জেনারেল রাইটিং-নতুন শহরে পারি দেওয়ার গল্প|
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।আমিও ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি নতুন শহরে পারি দেওয়ার গল্প যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
নতুন শহরে পারি দেওয়ার গল্প:
Source
যখন আমরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাযই পরিবারের সকলকে ছেড়ে তখন খুবই কষ্ট হয়।পরিবারেরই আপন মানুষ দের ছেড়ে আসতে খুবই খারাপ লাগে।তারপরেও আপন মানুষ দের ছেড়ে আসতে হয়।বিয়ের পর বাবা মার ঘর ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি আসতে হয়।এত দিন আমার মেয়ে ছোট থাকার কারণে আমার হাজবেন্ড আমায় পার্মানেন্ট ভাবে নিয়ে আসে নি।কিন্তু শ্বশুর বাড়িতে কিছু দিন থাকতাম আবার বাবার বাড়ি আসতাম।এইভাবেই দিন চলে যেত।বেশ ভালই ছিলাম।
হাজবেন্ড মেয়ে কে ছেড়ে থাকতে চায় নি।কিন্তু মেয়ে ছোট ছিল তাই থাকতে না পারলেও কষ্ট করে মেয়ে কে ছেড়ে থাকতে হয়েছিল।কিন্তু এখন মেয়ে বড় হয়েছে বাবার কাছের হাজার বায়না তার।বাবাকে দেখলে তার আর কাউকে লাগে না।আবার অন্যদিকে নানা কে দেখলে কাউকে লাগে না।বাবা মেয়ে একে অপরকে ছেড়ে থাকতে না পারার কারণে নতুন শহরে পারি দিতে হয়। এক দিকে বাবা আরেক দিকে নানা কাউকে ছেড়ে সে থাকতে পারে না।দুইজন কে নিয়ে এক সাথে থাকতে চায়। মানে দুই নৌকায় পা রাখার মত আমার মেয়ের অবস্থা হয়েছে।
সব বাঁধন ছেড়ে তবুও যে আসতে হবে।দুই মাস থেকে মেয়ের বাবা বাসা নিয়ে রেখেছিল।কিন্তু আমি আজ না কাল এইভাবে দুই মাস ঘুরিয়েছি।এরপর অবেশেষে পারি দিতে হয় নতুন শহরে।দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নতুন শহরে নতুন ঘরে এসেছি কাল সকালে। যেহেতু বাসার কোনো জিনিস গুছানো হয় নি।তাই ফ্রেশ হয়ে খেয়েই কাজে লেগে যাই।সকালে থেকে রাত পর্যন্ত বস্তা খুলেছি আর জিনিস গুলো বের করে সাজিয়েছি।তবুও অর্ধেক কাজ হয়েছিল।
কাজ যেনো পিছু ছাড়ছিল না।এর মধ্যে রান্না করতে গিয়ে দেখি গ্যাস নেই।পরে জানতে পারলাম এই সময়টায় গ্যাস থাকে না। পরে বাহির থেকে খাবার এনে খেতে হয়েছিল।ঢাকা শহরে এই একটা ঝামেলা।আর নতুন সংসার বেশ কিছু জিনিস কেনার ছিল।তাই রাতেই ফ্রেশ হয়ে চলে যায় রাইস কুকার নিতে।কারণ যেই সময় আমার রান্না করতে হয় ওই সময়টা গ্যাস থাকে না।প্রথম দিনটা এইভাবে কেটে গেলো।তখন মায়ের কথা ভীষণ মনে পড়ছিল। কোথাও থেকে আসলে শুধু হাত মুখ ধুয়ে খেতাম। এখন ঘর গুছানো, রান্না করা,বাচ্চা সামলানো সব কিছুই নিজেকে করতে হচ্ছে।হাজবেন্ড যত টুকু সময় বাসায় ছিল সাহায্য করেছিল। আজকেও সারাটা দিন অনেক কাজ করেছি তবুও অনেক কাজ বাকি আছে।বাসা চেঞ্জ করা এবং নুতুন বাসায় উঠা খুবই বিরক্তিকর।সব কিছু মিলিয়ে নিজেকে বড়ই ক্লান্ত লাগছে।তবে সব কিছুর পর একটা জিনিস ভেবে ভালো লাগছে নিজের নতুন সংসার, নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছি। দোয়া করবেন সকলে আমাদের জন্য।এই ছিল আমার আজকের পোস্ট।ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।
আপনি বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়ি আর শশুর বাড়ি এখানেই থেকেছেন। তবে মেয়ে হবার পর আপনার মেয়ে তার বাবাকে এবং আপনার বাবাকে বেশি পছন্দ করে জেনে ভালো লাগলো। তবে আপনার মেয়ের মত আমার ছেলেও তার বাবাকে আর আমার বাবাকে ভীষণ পছন্দ করে তাদেরকে দেখলে একদম তাদের কাছে যাবে আর কারো কাছে না। নতুন সংসার এসে প্রথমেই ঘর বাড়ি গুছিয়ে তারপর রান্না করতে গিয়ে গ্যাস নেই। এতে আপনারা বাইরে থেকে খাবার কিনে খেয়েছেন তাছাড়া অনেকগুলো কেনাকাটা করেছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো।আপনার নতুন জীবন নতুন সংসার অনেক সুন্দর হোক শুভকামনা রইল আপু।
হ্যাঁ আপু আমার মেয়ে বাবা ও নানা দুইজনকেই ভীষণ ভালোবাসে।দোয়া করবেন আপু আমাদের জন্য।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার পোস্ট পড়ে আমি যেনো আমার জীবনের গল্পটি দেখতে পাচ্ছিলাম। আমিও মায়ের বাড়িতে প্রায় দেড় বছর ছিলাম।এরপর নিজের বাসায় যাই।আর আপনার মতো আমার ও খারাপ লাগতো এটা ভেবে মা আমার আর আমার সন্তানের কতোই না খেয়াল রেখেছিল।যখন নিজের হাতে সব করতে হয় তখনই বোঝা যায় মায়ের কষ্টের অনুভূতি গুলো। দোয়া করি আপু পরিবার নিয়ে সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
সংসার সামলানো আর প্রথম কয়েকটি বছর ধীরস্থিরভাবে পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রতিটি মেয়ের জন্যই কষ্টকর একটি বিষয়৷ সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার মাঝে একটি বাহবা পাওয়ার আছে, যারা তা করতে পারে তারা নিশ্চয়ই করিৎকর্মা অনেকাংশেই।
আপনার নতুন বাসায় সরঞ্জামের ঝামেলা পোহানো আর কিছু বিকল্প পথে সমস্যা সমাধান করার টেকনিক দেখে খুব ভালো লেগেছে৷ এই যেমন : রাইস কুকার সিলেক্ট করে নিলেন, গ্যাস সরবরাহ ঢাকায় বিঘ্নিত হওয়া একটি নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একটি টিপস দিচ্ছি আপনাকে, রাইস কুকারে চাল বসানোর পর তা সবসময় ঝরঝরে আঠালো হতে চায়,তাই টাইম ডিরেশন ঠিক করে নিবেন।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, নিজে কয়েকবার রাইস কুকার ব্যবহার করেছি তো, তাই 😀।
যা হোক শুভকামনা রইলো, ভালো থাকবেন ।