ভালো লাগে।আজকে আমি শুধু ঢেঁড়স ভাঁজার রেসিপিটি তৈরি করেছি।ঢেঁড়স ভাঁজা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক ঢেঁড়স ভাঁজার রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
ক্রমিক নং | নাম | পরিমান |
---|---|---|
১ | ঢেঁড়স কুঁচি | পরিমাণমত |
২ | পেঁয়াজ কুঁচি | ১/২ কাপ |
৩ | লবণ | পরিমাণ মতো |
৪ | মরিচের গুঁড়া | ১/২ টেবিল চামচ |
৫ | হলুদের গুঁড়া | ১/২ টেবিল চামচ |
৬ | রসুন কুঁচি | ১ চা চামুচ |
৭ | সোয়াবিন তেল | ৪ টেবিল চামুচ |
![IMG_20240416_073630_912.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXpPL9GB7pzFmvqTnWo4U5bPUcGKmHoJczoHxGjavBgxH/IMG_20240416_073630_912.jpg)
ঢেঁড়স ভাঁজার রেসিপির ধাপ সমূহ:
ধাপ-১
![IMG_20240416_073703_371.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmSSfeczTUpxUfBwMRbJ4qPaPukkwja3ofpu3kojf7tVhJ/IMG_20240416_073703_371.jpg)
প্রথমে একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে নিব।এরপর কড়াইতে তেল ঢেলে দিব।এরপর তেল ভালো করে গরম করে নিব।
ধাপ-২
![IMG_20240416_073741_619.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUbT1JDAnNUxGNZ3Rm6U3k73C7dH6C4gCsZDnyHNrrU1T/IMG_20240416_073741_619.jpg)
![IMG_20240416_074033_443.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV5S4PpJP5id6iJLFaR9GKMEF21XaWDLDrnu66rNbv2fn/IMG_20240416_074033_443.jpg)
এরপর পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি দিব। এরপর পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি গুলো চামুচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিব।
ধাপ-৩
![IMG_20240416_074122_951.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRuT8J4Nbjdf93YXJoTN1eDgdJf1rd2joj37WTf8ibcpk/IMG_20240416_074122_951.jpg)
![IMG_20240416_074142_353.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZaw2YiPyjyDtLhykC8nPAbLto5c2Y7arJmFWsakXatRf/IMG_20240416_074142_353.jpg)
এরপর মরিচের গুঁড়া,হলুদের গুঁড়া ও পরিমাণমতো লবণ দিয়ে দিব।এরপর চামুচের সাহায্যে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিব।
ধাপ-৪
![IMG_20240416_074203_067.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdDHL3e5tncMSB7PFDCvurHqhkrVA2wkZGrMXmyPe4n8D/IMG_20240416_074203_067.jpg)
![IMG_20240416_074206_256.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcafKoe8f6LS4FxDM6Ro4RRzX9A58VdqdCbvtezUkgkoU/IMG_20240416_074206_256.jpg)
এরপর সামান্য পরিমাণ পানি দিব।এরপর কষিয়ে নিব যতক্ষণ না তেল উপরে আসে।
ধাপ-৫
![IMG_20240416_074312_328.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV6CQBLUYsGDWLhFs74N9yifnBdvNzTUagZ3p6RJtappV/IMG_20240416_074312_328.jpg)
![IMG_20240416_074359_151.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbTB71ojE144EWxVoLDZodQx5XxUL7nmtREvd6JNasw32/IMG_20240416_074359_151.jpg)
![IMG_20240416_074435_146.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmaCr74HArfbNiyuFk4ytrmQsGoxQvdb9j63RDaAmdJmyq/IMG_20240416_074435_146.jpg)
এরপর মসলা কষানো হয়ে গেলে ঢেঁড়স কুঁচি গুলো ছেড়ে দিব।এরপর মসলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিব।
ধাপ-৬
![IMG_20240416_074947_741.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfB9AXRQR3VfKaZbxynNZKHBUgNhGpZ18avuySnDjR2tU/IMG_20240416_074947_741.jpg)
এরপর কিছুক্ষন চুলার উপরে আঁচে রেখে দিব।এরপর কিছুক্ষণ পর পর চামুচের সাহায্যে নেড়ে চেড়ে নিব।
শেষ ধাপ
![IMG_20240416_080235_951.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmStwz7rLdudAyZwkSJhixsxV7DLHvjK5fuvACQKQNG4ni/IMG_20240416_080235_951.jpg)
এরপর যখন ঢেঁড়স ভাঁজা গুলো সেদ্ধ হয়ে যাবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিব।
উপস্থাপনা:
![IMG_20240418_192115.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWa1WNPPKU8A26YeRCPjKsLm8DVt9JUdRDPYjV2JrP7hj/IMG_20240418_192115.png)
ঢেঁড়স ভাঁজার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেলে উপস্থাপনার জন্য প্রস্তুত করে নিব। এভাবে ঢেঁড়স ভাঁজা করে খেলে ভীষণ ভালো লাগে।ঢেঁড়স ভাঁজা খেতে সকলেই ভীষণ পছন্দ করে।এভাবে ঢেঁড়স ভাঁজা করে গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে।ঢেঁড়স ভাঁজার রেসিপিটি শেয়ার করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।আজ আমি আপনাদের মাঝে এমন একটি রেসিপি তুলে ধরতে পেরে খুবই আনন্দিত।আমি সবসময় চেষ্টা করব নতুন কিছু আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।আশা করি আমার তৈরি করা রেসিপিটি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।
ঢেড়শ ভাজি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে। অন্যান্য রেসিপি থেকে এভাবে ভাজি করলেই বেশি মজা লাগে। গরম ভাতের সঙ্গেতো কথাই নেই। পরোটা দিয়ে অবশ্য কখনো খাওয়া হয়নি। যাইহোক আপনার ঢেড়শ ভাজির রেসিপি দেখে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু ঢেড়স ভাজা খেতে সকলেই পছন্দ করে। এই তো ঢাড়সের সিজন। কচি কচি ঢ়েড়সের ভাজা খেতে সত্যিই অনেক বেশি মজা লাগে। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু এই সিজনে কচি কচি ঢেঁড়স ভাজা খেতে খুবই মজা লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঢেঁড়স ভাঁজা খেতে ভীষণ মজা লাগে। ঢেঁড়স সবুজ সবুজ করে ভেজে রান্না করে খেতে আমি বেশি পছন্দ করি। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করে পরিবেশন করেছেন। ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢেঁড়স সবুজ সবুজ করে ভাজা করলে খেতে যেমন মজাদার হয় এবং দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার বাচ্চাদের সবচেয়ে পছন্দের একটি ভাজি হচ্ছে ঢেঁড়স ভাজি। ঢেঁড়স ভাজা করলে খুব মজা করে খাই। আমিও চেষ্টা করি প্রায় সময় ঢেঁড়স ভাজা করতে। আপনি সুস্বাদুভাবে তৈরি করলেন এই ভাজি। সেই রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো। এ ধরনের ঢেঁড়স ভাজা গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।
ঢেঁড়স ভাজা আপনার বাচ্চাদের পছন্দ জেনে খুবই ভালো লাগলো। ঢেঁড়স ভাজা খেতে কম বেশি সকলেই পছন্দ করে। আমার নিজের ও বেশ পছন্দের একটি খাবার।
এ সময়ের সবচেয়ে প্রিয় সবজি আমার এটা। খেতে খুবই পছন্দ করি। মাছের সাথে লম্বা লম্বা করে রান্না করে খেতে আরো ভালো লাগে। পাশাপাশি ভর্তা করে খেতে আমি খুবই ভালোবাসি। তবে আপনার ভাজিটাও বেশ দারুন ছিল। খুবই ভালো লেগেছে দেখে।
ঢেঁড়স আপনার প্রিয় সবজি জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঢেঁড়স মাছের সাথে লম্বা লম্বা করে কেটে রান্না করলে খেতে দুর্দান্ত লাগে।
ঢেঁড়স ভাজি আমি খুবই পছন্দ করি। এখন আসল সময় এই রেসিপি করার। আপনি কিন্তু চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে রান্নার কার্যক্রম করে দেখিয়েছেন। অনেক ভালো লেগেছে এই ভাজি তরকারি টা দেখে। আশা করি এটা রুটি দিয়ে অথবা ভাত দিয়ে খেতে বেশ ভালো লেগেছে
ঢেঁড়স ভাজি করার খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা খেতে আমার কাছে যে কতটা বেশি ভালো লাগে তা আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না। এজন্যই আমি মাঝে মাঝে এই রেসিপিটা বাড়িতে তৈরি করতে বলি যেন নিজে খেতে পারি।
ঢেঁড়স ভাজি অবশ্য আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব একটা পছন্দ করি না তবে মাঝেমধ্যে ঢেঁড়স ভাজি খেয়ে থাকি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ঢেঁড়স ভাজি রেসিপি প্রস্তুত করে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু।
ঠিকই বলেছেন আপু ঢেঁড়স ভাজা খেতে আসলেই খুব ভালো লাগে । তবে আমি ঢেঁড়স ভাজি ভাত দিয়ে খেয়ে থাকি সবসময় অন্য কিছু দিয়ে কখনো খাইনি। আপনি রসুন দিয়ে ভাজি করেছেন এভাবে রসুন দিয়ে কখনো ভাঁজি করা হয়নি । ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি দেখে ।
রসুন দিয়ে এভাবে ঢেঁড়স ভাজা করলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। অবশ্যই বাসায় একদিন রসুন দিয়ে ঢেঁড়স ভাজা ট্রাই করে দেখবেন আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঢেঁড়স ভাঁজা খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। তাছাড়া এধরনের ভাজি দিয়ে গরম ভাত খেতে বেশ মজা লাগে। মাঝে মধ্যে বাসায় এই ঢেরস ভাজি রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়। ধন্যবাদ তৈরির ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।