রেসিপি-কাপ কেকের রেসিপি||
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী।আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে একজন নতুন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে কাপ কেকের রেসিপিটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
কাপ কেকের রেসিপি
Device-XANON-X20
কেক খেতে সকলেই পছন্দ করে। আমার নিজেরও ভীষণ ভালো লাগে। আজ মেয়ে বায়না ধরে ছিল কেক খাওয়ার জন্য। এই জন্য তাকে আমি বাসায় কেক বানিয়ে দেই। কারণ আমি বাইরের খাবারগুলো খুব একটা মেয়েকে খাওয়াই না। যদিও তার নানু বাড়ি আসলে তার নানু চুপ করে তাকে খাওয়ায়। কিন্তু আমি কিছুতেই খাওয়াতে দেই না। তার বায়না রাখতেই আজকে আমি তাকে একটি কাপ কেক তৈরি করে দিয়েছিলাম।আর সেই কেকের রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আমি এটি তৈরি করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
ক্রমিক নং | নাম | পরিমান |
---|---|---|
১ | ডিম | ১ |
২ | চিনি | ৪ টেবিল চামচ |
৩ | ময়দা | ৫ টেবিল চামচ |
৪ | বেকিং পাউডার | ১/২ টেবিল চামচ |
৫ | কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, কিসমিস | ৭-৮টি |
৬ | সাদা কাগজ | ১টি |
৭ | কাপ | ১ টি |
৮ | সয়াবিন তেল | ২ টেবিল চামচ |
কাপ কেকের রেসিপির ধাপ সমূহ:
ধাপ-১
প্রথম একটি বাটি নিব। বাটিতে ডিম ভেঙ্গে নিব। এরপর চিনি নিব।
ধাপ-২
এরপর দুটোকে একসাথে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিব। এরপর ময়দা দিব।
ধাপ-৩
এরপর আলতোভাবে ময়দার সাথে সবকিছু মিশিয়ে নিব।
ধাপ-৪
তারপর বেকিং পাউডার ও তেল দিব। এরপর চামচের সাহায্যে ভালোভাবে মিশিয়ে নিব। তাহলে আমার কেকের প্যাটার্নটি প্রস্তুত হয়ে যাবে।
ধাপ-৫
এরপর সাদা কাগজ ও কাপ নিব। সাদা কাগজটি কাপের মাপ অনুযায়ী কেটে নিব। এরপর কাপের মধ্যে সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে কাগজটি বসিয়ে নিব।
ধাপ-৬
এরপর কেকের তৈরি করা প্যাটার্নটি কাপের ভিতরে ঢেলে দিব। এরপর কিসমিস ও বাদাম গুলো দিব।
ধাপ-৭
এরপর চুলায় একটি তাওয়া বসিয়ে তার উপর কেকের স্ট্যান্ড বসিয়ে দিব। এরপর কাপটি তাতে বসিয়ে দিয়ে একটি বড় বাটির সাহায্যে ঢেকে দিব।
ধাপ-৮
এরপর ১০ মিনিট মিডিয়াম আঁচে রেখে দিব। ১০ মিনিট পর ঢাকনাটি উঠিয়ে দেখব কেকটি ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা।
ধাপ-৯
যখন কেক টি প্রস্তুত হয়ে আসবে তখন একটি কাঠির সাহায্যে চেক করে নিব ঠিক আছে কিনা। যদি কাঠির গায়ে কিছু না লাগে তাহলে চুলা থেকে কেকটি নামিয়ে নিব।
ধাপ-১০
এরপর একটি ছুরির সাহায্যে চারপাশ কেটে নিব।এরপর কেকটি একটি প্লেটে নামিয়ে নিব।
ধাপ-১১
এরপর কেকের উপর থাকা কাগজটি উঠিয়ে নিব।
শেষ ধাপ
তাহলে আমার কাপ কেক টি প্রস্তুত হয়ে যাবে।
উপস্থাপনা:
কাপ কেকের রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেলে উপস্থাপনার জন্য প্রস্তুত করে নিব। এভাবে বাসায় কেক তৈরি করে খেলে ভীষণ ভালো লাগে। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার মেয়েকে স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়ার জন্য। তাই তাকে বাহিরের কেনা খাবার গুলো না দিয়েই নিজেই বাসায় তৈরি করে দিয়েছিলাম। আমার মেয়ে কে একটি ভীষণ মজা করে খেয়েছিল।এই রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।আজ আমি আপনাদের মাঝে এমন একটি রেসিপি তুলে ধরতে পেরে খুবই আনন্দিত। আশা করি আমার তৈরি করা রেসিপিটি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।
কাপ কেক দেখেই তো খুব লোভ লাগছে কারণ কেক আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। আপনি কেকটার প্রক্রিয়া গুলো খুব সুন্দর সহজ ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এটা আমার খুব ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কেক দেখে লোভ লেগে গেল। আসলে আপু হাতে তৈরি কেকের তুলনা হয় না। আমি ও মাঝে মাঝে কেক তৈরি করি। আর এগুলো বাচ্চারা অনেক মজা করে খায়।আপনার কেক ও নিশ্চয়ই অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
যে কোন জিনিস নিজে তৈরি করে খাইতে পারলে অনেক বেশি ভালো লাগে।আর নিজের রান্না করা খাবারের মধ্যে একটু বেশি মিষ্টি লাগে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কাপ কেক রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি কাপ কেকের রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছে। আপনি কয়েকটি উপকরণের সংমিশ্রণে এতো সুন্দর একটি কেকের রেসিপি সম্পন্ন করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মেয়ের বায়না রাখতে আপনি নিজে নিজে কেক তৈরি করেছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে আপু। বাসায় তৈরি করা খাবার খাওয়ানো বাচ্চাদের জন্য অনেক ভালো। নিজের হাতে খাবার তৈরি করলে বাচ্চারা ভালো ভাবে খেতে পারে। আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো এবং আমিও শিখে নিলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
কাপ কেক এর চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। এরকম নাস্তাগুলো বাসাতেই তৈরি করে খেতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। কেননা বাইরের খাবারে বিভিন্ন রকমের জীবাণু জড়িয়ে থাকে। তাই আপনি আপনার বাচ্চাকে কাপকেক বানিয়ে খাওয়ানোর জন্য সুন্দর একটি রেসিপি সিলেক্ট করেছিলেন। কাপ কেক তৈরি করার প্রসেস গুলি একদম সাধারন ভাবে উপস্থাপন করেছেন। মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জেনে ভালো লাগলো যে আপনি আপনার মেয়েকে বাইরের খাবার থেকে বিরত রেখেছেন। আসলে নানা নানীর ভালোবাসা একটু বেশি এজন্য না বুঝে বাইরের জিনিস খাওয়ানো যাবে না মাঝেমধ্যে খেলে কিছু হয় না। আপনার মেয়ের আবদার খুব সুন্দর লোভনীয় কেক বানিয়েছেন আপু।ধাপে ধাপে কেক বানানো পদ্ধতি আমাদের সাথে সুন্দর করে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সাধারণ ভাবে যেসব কেক গুলো দোকানে পাওয়া যায় আমি শুনেছি এসব কেক গুলো খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করে। তবে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাড়িতে যে সুন্দর করে কাপ কেক রেসিপি তৈরি করেছেন এটা আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে। এটি তৈরির ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
বাড়িতে এভাবে কেক তৈরি করে খেতে ভীষণ মজা লাগে। আর এই ধরনের কেক গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। তবে আমার কাছে মনে হয় কেকের মধ্যে ডিমের পরিমাণটা একটু বেশি করে দিলে খুবই বেশি সফট এবং ফুলে ওঠে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবি কেক তৈরি করেছেন আপু। দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল কেক টি।
আপু আপনার শেয়ার করা কাপ কেকের রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আসলে আপু এভাবে কেক তৈরি করা যায় বিষয়টা আমি জানি। তবে কেকটিকে আপনি আরো একটু আকর্ষণ এবং মজাদার করে খাওয়ার জন্য এটাকে কাপের ন্যায় তৈরি করলেন। দেখে লোভ সামলানো বড় দায়। অসংখ্য ধন্যবাদ এত লভোনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমিও কিন্তু আগে এমন করে কাপ কেক বানিয়ে খেতাম। আপনি বেশ সুন্দর করে ধাপে ধাপে কাপ কেক বানানোর পুরো রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে এবং লোভনীয় মনে হযৈছে সম্পূর্ণ রেসিপিটি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।