রেসিপি-কুলি পিঠার রেসিপি||
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী।আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে একজন নতুন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে কুলি পিঠার রেসিপিটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা সকলেই জানেন আমার আগের ফোনটি হারিয়ে গিয়েছে। আর এই রেসিপিটি আগের ফোনে তোলা হয়েছিল। আমার জিমেইল থেকে আমি ছবিগুলো নিয়েছি আর আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। এই পিঠাটি খেতে ভীষণ মজাদার হয়েছিল তাই আজকে আমি সকলের মাঝে পিঠার রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি সকলের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
কুলি পিঠার রেসিপি
যেকোন ধরনের পিঠা খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এমন কেউ নেই যে পিঠা পছন্দ করে না। পিঠা খেতে সকলেই ভালোবাসে। কুলি পিঠা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। সব ধরনের পিঠার মধ্যে নারকেলও চিনি কিংবা গুড়ের সম্মনয়ে তৈরি এই পিঠা খেতে অসাধারণ লাগে। সবগুলো পিঠার মধ্যে কুলি পিঠা আমার খুবই পছন্দ। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার পছন্দের পিঠার রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আমি পিঠাটি তৈরি করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
ক্রমিক নং | নাম | পরিমান |
---|---|---|
১ | চালের গুড়া | পরিমাণমত |
২ | লবণ | পরিমাণ মতো |
৩ | চিনি | পরিমাণ মতো |
৪ | নারিকেল কুড়ানো | পরিমাণ মতো |
৫ | সয়াবিন তেল | ৪ টেবিল চামচ |
কুলি পিঠার রেসিপি তৈরির ধাপ সমূহ:
ধাপ-১
প্রথমে একটি কড়াইতে পরিমাপ মত পানি দিব। এরপর পানি ভালো করে ফুটিয়ে নিব।
ধাপ-২
এরপর সেটির মধ্যে লবন ও চালের গুড়া দিয়ে ডো তৈরি করে নিব।
ধাপ-৩
এরপর ডো টি হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিব।এরপর হাতের সাহায্যে ভালোভাবে মোথে নিব।
ধাপ-৪
এরপর চুলায় আরেকটি কড়াই বসিয়ে নিব। এরপর কুড়ানো নারকেলও চিনি একসাথে মিশিয়ে নিব।
ধাপ-৫
এরপর কড়াইতে দিয়ে দিব আর চামচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিব।
ধাপ-৬
এরপর ব্যালন পিরার উপরে মোথে নেওয়া ডো নিব।এরপর গোল করে বেলে নিব।
ধাপ-৭
এরপর একটি গ্লাসের সাহায্যে গোল করে লেচি কেটে নিব। একইভাবে সবগুলো লেচি কেটে নিব।
ধাপ-৮
এরপর কেটে নেওয়া লেচির ভিতরে ভেজে নেওয়া নারকেল ও চিনির পুর দিয়ে সেটাকে মুড়িয়ে সুন্দরভাবে ডিজাইন তৈরি করে নিব।
ধাপ-৯
এরপর আরেকটি কড়াই চুলাতে বসিয়ে দিব। কড়াই গরম হলে তেল ঢেলে গরম করে নিব। এরপর পিঠাগুলো ছেড়ে দিব।
শেষ ধাপ
পিঠাগুলো ছেড়ে দেয়ার পর উল্টেপাল্টে বাদামি করে ভেজে নিব। ভাজা হয়ে গেলে একটি প্লেটে উঠিয়ে নিব। তাহলে আমার কুলি পিঠার রেসিপিটি তৈরি হয়ে যাবে।
উপস্থাপনা:
কুলি পিঠার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেলে উপস্থাপনার জন্য প্রস্তুত করে নিব। এভাবে কুলি পিঠা তৈরি করে খেলে ভীষণ ভালো লাগে। পিঠা খেতে সকলেই ভীষণ পছন্দ করে। সকাল কিংবা বিকালে পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে।কুলি পিঠার রেসিপিটি শেয়ার করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।আজ আমি আপনাদের মাঝে এমন একটি রেসিপি তুলে ধরতে পেরে খুবই আনন্দিত।আমি সবসময় চেষ্টা করব নতুন কিছু আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।আশা করি আমার তৈরি করা রেসিপিটি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কুলি পিঠার রেসিপি তৈরি করে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। এমনিতেই কলি পিঠা খেতে আমি বেশ পছন্দ করি। কুলপিঠার মধ্যে নারিকেলের পরিমাণ বেশি দিলে খেতে সব থেকে বেশি মজা লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য।
আমরা এটিকে নারিকেলের পিঠা বা পুলি পিঠা বলে সম্বোধন করি। আপনি রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। কুলি পিঠা রেসিপিটি খুব ভালো উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন আপু।
নারিকেলের পুর দিয়ে চমৎকার সুন্দর পুলি পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।আমাদের এলাকায় এই পিঠার নাম পুলি পিঠা বলে থাকে।আপনার আগের ফোন হারিয়ে গেছে আর জিমেইল থেকে ছবি নিয়েছে এবং রেসিপির মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমার এই পুলি পিঠা ভীষণ ভাল লাগে খেতে।এই পিঠা বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রেখে খাওয়া যায়।ধন্যবাদ আপু ভীষণ লোভনীয় পিঠাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
যে কোন ধরনের পিঠা আমার খুব পছন্দের। আম্মা প্রায় সময় এই ধরনের পিঠা তৈরি করতেন। আপনার ফুলি পিঠার রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। পিঠা তৈরি প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে । আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি এত সুন্দর করে কুলি পিঠা বা পুলি পিঠা তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এই পিঠাগুলো খেতে বেশ মজার হয়। দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুবই ভালো হয়েছিল। আর দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
কুলি পিঠা আমার জানা মতে সবাই খেতে পছন্দ করেন। আমার কাছে তো খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপি পরিবেশন করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে আমিও তৈরি করতে পারবো। ভালো ছিলো আপনার রেসিপি আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আপু আপনার কুলি পিঠার রেসিপি দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। রোজার দিনে এমনিতেই পেটে খিদে ।তারপর যদি এরকম লোভনীয় রেসিপি দেখা যায় তাহলে কি আর ঠিক থাকা যায়। বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটি দেখে ।বোঝা যাচ্ছে খেতে বেশ মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু মনে হয় এটা পুলি পিঠা হবে। আমার কাছে এই পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। অনেক দিন হয়েছে এই পিঠা তৈরি করা হয়না। আমার পরিবারের সবাই এই পিঠা খেতে খুবই পছন্দ করে। আপনার পিঠা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।